Pages

Wednesday, May 21, 2014

গুজরাট দাঙ্গায় হিন্দুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল

নরেন্দ্র ভাই মোদীকে সেকুলারিস্টরা নিন্দা জানায় এই বলে তিনি নাকি গুজরাট দাঙ্গা শুরু করেছিলেন এবং তাদের ক্ষোভ সেই দাঙ্গাতে মুসলিম মারা গিয়েছিল।

২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বিশেষ তদন্ত দলকে (সিট) এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়,
 তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ বলেন, ‘২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার ঘটনায় করা মামলাগুলোতে আমাদের আর কোনো পর্যবেক্ষণ নেই। সিটের প্রতিবেদনে মোদিকে কোনো দোষারোপ করা হয়নি। 

১১ মে ২০০৫ এ কংগ্রেসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিবেদন আসে
, দাঙ্গাতে ৭৯০ মুসলিম ও ২৯৪ হিন্দু মারা যায়। 


ভারতীয় মুসলিমদের দৈনিক মিল্লাত গেজেট ও টা প্রকাশ করেন 

http://www.milligazette.com/Archives/2005/01-15June05-Print-Edition/011506200511.htm



খবরটা বিবিসিতেও আসে 
 
http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/4536199.stm

গুজরাটের মোট জনসংখ্যার ৮৯% হিন্দু আর ৯% মুসলিম।


http://en.wikipedia.org/wiki/Gujarat#Demographics




গুজরাট দাঙ্গায় নিহতদের ২৪% হিন্দু আর ৭৬% মুসলিম। তাহলে আনুপাতিক হিসাবে গুজরাট দাঙ্গায় কারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

