Pages

Saturday, December 31, 2011

প্রাচীন আরবের কবিতায় বেদের বর্ণনা



আরবি মানে আজ বিশ্বের মানুষ বুঝে ইসলামের ভাষা। আসলেই ইসলামের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ আরবি ভাষায় রচিত। কিন্তু আপনি কি জানেন ইসলাম-পূর্ব আরবে আরবি কবিতা বেদসংহিতার স্তুতি করছে।
এখানে একটি কবিতা দেয়া হল আরবি কবি লাবি-বিন-ই-আখতাব-বিন-ই-তুরফার যিনি ইসলাম-পূর্ব আরবে বাস করতেন।
“Aya muwarekal araj yushaiya noha minar HIND-e Wa aradakallaha
manyonaifail jikaratun”
“Oh the divine land of HIND (India) (how) very blessed art thou!
Because thou art the chosen of God blessed with knowledge”
” হে হিন্দের (ভারত) পবিত্র ভূমি পরম আশীর্বাদ প্রাপ্ত
কারন ঈশ্বরের দ্বারা নির্বাচিত,জ্ঞানদারা আশীর্বাদ প্রাপ্ত ”
“Wahalatijali Yatun ainana sahabi akha-atun jikra Wahajayhi
yonajjalur -rasu minal HINDATUN “
“That celestial knowledge which like four lighthouses shone in such
brilliance – through the (utterances of) Indian sages in fourfold
abundance.”
” সেই স্বর্গীয় জ্ঞান যেটি চারটি বাতিঘরের মত মহিমায় দীপ্ত- ভারতীয় ঋষিদের দ্বারা অজস্রবার উচ্চারিত ” 
“Yakuloonallaha ya ahal araf alameen kullahum Fattabe-u jikaratul
VEDA bukkun malam yonajjaylatun”
“God enjoins on all humans, follow with hands down The path the
Vedas with his divine precept lay down.”
” ঈশ্বর সমগ্র মানবজাতিকে নির্দেশ দিয়েছেন, বেদের পথ অনুসরণ করতে তার স্বর্গীয় নির্দেশাবলী সহ। ”
“Wahowa alamus SAMA wal YAJUR minallahay Tanajeelan Fa-enoma
ya akhigo mutiabay-an Yobassheriyona jatun”
“Bursting with (Divine) knowledge are SAM &YAJUR bestowed on
creation, Hence brothers respect and follow the Vedas, guides to
salvation”
” জ্ঞানের বিস্ফোরণে সাম এবং যজুর সৃষ্টির উপর অবতীর্ণ, তাই ভাইরা বেদকে সম্মান করে এবং অনুসরণ করেন এবং মুক্তির পথ দেখান।  ”
“Wa-isa nain huma RIG ATHAR nasayhin Ka-a-Khuwatun Wa asant
Ala-udan wabowa masha -e-ratun”
“Two others, the Rig and Athar teach us fraternity, Sheltering under
their lustre dispels darkness till eternity”
” বাকি দুই, ঋগ এবং অথর্ব আমাদের শিক্ষা দেয় ঐক্য, তাদের জ্যোতির নিচে আশ্রয় দেয় এবং অনন্তকাল পর্যন্ত অন্ধকার দূরীভূত করে। ”
এই কবিতাটি লাবি-বিন-ই-আখতাব-বিন-ই-তুরফার রচিত। তিনি আরবে থাকতেন ১৮৫০ খৃস্টপূর্বে । এটা ছিল মহানবীর জন্মের ২৩০০ বছর আগে।
এটা সার-উল-অকুলে পাওয়া গিয়েছে। ১৭৪২ সালে অটোম্যান তুর্কি রাজা সুলতান সালিমের আদেশে সংকলন করা হয়।
( সূত্রঃ “Vedic History of Pre-Islamic Mecca” by Shrimati Aditi Chaturvedi )

Monday, December 12, 2011

সাভারে মন্দিরে ঢুকে ভাংচুর করল দশম শ্রেনীর ছাত্র!!!

Abhimanyu
দেশে সাম্প্রদায়িকতা কিভাবে বেড়েছে তা সহজেই বুঝতে পারা যায়।
গত ২৮ নভেম্বরের ঘটনা ।
সাভার পৌর এলাকার নমাবাজারস্থ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ ও পঞ্চবটিআশ্রমে ঢুকে বিকেলে কৃষ্ণ মূর্তি ভাংচুর করেছে এক যুবকএসময় পূজারীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন 
আটককৃত যুবকের নাম হাবিবুর রহমান ফয়সাল (১৫)তার পিতার নাম তাজুল ইসলামসে সাভার রেডিও কলোনী মডেল স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র 
পুলিশ  জানায়, বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে ফয়সাল তিন সহযোগীসহ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ ও পঞ্চবটী আশ্রমেঢুকে কৃষ্ণ মূর্তি ভাংচুর করে প্রসাদসহ অন্যান্য মালামাল বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়
এসময়  তিনি মন্দিরের প্রধান পূরোহিত সুব্রত চক্রবর্ত্তী ও তত্বাবধায়ক সন্তোষ সাধুকে মারপিট করে মন্দিরে থাকা ফল কাটার বটি-দা দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করেনপরে পূজারীরা দ্রুত মন্দিরের ভেতরে ঢুকে ফয়সালকে আটক করেন
এক পর্যায়ে তাকে গণধোলাই দিয়ে তারা পুলিশে সোপর্দ করেনএদিকে রাত ৮ টার দিকে সাভার থানা পুলিশের একটি টিম ফয়সালে শাহীবাগের বাড়িতে তল্লাশী করেতবে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে আপত্তিকর কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি 
এদিকে মূর্তি ভাংচুরের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাব্বী মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভুমি) জসিম উদ্দিন হায়দার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, ভাইস চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল গণি, আওয়ামীলীগ নেতা বাবু নির্মল কান্তি দাশ প্রমুখ
মন্দির পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবেই মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছেসাভার থানার ওসি নাসির উল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছেএবং তার বাড়ি তল্লাশী করা হচ্ছে 
রেডটাইমস বিডি ডটকমের সাংবাদিক ভাইকে ঘটনাটি তুলে ধরার জন্য জানাই ধন্যবাদ।
ফেসবুকে ভারত এবং আওয়ামী লীগ বিরোধিতার নামে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে উগ্রবাদীরা। এদের একেকটা পোস্টে লাইক পরে ৪ থেকে ৫ হাজার আর শেয়ার হয় ২ থেকে ৩ হাজার। ব্লগেও একই অবস্থা। বুঝতে হবে এরা কতটা শক্তিশালী।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর কোরবানির ঈদের দিন সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে টুপি, পাঞ্জাবী পরিহিত কয়েক যুবক সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার কুটিবাড়ী মহল্লার মা রক্ষা কালি মন্দিরে’  মন্দিরে এসে আচমকা হামলা করেমুর্তি দেখে নামাজে গেলে নামাজ হয়না- এই বলেই তারা একটি কালী মূর্তি, একটি ম্যনষা ও দুটি গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূর মুর্তি ভাংচুর করেছেএসময় মূর্তির গলায়, কানে ও নাকে থাকা স্বর্নের গহণা লুট করেছে
এভাবেই কি চলতে থাকবে অবস্থা ?

Tuesday, October 11, 2011

খালেদা জিয়া আবার হিন্দু বিদ্বেষী কথা বলেছে




‘সরকার সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছে’ বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘তারা (সরকার) এখন দেব-দেবীতে বিশ্বাস করে। এরই মধ্যে তারা পূজাপার্বনও শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা আল্লাহর ওপর ঈমান রেখে দেশের মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণে কাজ করতে চাই।’ 


সোমবার দুপুরের পর নরসিংদীর ইটাখোলায় পূর্ব নির্ধারিত রোডমার্চ রুটের দ্বিতীয় পথসভায় ভাষণ দানকালে তিনি এ কথা বলেন। 

খালেদা জিয়ার এই মনোভাব নতুন নয়। এই সাম্প্রদায়িক দানব ১৯৯৬ সালে বলেছিলেন, হাসিনা জিতলে মসজিদে মসজিদে উলু দেয়া হবে। তিনি ভেবেছিলেন উলু বোধ হয় হিন্দুরা দেয়। এটা যে মুসলমানরা দেয় তার জানাই ছিল না। সৌদি রাজ পরিবারের বিয়েতেও শুনেছি বর এলে উলুধ্বনি দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তার প্রয়াত স্বামী প্রথমে সংবিধানের মূল কাঠামোয় সরাসরি আক্রমণ করেন। 

আমাদের অমুসলিমদের আল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ মানতে বাধ্য করেছিলেন। 

বি চৌধুরী তখন বিনপিতে ছিলেন উনি এক হাতে "গীতা "আরেক হাতে " কোরআন" নিয়ে বলেছিলেন আঃলীগকে ভোট দিলে দেশে গীতার শাসন কায়েম হবে ।আর বিনপিকে ভোট দিলে কোরআনের শাসন কায়েম হবে।এরাই হচ্ছে সবাজের আসল শত্রু। ২০০১ সালের নির্বাচনে মিথ্যা ও অর্ধ সত্যের সংমিশ্রনে তৈরি করেছিল সাবাশ বাংলাদেশ। 

এইভাবে চলছে দেশ। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভুতির কোন দাম নাই। তাই মির্জা ফকরুল যখন বলেন হিন্দুরা কেন নৌকা মার্কায় ভোট দেয় তা তদন্ত করতে হবে তখন বলি আগে নিজেরা সুদরাও তারপর কথা বল।