বেদে গোহত্যা এবং গোমাংস খাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।
বেদ হিন্দুদের আদি ধর্ম গ্রন্থ । বেদে গোহত্যা এবং গোমাংস খাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। এটা হিন্দু সমাজ মেনে চলে কঠোর ভাবে।
কিন্তু কিছুদিন ধরে ইন্টারনেট ফোরাম গুলো তে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রপোগান্ডা চলছে। এরা চায় ১০০ কোটি হিন্দু নিজের বিশ্বাস ত্যাগ করে তাদের ধর্মে ধর্মান্তরিত হোক যেটা তাদের মতে সর্বশেষ পথ । বেশির ভাগ হিন্দুই নিজের ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানী নয় তাই তারা এই শিকারীদের সহজ শিকারে পরিনত হচ্ছে । দেখা যাক বেদ গোহত্যা নিয়ে কি বলে?
১. Ghrtam duhaanaamaditim janaayaagne maa himsiheeh
Yajurveda 13.49
Do not kill cows and bulls who always deserve to be protected.
২. Aare gohaa nrhaa vadho vo astu
Rigveda 7.56.১৭
ঋগবেদে গোহত্যা কে মানুষ হত্যার সমকক্ষ বলা হয়েছে ও এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দিতে বলা হয়েছে ।
৩. Sooyavasaad bhagavatee hi bhooyaa atho vayam bhagvantah syaama
Addhi trnamaghnye vishwadaaneem piba shuddhamudakamaacharantee
Rigveda 1.164.40 or Atharv 7.73.11 or Atharv 9.10.২০
The Aghnya cows – which are not to be killed under any circumstances– may keep themselves healthy by use of pure water and green grass, so that we may be endowed with virtues, knowledge and wealth.
বেদে আঘ্ন্যা . অহি , ও অদিতি হচ্ছে গরুর সমপদ।
আঘ্ন্যা মানে যাকে হত্যা করা উচিত নয় ।
অহি মানে যার গলা কাটা / জবাই করা উচিত নয় ।
অদিতি মানে যাকে টুকরো টুকরো করা উচিত নয় ।
(Source: Yaska the commentator on Nighantu )
৪. Aghnyeyam saa vardhataam mahate soubhagaaya
Rigveda 1.164.27
আঘ্ন্যা গরু আমাদের সুসাস্থ্য ও উন্নতি আনে ।
৫. Suprapaanam Bhavatvaghnyaayaah
Rigveda 5.83.৮
আঘ্ন্যা গরুর জন্য সুপেয় জলের উন্নত ব্যবস্থা থাকা উচিত ।
৬.
Yah paurusheyena kravishaa samankte yo ashwena pashunaa yaatudhaanah
Yo aghnyaayaa bharati ksheeramagne teshaam sheershaani harasaapi vrishcha
Rigveda 10.87.16
Those who feed on human, horse or animal flesh and those who destroy milk-giving Aghnya cows should be severely punished.
এখানে মানুষ,ঘোড়া ও গোমাংস আহারকারিদের শাস্তির কথা বলা আছে ।
৭. Vimucchyadhvamaghnyaa devayaanaa aganma
Yajurveda 12.73
The Aghnya cows and bulls bring you prosperity.
৮. Maa gaamanaagaamaditim vadhishta
Rigveda 8.101.15
Do not kill the cow. Cow is innocent and aditi – that ought not to be cut into pieces .
৯. Antakaaya goghaatam
Yajurveda 30.18
Destroy those who kill cows .
১০.
Yadi no gaam hansi yadyashwam yadi poorusham
Tam tvaa seesena vidhyaamo yatha no so aveeraha
Atharvaveda 1.16.4
If someone destroys our cows, horses or people, kill him with a bullet of lead.
১১. Vatsam jaatamivaaghnyaa
Atharvaveda 3.30.1
Love each other as the Aghnya – non-killable cow – loves its calf.
কিছু কি আর বলা লাগবে বেদ গো হত্যার পক্ষে নাকি বিপক্ষে ?
১২. Dhenu sadanam rayeenaam
Atharvaveda 11.1.34
Cow is fountainhead of all bounties .
