Pages

Wednesday, January 29, 2014

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই এক লাখ হিন্দু নিধন করা হয়


মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই এক লাখ হিন্দু নিধন


আমেরিকায় প্রকাশিত একটি বই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বড়সড় বিতর্কের ঝড় তোলে। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যলয়ের রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ের অধ্যাপক গ্যারি জে বাস তার প্রকাশিত দি ব্ল্যাড টেলিগ্রাম : নিক্সন কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটন জেনোসাইড বইতে লিখেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রায় এক লাখ হিন্দুকে নির্বিচারে খুন করেছিল।
তৎকলীন পূর্ব পাকিস্তানে আক্ষরিক অর্থে চালানো হয়েছিল গণহত্যা।  অসহায় ভাবে তখন খুন হয় বিপুল সংখ্যক হিন্দু। নিজেদের স্বার্থের জন্য তখন ভারত ও মার্কিন সরকার চোখ বন্ধ করেছিল বলেও ঐ বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলদেশে যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার কাজ চলে তখনই গ্যারি জে বাসের এই বই তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সাইক্লোন বইয়ে দেয় আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে।
আমেরিকায় এ সপ্তাহের শুরুতে বইটি প্রকাশিত হয়। বইটি বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে ৪০ বছর আগের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তাকে ঘিরে একাধিক অস্বস্তিকর প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। খবর বর্তমান , পিটিআই ও ওয়াশিংটনের।
জে বাস তার বইতে লিখেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আক্ষরিক অর্থেই গণহত্যা চালিয়েছিল। আর সর্বত্রই টার্গেট করা হয়েছিল হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত বাঙালীদের । যুদ্ধের শুরুতেই অসহায় অবস্থায় খুন হয়েছিলেন প্রায় ১ লাখ হিন্দু ।
অথচ আশ্চার্যজনকভাবে বিষয়টিকে ছোট করে দেখিয়েছিল সেই সময়ে ভারতের ক্ষমতায় থাকা ইন্দ্রিরা গান্ধির কংগ্রেস সরকার। শুধু তাই নয়, অদ্ভুতভাবে চোখ বন্ধ করে রেখেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ তম প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। এই নিরবতা কেন ? এমন প্রশ্ন তুলেছেন জে বাস তার বইতে।
শুধু মার্কিন প্রশাসন নয়, তখনকার ভারত সরকারের তীব্র সমলোচনা করেছেন লেখক জে বাস। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে যখন প্রত্যেকদিন নিয়ম করে হিন্দু নিধন চলছিল তখন ভারত সরকার বিষয়টির আসল গুরুত্ব প্রকাশে রাজি ছিলনা। কারণ, ইন্দিরা গান্ধি সরকার চায়নি তখনকার বিরোধী দল জনসংঘ তথা আজকের বিজেপি এই নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ পাক।
পাক সেনারা যখন নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে তখন ভারতের সংসদ সদস্যরা গোলাবারুদ দিয়ে হিন্দুদের সাহায্য করেনি। কারণ সেই একটাই, যদি গোলাবারুদ দেওয়া হয় , তাহলে গোটা গণহত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসবে। আর তা নিয়ে রাজনীতি করবে জনসংঘ বা বিজেপি।
বইয়ে তিনি আরো লিখেছেন, তখন পাকিস্তানী জেনরেল ইয়াহিয়ার হিন্দু নিধনের পক্ষে যুক্তি ছিল যে, পূর্ব পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ বাঙালি হিন্দু। এরা ইসলাম বিরোধী। এরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় তারা পরাজিত হয়েছেন।
ভবিষ্যতে শাসন কায়েম রাখতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে থাকা হিন্দু বাঙালিদের স্রেফ ছেঁটে ফেলা দরকারবলে মন্তব্য করেন ইয়াহিয়া।
বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযনে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের যুক্তি ছিল যে, “পূর্ব পাকিস্তান ভারতের দাসত্ব করছে। বহু ত্যাগের পর যে স্বাধীনতা এসেছে তাকে এবং দেশটাকেই আওয়ামীলীগ ধ্বংস করে দেবে।
তখন পাক সেনারা একে অপরের সঙ্গে মজা করে বলত,“আজ কত হিন্দু মেরেছ ?”
জে বাস লিখেছেন, সশস্ত্র পাক সেনাদের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় এক কোটি নিরস্ত্র হিন্দুর অসম লড়াই হয়েছিল। ভারতের সহযোগিতার কলঙ্ক এবং নয়াদিল্লির উদ্দেশ্য সাধনের অভিযোগের তকমা লাগানো হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুদের গায়ে।  যে কারণে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী হিন্দুদের ওপর চালিয়েছিল মর্মান্তিক গণহত্যা।
বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলোর হিসেব মতে, মুক্তিযুদ্ধে ২২ লাখের বেশি হিন্দু শহীদ হয়েছেন। এছাড়া ওই সময় প্রায় ১ কোটি বাঙালি আশ্রয় নিয়েছিল ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে।
দি ব্ল্যাড টেলিগ্রাম : নিক্সন কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটন জেনোসাইড বইতে গ্যারি জে বাস আরো লিখেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্চার ব¬াড ভেবেছিলেন, হিন্দুদের নিধন বা তাড়নো নিয়ে বেশি হইচই করার প্রয়োজন নেই।
বইতে সে সময় ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যও স্পষ্ট উলে¬ করা হয়েছে। তিনি এক বৈঠকে রিচার্ড নিক্সনকে স্বয়ং জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা চালাচ্ছে। আতঙ্কে প্রতিদিন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য  এক সময় কিসিঞ্জার নাকি বলেছিলেন, ইয়াহিয়া খান আবার একটা মূর্খের মতো ভুল করলো হিন্দুদের তাড়িয়ে। যদিও সেই বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের কথার কোন উত্তর দেননি কিসিঞ্জার।
জবাব মেলেনি নিক্সনের পক্ষ থেকেও।
ভারত এবং আমেরিকার নিজস্ব স্বার্থ এবং নিরবতার কারণেই বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র হিন্দুদের নির্বিচারে খুন করতে উৎসাহ পেয়েছিল বলে মনে করেন জে বাস। এত বছর পর এই তথ্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করলো।
আমাজন সাইট থেকে বইটি কিনতে পারবেন  http://www.amazon.com/The-Blood-Telegram-Kissinger-Forgotten/dp/0307700208

