Pages

Friday, December 9, 2016

গুজরাট দাঙ্গা আর ভণ্ড সেকুলারদের ভণ্ডামি


আমাদের পেজে হিন্দু নির্যাতনের আর মন্দির ভাঙ্গার কথা উঠতেই কিছু মোডারেট ভণ্ড মুসলিম ভাঙ্গা রেকর্ডের মত গুজরাট দাঙ্গা আর বাবরী মসজিদের গান গেয়ে যায়। বাবরী মসজিদের সম্পর্কে আমরা আগেই লিখেছি (https://www.facebook.com/BangaliHinduPost/photos/a.235777976544869.51050.145957298860271/509361579186506/?type=3&theater)। কোন চক্ষু লজ্জা সম্পন্ন মুসলিম বাবরী মসজিদ প্রসঙ্গ কেমন করে আনে আমি বুঝি না। শুধুমাত্র হিন্দু শাসিত ভারত বলেই বাবরী মসজিদের জায়গা হিন্দু মুসলিম আর জৈনদের মাঝে ভাগ করে দেয়া হয়।অথচ ওই একই মুসলিমকে আপনি সোমনাথ, কাশী বিশ্বনাথ বা মুসলিম আমলে ধ্বংস করা হাজার হাজার মন্দিরের কথা জিজ্ঞেস করুন, বলবে জানি না।প্রসংগত জানা দরকার সোমনাথের ধ্বংসের উপর নির্মিত মসজিদটি ভারত সরকার নিজ অর্থায়নে পাশেই তৈরি করে দেয়। অথচ আমাদের দেশের বেহায়া মুসলিমরা এদেশে হাজার হাজার মন্দির ধ্বংস করছে, আর আমাদের পেজে সে সব কথা বললেই দল বেঁধে এসে ভারতের বাবরী মসজিদের উদাহরণ দেয়।রাম জন্মস্থানে যেমন তারা রাম মন্দির ভেঙ্গে বাবরী মসজিদ বানিয়েছে তেমনি কৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরাতেও তারা কৃষ্ণ মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ আর ঈদগাহ বানিয়েছে যা এখনও বর্তমান।মুসলিমদের নির্লজ্জতার কোন সীমা পরিসীমা নাই।আগেই বলেছি তাদের আরেকটি চর্বিত চর্বণ হল গুজরাটের দাঙ্গা প্রসঙ্গ। আজ থেকে কেউ এই প্রসঙ্গ আনলে তাদের মুখের উপর এ লেখা ছুড়ে দিবেন। 

গুজরাট দাঙ্গার কথার নিশ্চয় সকলের মনে আছে। তথাকথিত সেকুলারিস্টরা এই দাঙ্গার কথাটাই যেখানে সেখানে প্রচার করে থাকে। ঘটনার যে গোধরা ট্রেন পোড়ানোর কাণ্ড থেকে সূত্রপাত সেটা তারা অনেকেই বলতে চান না বা স্বীকার করেন না।গুজরাটের গোধরা রেল স্টেশনের কাছে সবরমতি এক্সপ্রেসে করে অযোধ্যা থেকে প্রত্যাবর্তনকারী S6 কামরায় অবস্থানকারী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের করসেবকদের উপর প্রায় প্রায় ২০০০ জনের একদল উগ্র মুসলিম পূর্বপরিকল্পনা মাফিক আগুন ধরিয়ে দেয়।যে নৃশংসভাবে ঐ জীবন্ত ৫৯ জন যাত্রীকে (যারমধ্যে ২৭ জন মহিলা ও ১০ টি শিশু) দগ্ধ করা হয়েছিল , তা কোনও সভ্য সমাজের কল্পনারও অতীত !

কি হয়েছিল সেদিন...২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারীর সকাল ৭:৪৩ মিনিটে "সবরমতি এক্সপ্রেস" প্রায় ৪ ঘন্টা দেরী করে পৌছায় গোধরা স্টেশনে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের করসেবকেরা রাম জন্মভুমিতে তাদের সম্মেলন শেষে ঐ ট্রেনে ফিরছিলো।নির্দ্দিষ্ট ৫ মিনিট যাত্রা বিরতির পর ট্রেন যাত্রা শুরু করে। স্টেশন থেকে প্রায় ১ কিলো মিটার দূরে ফাদিয়া সিগন্যালের কাছে চেন টেনে ট্রেন থামানো হয় (আনোয়ার কালান্দার নামের এক ছেলে চেন টেনেছিল)। প্রায় ৫০০ জন উগ্র মুসলিম এক যোগে হামলা চালায় ট্রেনে। তারপর করসেবকদের কোচে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মারা যায় ২৭ জন মহিলা এবং ১০ টি শিশু সমেত মোট ৫৯ জন তীর্থযাত্রী !!! ২৫০ জন বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তাদের একজনের দাবী প্রায় ২,০০০ মুসলমান হামলা করেছিল ফাদিয়া সিগন্যাল এ।দি ডেইলি ট্রিবিউন লিখেছিল “ চেন টেনে ট্রেন থামানোর পর ইটপাটকেল নিক্ষেপকারী বিপুল সংখ্যক লোক, পেট্রোল, পেট্রোল বোমা এবং কেরসিন ঢেলে ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেয়।”

