Pages

Sunday, December 22, 2013

নারীদের প্রতি ইসলামি বর্বরতার আরেকটি নিদর্শনঃ নারীর খতনা




এ লেখাটি আমার প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্ত মনস্ক বন্ধুদের জন্য।আমার ফেসবুক আইডিতে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বন্ধু না থাকায় লেখাটি দিলাম আশা করি প্রাপ্ত বয়স্করা প্রাপ্ত মনস্কও হবেন।

মুসলিম দুনিয়ার বহু দেশেই নারী খৎনা নামের এক বীভৎস,বর্বরোচিত ধর্মীয় প্রথা প্রচলিত রয়েছে।এ ধর্ম নাকি নারী পুরুষের সমতা বিধান করে।তাহলে দেখে নিন কি ভাবে সেই সমতা বিধান করা হয়।

মুসলিম দুনিয়ার বহু দেশেই নারী খৎনা নামের এক বীভৎস,বর্বরোচিত ধর্মীয় প্রথা প্রচলিত রয়েছে।এই প্রথা মনুষ্য সমাজের কলঙ্ক বই কিছুই নয়।এই প্রথা পুরুষকে মানুষ থেকে শয়তানে পরিণত করেছে।আর নারীকে পরিণত করেছে পশুতর জীবে।এই প্রথা আজও প্রচলিত আছে ঘানা,গিনি,সোমালিয়া,কেনিয়া,তানজানিয়া,নাইজেরিয়া,মিশর,সুদানসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশে।



শারিয়া আইন ই ৪.৩ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৮৫৯):খৎনা একেবারে বাধ্যতামূলক। (O. পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যে। পুরুষদের জন্যে খৎনা হবে পুং জননেন্দ্রিয়ের আবরক ত্বক কর্তন করা। মহিলাদের খৎনা হবে ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক ছেদন দ্বারা। এর মানে নয় যে সম্পূর্ণ ভগাঙ্কুর কেটে ফেলা যেটা অনেকেই ভুলবশত: বলে থাকেন।) (হানবালিরা বলেন যে মহিলাদের খৎনা বাধ্যতা নয়সুন্না। হানাফিরা বলে যে মহিলাদের খৎনা শুধুমাত্র স্বামীকে সম্মান দেখানোর জন্যে।) সুনান আবু দাউদ, বই ৪১ হাদিস ৫২৫১:উম আতিয়া আল আনসারিয়া বর্ণনা করেন:মদিনার এক মহিলা মেয়েদের খৎনা করত। নবী (সাঃ) তাকে বললেন: খুব বেশী কেটে দিবে না। কেননা এতে স্ত্রীর ভাল হবে।

এই ভাবে মুসলিম দেশে নারীদের যৌন কামনাকে অবদমিত করে যৌন-আবেগহীন যৌন-যন্ত্র করে রাখতে পুরুষশাসিত সমাজ বালিকাদের ভগাঙ্কুর(clitoris)কেটে ফেলে।নারীর যৌন-আবেগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় যোনির প্রবেশ মুখে পাপড়ির মত বিকশিত ভগাঙ্কুর।নারীদের খৎনা করা হয় ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে অর্থাৎ সাধারণত সাত-আট বছর বয়সে।খৎনা যারা করে তাদের বলা হয় হাজামী।দু’জন নারী শক্ত করে টেনে ধরে বালিকার দুই উরু।দু’জন নারী চেপে ধরে বালিকার দুই হাত।হাজামী ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে ভগাঙ্কুর।এই সময় উপস্থিত নারীরা সুর করে গাইতে থাকেন, “আল্লাহ মহান,মুহম্মাদ তার নবী;আল্লাহ আমাদের দূরে রাখুক সমস্ত পাপ থেকে।”পুরুষ শাসিত সমাজ ওই সব অঞ্চলের মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের রন্ধ্রে রন্ধ্রেই বিশ্বাসের বীজ রোপন করেছে,কাম নারীদের পাপ;পুরুষদের পূণ্য।খৎনার পর সেলাই করে দেওয়া হয় ঋতুস্রাবের জন্য সামান্য ফাঁক রেখে যোনিমুখ।খোলা থাকে মূত্রমুখ।খৎনার পর চল্লিশ দিন পর্যন্ত বালিকার দুই উরুকে একত্রিত করে বেঁধে রাখা হয় যাতে যোনিমুখ ভাল মত জুড়ে যেতে পারে।বিয়ের পর সেলাই কেটে যোনিমুখ ফাঁক করা হয়,স্বামীর কামকে তৃপ্ত করার জন্য।আবারো বলি,স্বামীর কামকে তৃপ্ত করার জন্যই;কারণ নারীর কাম তো ওরা পাপ বলে চিহ্নিত করে নারীকে করতে চেয়েছে কাম গন্ধহীন যৌন-যন্ত্র।সন্তান প্রসবের সময় সেলাই আরো কাটা হয়।প্রসব শেষেই আবার সেলাই।তালাক পেলে বা বিধবা হলে আবার নতুন করে আবার নতুন করে সেলাই পড়ে ঋতুস্রাবের জন্য সামান্য ফাঁক রেখে।আবার বিয়ে,আবার কেটে ফাঁক করা হয় যোনি।জন্তুর চেয়েও অবহেলা ও লাঞ্ছনা মানুষকে যে বিধান দেয়,সে বিধান কখনই মানুষের বিধান হতে পারে না।এ তো শুধু নারীর অপমান নয়,এ মনুষ্যত্বের অবমাননা।

এ সম্পর্কে আরও জানতে হলে দেখুন 
https://en.wikipedia.org/wiki/Female_genital_mutilation
http://www.hiiraan.com/news4/2013/Jun/30024/_barbaric_female_genital_mutilation_rife_in_london_warns_campaigner.aspx


এ লেখাটির প্রচারে আমি এ জন্য পক্ষপাতি যে আমাদের বোনদের জানা উচিত ইসলামের প্রকৃত সত্য যাতে অন্তত লাভ জিহাদিদের ফাঁদে পড়ে নিজেদের জীবনটা নষ্ট না করে। এ উপমহাদেশে ইসলাম হিন্দু ধর্মের প্রভাবে আজ কিছুটা সভ্য হয়েছে কিন্তু আসল ইসলাম এখনও রয়ে গেছে আরব আফ্রিকাতে।








Wednesday, December 18, 2013

কৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরার কেশব দেও মন্দিরের রক্তাক্ত ইতিহাস


রাম জন্মস্থান অযোধ্যাতে অবস্থিত বাবরী মসজিদের কথা আমরা কে না জানি।যে মসজিদ নিয়ে রাজনীতি করা যায় সেটা সবাইকে জানানো হয় কিন্তু উত্তর প্রদেশের মথুরাতে অবস্থিত কৃষ্ণ জন্মস্থানে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে নির্মিত কেশব দেও মন্দিরটি কি অবস্থায় আছে আপনারা জানেন কি। গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মত এই মন্দিরটি নিয়েও রাজনীতি করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সেকুলার সাজা রাজনীতিবিদগণ। তাই সোমনাথ মন্দিরের মত এই মন্দিরটিরও রক্তাক্ত কান্নাচাপা দীর্ঘশ্বাসে বিষাক্ত ইতিহাস আমাদের কে শোনায় না সেকুলার দাবীকৃত মিডিয়া। এই ইতিহাস জানালে যে ধর্মনিরেপক্ষ সেজে থাকা তোষণবাজ রাজনীতিবিদগনের গদি নিয়ে টান পড়বে।এর আগে অযোধ্যার বাবরী মসজিদ নিয়ে করা রাজনীতির গুমোর ফাস করেছিলাম আর আজ শোনাব শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরার কেশব দেও মন্দিরের রক্তচাপা ইতিহাস।   
ভারতের  মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানে নির্মিত কেশব দেও মন্দিরটি সারা বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্র ধর্মস্থান।কিন্তু মজার ব্যপার হল কেশব দেও বা কেশব দেব মন্দিরটি মথুরার আদি কেশব দেও মন্দিরের পাশে অবস্থিত।কেশব দেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরেকটি নাম।
জনপ্রিয় ধারনা হল, ৫০০০ হাজার বছর আগে এখানে মন্দির স্থাপন করেন শ্রীকৃষ্ণের প্রপৌত্র শ্রীবজ্রনাভ।পাথরে খোদিত ব্রাহ্মীলিপি থেকেও এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় ।পরবর্তীতে ৪০০ সালে গুপ্ত সম্রাজ্যের দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত একটি সুবিশাল মন্দির নির্মাণ করেন। বলা হয়ে থাকে এই মন্দিরের সৌন্দর্য আর মহত্ব কোন হাতে আঁকা ছবি বা লিখিত বর্ণনার মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

 মন্দিরটি গজনির সুলতান মাহমুদ ১০১৭ সালে প্রথম ধ্বংস করে।এই মন্দিরের স্থাপত্যশৈলীতে হতবাক ছিল মুসলিমরাও এবং এই মন্দিরকে তারা দেবতাদের নির্মাণ বলে সন্দেহ করত। যেমন - ১০১৭ সালে মুহম্মদ গজনবীর লিখিত রের্কড থেকে বহু তথ্য জানা যায় । তিনি লিখেছিলেন , "শহরের প্রান্তে অবস্থিত অভূতপূর্ব মন্দির নিশ্চয়ই কোন মানুষ নির্মাণ করেননি । এটি নিশ্চয় (দেবতারা বা ফেরেস্তারা ) নির্মাণ করেছেন ।" লাল পাথরের জুমা মসজিদ, বিশালাকার মন্দির পাশাপাশি। মন্দিরের সিলিং ও দেয়ালে দেখএ যাবে এখনো ক্ষত বিক্ষত হিন্দুপুরাণের নানান আখ্যান।’

পাথরে খোদিত লিপি থেকে জানা যায়,তৃতীয়বারের মত এই মন্দিরটি আবার তৈরি করেন জাজ্জা বিক্রম সাম্ভাত ১২০৭ সালে রাজা বিজয়পাল দেবের শাসন আমলে এবং মন্দিরটি আবারও ধ্বংস হয় সিকান্দার লোদীর হাতে।যেন এক পক্ষের কাজ শুধু ধ্বংস করা আরেক পক্ষের কাজ ধংসের মাঝে সৃষ্টির মহত্ব জানানো। বলা হয়ে থাকে, লোদীর হাতে ধ্বংসের পূর্বে ১৬ শতকে শ্রীচৈতন্য এই মন্দিরটি পরিদর্শন করেন।


রাজা বীরসিং দেও তৎকালীন ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে মন্দিরটি চতুর্থবারের মত গড়ে তোলেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসন কালে।কথিত আছে,এটি ছিল তৎকালীন ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দর মন্দির। সমগ্র ভারতবর্ষের সকল হিন্দু অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন মন্দিরটিকে। জন মানসে পরবর্তী মুঘল সম্রাট বলে যাকে বিবেচনা করা হত সেই দারা শিকোহএকটি খোঁদাই করা বেড়া সদৃশ পাথর উপহার দিয়েছিলেন যেটি প্রকটিত মূর্তির কাছেই স্থাপন করা হয়েছিল। দর্শনার্থীরা এই বেড়া সদৃশ পাথর পর্যন্ত যেতে পারতেন এবং তাদের দর্শন সম্পন্ন করতেন।
কিন্তু ১৬৬৯ সালে এই মন্দির ধ্বংস করার নির্দেশ দেয় হাজার হাজার মন্দির ধ্বংসকারী ইতিহাসের নিন্দিত-ঘৃণিত  আওরঙ্গজেব।শুধু ধ্বংস করেই রক্ত পিয়াসা মেটেনি তার। ১৬৬৯ সালে কেশব দেও মন্দিরের স্থানে একটি ঈদগাহ নির্মাণ করে ভেবেছিল ভারতবর্ষ থেকে হিন্দুর নাম নিশানা মুছে ফেলা হবে।


ব্রিটিশ শাসনামলে এই স্থানটি ছিল ব্রিটিশ অধিভুক্ত। ১৮১৫ সালেইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি একটি নিলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করে। নিলাম থেকে কাশীর রাজা পান্তিমল এই স্থানটি কিনে নেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল এই স্থানে একটি সুবিশাল মন্দির স্থাপনের। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়।পরিহাসের বিষয় এই স্থানের মালিকানা নিয়ে মথুরার স্থানীয় মুসলিমদের সাথে তিনি বিবাদে জড়িয়ে পরেন এবং তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। যদিও আদালত শেষ পর্যন্ত কাশীর রাজার পক্ষেই রায় দেন। ১৯৪৪ সালে মদন মোহন মালভ্য নামে এক সজ্জন ব্যক্তি কাশীর রাজার উত্তরাধিকারের কাছ থেকে মাত্র ১৩ হাজার টাকায় এই স্থান কিনে নেন। পূর্বের মালিক এই টাকা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন আদালতের খরচ নির্বাহের জন্য।
মালভ্যজি এই মন্দিরের শুরু দেখে যেতে পারেননি। ১৯৫১ সালে তিনি একটি ট্রাস্ট স্থাপন করেন এবং ট্রাস্টের নিকট জমি হস্তানর করেন। তাঁর মারা যাবার পরে বিখ্যাত বিড়লা কোম্পানির যুগল কিশোর বিড়লা মন্দির নির্মাণে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও আরেক বিখ্যাত ডালমিয়া গ্রুপের জয়দয়াল ডালমিয়ার ভূমিকাও স্মরনযোগ্য।এই দুই পরিবারের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৫ মিলিয়ন রুপী ব্যয়ে অনেক সংগ্রামের পর ১৯৬৫ সালে ঐতিহাসিক এই মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হয় কৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরাতে।
মন্দিরের পাশেই নির্মাণ করা হয় একটি একটি ছোট ঘর যার আদল অনেকটা সেই জেল কুঠরির মত যেখানে শ্রীকৃষ্ণ জন্ম গ্রহন করেন। এটি নির্মাণের জন্য ১৯৫৩ সাল থেকে স্বামী অখণ্ডনন্দের তত্বাবধানে খনন কাজ শুরু করা হয়। ১৯৮২ সালে এই প্রতীকী জেল গৃহের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
এই মন্দির নির্মিত হলেও আওরঙ্গজেব নির্মিত ঈদগাহ এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ এখনও টিকে আছে আদি কেশব দেও মন্দিরের স্থানে।এখনও সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা নামাজ পড়েন ঈদ উতসব পালন করেন। সেখানে একটি আচরও লাগতে দেয়নি ভারতের হিন্দুরা।বিশ্বের বুকে এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন আর একটিও নেই- একথা হলফ করে বলা যায়। যে উগ্র মতাদর্শের অনুসারীরা বারেবারে আমাদের পবিত্র স্থান ভূলুণ্ঠিত করেছে তাদের মসজিদ সেই আমরাই আবার রক্ষা করে চলেছি।কিন্তু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, দুনিয়ার অন্যকোন জাতি বা খোদ মুসলিমদের সাথে এমন করা হলে তারা কি করতেন ওই ধ্বংসকারীদের সাথে। 

আরও জানার জন্য পড়তে পারেন https://en.wikipedia.org/wiki/Kesava_Deo_Temple

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির,উত্তরপ্রদেশ


কাশী বিশ্বনাথ মন্দির

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভারতের একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। এটি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বারাণসীতেঅবস্থিত। মন্দিরটি গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির "জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির" নামে পরিচিত শিবের বারোটি পবিত্রতম মন্দিরের অন্যতম। মন্দিরের প্রধান দেবতা শিব "বিশ্বনাথ" বা "বিশ্বেশ্বর" নামে পূজিত হন। বারাণসী শহরের অপর নাম "কাশী" এই কারণে মন্দিরটি "কাশী বিশ্বনাথ মন্দির" নামে পরিচিত। মন্দিরের ১৫.৫ মিটার উঁচু চূড়াটি সোনায় মোড়া। তাই মন্দিরটিকে স্বর্ণমন্দিরও বলা হয়ে থাকে।

হিন্দু পুরাণে এই মন্দিরটির উল্লেখ পাওয়া যায়। মন্দিরটি শৈবধর্মের প্রধান কেন্দ্রগুলির অন্যতম। অতীতে বহুবার এই মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের পাশে জ্ঞানবাপী মসজিদ নামে একটি মসজিদ রয়েছে। আদি মন্দিরটি এই মসজিদের জায়গাটিতেই অবস্থিত ছিল।বর্তমান মন্দিরটি ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর তৈরি করে দেন।১৯৮৩ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকার এই মন্দিরটি পরিচালনা করে আসছেন।