ভারতের নির্বাচন তার সাথে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে চলছে
, এক ধরনের রিউমেটিক ফিভার। যে আলোচনাতে প্রথমেই আসে শঙ্কার কথা। যদি হিন্দুত্ববাদী দল, বিজেপি সরকার গঠন করে, তাতে কি হতে পারে? পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার বাহিরে বাংলাদেশ নিয়ে, অন্যান্য ভারতীয়রা কেউ মাথা ঘামায় না। অনেক মানুষ কিছু জানেই না। এক্ষেত্রে সে দেশের ধাত্রীর ভূমিকাতে, অযাচিতভাবে আছে বাংলাদেশের মিডিয়া ও কিছু ভাড়াটে বুদ্ধিজীবি। হিন্দুত্ববাদ,শব্দটি বাজারে চলবে বলেই, সুপরিকল্পিতভাবে এই শব্দটির ব্যবহার চলছে। আমাদের নিজের দেশে, বড় দুই দলই তো মৌলবাদী, সেখানে ওই দেশের হিন্দুত্ববাদী দল নিয়ে এত মাথা-ব্যথার কারণ কি? ছাগল বুদ্ধিজীবিরা কেন নিজের দেশ নিয়ে সমালোচনাতে নামে না?
বিজেপির মোদীকে, সে দেশের উচ্চ-আদালত, গুজরাত দাঙ্গাতে দোষী প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে, মোদীকে ঘিরে বাংলাদেশের এই সলিমুল্লাহ না কলিমুল্লাহ বা কোন্‌ হরিদাস পাল, ***** মন্তব্য করে যাচ্ছেন, এই স্পর্ধা আসে কোথা থেকে? একটি দেশের উচ্চ-আদালতের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন। নিজে ইতর হলে মনে হয়, জগত জুড়ে কেবল ইতরামো। আমাদের দেশের আদালতের উপর আমাদের আস্থা নেই। যার পক্ষে যায়, সে বলে আদালত নিরপেক্ষ বিচার করেন। যার বিপক্ষে যায়, সে আদালতের মুণ্ড প্রকাশ্যে চিবায়। আর আমাদের কোনো হাই-কমান্ড অন্যায় করেন না। যদি কখনও কোনো মামলা রজ্জু করা হয়, তাতে শোনা যায়, সস্তা কথা- - -পলিটিকেলি মটিভেইটেড।
আর আদালতকে কাঁচকলা দেখানো, দেখে দেখে আমরা সাধারণ নাগরকিরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন কোনো দেশের আদালত ব্যবস্থা একটু উন্নত দেখে বুঝি সহ্য হচ্ছে না? ওদেরকে আমাদের কাতারে না আনা পর্যন্ত, আনন্দ-ও মিলছে না। কিন্তু ভারতীয় আদালতের নির্দেশ অমান্য করার মতো, এত শক্তিশালী কেউ সে দেশে, সে প্রমাণ রাখেনি। মোদী যদি ক্ষমতায় আসেন, আপনার কি আশা করেন, আপনাদের মত ছাগলের সাথে কথা বলতে সে মানুষ আগ্রহী হবেন? সুতরাং ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো কেন লাফাচ্ছেন? আপনারা মোদীকে এত কথা বলার আগে, একটু যাচাই করে নিন, নরেন্দ্র মোদী আপনাদেরকে মানুষ হিসেবে গণ্য করেন কি না? সেটুকু জানলে আরেকটু ভালো হত না?
কথায় কথায় গুজরাতের দাঙ্গায় নিহতের শোকে, বাংলাদেশের উন্নত মুসলমানের হ্নদয় ভারী হয়ে আসে? বাহ্‌ কি প্রেম? মাছের মা'র পুত্রশোক। চোখের সামনে সিরিয়াতে, হাজার অতিক্রম করে এখন নিহতের সংখ্যা লক্ষ অতিক্রম করেছে। চল্লিশ বছরের বেশী সময় ধরে আফগানিস্থানে কত লক্ষ মরেছে, সে হিসেব নেই। পাকিস্তানে, রোজ মরছে। ক'বার নিন্দা জানান? উন্নত মুসলমান'রা চোখে দেখেন না? না কি ওরা মুসলমান নয়? এখানে সত্য কি? যারা গুজরাতের জন্য কাঁদেন, অন্য দেশের মুসলমান নর-নারী শিশু-বৃদ্ধ - - - হত্যা দেখে আপনাদের চোখে জল আসে না? আপনারা কি গুজরাতের ভাষায় কথা বলেন? কালচারের মিল আছে? তা হলে এত ভাব দেখানো যে, উদ্দেশ্য-প্রণোদিত তাই প্রমাণ করে।
যারা কেবল একপেশে বিচার করে, নরেন্দ্র মোদীকে দায়ি করছেন। অথচ ওই ঘটনার সূচনা নিয়ে কথা বলেন না, এড়িয়ে যান, নিন্দা জানাতে জানেন না, এ আপনাদের কেমন বিচার? যদি গোধরা স্টেশনে হত্যাকাণ্ডের মতো, বিশ্ব -এজতেমা ফেরত একটি ট্রেনে, কোন উগ্র হিন্দুরা বা বৌদ্ধরা মিলে পেট্রল বোমাতে, একশো মানুষ জীবিত পুড়ে মারে, কি হবে অবস্থা? তখন কি কবি নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করবেন? গাহি সাম্যের গান- - - -!! যারা, ইচ্ছাকৃতভাবে কেবল দ্বিতীয় পর্যায়ের হত্যা নিয়ে কথা বলেন, আপনার হলেন জাত ইতর!! যদি সমালোচনা ও নিন্দা জানাতে হয়, তবে যে কোন অন্যায়-কে, ছাড় দেবেন না। অন্যায় মানে অন্যায়। আর যদি সে সাহস না থাকে, চাটুকারি ছেড়ে চুপ করুন। ছাগলের পাল স্ব-ঘোষিত বুদ্ধিজীবিদের জন্য বাংলাদেশ জ্বলতে শুরু করছে। একদিন নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ বাহিরে চলে যাবে। পশুদের মধ্যে গাধার বুদ্ধি তুনামুলক কম। শৃগালের বুদ্ধি অনেক বেশী। তাই শৃগালের ব্যারিস্টার হওয়ার আগে যাচাই করেন, গাধা আপনাদেরকে বুদ্ধি-দাতা হিসেবে মানে কি না?

1 comment:

  1. দারুন প্রকাশ। বাংলাদেশের ছাগু মিডিয়া ও বর্তমান হোফাজত নিয়ন্ত্রিত সরকার সব জানার পরও না জানার ভান করে থাকে। আর স্বভাবতই মুসলিমরা যেখানে সংখ্যা গুরু সেখানে শরিয়া আইন আর যেখানে সংখ্যা লঘু সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা দাবী করে।

    ReplyDelete