Pages

Thursday, May 1, 2014

লাভ জিহাদের নির্মম বলিঃআসামের বিধায়ক রুমি নাথ



আসামের বিধায়ক রুমি নাথ।২০১২ সালের মে মাসে তার পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ভালবেসে বিয়ে করে জ্যাকি জাকির নামের এক মুসলিমকে।বিয়ের সময় সে ইসলাম গ্রহন করে। তখন নাম হয় রাবেয়া সুলতানা। উল্লেখ্য তার আগের ঘরে একটি বাচ্চাও রয়েছে।

বিয়ের পর রুমির পর শুরু হয় জাকিরের অকথ্য নির্যাতন, মারধর।মদ্যপ এবং বহুগামি জাকিরের নির্যাতন প্রথমে সহ্য করে নিলে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। সহ্যের সীমা অতিক্রম হলে রুমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করে।

অসমের বিধায়ক রুমি নাথের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী জ্যাকি জাকিরকে আটক করেছে পুলিশ। দক্ষিণ অসমের ডিআইজি বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, “জ্যাকির বিরুদ্ধে শারীরিক মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন রুমি নাথ।এর পরই জাকিরকে থানায় তুলে আনা হয়। তবে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অসমের কাছাড় জেলার বড়খলার কংগ্রেস বিধায়ক রুমি পরে সাংবাদিকদের জানান, ‘‘অনেক দিন থেকেই জ্যাকি নির্যাতন করে চলেছে। কথায়-কথায় মারধর করে। টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। প্রতি রাতে নেশা করে বাড়ি ফেরে।কালও একই ভাবে মাতাল হয়ে ফেরে। প্রথমে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে মারধর। রুমির অভিযোগ, “এক সময় হাত-পা বেঁধে আমাকে মেরে ফেলতে চায়। কোনও রকমে রেহাই পেয়েছি।’’

http://www.anandabazar.com/national/-কর-খবর-1.26299

***
ধর্মান্তরিত হউয়া সব হিন্দু মেয়ের কপালে এমন ভাগ্যই লেখা থাকে ।বরং আরও খারাপ হতে পারে। অনেক মেয়েই আছে পরবর্তী তে যাদের স্থান হয়েছে পতিতা পল্লিতে।ধরমান্তরিত হিন্দু মেয়েরা বাবা মা কে কষ্ট দিয়ে সুখি হবে না একথা ১০০ ভাগ প্রমানিত। সকল উদাহরন দেখে কি মেয়েরা শিক্ষা নেবে।
অনেক মেয়েই আজকাল লাভ জিহাদের কবলে পড়ে এমন দুর্দশায় পড়ছে। বয়সন্ধিক্ষনের রঙ্গিন সময়ে মেয়েরা এই ফাঁদে পড়ে এবং সারা জীবন এই প্রতারণার কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়।একটা কথা মনে রাখতে হবে। লাভ জিহাদের পরে কে লাভবান হয়। অবশ্যই মুসলিম ছেলেরা। একটা মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে যে পুণ্য সে তার পরিবার আর আশেপাশের মানুষেরা পায় তাতেই তাদের স্বর্গ নিশ্চিত হয়ে যায়।একপাশে স্বর্গ লাভ অন্যপাশে সুন্দরী নারী; এমন সহজ আর লোভাতুর সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায়?অন্যদিকে মেয়ের কি লাভ হয়? তার পরিবার, বাবা মা স্বজন সবাইকে ছাড়তে হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই সব মেয়েদের রঙ্গিন চশমা নামতে শুরু করে। পরিবারে তার অবস্থান শুধু শয্যাসঙ্গিনী, রাঁধুনি আর সন্তান উৎপাদনের মেশিন। মানে থ্রি ইন ওয়ান।তাদের জন্য বলাই আছে মেয়েরা শস্যক্ষেত্রের মত বা যেখানে একাধিক স্ত্রী রাখা বৈধ,তার সাথে অসংখ্য যৌনদাসী বৈধ,যখন তখন তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়া যায়। যে সমাজে মেয়েদের কে নুন্যতম সম্মান প্রদর্শন করা হয় না সেই নরকে তার বাস করতে হয়। অনেক মেয়ে মুখ বুজে সহ্য করে মেনে নেয় অনেকে মানতে না পেরে পালিয়ে আসে। পালিয়ে আসার পর যদি তার পিতামাতা তাকে আশ্রয় না দেয় তাহলে তাদের স্থান হয় আস্তাকুড়ে, পতিতালয়ে যেখানে সারা জীবন ছিরে ছিরে খায় তাদেরকে নরপশুরা। এভাবে আমাদের চোখের সামনে অনেকেই লাভ জিহাদের শিকার হয়ে প্রতারিত হচ্ছে। আমরা বাবা মা ভাই বোন বন্ধু হয়ে কখনও এদেরকে রক্ষা করার জন্য সঠিক দায়িত্ব পালন করছি? মা হসেবে মেয়েকে কি বিষয়ে সচেতন করছি? বড় বোন হিসেবে ছোট বোনকে? বাই হিসেবে বোনকে, বাবা হিসেবে মেয়েকে? নিজের স্বজন বন্ধু মেয়েটিকে প্রতারনার হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব কি আমাদের নয়? মনে রাখবেন আপনি যদি জেনেও মেয়েটিকে সচেতন না করেন তাহলে সে দায় আপনারও।


লাভ জিহাদ প্রতিরোধ করবেন কি করেঃ 

লাভ জ্বিহাদের কালো থাবায় পিষ্ট হচ্ছে মেয়েরা, কিন্তু এই দায় কি শুধু মেয়েদের একার? 

মেয়েরা ধর্মান্তরিত হচ্ছে এই দায় শুধু মেয়েদের একার নয়। কেন নয়? 

উত্তরঃ
- ভাই হয়ে কি আমরা বোনের বন্ধু হতে পেরেছি? 

- বাবা, দাদা বা কাকারা কি বন্ধুর মত আচরণ করে আমাদের ঘড়ের মেয়েদের সাথে? 

- মেয়েরা যদি সাপোর্ট পেত তবে এই সমস্যা মহামারী আকারে দেখা যেত না। ছেলেরা ফেইসবুক ব্যবহার করছে গন হারে, কিন্তু মেয়েরা কি পারছে ব্যবহার করতে? তাহলে তাঁরা সচেতন হবে কি করে? 

- ছেলেরা বাইরে অবাধ বিচরণ করে বলে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে বন্ধু বা বড় ভাইদের সাথে কিন্তু মেয়েরা কি পারছে সেটা করতে? গৃহ বন্ধি হয়ে কি জ্ঞান অর্জন করা যায়?

- পারিবারিক ধর্ম শিক্ষার অভাব আছে এটাও কিন্তু মেয়েদের দোষ নয়, পরিবারের কর্তা নিধারণ করে দিলে পারিবারিক ধর্ম চর্চা সবাই করবে এটাই সাভাবিক। তাই এই দায় ছেলেদের। 

- এখানে কিছু ব্যতিক্রম থাকে যা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছি না। এই ব্যতিক্রমের মুল উপাদান হলো লোভ। এই ব্যতিক্রমের হার খুব বেশি নয়। এরা বিপথে যাবে বলে জন্ম নিয়েছে তাই তাঁদের কথা ভেবে লাভ নেয়। 
-কোন মেয়ে লাভ জিহাদের পাল্লায় পড়লে সাথে সাথে তার বাবা মা আত্মীয় স্বজন কে জানান(দরকার হলে নিজের পরিচয় গোপন করে হলেও)
সর্বপরি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল সচেতনতা তৈরি করতে হবে হিন্দু মেয়েদের মাঝে।এ বিষয়ে জীবনের শুরুতেই (অর্থাৎ বয়সন্ধি কালের শুরুতেই,বাড়ি থেকে যখন বের হয়ে গেল অর্থাৎ স্কুল, কলেজ ভার্সিটির জন্য বাইরের সাথে যোগাযোগ হল) তখনই ভাই হিসেবে বোনকে,বাবা হিসেবে মেয়েকে,বন্ধু হিসেবে বন্ধুকে খোলাখুলি বলুন, আলোচনা করুণ। 
বাংলাদেশে যে সকল ছেলে মেয়ারা লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়েছে তারা কি একবার ভেবে দেখেছে যে সকল লোকেরা হিন্দু বাড়ি ঘর ভাংছে হিন্দু গৃহবধূ বা মেয়েদের ধর্ষণ করছে, কিছুদিন পরে তারাই তাদের স্বামী, শ্বশুর,আত্মীয় হতে চলেছে।

সমস্যার উৎস গুলি কে চিহ্নিত করা হয়েছে ঠিক আছে, যে সব স্থানে আমরা মানে ছেলেরা সচেতন হলে মেয়েরা কালো থাবা থেকে বেঁচে যেত সেগুলিকে আগে ঠিক করে পরে অন্য কিছু ভাবা দরকার। প্রায় দেখি পোষ্ট ঢালাও ভাবে মেয়েদের দোষী করা হয়, হয়তো অনেক ক্ষেত্রে দোষ দেওয়া যুক্তি যুক্ত। ধরে নিলাম দোষ আছে মেয়েদের তবুও কি সব দোষ সব সময় সবার সামনে উল্লেখ করতে হবে? মেয়ে সম্প্রদায়কে যদি ঢালাও ভাবে দোষ দেওয়া হয় এটা হবে চরম অন্যায়। 

এই লাভ জ্বিহাদ ঠেকাতে হলে মেয়েদের কি করতে হবে তার চাইতে ছেলেদের সচেতন হতে হবে বেশি করে। ছেলেদেরকে মেয়দের বন্ধু হতে হবে,ভাইকে বোনের বন্ধু হতে হবে, বোনকে জানাতে হবে, পিতা হয়ে নিজের মেয়েকে এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে, বোন কে তথ্য দিতে হবে, আপনি বোনদের সাথে শেয়ার করতে লজ্জা পেলে আপনার বোন জানবে কি করে এই বিষয়ে? 

অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর থেকে নিজের ভূমিকা পালন করা উত্তম বলে আমি মনে করি। 

No comments:

Post a Comment