Pages

Sunday, December 22, 2013

নারীদের প্রতি ইসলামি বর্বরতার আরেকটি নিদর্শনঃ নারীর খতনা




এ লেখাটি আমার প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্ত মনস্ক বন্ধুদের জন্য।আমার ফেসবুক আইডিতে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বন্ধু না থাকায় লেখাটি দিলাম আশা করি প্রাপ্ত বয়স্করা প্রাপ্ত মনস্কও হবেন।

মুসলিম দুনিয়ার বহু দেশেই নারী খৎনা নামের এক বীভৎস,বর্বরোচিত ধর্মীয় প্রথা প্রচলিত রয়েছে।এ ধর্ম নাকি নারী পুরুষের সমতা বিধান করে।তাহলে দেখে নিন কি ভাবে সেই সমতা বিধান করা হয়।

মুসলিম দুনিয়ার বহু দেশেই নারী খৎনা নামের এক বীভৎস,বর্বরোচিত ধর্মীয় প্রথা প্রচলিত রয়েছে।এই প্রথা মনুষ্য সমাজের কলঙ্ক বই কিছুই নয়।এই প্রথা পুরুষকে মানুষ থেকে শয়তানে পরিণত করেছে।আর নারীকে পরিণত করেছে পশুতর জীবে।এই প্রথা আজও প্রচলিত আছে ঘানা,গিনি,সোমালিয়া,কেনিয়া,তানজানিয়া,নাইজেরিয়া,মিশর,সুদানসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশে।



শারিয়া আইন ই ৪.৩ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৮৫৯):খৎনা একেবারে বাধ্যতামূলক। (O. পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যে। পুরুষদের জন্যে খৎনা হবে পুং জননেন্দ্রিয়ের আবরক ত্বক কর্তন করা। মহিলাদের খৎনা হবে ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক ছেদন দ্বারা। এর মানে নয় যে সম্পূর্ণ ভগাঙ্কুর কেটে ফেলা যেটা অনেকেই ভুলবশত: বলে থাকেন।) (হানবালিরা বলেন যে মহিলাদের খৎনা বাধ্যতা নয়সুন্না। হানাফিরা বলে যে মহিলাদের খৎনা শুধুমাত্র স্বামীকে সম্মান দেখানোর জন্যে।) সুনান আবু দাউদ, বই ৪১ হাদিস ৫২৫১:উম আতিয়া আল আনসারিয়া বর্ণনা করেন:মদিনার এক মহিলা মেয়েদের খৎনা করত। নবী (সাঃ) তাকে বললেন: খুব বেশী কেটে দিবে না। কেননা এতে স্ত্রীর ভাল হবে।

এই ভাবে মুসলিম দেশে নারীদের যৌন কামনাকে অবদমিত করে যৌন-আবেগহীন যৌন-যন্ত্র করে রাখতে পুরুষশাসিত সমাজ বালিকাদের ভগাঙ্কুর(clitoris)কেটে ফেলে।নারীর যৌন-আবেগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় যোনির প্রবেশ মুখে পাপড়ির মত বিকশিত ভগাঙ্কুর।নারীদের খৎনা করা হয় ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে অর্থাৎ সাধারণত সাত-আট বছর বয়সে।খৎনা যারা করে তাদের বলা হয় হাজামী।দু’জন নারী শক্ত করে টেনে ধরে বালিকার দুই উরু।দু’জন নারী চেপে ধরে বালিকার দুই হাত।হাজামী ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে ভগাঙ্কুর।এই সময় উপস্থিত নারীরা সুর করে গাইতে থাকেন, “আল্লাহ মহান,মুহম্মাদ তার নবী;আল্লাহ আমাদের দূরে রাখুক সমস্ত পাপ থেকে।”পুরুষ শাসিত সমাজ ওই সব অঞ্চলের মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের রন্ধ্রে রন্ধ্রেই বিশ্বাসের বীজ রোপন করেছে,কাম নারীদের পাপ;পুরুষদের পূণ্য।খৎনার পর সেলাই করে দেওয়া হয় ঋতুস্রাবের জন্য সামান্য ফাঁক রেখে যোনিমুখ।খোলা থাকে মূত্রমুখ।খৎনার পর চল্লিশ দিন পর্যন্ত বালিকার দুই উরুকে একত্রিত করে বেঁধে রাখা হয় যাতে যোনিমুখ ভাল মত জুড়ে যেতে পারে।বিয়ের পর সেলাই কেটে যোনিমুখ ফাঁক করা হয়,স্বামীর কামকে তৃপ্ত করার জন্য।আবারো বলি,স্বামীর কামকে তৃপ্ত করার জন্যই;কারণ নারীর কাম তো ওরা পাপ বলে চিহ্নিত করে নারীকে করতে চেয়েছে কাম গন্ধহীন যৌন-যন্ত্র।সন্তান প্রসবের সময় সেলাই আরো কাটা হয়।প্রসব শেষেই আবার সেলাই।তালাক পেলে বা বিধবা হলে আবার নতুন করে আবার নতুন করে সেলাই পড়ে ঋতুস্রাবের জন্য সামান্য ফাঁক রেখে।আবার বিয়ে,আবার কেটে ফাঁক করা হয় যোনি।জন্তুর চেয়েও অবহেলা ও লাঞ্ছনা মানুষকে যে বিধান দেয়,সে বিধান কখনই মানুষের বিধান হতে পারে না।এ তো শুধু নারীর অপমান নয়,এ মনুষ্যত্বের অবমাননা।

এ সম্পর্কে আরও জানতে হলে দেখুন 
https://en.wikipedia.org/wiki/Female_genital_mutilation
http://www.hiiraan.com/news4/2013/Jun/30024/_barbaric_female_genital_mutilation_rife_in_london_warns_campaigner.aspx


এ লেখাটির প্রচারে আমি এ জন্য পক্ষপাতি যে আমাদের বোনদের জানা উচিত ইসলামের প্রকৃত সত্য যাতে অন্তত লাভ জিহাদিদের ফাঁদে পড়ে নিজেদের জীবনটা নষ্ট না করে। এ উপমহাদেশে ইসলাম হিন্দু ধর্মের প্রভাবে আজ কিছুটা সভ্য হয়েছে কিন্তু আসল ইসলাম এখনও রয়ে গেছে আরব আফ্রিকাতে।








Wednesday, December 18, 2013

কৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরার কেশব দেও মন্দিরের রক্তাক্ত ইতিহাস


রাম জন্মস্থান অযোধ্যাতে অবস্থিত বাবরী মসজিদের কথা আমরা কে না জানি।যে মসজিদ নিয়ে রাজনীতি করা যায় সেটা সবাইকে জানানো হয় কিন্তু উত্তর প্রদেশের মথুরাতে অবস্থিত কৃষ্ণ জন্মস্থানে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে নির্মিত কেশব দেও মন্দিরটি কি অবস্থায় আছে আপনারা জানেন কি। গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মত এই মন্দিরটি নিয়েও রাজনীতি করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সেকুলার সাজা রাজনীতিবিদগণ। তাই সোমনাথ মন্দিরের মত এই মন্দিরটিরও রক্তাক্ত কান্নাচাপা দীর্ঘশ্বাসে বিষাক্ত ইতিহাস আমাদের কে শোনায় না সেকুলার দাবীকৃত মিডিয়া। এই ইতিহাস জানালে যে ধর্মনিরেপক্ষ সেজে থাকা তোষণবাজ রাজনীতিবিদগনের গদি নিয়ে টান পড়বে।এর আগে অযোধ্যার বাবরী মসজিদ নিয়ে করা রাজনীতির গুমোর ফাস করেছিলাম আর আজ শোনাব শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরার কেশব দেও মন্দিরের রক্তচাপা ইতিহাস।   
ভারতের  মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানে নির্মিত কেশব দেও মন্দিরটি সারা বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্র ধর্মস্থান।কিন্তু মজার ব্যপার হল কেশব দেও বা কেশব দেব মন্দিরটি মথুরার আদি কেশব দেও মন্দিরের পাশে অবস্থিত।কেশব দেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরেকটি নাম।
জনপ্রিয় ধারনা হল, ৫০০০ হাজার বছর আগে এখানে মন্দির স্থাপন করেন শ্রীকৃষ্ণের প্রপৌত্র শ্রীবজ্রনাভ।পাথরে খোদিত ব্রাহ্মীলিপি থেকেও এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় ।পরবর্তীতে ৪০০ সালে গুপ্ত সম্রাজ্যের দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত একটি সুবিশাল মন্দির নির্মাণ করেন। বলা হয়ে থাকে এই মন্দিরের সৌন্দর্য আর মহত্ব কোন হাতে আঁকা ছবি বা লিখিত বর্ণনার মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