বইটি সম্পর্কিত একটি রিভিউ পড়ুন  http://online.wsj.com/news/articles/SB10001424127887323846504579073510606727756

Wednesday, January 22, 2014

***ব্রহ্মচর্য এবং উপনয়ন কি নারীদের জন্যও প্রযোজ্য?***



যেখানে বেদপ্রচারের ধারায় আজ সবাই জানে যে বেদপাঠ,উপনয়নে অধিকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার সেখানে আজও নিজেকে জোর করে উঁচুবর্ণের পরিচয় দানকারী কিছু দস্যু তা অস্বীকার করতে চায়পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব  নারীকে অবদমিত করে রাখার কুপ্রবৃত্তি  এর মূল কারন,আর এর সঙ্গে অজ্ঞানতা তো আছেই!আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের সমাজে আজও কিছু মানুষ এই প্রশ্ন তোলেআশা করি আজকের আলোচনার পর আর এবিষয়ে আর কোন প্রশ্ন এবং দ্বিধা প্রকাশের অবকাশ থাকবে না

আজ আমরা দেখব প্রাচীন বৈদিক সমাজে নারীশিক্ষার  নারীদের উপনয়ন তথা ব্রহ্মচর্য জীবন পালনের একটি চিত্র

"ব্রহ্মচর্যেন কন্যা যুবানং বিন্দতে পতিম্"
(অথর্ববেদ ১১..১৮)
অর্থাত্‍ ঠিক যেমন যুবক ব্রহ্মচর্য শেষ করে বিদুষী কন্যাকে বিয়ে করবে ঠিক তেমনি একজন যুবতীও ব্রহ্মচর্য শেষ করে পছন্দমত বিদ্বান যুবককে স্বামী হিসেবে গ্রহন করবে

পাণিনি তার সংস্কৃত ব্যকরন শাস্ত্রে ছাত্রীদের ব্রহ্মচর্যের প্রতিষ্ঠান ছাত্রীশালা  এর মহিলা অধ্যাপক আচার্যনি এর এর উল্লেখ করেছেন-

"মাতুলাচার্যাণামানুক্ত"
>পাণিনি ..৪৬

এবং "ছাস্যাদযঃ ছাত্রীশালাযাম্"
>পাণিনি ..৭৬

ব্রহ্মচারিনী ছাত্রীদের নারী শিক্ষক উপদেষ্টির উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগ্বেদ ..১১,১০.১৫৬. প্রভৃতিতে

"চেতন্তি সুমতিনাম যজ্ঞম দধে সরস্বতী"
>ঋগ্বেদ ..১১
এখানে নারী শিক্ষিকাকে জ্ঞানদাত্রী  প্রেরনাদাত্রীরুপে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে

পবিত্র বেদ  শতপথ ব্রাহ্মনে আমরা দেখতে পাই যে কিভাবে গার্গী,মৈত্রেয়ী,অত্রেয়ী,বাক,অপালাসহ বিভিন্ন নারীরা ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে ঋষি পর্যায়ে উন্নীত হন

উত্তররামচরিতমানস এর .  পাওয়া যায় ঋষিনী অত্রেয়ী বলছেন,
"এই অঞ্চলে অগস্ত্যসহ অনেক বিখ্যাত মহর্ষি আছেনআমি মহর্ষি বাল্মীকির আশ্রম থেকে এখানে এসেছি তাঁদের কাছ থেকে বেদ অধ্যয়ন করতে"

ওঁ শুদ্ধ পুত যোসিত যজ্ঞিয়া ইমা ব্রাহ্মনম হস্তেষু প্রপ্রতক সদায়মি
যত্কামা ইদমাভিসিন্চমি বো হামিন্দ্রো মরুত্বন্স দদাতু তন্বে।। ওঁ 

অর্থাৎ আমার সকল কন্যাগন পবিত্র,ধর্মনিষ্ঠ,সকল ধর্মানুষ্ঠান(যজ্ঞাদিপালনে যোগ্যতাঁরা সকলে পবিত্র বেদ মন্ত্র নিষ্ঠার সহিত পাঠ করবেতাঁদের সকলে বিদ্বান গুরুর নিকট বিদ্যালাভ করবেঈশ্বর তাদের নৈবেদ্য গ্রহন করবেন

এর চেয়ে সুস্পষ্ট প্রমান আর কি হতে পারে বৈদিক শাস্ত্রে নারীদের উপনয়ন তথা ব্রহ্মচর্য পালনের?




সনাতন বৈদিক ধর্ম এমন একটি ধর্ম যার প্রধান ধর্মগ্রন্থের প্রাপক  প্রচারকদের মহামনিষীদের মধ্যে নারী ঋষিকাগন ছিলেন যা পৃথিবীর অন্য কোন রিলিজিয়ন(ধর্ম একটিই,বৈদিক ধর্ম,বাকীগুলো মার্গএর পক্ষে চিন্তা করাও অসম্ভবচলুন দেখে নেই পবিত্র বেদের মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিদের মধ্যে কিছু শ্রদ্ধেয় নারী ঋষিকার নাম-

>ঘোষা(ঋগ্বেদ দশম মন্ডলের ৩৯-৪১ নং সুক্তের দ্রষ্টা,ঋষি কক্ষিবান এর কন্যা
)লোপামুদ্রা,)মৈত্রেয়্‌ )গার্গেয়ী,)পৌলমী,)রোমশা ,)অপাল,)বাক(ঋগ্বেদের বিখ্যাত দেবীসুক্তের দ্রষ্টা),)অপত,)কত্রু,১০)বিশ্ববর,১১)জুহু,১২)ভগম্ভ্রীনি (মহর্ষি অম্ভ্রন এর কন্যা,ঋগ্বেদের অষ্টম মন্ডলের ১২৫ নং সুক্তের দ্রষ্টা),১৩)যরিতা,১৪)শ্রদ্ধা,১৫)উর্বশী,১৬)স্বর্ণগা,১৭)ইন্দ্রানী,১৮)সাবিত্রী,১৯)দেবায়নী,২০)নোধা,২১)আকৃষ্ভাষা,২২)শীকাতনবাবরি,২৩)গণ্পায়নী,২৪)মন্ধত্রী২,)গোধ,২৬)কক্ষিবতী,২৭)দক্ষিনা,২৮)অদিতি,২৯)রাত্রি(মহর্ষি ভরদ্বাজের কন্যা,৩০)শ্রীলক্ষ

 প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের এই কথা গুলো খুব  গুরুত্বপূর্ণ, " ........ সাধারনের ভেতর আর মেয়েদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার না হলে কিছু হবার জো নেই  সেজন্য আমার ইচ্ছা কতকগুলি ব্রহ্মচারী  ব্রহ্মচারিণী তৈরি করব ......ব্রহ্মচারিণীরা মেয়েদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার করবে কিন্তু দেশী ধরণে  কাজ করতে হবে পুরুষদের জন্য যেমন কতকগুলি শিক্ষাকেন্দ্র করতে হবেমেয়েদের শিক্ষা দিতেও সেইরুপ কতকগুলি কেন্দ্র করতে হবে শিক্ষিতা  সচ্চরিত্রা ব্রহ্মচারিণীরা  সকল কেন্দ্রে মেয়েদের শিক্ষার ভার নেবে পুরানইতিহাসগৃহকার্যশিল্পঘরকন্নার নিয়ম  আদর্শ চরিত্র গঠনের সহায়ক নীতিগুলি বর্তমানবিজ্ঞানের সহায়তায় শিক্ষা দিতে হবে ছাত্রীদের ধর্মপরায়ন  নীতিপরায়ণ করতে হবে কালে যাতে তারা ভাল গিন্নি তৈরি হয়তাই করতে হবে এই সকল মেয়েদের সন্তানসন্ততিগণ পরে  সকল বিষয়ে আরও উন্নতি লাভ করতে পারবে যাদের মা শিক্ষিতা  নীতিপরায়ণা হনতাদের ঘরেই বড়লোক জন্মায় ... মেয়েদের আগে তুলতে হবেজনসাধারণকে জাগাতে হবেতবে তো দেশের কল্যাণ 
ধর্মশিক্ষাবিজ্ঞানঘরকন্নারন্ধনসেলাইশরীরপালন সব বিষয়ে স্থুল মর্মগুলোই মেয়েদের শেখানো উচিত ......সব বিষয়ে চোখ ফুটিয়ে দিতে হবে আদর্শ নারী চরিত্রগুলি ছাত্রীদের সামনে সর্বদা ধরে উচ্চ ত্যাগরূপ ব্রতে তাদের অনুরাগ জন্মে দিতে হবে সীতাসাবিত্রীদময়ন্তীলীলাবতীখনামীরা এদের জীবনচরিত্র মেয়েদের বুঝিয়ে দিয়ে তাদের নিজেদের জীবন ঐরূপে গঠন করতে হবে 
.........বৈদিক যুগেউপনিষদের যুগে দেখতে পাবমৈত্রেয়ী গার্গী প্রভৃতি প্রাতঃস্মরণীয়া মেয়েরা ব্রম্মবিচারে ঋষিস্থানীয়া হয়ে রয়েছেন হাজার বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের সভায় গার্গী সগর্বে যাজ্ঞবল্ককে ব্রম্মবিচারে আহবান করেছিলেন.........মেয়েদের পূজা করেই সব সব জাত বড় হয়েছে যে দেশেযে জাতে মেয়েদের পূজা নেইসে দেশ সে জাত কখনও বড় হতে পারেনিকস্নিন কালে পারবেও না তোদের জাতের যে এত অধঃপতন ঘটেছেতার প্রধান কারণ এইসব শক্তিমূর্তির অবমাননা করা .........যেখানে স্ত্রীলোকের আদর নেইস্ত্রীলোকেরা নিরানন্দে অবস্থান করেসে সংসারেসে দেশের কখন উন্নতির আশা নেই(মনু সংহিতা); এজন্য এদের আগে তুলতে হবেএদের জন্য আদর্শ মঠ স্থাপন করতে হবে

অথচ ভন্ড পৌরানিক পুরোহিতগন পুরুষতন্ত্র কায়েম করতে একসময় নারীদের শাস্ত্রপাঠ বন্ধ করে দিয়েছিল,সতীদাহের মত জঘন্য প্রথা চালু করেছিলআসুন,বেদের শুভ্র,অনন্য পথ অনুসরন করে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করি

বেদের চিরন্তন সত্য পৌঁছে দিন সকলের মাঝে!

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি