নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো শহরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার হলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান চলাকালে রোববার সকালে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্ততপক্ষে ১৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে দুজন অধ্যাপকও রয়েছেন বলে বায়েরো বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র মুস্তাফা জাহরাদিন জানান।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, সকালে মোটরবাইকে করে বন্দুকধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার হলে পৌঁছে প্রথমে ছোট ছোট বোমা ছুঁড়ে মারে। এরপর খ্রিস্টান উপাসকরা পালাতে শুরু করলে তারা গুলি চালায়। এতে অন্ততপক্ষে ১৫ জন মারা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সেনাবাহিনী বন্দুকধারীদের হটিয়ে দিলে শহরের অন্যান্য এলাকাতেও গোলাগুলি হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “অন্ততপক্ষে ১৫টি মৃত দেহের হিসেব করেছি। আমার মনে হয় সেগুলো আমিনো কানো টিচিং হাসপাতালে রাখা হয়েছে।”
আহত আরো অনেক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সেনাবাহিনী পুরো এলাকা নিজেদেরও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
ভ্যাটিকানের মুখপাত্র ফাদার ফেডেরিকো এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “খ্রিস্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালে নাইজেরিয়ায় চালানো সাম্প্রতিক এ হামলা ভয়াবহ ও ঘৃণ্য।”
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একই শহরে বোমা ও বন্দুক হামলায় ১৮৬ জন মারা যায়। মৌলবাদী ইসলামপন্থী সংগঠন বোকো হারামের চালানো ওটাই ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এরপর থেকেই দেশটিতে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
No comments:
Post a Comment