ঋগ্বেদের ৬ মন্ডলের ২৮ সুক্ত গরুর প্রশংসা করেছে।
Aa gaavo agnamannuta bhadramakrantseedantu
Bhooyobhooyo rayimidasya vardhayannabhinne
Na taa nashanti na dabhaati taskaro naasaamamitro vyathiraa dadharshati
Na taa arvaa renukakaato ashnute na samskritramupa yanti taa abhi
Gaavo bhago gaava indro me achhaan
Yooyam gaavo medayathaa
Maa vah stena eeshata maaghanshasah
1. Everyone should ensure that cows are free from miseries and kept healthy.
2. God blesses those who take care of cows.
3. Even the enemies should not use any weapon on cows
4. No one should slaughter the cow
5. Cow brings prosperity and strength
6. If cows keep healthy and happy, men and women shall also keep disease free and prosperous
7. May the cow eat green grass and pure water. May they not be killed and bring prosperity to us.
তারপরও কিছু স্বঘোষিত Scholar হিন্দু বিরোধী Site থেকে copypaste করে যাচ্ছে। এদের উদ্দেশ্যে বলব “অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী “।
বেদে গোহত্যা এবং গোমাংস খাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ এটা কমুনিস্ট এবং মিশনারীরা মানতে পারে না। আমাদের বৈদিক সমাজ ব্যবস্থা তাদের সমাজ এর চেয়ে আদর্শিক ভাবে উন্নত। এদের সাথে যোগ হয়েছে একদল ধর্ম ব্যবসায়ী। তারা বেদ ও মনুসংহিতা থেকে গরুর মাংস খাওয়ার Reference খুঁজে বের করতে চায় একটি এদের সহজ Trick হচ্ছে ‘মানসা‘ কে meat / মাংস হিসেবে অনুবাদ করা । ‘মানসা‘ মানে ডাল জাতীয় খাবার ।
আজ বেদ হতে কিছু অপপ্রচার এর জবাব দিব।
১. অপপ্রচার:
Rigveda (10/85/13) declares, “On the occasion of a girl’s marriage oxen and cows are slaughtered.”
জবাব: প্রকৃতঅর্থে মন্ত্র টি বলে সূর্যের আলো শীতকালে ম্লান হয়ে যায় এবং বসন্ত কালে শক্তি ফিরে পায় । (the rays of sun get weakened and then get strong again in spring.)
The word used for sun-rays in ‘Go’ which also means cow and hence the mantra can also be translated by making ‘cow’ and not ‘sun-rays’ as the subject. The word used for ‘weakened’ is ‘Hanyate’ which can also mean killing. But if that be so, why would the mantra go further and state in next line (which is deliberately not translated) that in spring, they start regaining their original form.How can a cow killed in winter regain its health in spring? This amply proves how ignorant and biased communists malign Vedas.
সমপদ জিনিস তা এরা বুজে না।
২. অপপ্রচার: Rigveda (6/17/1) states that “Indra used to eat the meat of cow, calf, horse and buffalo.”
জবাব: মন্ত্র টি বলছে মেধাবী পন্ডিতরা বিশ্ব কে আলোকিত করেন যেমন কাঠ যোগ্গের এর আগুন এর আলো বাড়ায় ।
৩. অপপ্রচার: ব্লগ এ ম জ বাসার নামে এক পন্ডিত বলছে(লিঙ্ক),”বৃষের মাংশ [বেদ:১/১৬৪/৪৩], মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮], অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হতো।- আরও বলা হয়েছে পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [ বেদ:৪/১/৬]।- গো হত্যা স্থানে গাভীগণ হত্যা হতো [বেদ:১০/৮৯/১৪]। ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে। [ঋকবেদ:১০:৮৬:১৪]। এমনকি উপনিষদ বলছে: ‘বেদজ্ঞান লাভ করতে হলে, স্বাস্থ্যবাদ সন্তান লাভ করতে হলে ষাঁড়ের মাংস খাওয়া জরুরী।”
জবাব: সমপদের অর্থ আর প্রয়োগ না জানলে এ রকম ই হবে ।
যেমন:
�keshavaM patitaM dr^shtvA pandavAH harshsha nirbharAH
rudanti kauravAssarve hA keshava hA keshava.�
সোজা কথায় মন্ত্রের অর্থ হবে কেশব/কৃষ্ণ কে পরে যেতে দেখে পান্ডবরা উল্লসিত হলো আর কৌরবরা ও কৃষ্ণ, ও কৃষ্ণ বলে অর্থনাদ করে উঠলো।
এখন এটার কোনো মানে হয় না । কারণ কৃষ্ণ ছিলেন পান্ডবদের পক্ষে।
একই শব্দের নানা অর্থ থাকে।
দেখুন:
১. কেশব= জল
২. পান্ডব= সারস পাখি
৩. কৌরব= কাক
৪. শব= মৃত দেহ
এবার অর্থ দেখুন:
�keshavaM patitaM dr^shtvA pandavAH harshsha nirbharAH
rudanti kauravAssarve hA keshava hA keshava.�
মৃত দেহটিকে জলে পড়ে যেতে দেখে সারস পাখি খুশি হলো এবং কাক আর্তনাদ করে উঠলো- মৃত দেহটি
জলে পড়ে গেছে, মৃত দেহটি জলে পড়ে গেছে।
এখন আমাদের পন্ডিতরাকি বলবেন ‘ কৃষ্ণকে পান্ডবরা ঘৃনা করতেন?’
একই ভাবে বাসার ভাই চালাকি করেছেন ।
আমি দেখাচ্ছি:
“বৃষের মাংশ [বেদ:১/১৬৪/৪৩], মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮], অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হতো।- আরও বলা হয়েছে পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [ বেদ:৪/১/৬]।- গো হত্যা স্থানে গাভীগণ হত্যা হতো [বেদ:১০/৮৯/১৪]। ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে। [ঋকবেদ:১০:৮৬:১৪]। এমনকি উপনিষদ বলছে: ‘বেদজ্ঞান লাভ করতে হলে, স্বাস্থ্যবাদ সন্তান লাভ করতে হলে ষাঁড়ের মাংস খাওয়া জরুরী।”
অপপ্রচার: ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে। [ঋকবেদ:১০:৮৬:১৪]
জবাব:
�ghastta indra ukshshaNaH priyam…..� _RigVeda 10.86.13
�ukshshaNo hi me panchadasha sAkaM pachanti vimshatiM…� _RigVeda 10.86.14
অর্থ :
rik 10.86.13, IndrANi tells Indra, �please receive your favorite soma quickly..�
In rik 10.86.14 Indra replies, �they are preparing soma for offering fifteen and twenty times..�
এখানে ukshshNa মানে সোম, বৃষ নয়।
অপপ্রচার:
মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮] খাওয়ার কথা রয়েছে ।
জবাব:
�trI yachChatA mahishshANAmag
ho mastrI….� _ RigVeda 5.29.8
সঠিক অর্থ:
oh Indra, when
you have recieved three hundred offerings of soma, you will be powerful to kill vr^tra.
অপপ্রচার: অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হতো।
জবাব:
�eshshachChAgaH puro ashvena vAjinA…� _RigVeda 1.162.3
সঠিক অর্থ:
�the morning fire is lit before, thew sun, the giver of food rises�
এখানে ছাগ মানে shr^ngarahita ajA / সিন্হীন ছাগল নয় বরং উষালোক।
অপপ্রচার: বৃষের মাংশ [বেদ:১/১৬৪/৪৩] খাওয়া হতো।
জবাব:
�…ukshANaM pRshnimapachanta vIrAH…….�…_ RigVeda 1.164.43
সঠিক অর্থ: I saw from far away the smoke of fuel with spires that rose on high o’er that beneath it.
The Mighty Men have dressed the spotted bullock. These were the customs in the days aforetime,
অপপ্রচার: পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [ বেদ:৪/১/৬]।
জবাব:
Excellent is the glance, of brightest splendour, which the auspicious God bestows on mortals-
The God’s glance, longed-for even as the butter, pure, heated, of the cow, the milch-cow’s bounty.
কোথাও বলা নেই গরু কে জবাই কর ।
অপপ্রচার: – গো হত্যা স্থানে গাভীগণ হত্যা হতো [বেদ:১০/৮৯/১৪]।
জবাব:
এখানে Grifith সাহেবের Translation করলে হবে না । Grifith হিন্দুদের খ্রিস্টিয়ান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে সেই Translation করেসিলেন এটা প্রমানিত । এখানে এই ধরনের কোনো কথা বলা হয় নি । এটি একটি প্রার্থনা সঙ্গীত ।
Indra- O glorious warrior!
Te- Your
Aghasya- destroyer of evil
Chetya- power
Kahrrisvit- when
Asat- will appear
Yat- with which you
Rakshah- monsters
Bhinadah- kill
Mitrkruvo- those who are cruel to our dear ones
Eshat- cast terror in them
Yat- so that
Shasne- in the battlefield
Na- just like
Aaryak- after death
Gaavah- animals
Prathivyah- on the field
Shayante- lay or sleep
O glorious soldier! Where is your valor with which you kill the devils and cast terror in the hearts of wrong-doer cruel criminals and due to which they will be lying dead just like animals lay on ground while sleeping.(Rig Veda 10.89.14)
আমি সকল কে বলব বেদ থেকে একটি মন্ত্র দেখান যেটাতে গোহত্যা এবং গোমাংস খাওয়া বৈধতা দেয়া হয়েছে তাহলে আমি আপনার কথা মত বিশ্বের যেকোনো ধর্ম গ্রহণ করব আর আপনি যদি না পারেন তবে আপনাকে হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে হবে ।
Don't you think all the Vedic Brahmanas are to be translated and published in Bengali?
ReplyDeleteআরে শালা অণ্ডকোষসর্বস্ব অর্ধশক্ষিত গণ্ডমুর্খ'র দল... গোমাংস হল মানব দেহে আমিশের শ্রেষ্ঠতম জোগান। তাই সারা বিশ্বে বিফ সব চেয়ে দামি মাংস। সংস্কারভীরু কুশিক্ষিত হেঁদুকুল গোমাংস ভক্ষণ অপারগতায় হাজার বছর ধরে যবন-মোসলমান-খ্রিষ্টান বেজাতের আক্রমণের সামনে হালুয়া হয়ে গেছিশ...! পরাধীনিতার সম্বল তোদের মেয়ে স্ত্রীদের বিজাতীয় বিজেতাদের হাতে তুলে দিয়ে আত্মরক্ষা করেছিস। লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা আসে... ভাবতেও। ভারতের মোসলমান শাসকদের বিবির সাপ্লাই নিশ্চিত করেঃ(, যে সে হেঁদু নয়, রাজপুত হেঁদুরা... :(
ReplyDeleteওরে মোল্লা গরু খা আর কোলেস্টেরল জমিয়ে হার্ট অ্যাটাক করে মর।
Deleteতোরা না খেয়েই মর...
Deleteসবচেয়ে বেশি আমিষ আছে মশুর ডালে। শুধু চোদার জন্য বা ধোন খাড়া করার জন্য যদি গরু খাওয়া লাগে তাহলে শুকর খাওয়া তোদের আরো বেশি প্রডাকটিভ করবে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েয়ে শুকরের মাংস ভায়াগ্রা থেকে বেশি কার্যকর। গরুর মাংস থেকে শুকরের মাংস তোদের ধোন খাড়া করতে সাহায্য করবে। ৫ ওক্ত নামাজ পড়ার পর ৫ বার করে শুকর খেলে চারটা নয় পাচটা বউ নিয়ে বিবাহিত জীবন সুখে কাটবে ইনসাললাহ।
Deleteশুকরের মাংস তোদের আরো বেশি প্রাডাকটিভ করবে। ৫ ওক্ত শুকর খা। আর ৫ ওক্ত গরু খা। গরু খাইতে খাইতে তো দিন দিন গরু হচ্ছিস আর গরুর বাচ্চা জন্ম দিচ্ছিস।
ReplyDeleteহিন্দুরা বাংলাদেশের শত্রু হিন্দু মেয়েরা সুখে থাকতে হলে মুসলান হও
ReplyDeleteমুসলিমরা পৃথিবীর শত্রু। তোরা পৃথিবী থেকে দূর হ। তোদের সাথে হিন্দুদের, খ্রিস্টানদের, বৌদ্ধদের, এমনকি তোদের সাথে তোদের সংঘর্ষ সমস্ত পৃথিবীতে অশান্তি এনেছে। বাংলাদেশ ৫ বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে কারণ এটি মুসলিম প্রধান দেশ। সোমালিয়া তেও একই অবস্থা । দূর হ, দূর হ দূর হ.... পৃথিবীতে শান্তি আসুক।
Deleteবাংলাদেশ, সোমালিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্থান, নাইজেরিয়া, ইরাক, ফিলিস্তিন শান্তির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে।
ReplyDeleteTora jodi etoi sotto er pothe thakte tahole Dr. Jakir Naik sathe debate korte parte ..illogicall ans baire bole berate na..sara india teu ek tau ki gani lok nai toder modhe !!!!
ReplyDeleteDo you know what is logic? Your lier Naik refused to debate with Arya Samaj.
Deleteপ্রাচীন ভারতে , প্রাচীন হিন্দু সমাজে গরু, মহিষ ও ঘোড়ার মাংস অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলো।
ReplyDeleteদেখুন ঋগবেদ 1ম খণ্ড, পৃ 9, হরফ প্রকাশনী, কলকাতা।
মন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন।
Deleteদেবতাদের গরু বলি দিলে দেবতাদের সন্তুষ্ট রাখা যাবে সারাজীবন। -- বেদ।
ReplyDeleteমন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন।
Deleteমহাভারত অনুশাসন পর্বে ৮৮ অধ্যায়ে ভীষ্ম যুধিষ্ঠির কে উপদেশ দিচ্ছেঃ
ReplyDeleteপূর্ব পুরুষদের সন্তুষ্ট করতে
যদি শাক-সবজী উৎসর্গ কর তবে ১ মাস সন্তুষ্ট থাকবে।
যদি মাছ দাও তবে ২ মাস,
হরিণের মাংস দিলে ৩ মাস,
ভেড়ার মাংস দিলে ৪ মাস,
ছাগলের মাংস দিলে ৫ মাস,
গরুর মাংস দিলে পুরো ১ বছর
ষাঁড়ের মাংস দিলে পুরো ১২ বছর
গণ্ডার ও ছাগলের লাল মাংস উৎসর্গ করলে সারা জীবন সন্তুষ্ট থাকবে।
একই কথা বলা হয়েছে মনুস্মৃতি অধ্যায় নম্বর -৩, ২৬৬ -২৭২ এ
যদি তাই হত তাহলে আজ ভারতবর্ষে একটা হিন্দুও থাকতে পারত না, কারণ মোঘলরা যখন ভারর্তবর্ষে রাজত্ব করেছিল তখন তারা চাইলে সমস্ত ভারতবর্ষ থেকে হিন্দুদের নাম নিষানা মুছে দিতে পারত, মুঘলদের ইতিহাসে আপনি কোথাও দেখাতে পারবেন না যে একজন হিন্দুকেও জোর করে মুসলমান বানানো হয়েছে বা কোথাও হিন্দুদের ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে, আওরঙ্গজেব একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন যাকে জিন্দা পীর বলা হতো অথচ কোথাও দেখা যায় না তিনি কোন হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে কোন বৈষম্যে করতেন।
ReplyDeleteমনুশ্রুতীর পঞ্চম অধ্যায়ের ৩৯ এবং ৪০ শ্লোকে বলা হয়েছেঃ ঈশ্বর নিজেই সৃষ্টি করেছেন উৎসর্গের পশু উৎসর্গের জন্যই। সুতরাং উৎসর্গের জন্য হত্যা-হত্যা নয়। মহাভারত অনুশীলন পর্ব ৮৮ অধ্যায় বর্ণনা করছে-ধর্মরাজ যুধিষ্টির ও পিতামহ ভীষ্ম, এদের, এদের মধ্যে কথোপকথন কেউ যদি শ্রাদ্ধ করতে চায় তাহলে সে অনুষ্ঠানে কি ধরনের খাবার খাওয়ালে স্বর্গীয় পিতৃ পুরুষ (এবং মাতাগণ) সন্তুষ্ট হবেন। যুধিষ্টির বলল, হে মহাশক্তির মহাপ্রভু! কি সেই সব বস্তু সামগ্রী যাহা-যদি উৎসর্গ করা হয় তাহলে তারা প্রশান্তি লাভ করবে ? কি সেই বস্তু সামগ্রী যা (উৎসর্গ করলে) স্থায়ী হবে? কি সেই বস্তু যা (উৎসর্গ করলে) চিরস্থায়ী হবে?
ReplyDeleteভীষ্ম বলেছেন, তাহলে শোন হে যুধিষ্টীর! কী সেই সব সামগ্রী। যারা গভীর জ্ঞান রাখে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পর্কে- যা উপযোগী শ্রাদ্ধের জন্য। আর কি সেই ফল-ফলাদি যা তার সঙ্গে যাবে। সীম বিচীর সাথে চাল, বার্লী এবং মাশা এবং পানি আর বৃক্ষমূল (আদা, আলু বা মূলা জাতীয়) তার সাথে ফলাহার। যদি স্বর্গীয় পিতৃদেবদের শ্রাদ্ধে দেয়া হয়। হে রাজা! তা হলে তারা এক মাসের জন্য সন্তুষ্ট থাকবে।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে মৎস সহকারে আপ্যায়ন করলে স্বর্গীয় পিতৃকুল দুই মাসের জন্য সন্তুষ্ট থাকবে। ভেড়ার মাংস সহকারে- তিন মাস। খরগোশ সহকারে চারমাস। ছাগ-মাংস সহকারে ৫ মাস। শুকর-মাংস সহকারে ছয় মাস। পাখীর মাংস দিয়ে আপ্যায়িত করলে সাত মাস। হরিণের মধ্যে ‘প্রিসাতা’ হরিণ শিকার করে খাওয়ালে আট মাস এবং ‘রুরু’ হরিণ দিলে নয় মাস। আর গাভীর মাংস দিলে দশমাস। মহিসের মাংশ দিলে তাদের সন্তুষ্টি এগারো মাস বজায় থাকে।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গরুর মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করলে, বিশেষ করে বলা হয়েছে তাদের সন্তুষ্টি থাকে পুরো এক বছর। ঘি মিশ্রিত পায়েশ, স্বর্গীয় পিতৃপুরুষের কাছে গরুর মাংসের মতোই প্রিয়। ভদ্রিনাসার (বড় ষাড়) মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করলে পিতৃপুরুষ বার বছর সন্তুষ্ট থাকেন। পিতৃপুরুষের মৃত্যু বার্ষিকি গুলোর যে দিনটিতে সে মারা গেছে সেই রকম একটি দিন দিন যদি শুক্ল পক্ষের হয় আর তখন যদি গন্ডারের মাংস দিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আপ্যায়ন করা যায়- স্বর্গীয় পিতৃ পুরুষের সন্তুষ্টি অক্ষম হয়ে যায়। ‘কালাসকা’ কাঞ্চন ফুলের পাপড়ি আর লাল ছাগলের মাংস যদি দিতে পারো তাহলেও তাদের সন্তুষ্টি অক্ষয় হয়ে যাবে।
অতএব আপনি যদি চান আপনার স্বর্গীয় পিতৃপুরুষের সন্তুষ্টি অক্ষয় হয়ে যাক তাহলে লাল ছাগলের মাংস দিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আপ্যায়ন করতে হবে।
ছ.হিন্দু ধর্ম অন্যান্য ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত
হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ তার অনুসারীদের আমিষ খাদ্য গ্রহনের অনুমতি দেয়। তথাপি অনেক হিন্দু নিরামিষ ভোজনকে সংযোজন করে নিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এটা এসেছে ‘জৈন’ ধর্ম থেকে।
জ. উদ্ভীদেরও জীবন আছে
বিশেষ কিছু ধর্ম খাদ্য হিসেবে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার বাধ্যতামূলক করে নিয়েছে। কারণ তারা জীব হত্যার সম্পূর্ণ বিরোধী। যদি কেউ কোনো সৃষ্ট জীবকে হত্যা না করে বেঁচে থাকতে পারে তাহলে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমি হবো প্রথম ব্যক্তি যে এধরনের জীবন যাপন পদ্ধতিকে বেছে নেবে।
অতীত কালের মানুষ মনে করত উদ্ভিদের প্রাণ নেই। অথচ আজ তা বিশ্ববাসীর কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে,উদ্ভীদেরও প্রাণ আছে। কাজেই সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোজী হয়েও জীব হত্যা না করার শর্ত পূরণ হচ্ছে না।
ঝ. উদ্ভীদ ব্যাথাও অনুভব করতে পারে
এর পরেও হয়তো নিরামিষ ভোজীরা বলবেন, প্রাণ থাকলে কি হবে উদ্ভীদ ব্যাথা অনুভব করতে পারে না। তাই পশু হত্যার চাইতে এটা তাদের কম অপরাধ। আজকের বিজ্ঞান পরিষ্কার করে দিয়েছে উদ্ভিদও ব্যাথা অনুভব করে কিন্তু তাদের সে আর্ত চিৎকার মানুষই শোনার ক্ষমতা রাখে না ২০ Herts থেকে ২০০০ Herts এর ওপরে বা নীচের কোনো শব্দ মানুষের শ্রুতি ধারণ করতে সক্ষম নয়। একটি কুকুর কিন্তু শুনতে পারে ৪০,০০০ Herts পর্যন্ত। এজন্য কুকুরের জন্য নিরব ‘হুইসেল’ বানানো হয়েছে যার ফ্রীকোয়েন্সী ২০,০০০ Herts এর বেশী এবং ৪০,০০০ Herts এর মধ্যে। এসব হুইসেল শুধু কুকুর শুনতে পারে, মানুষ পারে না। কুকুর এ হুইসেল শুনে তার মালিককে চিনে নিতে পারে এবং সে চলে আসে তার প্রভুর কাছে।