স্কন্দ পুরাণের কাশীখণ্ডে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। একাদশ শতাব্দীতে হরি চন্দ্র মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। ১১৯৪ সালে মহম্মদ ঘোরি বারাণসীর অন্যান্য মন্দিরগুলির সঙ্গে এই মন্দিরটিও ধ্বংস করে দেন। এরপরেই আবার মন্দিরটি পুনর্নির্মিত হয়। এরপর কুতুবুদ্দিন আইবক মন্দিরটি ধ্বংস করেন। আইবকের মৃত্যুর পর মন্দিরটি আবার নির্মিত হয়। ১৩৫১ সালে ফিরোজ শাহ তুঘলক মন্দিরটি আবার ধ্বংস করেন। ১৫৮৫ সালে আকবরের রাজস্বমন্ত্রীটোডরমল আবার মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন।এরপর ১৬৬৯ সালে আওরঙ্গজেব পুনরায় মন্দিরটি ধ্বংস করে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করান। এই মসজিদটি আজও মন্দিরের পাশে অবস্থিত।মসজিদের পিছনে পুরনো মন্দিরের কিছু ধ্বংসাবশেষ আজও দেখা যায়।আওরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে এই মসজিদ নির্মাণ করিয়েছিলেন। মন্দিরের ভিত্তি, স্তম্ভ ও সম্মুখভাগের দেওয়ালে আদি হিন্দু মন্দিরটির কিছু কিছু নিদর্শন স্পষ্ট দেখা যায়। পুরনো মন্দিরের পাঁচিলটি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হয়। মন্দিরের কিছু কিছু অংশকে স্পষ্টভাবে মসজিদের গায়ে রাখা হয়েছিল “সতর্কবার্তা ও হিন্দু মানসের প্রতি অপমান” হিসেবে।মসজিদটি এখনও চালু আছে। এটি ধর্মস্থান (বিশেষ সুবিধা) আইন, ১৯৯১ অনুসারে বিশেষ সুরক্ষা পেয়ে থাকে।

                                           
                                                           জ্ঞানবাপী বা আলমগিরি মসজিদ

১৭৮০ সালে হিন্দু মারাঠা রানি অহল্যা বাই হোলকার কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। নবনির্মিত মন্দিরটি মসজিদের পাশেই নির্মিত হয়। সেই সময় থেকে মন্দির ও মসজিদ দুটি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। দুইয়ের মাঝে লোহা ও কাঁটাতারের বেড়া আছে। দুইয়ের মাঝে জ্ঞানবাপি নামে কুয়োটিও আছে। আওরঙ্গজেব মন্দির আক্রমণ করলে মন্দিরের শিবলিঙ্গটিকে এখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ।১৮৩৫ সালে পাঞ্জাবের শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিংহ মন্দিরের চূড়াটি ১০০০ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে মুড়ে দেন।
মন্দির চত্বরটি অনেকগুলি ছোটো ছোটো মন্দির নিয়ে গঠিত। এই মন্দিরগুলি গঙ্গার তীরে "বিশ্বনাথ গলি" নামে একটি গলিতে অবস্থিত। প্রধান মন্দিরের মধ্যে একটি ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু ও ৯০ সেন্টিমিটার পরিধির শিবলিঙ্গ রুপোর বেদির উপর স্থাপিত। ছোটো মন্দিরগুলির নাম কালভৈরব, দণ্ডপাণি, অবিমুক্তেশ্বর, বিষ্ণু, বিনায়ক, শনীশ্বর, বিরূপাক্ষ ও বিরূপাক্ষ গৌরী মন্দির। মন্দিরের মধ্যে জ্ঞানবাপী নামে একটি ছোটো কুয়ো আছে। কথিত আছে, মুসলমান আক্রমণের সময় প্রধান পুরোহিত স্বয়ং জ্যোতির্লিঙ্গটি রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সেটি নিয়ে এই কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছিলেন।


                    
                                                                      জ্ঞানবাপী কুয়া 

কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী পবিত্রতম মন্দিরগুলির অন্যতম। আদি শঙ্করাচার্য, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, গোস্বামী তুলসীদাস, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী,গুরু নানক প্রমুখ ধর্মনেতারা এই মন্দির দর্শনে এসেছিলেন।হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, গঙ্গায় একটি ডুব দিয়ে এই মন্দির দর্শন করলে মোক্ষ লাভ করা সম্ভব।


কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে বানানো হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ

                           
                            জ্ঞানবাপী বা আলমগিরি মসজিদ                              

                         
                           বর্তমানের কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির

কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের নাম তো মনে হয় শোনা আছে।কিন্তু জ্ঞানবাপী মসজিদ বা আলমগিরি মসজিদ এর নাম কি শুনেছেন? না শোনারই কথা,শুনলে জানলে যদি সেকুলার দের ভণ্ডামো ধরে ফেলেন।বখতিয়ার খিলজি ১৭ সৈন্যের রুপকথা বেদ বাক্যের মত জানি আর সুকৌশলে নালন্দা ধ্বংসের কথা এড়িয়ে যাই। যা হোক,জ্ঞানবাপী হল কাশীর সেই মসজিদ যা মন্দির খাদক আউরাংজেব বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে তারই ধ্বংসাবশেষ গুলো দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন আর হিন্দুদের কে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন,দেখ তোমার মন্দিরে এখন গো মাতা জবাই দিই।হিন্দুদের লজ্জা দেবার জন্য মন্দিরের কারুকাজ গুলো কোনরকম ঢাকার চেষ্টা করে নি, যাতে উঠতে বসতে ওদের মনে করিয়ে দেয়া যায় এটা কিন্তু মন্দির ছিল।মন্দিরের ভিত্তি, স্তম্ভ ও সম্মুখভাগের দেওয়ালে আদি হিন্দু মন্দিরটির কিছু কিছু নিদর্শন স্পষ্ট দেখা যায়।পুরনো মন্দিরের পাঁচিলটি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হয়। মন্দিরের কিছু কিছু অংশকে স্পষ্টভাবে মসজিদের গায়ে রাখা হয়েছিল “সতর্কবার্তা ও হিন্দু মানসের প্রতি অপমান” হিসেবে।

১৭৮০ সালে হিন্দু মারাঠা রানি অহল্যা বাই হোলকার কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। নবনির্মিত মন্দিরটি মসজিদের পাশেই নির্মিত হয়। সেই সময় থেকে মন্দির ও মসজিদ দুটি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। দুইয়ের মাঝে লোহা ও কাঁটাতারের বেড়া আছে। দুইয়ের মাঝে জ্ঞানবাপি নামে কুয়োটিও আছে। আওরঙ্গজেব মন্দির আক্রমণ করলে মন্দিরের শিবলিঙ্গটিকে এখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।মসজিদের ৭১ মিটার উঁচু মিনারগুলি ১৯৪৮ সালের বন্যায় ভেঙে গেলে পুনঃনির্মিত হয়।

মসজিদটি এখনও চালু আছে। এটি ধর্মস্থান (বিশেষ সুবিধা) আইন, ১৯৯১ অনুসারে বিশেষ সুরক্ষা পেয়ে থাকে।

এটাই হন ভারতভুমির চিরন্তন সেকুলারিজম,এটাই হল রামচন্দ্রের রাজ্যনীতি বা রাম রাজত্ব।ঠিক যেমন সোমনাথ ধ্বংস করে নির্মিত মসজিদ আবার হিন্দুরাই পাশে নির্মাণ করে দেয়,রাম জন্মভুমিতে রামমন্দিরের জায়গা মুসলিমের সাথে ভাগকরে নিতে পারে,কৃষ্ণ জন্মভুমি মথুরাতে কৃষ্ণ মন্দিরে ভেঙ্গে নির্মিত মসজিদ হিন্দুদের অর্থে সংস্কার করা হয়।

তথ্যসূত্র; http://en.wikipedia.org/wiki/Gyanvapi_Mosque

লিখেছেন Arya Kshatriya