 মন্দিরটি গজনির সুলতান মাহমুদ ১০১৭ সালে প্রথম ধ্বংস করে।এই মন্দিরের স্থাপত্যশৈলীতে হতবাক ছিল মুসলিমরাও এবং এই মন্দিরকে তারা দেবতাদের নির্মাণ বলে সন্দেহ করত। যেমন - ১০১৭ সালে মুহম্মদ গজনবীর লিখিত রের্কড থেকে বহু তথ্য জানা যায় । তিনি লিখেছিলেন , "শহরের প্রান্তে অবস্থিত অভূতপূর্ব মন্দির নিশ্চয়ই কোন মানুষ নির্মাণ করেননি । এটি নিশ্চয় (দেবতারা বা ফেরেস্তারা ) নির্মাণ করেছেন ।" লাল পাথরের জুমা মসজিদ, বিশালাকার মন্দির পাশাপাশি। মন্দিরের সিলিং ও দেয়ালে দেখএ যাবে এখনো ক্ষত বিক্ষত হিন্দুপুরাণের নানান আখ্যান।’

পাথরে খোদিত লিপি থেকে জানা যায়,তৃতীয়বারের মত এই মন্দিরটি আবার তৈরি করেন জাজ্জা বিক্রম সাম্ভাত ১২০৭ সালে রাজা বিজয়পাল দেবের শাসন আমলে এবং মন্দিরটি আবারও ধ্বংস হয় সিকান্দার লোদীর হাতে।যেন এক পক্ষের কাজ শুধু ধ্বংস করা আরেক পক্ষের কাজ ধংসের মাঝে সৃষ্টির মহত্ব জানানো। বলা হয়ে থাকে, লোদীর হাতে ধ্বংসের পূর্বে ১৬ শতকে শ্রীচৈতন্য এই মন্দিরটি পরিদর্শন করেন।


রাজা বীরসিং দেও তৎকালীন ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে মন্দিরটি চতুর্থবারের মত গড়ে তোলেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসন কালে।কথিত আছে,এটি ছিল তৎকালীন ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দর মন্দির। সমগ্র ভারতবর্ষের সকল হিন্দু অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন মন্দিরটিকে। জন মানসে পরবর্তী মুঘল সম্রাট বলে যাকে বিবেচনা করা হত সেই দারা শিকোহএকটি খোঁদাই করা বেড়া সদৃশ পাথর উপহার দিয়েছিলেন যেটি প্রকটিত মূর্তির কাছেই স্থাপন করা হয়েছিল। দর্শনার্থীরা এই বেড়া সদৃশ পাথর পর্যন্ত যেতে পারতেন এবং তাদের দর্শন সম্পন্ন করতেন।
কিন্তু ১৬৬৯ সালে এই মন্দির ধ্বংস করার নির্দেশ দেয় হাজার হাজার মন্দির ধ্বংসকারী ইতিহাসের নিন্দিত-ঘৃণিত  আওরঙ্গজেব।শুধু ধ্বংস করেই রক্ত পিয়াসা মেটেনি তার। ১৬৬৯ সালে কেশব দেও মন্দিরের স্থানে একটি ঈদগাহ নির্মাণ করে ভেবেছিল ভারতবর্ষ থেকে হিন্দুর নাম নিশানা মুছে ফেলা হবে।


ব্রিটিশ শাসনামলে এই স্থানটি ছিল ব্রিটিশ অধিভুক্ত। ১৮১৫ সালেইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি একটি নিলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করে। নিলাম থেকে কাশীর রাজা পান্তিমল এই স্থানটি কিনে নেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল এই স্থানে একটি সুবিশাল মন্দির স্থাপনের। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়।পরিহাসের বিষয় এই স্থানের মালিকানা নিয়ে মথুরার স্থানীয় মুসলিমদের সাথে তিনি বিবাদে জড়িয়ে পরেন এবং তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। যদিও আদালত শেষ পর্যন্ত কাশীর রাজার পক্ষেই রায় দেন। ১৯৪৪ সালে মদন মোহন মালভ্য নামে এক সজ্জন ব্যক্তি কাশীর রাজার উত্তরাধিকারের কাছ থেকে মাত্র ১৩ হাজার টাকায় এই স্থান কিনে নেন। পূর্বের মালিক এই টাকা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন আদালতের খরচ নির্বাহের জন্য।
মালভ্যজি এই মন্দিরের শুরু দেখে যেতে পারেননি। ১৯৫১ সালে তিনি একটি ট্রাস্ট স্থাপন করেন এবং ট্রাস্টের নিকট জমি হস্তানর করেন। তাঁর মারা যাবার পরে বিখ্যাত বিড়লা কোম্পানির যুগল কিশোর বিড়লা মন্দির নির্মাণে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও আরেক বিখ্যাত ডালমিয়া গ্রুপের জয়দয়াল ডালমিয়ার ভূমিকাও স্মরনযোগ্য।এই দুই পরিবারের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৫ মিলিয়ন রুপী ব্যয়ে অনেক সংগ্রামের পর ১৯৬৫ সালে ঐতিহাসিক এই মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হয় কৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরাতে।
মন্দিরের পাশেই নির্মাণ করা হয় একটি একটি ছোট ঘর যার আদল অনেকটা সেই জেল কুঠরির মত যেখানে শ্রীকৃষ্ণ জন্ম গ্রহন করেন। এটি নির্মাণের জন্য ১৯৫৩ সাল থেকে স্বামী অখণ্ডনন্দের তত্বাবধানে খনন কাজ শুরু করা হয়। ১৯৮২ সালে এই প্রতীকী জেল গৃহের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
এই মন্দির নির্মিত হলেও আওরঙ্গজেব নির্মিত ঈদগাহ এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ এখনও টিকে আছে আদি কেশব দেও মন্দিরের স্থানে।এখনও সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা নামাজ পড়েন ঈদ উতসব পালন করেন। সেখানে একটি আচরও লাগতে দেয়নি ভারতের হিন্দুরা।বিশ্বের বুকে এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন আর একটিও নেই- একথা হলফ করে বলা যায়। যে উগ্র মতাদর্শের অনুসারীরা বারেবারে আমাদের পবিত্র স্থান ভূলুণ্ঠিত করেছে তাদের মসজিদ সেই আমরাই আবার রক্ষা করে চলেছি।কিন্তু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, দুনিয়ার অন্যকোন জাতি বা খোদ মুসলিমদের সাথে এমন করা হলে তারা কি করতেন ওই ধ্বংসকারীদের সাথে। 

আরও জানার জন্য পড়তে পারেন https://en.wikipedia.org/wiki/Kesava_Deo_Temple

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির,উত্তরপ্রদেশ


কাশী বিশ্বনাথ মন্দির

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভারতের একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। এটি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বারাণসীতেঅবস্থিত। মন্দিরটি গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির "জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির" নামে পরিচিত শিবের বারোটি পবিত্রতম মন্দিরের অন্যতম। মন্দিরের প্রধান দেবতা শিব "বিশ্বনাথ" বা "বিশ্বেশ্বর" নামে পূজিত হন। বারাণসী শহরের অপর নাম "কাশী" এই কারণে মন্দিরটি "কাশী বিশ্বনাথ মন্দির" নামে পরিচিত। মন্দিরের ১৫.৫ মিটার উঁচু চূড়াটি সোনায় মোড়া। তাই মন্দিরটিকে স্বর্ণমন্দিরও বলা হয়ে থাকে।

হিন্দু পুরাণে এই মন্দিরটির উল্লেখ পাওয়া যায়। মন্দিরটি শৈবধর্মের প্রধান কেন্দ্রগুলির অন্যতম। অতীতে বহুবার এই মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের পাশে জ্ঞানবাপী মসজিদ নামে একটি মসজিদ রয়েছে। আদি মন্দিরটি এই মসজিদের জায়গাটিতেই অবস্থিত ছিল।বর্তমান মন্দিরটি ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর তৈরি করে দেন।১৯৮৩ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকার এই মন্দিরটি পরিচালনা করে আসছেন।


স্কন্দ পুরাণের কাশীখণ্ডে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। একাদশ শতাব্দীতে হরি চন্দ্র মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। ১১৯৪ সালে মহম্মদ ঘোরি বারাণসীর অন্যান্য মন্দিরগুলির সঙ্গে এই মন্দিরটিও ধ্বংস করে দেন। এরপরেই আবার মন্দিরটি পুনর্নির্মিত হয়। এরপর কুতুবুদ্দিন আইবক মন্দিরটি ধ্বংস করেন। আইবকের মৃত্যুর পর মন্দিরটি আবার নির্মিত হয়। ১৩৫১ সালে ফিরোজ শাহ তুঘলক মন্দিরটি আবার ধ্বংস করেন। ১৫৮৫ সালে আকবরের রাজস্বমন্ত্রীটোডরমল আবার মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন।এরপর ১৬৬৯ সালে আওরঙ্গজেব পুনরায় মন্দিরটি ধ্বংস করে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করান। এই মসজিদটি আজও মন্দিরের পাশে অবস্থিত।মসজিদের পিছনে পুরনো মন্দিরের কিছু ধ্বংসাবশেষ আজও দেখা যায়।আওরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে এই মসজিদ নির্মাণ করিয়েছিলেন। মন্দিরের ভিত্তি, স্তম্ভ ও সম্মুখভাগের দেওয়ালে আদি হিন্দু মন্দিরটির কিছু কিছু নিদর্শন স্পষ্ট দেখা যায়। পুরনো মন্দিরের পাঁচিলটি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হয়। মন্দিরের কিছু কিছু অংশকে স্পষ্টভাবে মসজিদের গায়ে রাখা হয়েছিল “সতর্কবার্তা ও হিন্দু মানসের প্রতি অপমান” হিসেবে।মসজিদটি এখনও চালু আছে। এটি ধর্মস্থান (বিশেষ সুবিধা) আইন, ১৯৯১ অনুসারে বিশেষ সুরক্ষা পেয়ে থাকে।

                                           
                                                           জ্ঞানবাপী বা আলমগিরি মসজিদ

১৭৮০ সালে হিন্দু মারাঠা রানি অহল্যা বাই হোলকার কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। নবনির্মিত মন্দিরটি মসজিদের পাশেই নির্মিত হয়। সেই সময় থেকে মন্দির ও মসজিদ দুটি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। দুইয়ের মাঝে লোহা ও কাঁটাতারের বেড়া আছে। দুইয়ের মাঝে জ্ঞানবাপি নামে কুয়োটিও আছে। আওরঙ্গজেব মন্দির আক্রমণ করলে মন্দিরের শিবলিঙ্গটিকে এখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ।১৮৩৫ সালে পাঞ্জাবের শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিংহ মন্দিরের চূড়াটি ১০০০ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে মুড়ে দেন।
মন্দির চত্বরটি অনেকগুলি ছোটো ছোটো মন্দির নিয়ে গঠিত। এই মন্দিরগুলি গঙ্গার তীরে "বিশ্বনাথ গলি" নামে একটি গলিতে অবস্থিত। প্রধান মন্দিরের মধ্যে একটি ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু ও ৯০ সেন্টিমিটার পরিধির শিবলিঙ্গ রুপোর বেদির উপর স্থাপিত। ছোটো মন্দিরগুলির নাম কালভৈরব, দণ্ডপাণি, অবিমুক্তেশ্বর, বিষ্ণু, বিনায়ক, শনীশ্বর, বিরূপাক্ষ ও বিরূপাক্ষ গৌরী মন্দির। মন্দিরের মধ্যে জ্ঞানবাপী নামে একটি ছোটো কুয়ো আছে। কথিত আছে, মুসলমান আক্রমণের সময় প্রধান পুরোহিত স্বয়ং জ্যোতির্লিঙ্গটি রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সেটি নিয়ে এই কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছিলেন।


                    
                                                                      জ্ঞানবাপী কুয়া 

কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী পবিত্রতম মন্দিরগুলির অন্যতম। আদি শঙ্করাচার্য, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, গোস্বামী তুলসীদাস, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী,গুরু নানক প্রমুখ ধর্মনেতারা এই মন্দির দর্শনে এসেছিলেন।হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, গঙ্গায় একটি ডুব দিয়ে এই মন্দির দর্শন করলে মোক্ষ লাভ করা সম্ভব।


কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে বানানো হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ

                           
                            জ্ঞানবাপী বা আলমগিরি মসজিদ                              

                         
                           বর্তমানের কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির

কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের নাম তো মনে হয় শোনা আছে।কিন্তু জ্ঞানবাপী মসজিদ বা আলমগিরি মসজিদ এর নাম কি শুনেছেন? না শোনারই কথা,শুনলে জানলে যদি সেকুলার দের ভণ্ডামো ধরে ফেলেন।বখতিয়ার খিলজি ১৭ সৈন্যের রুপকথা বেদ বাক্যের মত জানি আর সুকৌশলে নালন্দা ধ্বংসের কথা এড়িয়ে যাই। যা হোক,জ্ঞানবাপী হল কাশীর সেই মসজিদ যা মন্দির খাদক আউরাংজেব বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে তারই ধ্বংসাবশেষ গুলো দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন আর হিন্দুদের কে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন,দেখ তোমার মন্দিরে এখন গো মাতা জবাই দিই।হিন্দুদের লজ্জা দেবার জন্য মন্দিরের কারুকাজ গুলো কোনরকম ঢাকার চেষ্টা করে নি, যাতে উঠতে বসতে ওদের মনে করিয়ে দেয়া যায় এটা কিন্তু মন্দির ছিল।মন্দিরের ভিত্তি, স্তম্ভ ও সম্মুখভাগের দেওয়ালে আদি হিন্দু মন্দিরটির কিছু কিছু নিদর্শন স্পষ্ট দেখা যায়।পুরনো মন্দিরের পাঁচিলটি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হয়। মন্দিরের কিছু কিছু অংশকে স্পষ্টভাবে মসজিদের গায়ে রাখা হয়েছিল “সতর্কবার্তা ও হিন্দু মানসের প্রতি অপমান” হিসেবে।

১৭৮০ সালে হিন্দু মারাঠা রানি অহল্যা বাই হোলকার কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। নবনির্মিত মন্দিরটি মসজিদের পাশেই নির্মিত হয়। সেই সময় থেকে মন্দির ও মসজিদ দুটি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। দুইয়ের মাঝে লোহা ও কাঁটাতারের বেড়া আছে। দুইয়ের মাঝে জ্ঞানবাপি নামে কুয়োটিও আছে। আওরঙ্গজেব মন্দির আক্রমণ করলে মন্দিরের শিবলিঙ্গটিকে এখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।মসজিদের ৭১ মিটার উঁচু মিনারগুলি ১৯৪৮ সালের বন্যায় ভেঙে গেলে পুনঃনির্মিত হয়।

মসজিদটি এখনও চালু আছে। এটি ধর্মস্থান (বিশেষ সুবিধা) আইন, ১৯৯১ অনুসারে বিশেষ সুরক্ষা পেয়ে থাকে।

এটাই হন ভারতভুমির চিরন্তন সেকুলারিজম,এটাই হল রামচন্দ্রের রাজ্যনীতি বা রাম রাজত্ব।ঠিক যেমন সোমনাথ ধ্বংস করে নির্মিত মসজিদ আবার হিন্দুরাই পাশে নির্মাণ করে দেয়,রাম জন্মভুমিতে রামমন্দিরের জায়গা মুসলিমের সাথে ভাগকরে নিতে পারে,কৃষ্ণ জন্মভুমি মথুরাতে কৃষ্ণ মন্দিরে ভেঙ্গে নির্মিত মসজিদ হিন্দুদের অর্থে সংস্কার করা হয়।

তথ্যসূত্র; http://en.wikipedia.org/wiki/Gyanvapi_Mosque

লিখেছেন Arya Kshatriya

Saturday, September 28, 2013

পুরাণে বর্ণিত নবদুর্গা



সামনেই দুর্গা পূজা। দুর্গা পূজা উপলক্ষে আমারা বেশ কিছুদিন ধরে বিশেষ পোস্ট দিয়ে যাচ্ছি।তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের সামনে বলব নব দুর্গার কথা। অর্থাৎ দেবী দুর্গার নয়টি রূপ। সে গুলো
হল শৈলপুত্রী , ব্রহ্মচারিণী , চন্দ্রঘণ্টা , কূষ্মাণ্ডা , স্কন্দমাতা , কাত্যায়নী , কালরাত্রি , মহাগৌরী ,সিদ্ধিদাত্রী।
               
শ্রী শ্রী চণ্ডী"তে যে দেবীকবচসংযোজিত-তার ঋষি ব্রহ্মা, ছন্দ অনুষ্টুপ ও দেবতা চামুণ্ডা। শ্রীচণ্ডিকা দেবীর প্রীতি সাধনের জন্য চণ্ডীপাঠের অঙ্গরূপে দেবীকবচ পাঠের প্রয়োগ করা হয়। ঋষি মার্কণ্ডেয় প্রজাপতি ব্রহ্মার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এই জগতে যা সকল লোকের পক্ষে মঙ্গলকর, অথচ পরম গোপনীয় এবং অন্য কারো কাছে ব্যাখ্যাত হয়নি, সেটা কি? উত্তরে ব্রহ্মা বলে, দেবীর পুণ্য কবচই (বর্ম) অতি গোপনীয় এবং সকল জীবের পক্ষে কল্যাণকর।
তারপরই ব্রহ্মা মহামুনি মার্কণ্ডেয়কে নবদুর্গার কথা বলেন। এই নবদুর্গা হলেন,
প্রথমং শৈল্যপুত্রীতি দ্বিতীয়ং ব্রহ্মচারিণী।
তৃতীয়ং চন্দ্রঘন্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম।।
পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি ষষ্ঠং কাত্যায়নী তথা।
সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টকম।।
নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ নবদুর্গাঃ প্রকীর্তিতাঃ।
এভাবে পুরাণে নব দুর্গার কথা বলা হয়েছে।
>দেবী শৈলপুত্রিঃ
_______________
দক্ষযজ্ঞে দেবী ভগবতী সতী যখন শিবনিন্দা শুনে দেহত্যাগ করলেন, তখন মহাদেব ক্রোধে উন্মত্ত ও শোকে বিহ্বল হয়ে সেই দক্ষযজ্ঞ ধ্বংস করে সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে উন্মত্তের মতো সারা ত্রিলোক ঘুরতে লাগলেনত্রিভুবন তাঁর তাণ্ডবনৃত্যে সন্ত্রস্ত কম্পিত হয়ে উঠল। বিশ্বের এই বিপদ সামলাবার জন্য নারায়ণ তাঁর সুদর্শন চক্রে শিবস্কন্ধস্থিত দেবীর শরীর একটু একটু কবে কেটে ফেলতে লাগলেন। দেবী দেহের সেই টুকরো যেখানে পড়ল সেখানে সৃষ্টি হল একান্নটি শক্তিপীঠ। আর এদিকে ভাববিভোর শংকর তাঁর কাঁধে দেবীর শরীর না পেয়ে আত্মস্থ হয়ে কৈলাসে গিয়ে ধ্যানে বসলেন। শক্তি লাভের জন্য শুরু হল মহাদেবের তপস্যা।
অন্যদিকে স্বর্গরাজ্যে তারকাসুরের অত্যাচারে দেবতারা বিপন্ন হয়ে ব্রহ্মার কাছে গেলে তিনি বিধান দিলেন -উপযুক্ত সেনাপতির অভাবে তোমাদের এই পরাজয়। এই সেনাপতি হবেন,শিব-শক্তির মিলনের ফলে সৃষ্ট হবেন যিনি,সেই কুমার। দেবতারা তখন দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়াকে কাতর হয়ে প্রার্থনা করতে লাগলেন - মা, তুমি এসো, আবির্ভূত হও, শিবসঙ্গে আবার বিরাজিত হও-আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষার জন্য তোমার ও দেবাদিদেবের মিলনে একটি উপযুক্ত সেনাপতি আমাদের দান কর।দেবতাদের এই কাতর প্রার্থনায় মহাদেবী দুর্গা আবার মর্ত্যশরীর ধারনে স্বীকৃতা হলে। এর আগে নাগাধিরাজ হিমালয় ও পত্নী মেনকা স্বয়ং জগদম্বাকে কন্যারূপে পাওয়ার জন্য অনেক তপস্যা করেছিলেন। এখন দেবতাদের ইচ্ছা ও হিমালয়ের প্রার্থনা পূর্ণ করবার জন্য দেবী পার্বতী হৈমবতী কন্যা হয়ে হিমালয়ের গৃহে জন্ম নিলেন। তখনই তাঁর নাম হল শৈলপুত্রী। এই দেবীর সৃষ্টি এইভাবেই হয়েছিল। ইনিই পরে শিবের জন্য তপস্যা তাঁর সঙ্গে মিলিত হয়ে কার্ত্তিকের জন্মদান করেন।
 >দেবী মহাগৌরীঃ
________________
দেবী মহাগৌরী, বৃষভবাহনা চতুর্ভুজা, শ্বেতবর্ণা, শ্বেতবস্ত্রাবৃতা। অলংকারাদিও শ্বেতবর্ণের-শঙ্খবলয়, কণ্ঠ ও কর্ণের ভূষণও শঙ্খনির্মিত। শিরে রজত মুকুট। সদা অষ্টবর্ষা দেবী কুন্দপুষ্পের মাল্যধারিণী বিধুমুখী সদাপ্রসন্না। এঁর ঊর্ধ্ব দক্ষিণ হস্তে ত্রিশূল, নিচের দক্ষিণ হাতে অভয় মুদ্রা। বাম ঊর্ধ্ব হস্তে বরমুদ্রা, নিচের হাতে ডমরু।
এক পুরাণের মতে দেবী শিবের তপস্যার সময় অত্যন্ত কৃচ্ছ্রতার ফলে শীর্ণ ও কৃষ্ণকায়া হয়ে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর একটি নাম হয়েছিল অসিতা। পরে শিবের সঙ্গে বিবাহ হয়ে যাওযার পরে কোন এক সময় শিব দেবীর সেই কালো দেহবর্ণের জন্য উপহাস করে তাকে কালী বা কালোমেয়ে বলেছিলেন। এই কথা শুনে দেবী অভিমানে কৈলাস ছেড়ে চলে গিয়ে কঠোর তপস্যায় নিযুক্ত হলেন। সেই তপস্যার ফলে তাঁর দেহের কৃষ্ণ কোষ খুলে গিয়ে ভেতর থেকে এক দিব্যজ্যোতির্ময়ী রজতশুভ্রবর্ণা দেবীমূর্তি প্রকাশিত হলেন। বিদ্যুত্বর্ণা সেই দেবীই শিবের বাহন ও সব অস্ত্রাদি নিয়ে তাঁর কাছেই হাজির হলেন।শিবও অভিমানিনী দেবীর অভিমান ভাঙাতে ও তাঁর জন্য এতোদিন ব্যাকুল অপেক্ষায় থাকার পরে অপরূপা দেবীকে কাছে পেয়ে তাঁর নাম দিলেন মহাগৌরী-শুধু গৌরী নন।
আরেকটি মত আছে-শিব নিজেই সেই কৃষ্ণবর্ণা তপস্বিনীর বরতনু গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে তাঁকেই বিদ্যুৎবর্ণা মহাগৌরী করে তোলেন।
>দেবী কাত্যায়নীঃ
____________________
কাত্যায়নীং দশভুজাং মহিষাসুরঘাতিনীং নমামি বরদাং দেবীং সর্বদেবনমস্কৃতাম্।এই দেবী কাত্যায়নীর উদ্ভব হিমালয়ে কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে। ঋষি কাত্যায়ন কাত্য গোত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি কঠোর তপস্যা করেছিলেন দেবী অম্বিকাকে তাঁর কন্যা হিসাবে পাওয়ার জন্য। দেবী তাঁর তপস্যায় প্রসন্না হয়ে সেই প্রার্থনা স্বীকার করে বলেছিলেন, দেবতাদের প্রয়োজনে আমি তোমার তপোবনে আবির্ভূত হয়ে তোমার সেবা গ্রহণ করব।
এরপরে দৈত্যরাজ মহিষাসুরের অত্যাচারে দেবতারা কাতর হয়ে একত্রে মহাশক্তির আরাধনা করবার সময় তাঁদের ক্রোধসঞ্জাত তাপ ও তেজ একত্রিত হয়ে এক অপরূপা দেবীমূর্তির সৃষ্টি হয়েছিল। দেবীকে দেবতারা নিজেদের অস্ত্র থেকে অস্ত্রাদি দিয়ে ও নানা বসনভূষণে সাজিয়ে দিয়ে তাঁর কাছে মহিষাসুর বধের জন্য প্রার্থনা জানান। সেই দেবীর সৃষ্টি হয়েছিল হিমালয়ের কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবী কাত্যায়নকে দেওয়া তাঁর কথা রাখলেন ভাদ্র কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর দিন কাত্যায়নাশ্রমে এই দেবী প্রকট হন। তারপর সপ্তমী,অষ্টমী ও নবমীর তিনদিন এই আশ্রমে থেকে কাত্যায়নের পূজা গ্রহণ করেন। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিতে তিনি চণ্ডমুণ্ডকে চামুণ্ডামূর্তিতে বধ করেন। আর দশমীর দিন তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন। এই কারণেই দেবীর একটি নাম হয় কাত্যায়নী। কাত্যায়নপূজিতা দেবী এই নামে তিনি খ্যাত হন।
কাত্যায়নী দেবীর মাহাত্ম্য দ্বাপরের কিছু ঘটনাতেও জানা যায়। দক্ষযজ্ঞে সতীর দেহত্যাগের পর তাঁর দেহ শিবের কাঁধ থেকে বিষ্ণুচক্রে খণ্ডিত হয়ে যখন ভারতের একান্নটি স্থানে পড়ে একান্নপীঠ হলো-তখন সেই পীঠগুলিও বিভিন্ন নামে দেবী ভগবতীর মূর্তি জ্ঞানে মর্তের ভক্তদের উপাসনাস্থল হিসাবে পূজিত হতে লাগল। এই রকম একটি পীঠ হলো ব্রজধামে বৃন্দাবনে,যেখানে দেবীর কেশগুচ্ছ পড়েছিল। তাঁর সেই কুঞ্চিত দিব্য কেশপাশ প্রস্তরীভূত হয়ে আজও বিরাজিত। সেখানে তাঁর নাম কাত্যায়নী।ব্রজে কাত্যায়নী পরা।বৃন্দাবনের গোপী-গোপেরা ছিলেন শাক্ত। তাঁদের আরাধ্য দেবী ছিলেন এই কাত্যায়নী। প্রতিটি উত্সবপর্ব ঘিরে ছিল এই কাত্যায়নী দেবীকে নিয়ে। ব্রজের কুমারী গোপিনীরা এই কাত্যায়নী দেবীর কাছেই তাঁদের প্রাণধন নন্দ নন্দনকে পতি হিসাবে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল প্রার্থনা জানিয়ে ব্রত উপবাস পূজা করতেন। তাঁদের পূজার মন্ত্র ছিল,“কাত্যায়নী মহামায়ে মহাযোগিন্যধীশ্বরী/নন্দগোপসুতং দেবি পতিং মে কুরুতে নমঃ।এই মন্ত্র ও কাহিনী শ্রীমদ্ভাগবতের দশম স্কন্দে আছে। এই সিদ্ধমন্ত্র দেবী কাত্যায়নীর পূজায় উচ্চারিত হওয়ার ফলও ব্রজবিলাসিনীরা পেয়েছিলেন। দেবীর কৃপায় তাঁদের কৃষ্ণপ্রাপ্তি পরাভক্তি লাভ হয়েছিল। দেবী কাত্যায়নী সুখদা-মোক্ষদা। কৃষ্ণপ্রাপ্তিরূপ পরমানন্দ, মোক্ষ তাঁদের লাভ হয়েছিল। সত্যযুগে দেবতাদের অসুরদের হাত থেকে রক্ষা করে তাঁদের ভোগ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর দ্বাপরে ঐকান্তিক ভক্তদের পূজায় প্রসন্না হয়ে তাঁদের নিঃশ্রেয়স্ বা পরমপ্রেমের আস্বাদন করিয়ে কৃতার্থ করেছিলেন।
>দেবী স্কন্দমাতাঃ
________________
এই সনত্কুমার বা স্কন্দ হচ্ছেন কার্ত্তিক। পার্বতীর পুত্ররূপেই স্কন্দের পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

>দেবী চন্দ্রঘন্টাঃ
___________________
রম্ভাসুরের ছেলে মহিষাসুর যখর প্রচণ্ড বিক্রমে দেবতাদের হারিয়ে দিয়ে স্বর্গরাজ্য দখল করেছিল, তখন দেবতারা একত্রিত হয়ে তাঁদের নেতা ব্রহ্ম-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শরণাপন্ন হলে সেই তিন দেবতা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। তখন তাঁদের শরীর থেকে তেজ বাইরে এসে এক জায়গায় পুঞ্জীভূত হতে লাগলো। ক্রমে অনান্য দেবতারাও উত্সাহিত হয়ে নিজের নিজের শরীর থেকে তেজরাশি বাইরে এনে ঐ তেজকে সমৃদ্ধ করলেন। ফলে দেবতাদের দেহসঞ্জাত তেজ থেকে সৃষ্টি হলো এক অতুলনীয়া দেবীমূর্তির। ইনিই আদিশক্তি।সকল দেবতাদের অন্তরের শক্তিরূপেই তিনি তাদের ভেতরে ছিলেন।তাঁরই শক্তিতে এইসব দেবতারা শক্তিমান ছিলেন। আজ বিপদাপন্ন হয়ে সেই শক্তিকে বাইরে এনে তাকে দেওয়া হল ঐশী শক্তির দেবীমূর্তি। নানা দেবতার শক্তিতে শক্তিমতী সেই দেবীকে দেখে আহ্লদিত দেবতারা তাঁদের নিজের নিজের অস্ত্রাদি থেকে নূতন অস্ত্র সৃষ্টি করে দেবীর করকমলে সেগুলি ধরিয়ে দিলেন। তাঁকে নানা অলংকার বস্ত্রাদিও তাঁরা দিলেন-মনের মত করে নানা দ্রব্যসম্ভারে তাঁকে সাজিয়ে তাঁর বন্দনা করে প্রার্থনা জানালেন-মা আমাদের সমূহ বিপদ। অসুর মহিষরাজের হাত থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর, স্বর্গরাজ্য আমাদের ফিরিয়ে দাও।
তাঁকে নানা অস্ত্র-শস্ত্রাদি যখন সব দেবতারা দিচ্ছিলেন, তখন দেবরাজ ইন্দ্র, “দদৌ তস্যৈ সহস্রাক্ষোঘণ্টাম ঐরাবতং গজাৎতাঁর বাহন ঐরাবৎ হাতির গলায় ঘণ্টা থেকে একটি ঘণ্টা নিয়ে দেবীর একটি হাতে দিলেন। ঘণ্টা সর্ববাদ্যময়ী।যুদ্ধ উত্সবে প্রাচীনকালে ,এমনকি এখনও নানা বাদ্যাদি বাজানো হয়। যাকে মিলিটারী ব্যান্ড বলে। দেবীর সেই যুদ্ধে এই ঘণ্টা সেই রকম একটি বাদ্য ও বাজনা। তবে এটি দৈবশক্তিসম্পন্ন। এই ঘণ্টানাদ বিকট শব্দ সৃষ্টি করেছিল হিরস্তি দৈত্য তেজাংসি স্বনেনাপূর্য্য যা জগৎসেই ঘণ্টার শব্দেই দৈত্যদের প্রাণ ভয়ে খাঁচাছাড়া অবস্থা হয়েছিল। তাদের তেজ হরণ করবার জন্য দেবী সেই প্রচণ্ড শব্দের ঘণ্টাবাজিয়েছিলেন। তাই যুদ্ধের পরে দেবতারা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন,মা তোমার ঐ যে ঘণ্টা অসুরদের তেজ হরণ করেছিল সেই ঘণ্টার আমরাও শরণ নিচ্ছি, আমাদের পাপকে সেই ঘণ্টা যেন হরণ করে নেয়। সা ঘণ্টা পাতু নো দেবি পাপেভ্যো নঃ সুতাম্ইব এই জন্য দেবীর একটি নাম চণ্ডঘণ্টা-যিনি প্রচণ্ড শক্তিসম্পন্ন আওয়াজ সৃষ্টিকারী ঘন্টা ধারণ করে আছেন,তিনি চণ্ডঘণ্টা।
>দেবী ব্রহ্মচারিণীঃ
___________________
দেবী শিবকে পতি হিসাবে পাওয়ার জন্য হিমালয়ে যখন কঠোর তপস্যা করেছিলেন,তখনকার তপস্বিনী মূর্তি এটি। ব্রহ্ম শব্দের একটি অর্থ তপস্যা। তপের বা তপস্যার আচরণকারিণী তাই ব্রহ্মচারিণী। বলা হয় বেদস্তত্বং তপব্রহ্ম"বেদ, তত্ত্ব আর তপ ব্রহ্মের অর্থ। ব্রহ্মতত্ত্ব চিন্তাময়ী, তপস্বরূপিনী দেবী অম্বিকা পার্বতীর এই তপোময়ী মূর্তিই ব্রহ্মচারিণীর স্বরূপ। ঐ কল্পে শিবকে পতি হিসাবে পাওয়ার জন্য তিনি আহার-নিদ্রা সংযম করে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। এমনকি গলিত পত্রও তিনি গ্রহণ করেননি আহার্য হিসাবে। তাই তখন তাঁর নাম হয়েছিল অপর্ণা। তাঁর এত কঠোর তপস্যা দেখে মাতা মেনকা মিনতি করে বলেছিলেন-উ-মা’,আর নয় মা,এতো কষ্ট কোরো না। তখন তার প্রসন্ন হয়ে চন্দ্রমৌলিশ্বর মহাদেব প্রথমে মদন ভস্ম করেন, তারপর তার চিরসঙ্গিনী দেবী পার্বতীকে পত্নীত্বে বরণ করেন। দেবী পার্বতীর সেই হিমালয়ের ব্রহ্মচর্যব্রতধারিণী বিগ্রহের স্মরণে এই নবদুর্গার দ্বিতীয়ায় নাম হয়েছে ব্রহ্মচারিণী।
>দেবী কালরাত্রীঃ
________________________
এরপরে কালরাত্রি। মহারাত্রিতে জগতের বিলয়। তখন স্রষ্টা মাত্র জাগ্রত আর সব নিদ্রা-ভিভূত। আর কালরাত্রিতে স্রষ্টাও নিদ্রামগ্ন-যোগনিদ্রামগ্ন। শুধুমাত্র জেগে থাকেন আদ্যাশক্তি সৃষ্টির বীজ পুঁটুলি বেঁধে, এই যোগনিদ্রাই কালরাত্রি। সমগ্র পৃথিবীকে, পৃথিবীর সমস্ত জীবজন্তুকে ও বিশ্বনাথকেও যিনি নিদ্রায় আচ্ছন্ন করেন তিনিই কালরাত্রি। তিনি কালেরও কলনকর্ত্রী। প্রণীমাত্রকে গ্রাস, কলন করেন বলে শিব মহাকাল, আর মহাপ্রলয়ে এই মহাকালও মহাপ্রকৃতিতে লীন হয়ে যান। মহানিদ্রাচ্ছন্ন হন। কালসংগ্রসনাৎ কালীতন্ত্রমন্ত্রে শিব আদি পুরুষ আদি প্রকৃতি দেবী ভগবতী আদ্যাশক্তি, তিনি শিবেরও নিয়স্ত্রী। সৈব মায়া প্রকৃতির্যা সংমোহয়তি শংকরম।তিনি সবকিছু সংহরণ করেন, সম্মোহিত করেন, নিদ্র্রাভিভূত করেন। তাঁর মায়া প্রভাবে ত্রিভূবন আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তিনি গ্রাস করেন। সব সৃষ্টির বীজ তিনি নিজের শরীরে ধারণ করে পরবর্তী কল্পের পূর্ব পর্যন্ত নিরাকার তামসী জ্ঞানেচ্ছা-ক্রিয়াময়ী অখণ্ড এক সত্তারূপে বিরাজ করেন, ইনিই কালরাত্রি। ত্বং কর্ত্রী কারয়িত্রী করণ-গুণময়ী কর্মহেতু স্বরূপাএই অব্যাকৃতা-মহামায়াই জগতের আদিকারণ ব্রহ্মময়ী পরব্রহ্মের পট্টমহিষী
এখানে যে কালরাত্রি তিনি দেবী মহাকালী বলেই পূজিতা কালী কৃষ্ণবর্ণা ঘোরা। সাদা-লাল-হলুদ সব রংই কালো রং-এ মিশে যায়। মিশে এক কালো হয়ে যায়। সেই রকম বহু বিচিত্র বর্ণবিভূষিত এই জগৎ এক কারণরূপিণীকালো মায়ের শরীরে লীন হয়ে যায় তাই সর্ববর্ণময়ী মা আমার কালো। নির্গুণা, গুণাতীত, নিরাকার মা, সবকিছু তাঁর মধ্যে টেনে নিয়ে এক করে দেন তাই তিনি কালো। তাঁর ললাটে চন্দ্রকলা। তিনি নিত্যা। চির অমৃতের আধার, অমৃতের প্রতীক চন্দ্র তাই তাঁর শিরে শোভমান। ত্রিনেত্রা তিনি ত্রিলোক দর্শন করেছেন, সদা জাগ্রতা, রক্ষা করেছেন, চন্দ্র-সূর্য-অগ্নি তাঁর নেত্র, জীবকে সর্বদা সর্বোতভাবে পালন করছেন তাঁর ত্রিনেত্রে।
রুধিরাক্ত ওষ্ঠদ্বয় সদা দন্তপংক্তিতে চেপে রেখেছেন। লাল রক্ত রজোগুণের, আর সাদা দাঁত সত্ত্বগুণের প্রতীক। সত্ত্বগুণ দিয়ে রজোগুণকে অুভিভূত করে রেখেছেন।
তাঁর খড়্গ জ্ঞান অসি। মুণ্ডমালা ও করধৃত মুণ্ড কৃপায় সন্তানের শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা ও সৃষ্টির বীজ বহন করা। বরাভয় করদ্বয় সন্তানের জন্য সদামঙ্গলময়ী মায়ের কৃপা করুণার, প্রসন্নতার প্রতীক। ভীষণা হলেও, রুদ্রাণী হলেও কাতর সন্তান পাছে মায়ের ঐ মূর্তি দেখে ভয় পেয়ে দূরে সরে যায়-তাই অভয়া বরদা বলেছেন, ‘ভয় নেই, কাছে আয়, তোর যা চাই তাই তুই পাবি। শুধু নির্ভয় হয়ে একান্তে সবকিছু ছেড়ে একবার আমার কছে আয়।শরণাগত সন্তানের প্রতি অসীম করুণায় মায়ের এ চিরন্তন আশ্বাসবাণী। সমগ্র বিশ্বের কর্ত্রী, পালয়িত্রী, সংহন্ত্রী তিনি, তাই বিশ্বনাথও তাঁর চরণতলে।
>দেবী সিদ্ধিদাত্রীঃ
__________________
মার্কণ্ডেয় পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ইত্যাদিতে অণিমা-লঘিমা ইত্যাদি এবং সর্বজ্ঞত্ত্ব-দূরদর্শন-দূরশ্রবণ-পরকায়প্রবেশ এই সব যোগবিভূতি বা সিদ্ধির কথা আছে। এমন অনেক সাধক আছেন যাঁরা ভগবত্শক্তির আরাধনা করেন এই সব যোগসিদ্ধির জন্যই। যথাশাস্ত্র সাধন করলে সাধক এই সব দুর্লভ সিদ্ধির অধিকারীও হতে পারেন। তবে এই ছোট্ট তবেআছে। এই সিদ্ধিই মায়ের দরজা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই সিদ্ধির প্রলোভন বা মোহ সহজ নয়। এতেই আটকে গেলে মায়ের দরজা আর সে ভক্ত খোলা পায় না। এগুলোকে যোগশাস্ত্রে সাধন বিঘ্ন বলা হয়েছে। লোককে আকৃষ্ট করবার জন্য নানা জনমনোহারিণীশক্তি সাধকের থাকতে পারে, সেও এ মা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায়। অবশ্য ঠিক ঠিক বলতে গেলে এটা তাঁর মায়ায়বলাই ভাল। দেবী সিদ্ধিদাত্রী অবোধ সন্তানকে ভুলিয়ে রেখেছেন তাকে ছেলেখেলা দিয়ে, তার মুখে রঙিন চুষিকাঠি দিয়ে নিজে দূরে সরে রয়েছেন। সাধ্য বস্তু ভুলিয়ে দেয় এই পার্থিব সিদ্ধির মোহ। দেবী সিদ্ধিদাত্রীর এও এক লীলা! যে তাঁকে চায় সে তাঁকে পায়, যে তাঁকে না চায় তাকে পঞ্চভূতে নাচায়আর এই পঞ্চভূতের ফাঁদে পড়ে কত ব্রহ্মা বিষ্ণু খাচ্ছে খাবিসাধারণ মানুষ এই সিদ্ধিকে দেখেই সিদ্ধকে বিচার করে সে কত উঁচু সাধক। মা সিদ্ধিদাত্রীর দেওয়া ঐ জাগতিক বাসনা-কামনা ও উচ্চাভিলাষ প্রার্থনা না করে তাঁর কাছে চাইতে হয় সেই চরম ও পরম বস্তু। আত্মজ্ঞান-পরাভক্তি। সর্বকামাবসায়িতা।
অসুর-যক্ষ-গন্ধর্ব-দেবতা-ঋষি-নর সকলেই এই পদ্মাসীনা স্বর্ণবর্ণা রক্তবস্ত্রধারিণী চতুর্ভুজা দেবীর করুণাঘন দৃষ্টির সামনে নতজানু হয়ে জানায় যার যার মনের কামনা। সিদ্ধিদাত্রী দেবীর কাছে যার যেমন যোগ্যতা যেমন আধার সে তাই চায়। গীতাতে যেমন ভগবান বলেছেন-যে যথা মাংপ্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্যে আমাকে যেমন ভাবে চায় আমি তাকে সেইভাবে পরিতৃপ্ত করি। জননী সিদ্ধিদাত্রীও তাই। সন্তানের খিদে না মিটলে তাকে জোর করে অন্য কিছু দেওয়া যাবে না। তাই তিনি জীবকে ভোগও দান করেন মোক্ষও দান করেন। মহাভারতের যুদ্ধের আগে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দেবী ভগবতীর কাছে জয়ের জন্য,সিদ্ধির জন্য প্রার্থনা করতে বলেছিলেন। রামায়ণে ব্রক্ষা রামচন্দ্রকে অকাল বোধনে দেবী ভগবতীর পূজা করিয়ে রাবণবধের সিদ্ধি প্রার্থনা করিয়েছিলেন। সমস্ত মার্কণ্ডের পুরাণে বিপর্যস্ত পরাজিত দেবতারা যুদ্ধজয়রূপ সিদ্ধির জন্য মায়ের বন্দনা করেছেন। দেবী জগদ্ধাত্রী করুণাময়ী জননীও আর্ত সন্তানের আর্তিতে ব্যাকুলতায় প্রকট হয়ে সেই সংগ্রামে তাঁদের সিদ্ধ করেছেন, আবার অনেক সাধক ব্যক্তি-জীবনের নানারিপুর সংগ্রামে আর্ত ব্যথিত হয়ে দেবীর শরণ নিয়ে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা জানায় দেবী যেন সেই সাধকের সামনে থেকে তাঁর মায়াজাল সরিয়ে নিয়ে তাকে তাঁর স্বরূপ দর্শন করিয়ে সিদ্ধ করেন। সুতরাং এ জগতে সকল প্রকার জীবই জীবনের অভ্যুদয় ও নিঃশ্রেয়সের জন্য এই জগদম্বা জগজ্জননী সিদ্ধিদাত্রীর কৃপাপ্রার্থী। সে জেনে হোক বা না জেনে হোক। অর্থাৎ জীবের সকল কর্মের সর্বপ্রকার সিদ্ধি বা জয় যিনি দান করেন-তিনিই সিদ্ধিদাত্রী। বুদ্ধিমান জ্ঞানী সাধকের তাই তাঁর চরণে আকুল প্রার্থনা: মা, কৃপা করে সিদ্ধিদার উন্মোচন করো, যাতে তোমার কৃপায় তোমার মায়ের আবরণ সরিয়ে তোমার-আমার স্বরূপ আমি উপলব্ধি করতে পারি। মানুষ জীবন যেন সার্থক হয়। মা কিছুই জানি না, একমাত্র তোমার কৃপাই সম্বল আমার
>দেবী কুষ্মাণ্ডা:
___________________
তন্ত্রে দেবী প্রসঙ্গে একটি শ্লোকও আছে- সুরাসর্ম্প্ণ কলসং রুধিরাপ্লুতমেব চ। দধানাহস্তপদ্মাভ্যাং কুষ্মাণ্ডা শুভদা¯ত্ত মে।।যদিও তার সঙ্গে এই দেবীর শরীরের সবটা মেলে না। তবে দেবীর নামের অর্থটি খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করলেন। উষ্মাশব্দের মানে তাপ। কুমানে কুৎসিত-কষ্টদায়ক তাপ হচ্ছে ত্রিতাপআধিভৌতিক - আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক এই ত্রিতাপই জীবের দুঃখের কারণ। সর্বপ্রকার বন্ধনের কারণ ত্রিতাপ। জীব সদা জর্জরিত এই ত্রিতাপে। এর হাত থেকে নিষ্কৃতি লাভই জীবের চরমকাম্য। এই ত্রিতাপ কুষ্মাযিনি উদরে ধারণ করেন গ্রাস করেন, তিনিই কুষ্মাণ্ডা। সন্তানকে রক্ষা করতে জননী তার সমস্ত দুঃখ নিজে হরণ করেন। যেমন মহাদেব সমুদ্র মন্থনের সময় সমস্ত হলাহল পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছেন, তেমনি জগজ্জননী দুর্গা আদ্যাশক্তি জগতের সর্বপ্রকার জ্বালা-যন্ত্রণার হাত থেকে সন্তানদের সর্বদা রক্ষা করতে করুণায় দ্রবীভূত হয়ে স্বেচ্ছায় সব তাপ নিজের শরীরে গ্রহণ করেন। দূরিতবারিণী-ত্রিতাপহারিণীমায়ের নাম তাই কুষ্মাণ্ডা।

কিন্তু এখানে দেবী দুর্গা বলেই তাঁর বিশেষ খ্যাতি। কুষ্মাণ্ডা বলে তাঁর পরিচিত শুধুমাত্র বছরের দু দিন। শরৎ ও বসন্তের শুক্লা চতুর্থীর দিন। এই দেবী দুর্গা কাশীর দক্ষিণ দিকের রক্ষয়িত্রী।

Thursday, September 26, 2013

ভারত বাংলাদেশের হিন্দু গনহত্যার চিত্র

কিছু হিন্দুবিদ্বেষী দেখা যাচ্ছে যারা কথায় কথায় মুসলিম নির্যাতনের কথা বলে।আর এসব নির্যাতন নাকি হিন্দুরা করেছে বিভিন্ন সময়। তারা চর্বিত চরবনের মত গুজরাট দাঙ্গা আর বাবরী মসজিদ ভাঙ্গারা কথা বলে। কিন্তু এই উপমহাদেশ সহ সারা বিশ্বে যারা ধ্বংস করছে তাদের মুখে এ কথা কি মানায়? এই ভণ্ডদের কাছে আপনি মুসলিম জঙ্গি প্রসঙ্গ আনলেই বলবে এ গুলো ইসলাম সমর্থন করে না, জঙ্গিরা প্রকৃত মুসলিম না। আবার এরাই মনের মধ্যে গভীর ভালবাসা জমা রেখেছে লাদেন দের জন্য।এ জন্য আজ শুধুমাত্র ভারতেই মুসলমানদের হাতে হিন্দু গণহত্যার কিছু ইতিহাস তুলে ধরব। গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে আমাদের লেখা http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_8659.html)



http://en.wikipedia.org/wiki/Moplah_Rebellion

http://en.wikipedia.org/wiki/Noakhali_genocide

http://en.wikipedia.org/wiki/1997_Sangrampora_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/1998_Wandhama_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/1998_Chamba_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/1998_Chapnari_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/2000_Amarnath_pilgrimage_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/2001_Kishtwar_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/Godhra_train_burning

http://en.wikipedia.org/wiki/2002_Raghunath_temple_attacks

http://en.wikipedia.org/wiki/2002_Qasim_Nagar_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/Akshardham_Temple_attack

http://en.wikipedia.org/wiki/2003_Nadimarg_Massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/2002_Kaluchak_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/Marad_massacre

http://en.wikipedia.org/wiki/2006_Varanasi_bombings

http://www.indianexpress.com/storyOld.php?storyId=1822

https://en.wikipedia.org/wiki/1993_Bombay_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/1998_Coimbatore_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/2000_terrorist_attack_on_Red_Fort

https://en.wikipedia.org/wiki/2002_Mumbai_bus_bombing

https://en.wikipedia.org/wiki/Kurnool_train_crash

https://en.wikipedia.org/wiki/2002_Jaunpur_train_crash

https://en.wikipedia.org/wiki/29_October_2005_Delhi_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/2003_Mumbai_bombing

https://en.wikipedia.org/wiki/2005_Jaunpur_train_bombing

https://en.wikipedia.org/wiki/2006_Mumbai_train_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/25_August_2007_Hyderabad_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/Jaipur_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Bangalore_serial_blasts

https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Ahmedabad_blasts

https://en.wikipedia.org/wiki/13_September_2008_Delhi_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/27_September_2008_Delhi_blast

https://en.wikipedia.org/wiki/29_September_2008_western_India_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Agartala_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Imphal_bombing

https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Assam_bombings


https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Mumbai_attacks

https://en.wikipedia.org/wiki/2009_Guwahati_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/2009_Assam_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/2010_Pune_bombing

https://en.wikipedia.org/wiki/2011_Mumbai_bombings


https://en.wikipedia.org/wiki/2011_Delhi_bombing

https://en.wikipedia.org/wiki/2012_Pune_bombings

https://en.wikipedia.org/wiki/2013_Hyderabad_blasts

https://en.wikipedia.org/wiki/2013_Bangalore_blast

আমি ক্লান্ত। 

; "মুসলিমদের নূন্যতম অধিকার নেই বাবরী মসজিদ ধ্বংস সম্পর্কে অভিযোগ করার।১০০০ খ্রিষ্টাব্দ হতে কাথিওয়ার থেকে বিহার,হিমালয় থেকে বিন্ধ্যাচল পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে।উত্তর ভারতের একটি মন্দিরও ধ্বংস থেকে বাঁচেনি।যে কয়েকটি বেঁচেছিল সেগুলো এইকারনেই যে প্রতিকূল ভৌগলিক অবস্থানের কারনে মুসলিম বাহিনী সেখানে পৌঁছতে পারেনি।অন্যথা এটা ছিল ধ্বংসের এক বিরামহীন যজ্ঞ।আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন কোন জাতি এটা ক্ষমা করবেনা।অযোধ্যার ঘটনা কখনোই ঘটতো না যদিনা মুসলিমরা(রাম মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ করার) ঐতিহাসিক সত্যটাকে স্বীকার করত।"
-
নিরোদ সি চৌধুরী,(তথাকথিত) শান্তির ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় গোঁড়ামী নিগ্রহের সংস্কৃতি সম্বন্ধে।

; এক বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার আগে পরে ১৯৮৯,১৯৯০,১৯৯২,১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে যে হাজার হাজার মন্দির ভাঙ্গা হয় তখন কই ছিলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশীরা? আপনাদের নূন্যতম অধিকার নেই বাবরী মসজিদ ধ্বংস সম্পর্কে অভিযোগ করার।

; মাইনোরিটি ওয়াচের সমীক্ষা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৮/০২/২০১৩ইং থেকে ২৮/০৩/২০১৩ইং পর্যন্ত এদেশে সম্পূর্নভাবে ধ্বংস করা হয়েছে ১৮০টি মন্দির, আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে ১৫৪টি, সম্পূর্ন ধ্বংস করা হয়েছে ২৭৭টি বসত বাড়ি এবং আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে ২১২টি, লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ৫৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে , নারীর সম্ভ্রম হানি হয়েছে জনের, দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে ২০১২টি পরিবার, নিহতের সংখ্যা , পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ২৮জন, খোলা আকাশের নীচে বসাবাস করছেন ২৯০টি পরিবার, আর্থিক ক্ষতি আনুমানিক ১৭০ কোটি।
দেইল্যা রাজাকারের রায় দেওয়ার পর পরেই কি জানি কি কারনে হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস করা শুরু করে এক দল নর পিশাচের দল .
চট্টগ্রামের সাতকাহানিয়াতে চলে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। এরপরও এটাকে বলবেন আপনারা বিছিন্ন ঘটনা

; শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজার কথা বলেন? বুকে হাত দিয়ে বলেন সারা বাংলাদেশে এমন কোন বছর কি আছে যেখানে দুর্গাপূজায় প্রতিমা ভাঙচুর হয় নাই? গুগলে মন্দির ভাঙচুর, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর দিয়ে সার্চ দিলেই আপনাদের অস্মাপ্রদায়িক চেহারা বের হয়ে আসবে। তারা এভাবেই প্রতিদিন এক বাবরী মসজিদের কথা স্মরন করবে কিন্তু হাজারো সোমনাথ মন্দিরের দীর্ঘশ্বাস পেছনে রয়ে যাবে,আর থেকে যাবে তাদের ধ্বংসের এই সংস্কৃতি...

এবার দেখুন বাংলাদেশের চিত্র। যারা বলে এদেশে হিন্দু নির্যাতন হয় না বা এদেশের হিন্দুরা অন্যান্য দেশের সংখ্যালঘুদের থেকে ভাল আছে তাদের মুখের উপর এগুলো ছুড়ে দেবেন।  

১। http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_2047.html









কয়েক দিন আগের ঘটনা (কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে শপিংমলে মুসলিম জঙ্গি সংগঠন কত্রিক  হামলার ঘটনা) http://bd24live.com/4/হজরত-মুহম্মদের-মায়ের-নাম/#.UkOURIYp_fI

হজরত মুহম্মদের মায়ের নাম জানিস না? তবে গুলি খা

হজরত মুহম্মদের মায়ের নাম কী?” বলতে না পারায় গুলি করা হল এক ভারতীয়কে | নাইরোবির শপিং মল- |

৬৮ জনকে মেরে ফেলার পরে অনেক জনকে বন্দি করেছিল সোমালি জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব | তাদের কবল থেকে বেঁচে পালিয়ে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা | বন্দিদের মধ্যে বেছে বেছে -মুসলিমদের খুঁজছিল জঙ্গিরা | বলছিল,শাহাদা থেকে বলার জন্য | যাঁরা উত্তর দিতে পারছিলেন তাঁদের রেহাই দেওয়া হচ্ছিল | কিন্তু যাঁরা পারছিলেন না, তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছিল |
জঙ্গিদের হাত থেকে বেঁচে ফেরা একজন হলেন যোশুয়া হাকিম | তাঁর কথায়, জঙ্গিদের বেশির ভাগ টিন এজার | তারা মলের দোতলায় বন্দি করে অনেকজনকে | সেখানেই ছিলেন যোশুয়া | তিনি আই-কার্ডে খ্রিস্টান নামযোশুয়াআঙুল দিয়ে ঢেকে শুধুহাকিমকথাটা জঙ্গিদের দেখান | ফলে রেহাই পান | কিন্তু তাঁর পাশেই হজরত মুহম্মদের মায়ের নাম বলতে না পেরে লুটিয়ে পড়েন এক ভারতীয় | তবে তিনি আহত হয়েছেন না প্রাণ হারিয়েছেন, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি |
আল কায়দা ঘনিষ্ঠ এই জঙ্গিদের হানায় দুই ভারতীয়-সহ ৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন | আহত ২০০ জনের মধ্যেও আছেন চারজন ভারতীয় | তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং একজন বালিকা |

অন্তত ঈশ্বরের নামে জোরে জোরে চিৎকার করতে করতে নীরিহ মানুষ হত্যা করতে শিখিনি আমি অন্যের উপাসনালয় ভেঙ্গে বা দখল করে আমার ঈশ্বরের মন্দির গড়তেও শিখিনি আমি ভিণধর্মি নারীকে ফ্রি ভোগ করবার অনুমতি দেয়নি আমাকে আমার ঈশ্বর আমার ধর্মগুরুরা সহস্র মানুষের সামনে আমার ধর্মানুষ্ঠানে অন্যধর্মীদের গালিগালাজ করে না, আমাকে গালিগালাজে উৎসাহও দেয় না আমি যখন প্রার্থণা করি, সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুলের জন্য প্রার্থণা করি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এক সম্প্রদায়ের জন্য প্রার্থণা করে আজন্ম সাম্প্রদায়িকতা লালন করি না কাউকে জোর করে ধর্মান্তর করবার মত কুমন্ত্রও শেখানো হয়নি আমায়
শুধুমাত্র হিন্দু বলে যা যা করিনা আমি, যা যা শিখিনি তার জন্য নিশ্চিত করেই গর্বিত আমি নিশ্চিত করেই হিন্দু পরিবারে জন্মেছি বলে এতগুলো অপকর্ম আমাকে স্পর্শ করবে না কোনদিন