নেপথ্য কাহিনী --ট্রেনে হামলার ঘটনা পুর্ব পরিকল্পিত । ট্রেন পোড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত জাবির বেহেরার স্বীকারক্তি অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় মৌলানা হুসেন ওমারজীকে।আদালতে বেহেরার স্বীকারোক্তি দেয় যে “ ঘটনার আগের দিন রাত এগারোটায় মৌলানা উমরজী গেস্ট হাউস “ আমান”এ মিটিং করেন গেস্ট হাউজের মালিক “রাজ্জাক কুরকুরে” ঐদিন পার্শবর্তী পেট্রোল পাম্প থেকে ১৪০ লিটার পেট্রোল সংগ্রহ করেন তারা। পেট্রোল পাম্পের মালিক “প্যাটেল “ ভ্রাতৃদ্বয় পেট্রোল কেনার ব্যাপার নিশ্চিত করেন। সেলিম পানওয়ালা স্টেশনে গিয়ে খবর নিয়ে জানেন যে সবরমতি এক্সপ্রেস প্রায় ৪ ঘন্টা দেরী করে আসছে। তারা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনার সময় নির্ধারন করেন।ফাদিয়া সিগনাল এলাকা মুসুলমান অধ্যুষিত।আমান গেস্টহাউজ সিগন্যাল ফাদিয়ার কাছেই। ওখানেই জমা রাখা হয়েছিলো প্রতিটি ২০ লিটারের জারিক্যান” এ ভরা পেট্রোল।বেহেরা সহ মোট ৬ জন ট্রেনের সংযোগ স্থল কেটে ট্রেন এ জারী ক্যান সহ ঢুকে পড়েন। তারপর জারিক্যান ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দরজা খুলে লাফিয়ে পড়েন তারা। তাছাড়া ওই দিন সকালবেলায় গোধরা স্টেশনে এত বেশী লোকের স্টেশনে উপস্থিত থাকা পুর্ব পরিকল্পনারই ইঙ্গিত দেয়। হামলা কারীরা জানতো ঐ ট্রেনে করসেবকরা ফিরছে এবং তারা নির্দ্দিষ্ট কামরাতেই আক্রমন চালায়।এই ঘটনার পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে আমাদের দেশের সেকুলার মিডিয়া-বুদ্ধিজীবি সকলে সরব হলেও গোধরার হিন্দু নিধনের ঘটনায় তারা আশ্চর্যজনকভাবে নিরব থাকে।তাই আমাদের সকলের মনে রাখতে হবেঃ দাঙ্গা লাগিয়েছিল মুসলমানরাই। ২০০২ এর গুজরাট দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিল ২৮শে ফেব্রুয়ারী। তার আগের দিন অর্থাৎ ২৭শে ফেব্রুয়ারী সাবরমতী এক্সপ্রেস এ একটি কামরা মুসলিমরা আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনার পরদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সারা রাজ্যে বন্ধ ডাকে। গুজরাট সরকার ওই দিন সারা রাজ্যে কারফিউ ঘোষণা করেছিল। দাঙ্গার পরদিন প্রচুর সশস্ত্র যুবক গেরুয়া পোষাক পরে ট্রাক বোঝাই করে আসে এবং গোধরা, আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর, ভদোদরা ও সন্নিহিত অঞ্চলে মুসলিমদের আক্রমণ করে। সেই সময় বর্তমান পত্রিকায় সম্পাদকীয় লেখা হয়েছিল,' আক্রমণের পর আক্রমণ করে অবশেষে মুসলিম জঙ্গীরা সফল হয়েছে। তারা হিন্দুদের অস্ত্র হাতে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। প্রমাণ করে দিয়েছে হিন্দুরাও দাঙ্গা করে। এটাই তারা এতদিন ধরে চাইছিল।'অথচ হিন্দু বিরোধী মিডিয়া তিস্তা জাভেদ সিতলাবাদ এবং তেহেল্কার মিত্থাচার ছিল নরেন্দ্র মোদীই নাকি দাঙ্গা বাধিয়েছিলেন!!!!!!!!! টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ বলেন, ‘২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার ঘটনায় করা মামলাগুলোতে আমাদের আর কোনো পর্যবেক্ষণ নেই।’ সিটের প্রতিবেদনে মোদিকে কোনো দোষারোপ করা হয়নি। তখন মোদী টুইটার করলেন "GOD IS GREAT." মুসলিম তোষণকারী মিডিয়া বোধহয় মনক্ষুণ্ণ হলেন। বাংলাদেশের প্রথম আলো রিপোর্ট করলোঃ "২০০২ সালে গুজরাটের গোধরায় ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রায় ৬০ জন হিন্দু করসেবক নিহত হয়। এরপর রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই হাজারের বেশি মুসলমান নিহত হয়। " http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-09-12/news/185016মিডিয়ার কী মিথ্যাচার। দাঙ্গাতে নাকি ২০০০ মুসলমান মারা গেছে। কোন হিন্দু মারা যায় নাই। যে ই মারা যাক না কেন আমরা এই অনাচারের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রদর্শন করি কিন্তু তাই বলে হলুদ সাংবাদিকতাকে মেনে নিতে পারি না। ১১ মে ২০০৫ এ কংগ্রেসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিবেদন আসে, দাঙ্গাতে ৭৯০ মুসলিম ও ২৯৪ হিন্দু মারা যায়।সেসময়ের সংবাদ পত্রের কিছু লিংক পড়ুন ১.ভারতীয় মুসলিমদের দৈনিক মিল্লাত গেজেট ও টা প্রকাশ করেন http://www.milligazette.com/Archives/2005/01-15June05-Print-Edition/011506200511.htm২.বিবিসিতেও আসে এভাবেhttp://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/4536199.stmতাই যারা শুধুমাত্র ২০০০ মুসলিমের মারা যাওয়ার খবর ছড়াচ্ছে তারা নির্লজ্জ মিথ্যুক।গুজরাট দাঙ্গায় কোন হিন্দু হত্যার খবর ওরা দেয় না কেন? আমরা সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সেটা যেই করুক। কিন্তু মিথ্যাচার কেন হবে? মিথ্যাচারের জবাব আসে ভোটের রাজনীতিতে। ২০০৮ এ যখন ভারতীয় জনতা পার্টি আবার গুজরাটের ক্ষমতায় আসে।২০১২ তে সেই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই বি জে পি আবার ক্ষমতায় আসে গুজরাটে এবং রাজ্যের অনেক মুসলিম প্রধান এলাকা গুলোতে তাদের জয় প্রমান করে গুজরাটের মুসলিমরা অন্তত মোদীকে দায়ি করে না। অথচ বাংলাদেশের মুসলিমরা প্রতিনিয়ত কুম্ভীরাশ্রু ফেলে তাদের জন্য। সত্যিই হাস্যকর। সত্য মেভা জয়তে। 
দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যাচার হল মুসলিমরাই নাকি শুধু দাঙ্গাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একথা সত্য মুসলিমরা নির্মমভাবে নিহত হয়েছে নারুদা পটিয়া,গুলবার্গ সোসাইটি এবং সরদপুরে। কিন্তু তারাও নিরীহ ছিল না।মুসলমানরাই গোধরাতে দাঙ্গা লাগিয়েছিল এবং মুসলমানরাও সমান ভয়ানক ছিল। মুসলমানরা হিন্দুদের নির্মমভাবে হত্যা করে হিমান্তানগর, দানিলিমদা ও সিন্ধী মার্কেট এলাকা সহ অনেক জায়গাতে। IndiaToday এর খবর পড়ুন http://archives.digitaltoday.in/indiatoday/20020415/states.html৮,৯,১০,১৫ প্যারা পড়ুন ভাল করে। The Hindu রিপোর্ট করে মুসলিমরাই আহমেদাবাদে দাঙ্গা শুরু করে ছিল। http://www.hindu.com/thehindu/2002/03/02/stories/2002030203050100.htm৯ম প্যারার শেষ লাইনটি পড়ুন। ৪০০০০ হিন্দুকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে মুসলিমদের ভয়ে পালাতে হয়। মুসলিমরা ২০০২ এর ২৩ মার্চ রেভদি বাজারে ৫০ টি হিন্দু দোকান পুড়িয়ে ১৫ কোটি টাকার সম্পদ নস্ট করে। এখানে দেখুন (The Times of India)http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2002-03-23/ahmedabad/27123464_1_fire-tenders-cloth-shops-arsonমুসলিমরা আহমেদাবাদের ১ ও ২ মার্চের দাঙ্গা লাগায়। এরা ১৫৭ টি স্থানে দাঙ্গা লাগায়।উপরন্তু তারা পুলিশকে তাদের এলাকায় সন্ত্রাসী ধরতে ঢুকতে দেয়নি। (১৫নং প্যারা পড়ুন) 'The India Today' তে দেখুনhttp://www.indiatoday.com/itoday/20020415/states.shtmlবিভিন্ন রায়ে মুসলমানদের সাজা হওয়ার ঘটনা প্রমান করে এরাও দাঙ্গাতে জড়িত ছিল যা বাংলাদেশের মুসলমান মিডিয়া কখনও বলবে না।ক> ৯ দাঙ্গাবাজ মুসলমানের সাজা http://www.expressindia.com/news/fullstory.php?newsid=65065 ;খ>দাঙ্গাবাজ মুসলমানের সাজা http://cities.expressindia.com/fullstory.php?newsid=174094;গ>৪ দাঙ্গাবাজ মুসলমানের সাজাhttp://www.indianexpress.com/news/postgodhra-riots-dna-test-nails-4-killers/4719/

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে হিন্দু বিরোধী মিডিয়ার অপপ্রচার হল শুধু মুসলমানরাই দাঙ্গাতে গৃহহীন হয়েছিল। ২০০২ এর ৫ মার্চ হিন্দু বিরোধী টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া লিখেছিল মুসলিমদের জন্য ৮৫ টি এবং হিন্দুদের জন্য ১৩ টি ক্যাম্প খোলা হয়আহমেদাবাদে ১০০০০ হিন্দু গৃহহীন হয়েছিল। এবং ২৫ এপ্রিলের ভিতর ১০০০০০ মুসলিম এবং ৪০০০০ হিন্দু গৃহহীন হয়।The Indian Express অসহায় হিন্দুদের উপর দুটি রিপোর্ট করেছিল।২০০২ এর সাত মে এবং দশ মে তারিখে মুসলমানরা দলিত হিন্দুদের উপর হামলা করেছিল। হিন্দুদের মন্দিরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। কারন গুজরাটে বিজেপি সরকার মুসলিমদের বাঁচাতে এতোই ব্যাস্ত ছিল যে তারা হিন্দুদের বাঁচাতে কিছুই করেনি। এটা পড়ুন http://www.indianexpress.com/storyOld.php?storyId=2401টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া ১৮ মার্চ ২০০২ তারিখে ”Riots hit all classes, people of all faith”। সেখানে হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়ে তারা লিখে। -”Contrary to popular belief that only Muslims have been affected in the recent riots, more than 10,000 people belonging to the Hindu community have also become homeless”. মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হিন্দুদের উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। এটা পড়ুন http://www.gujaratriots.com/22/myth-7-only-muslims-were-rendered-homeless-and-suffered-economically/মুসলিমরাই হিন্দুদের দোকান পুড়িয়ে এরপর মুসলিমরাও হিন্দুদের আক্রমণ করে ও হত্যা করে। গুজরাট পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তারা নাকি কঠোর হাতে এই আক্রমণকারীদের মোকাবিলা করেনি। এই ঘটনায় পেইড মিডিয়া হিন্দুবিরোধী প্রচারের সুযোগ পেয়ে আনন্দে নেচে ওঠে। এই দাঙ্গার পর তীব্র হিন্দু বিরোধী প্রচার চালানো হয়। মিডিয়া ও বিভিন্ন এনজিও গুলো প্রচার চালায় যে গৈরিক বেশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা, যারা সকলেই ভিএইচপি, আরএসএস, বজরং দলের সদস্য, জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দিতে নিরীহ মুসলিমদের আক্রমণ করে। এই ভাবেই গুজব হাওয়ায় ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু যখন কোন নির্দিষ্ট ঘটনা, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তারা কোর্টের সামনে এনেছে তখন তাদের অনেক মিথ্যেই ধরা পড়ে গেছে।যেমন তিস্তা সিতালবাদ কর্তৃক বহুল প্রচারিত একটি গুজব ছিল কাওসার বানু নামক এক মুসলিম গর্ভবতী নারীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় এবং তার গর্ভের সন্তানকে বের করে ফেলা হয়।আদালতের রায়ে এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন,বানোয়াট বলে প্রমাণিত হয়। The report which was brought to the notice of the bench consisting of Justices Arijit Pasayat, P Sathasivam and Aftab Alam, noted that the much publicised case of a pregnant Muslim woman Kausar Bano being gangraped by a mob and foetus being removed with sharp weapons, was also fabricated, and false.(https://en.wikipedia.org/wiki/Teesta_Setalvad#Allegations_of_witness_tampering)গুজরাট দাঙ্গার আরেকটি বিখ্যাত কেস হল বেস্ট বেকারি কেস।প্রচার করা হয়, ভদোদরার একটি বেকারির কারখানা হিন্দুরা দল বেঁধে এসে জ্বালিয়ে দেয় ও শেখ পরিবারের (যারা ওই বেকারির মালিক) ১৪ জনকে পুড়িয়ে মারে। ওই পরিবারের কারুর নামই জানা যায় নি (অন্তত কেউ জানতে পারি নি) শুধু ওই পরিবারের মেয়ে জাহিরা শেখ, যে বেঁচে গিয়েছিল ও থানায় এফআইআর ফাইল করেছিল। ওই কেসের শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে জাহিরা শেখ বারবার মিথ্যা ও পরস্পর বিরোধী বিবৃতি রাখার পর সমালোচনার সম্মুখীন হয়। অবশেষে সে বিবৃতি দিয়ে সত্য ঘটনা জানিয়ে বলে তিস্তা সেতলাবাদ (https://en.wikipedia.org/wiki/Teesta_Setalvad) নামে একজন এনজিও কর্মী তাকে ঘুষ দিয়ে বাধ্য করেছে মিথ্যা বিবৃতি দিতে। এই তিস্তা গুজরাটে হিন্দু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল। সে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে দাঙ্গা কবলিতদের জন্য প্রচুর চাঁদা সংগ্রহ করেছিল এবং নিজের পকেটে পুরেছিল। এ জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ও তার উপর খেপে গিয়েছিল। যাই হোক, জাহিরা শেখ মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার কারণে তাকে সুপ্রিম কোর্ট এক বছরের কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ড দেয়(https://en.wikipedia.org/wiki/Teesta_Setalvad#Allegations_of_witness_tampering) তিস্তা সেতলাবাদ যেসব সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে তা বেশীর ভাগই ভুয়ো প্রমাণিত হয়। এমন কি সে রায়টের যে সব সাক্ষীদের নিয়ে আসে, প্রমাণ হয় তারা আদৌ রায়টের সাক্ষী ছিল না।কিন্তু এই তিস্তার কোন শাস্তি হয় নি। এখন আমার প্রশ্ন তাহলে তথকথিত সুশীল, মোডারেট মুসলিমরা হিন্দু মুসলমান নির্যাতনের কথা আসলেই গুজরাটের কথা আনেন কেন?এটা স্পষ্ট গুজরাটে দাঙ্গার পিছনে মুসলিমরা জড়িত ছিল,তারাই উস্কানিদিয়েছিল, তাদের কারনে এত গুলো নিরপরাধ হিন্দু মুসলিম প্রাণ হারাল। আমরা কোন হানাহানি চাই না, হিন্দু মুসলিমের সহবস্থান চাই। একবার চিন্তা করে দেখুন তো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যদি এরকম উস্কানি দিত তা হলে কি হত। স্মৃতি নাড়া দিয়ে দেখুন হাট হাজারিতে মুসলিমরা নিজেদের পবিত্র মসজিদ ভেঙ্গে দোষ দিয়েছিল হিন্দুদেরকে(http://www.samakal.com.bd/details.php?news=14&action=main&view=archiev&y=2012&m=02&d=17&option=single&news_id=236150&pub_no=965) আর কি ভাবে মন্দির বাড়ি ঘর ভেঙ্গেছিল, নির্যাতন করেছিল হিন্দুদেরকে ।সাতক্ষীরা তে বিনা দোষে হিন্দুদেরকে মারা হয়েছিল।এ ভাবে পায়ে পাড়া দিয়ে বিনা অজুহাতে হিন্দুদেরকে নির্যাতন করা হয় বাংলাদেশে এ রকম অসংখ্য উদাহরন রয়েছে এদেশে।এ দেশের হিন্দুরা যদি ভারতের মুসলিমদের মত উগ্র হত তা হলে তাদের রক্তের বন্যা বয়িয়ে দিত তথাকথিত শ্রেষ্ঠ আর শান্তির ধর্মের বান্দারা । দুনিয়াতে সংখ্যালঘু নিরজাতনের এমন নজির বাংলাদেশ , পাকিস্তান আর আফগানিস্থান ছাড়া আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ আছে।এরপরও এদেশে এক শ্রেণীর মানুষ শুধু বলতে থাকবে এদেশে সঙ্খ্যালঘুরা নাকি ভাল আছে।তাদের কাছে আমার শেষ প্রশ্ন তাহলে এদেশে হিন্দুদের পরিমান দিনকে দিন কমছে কেন? আর ভারতে সংখ্যা লঘুদের পরিমান বাড়ছে কেন?

Friday, January 22, 2016

অর্ধ কুম্ভ মেলায় ভারতীয় মুসলিম জঙ্গি এবং আইএস হামলার চক্রান্ত ফাঁস ; দিল্লিতে গ্রেফতার ৪ মুসলিম জঙ্গি




আপনাদের মনে আছে নিশ্চয় সন্ত্রাসী ইয়াকুব মেমনের জানাজাতে অংশ নিতে মুম্বাইতে হাজার হাজার মুসলিমের ভিড় এর কথা। এরা কেউ পাকিস্তানি মুসলিম না। এরা সবাই ভারতীয়। ভারত ইউনিয়নের টেরিটোরিতে থাকে। ১০% কোটা উপভোগ করে চাকরি আর উচ্চ শিক্ষায়। হজ্জ করতে গেলে তাদের ট্যাক্স ভারতমাতা বহন করে। এরাই দুইদিন পর পর দাঙ্গা লাগায়। কিন্তু পাকিস্তানের টাকায় ভারতের ভিতর বোমা ফাটায়। হিন্দুদের মারতে। কাফের দের মারতে।



আমি স্বীকার করছি অনেক দেশপ্রেমিক মুসলিম আছে, কিন্তু বেশির ভাগ ভারতীয় মুসলিমই পাকিস্তানপন্থি। তার প্রমাণ তারা দিয়েছে এক খুনির সাজার বিরুদ্ধে কথা বলে। তার প্রমাণ তারা দিয়েছে তার জানাজায় অংশ নিয়ে। তার প্রমাণ দিল তারা আবারও প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই ভারতে প্রবেশ করে l টার্গেট ছিল অর্ধ কুম্ভ মেলাও l কিন্তু পুলিশ ইতিমধ্যেই ৪ জন কে আটক করেছে l যাদের বয়স ১৯ থেকে ২৩-এর মধ্যে l এরা সবাই ভারত মুসলিম। ভারত মায়ের দুধ কলা দিয়ে পোষা সাপ।



প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ভারতে নাশকতা চালাতে পারে জঙ্গিরা l এমন আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল l সেই অনুযায়ী, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে রাজধানী থেকে বুধবার ৪ জনকে পাকড়াও করে পুলিশ l জানা যায়, দিল্লি, এনসিআর, গ্রেট ইন্ডিয়া প্লেস, বসন্ত কুঞ্জ সহ দিল্লির বেশ কয়েকটি জনবহুল জায়গা এবং শপিং মলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল আইএস l আর সেই অনুযায়ীই, ওই ৪ জনকে পাঠানো হয়েছিল ভারতে l এই প্রথম আইএস জঙ্গি সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা হলো ভারতে l পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে সদস্য পাঠিয়ে, এবার সংগঠন মজবুত করতে চাইছে আইএস l আইইডি সহ একাধিক বিস্ফোরক ও অন্য অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী l