এই ছবিগুলোর মানুষগুলোকে চেনেন ?
না চেনার তো কথা নয় ! এরা তো আপনার-আমারই প্রতিবেশী। আমাদের সংখ্যালঘু ভাই। এই ছবিগুলো আজকেরই । মুম্বাই-এর। বুঝতেই পারছেন - এরা শোকযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। নিশ্চয় তাদের কোন প্রিয়জনের শোকযাত্রায় ! কে সেই প্রিয়জন ? যে ১৯৯৩ সালের ১২-ই মার্চ মুম্বাই শহরে ২৫৭ জন আমাদের দেশবাসীকে হত্যা করায় সক্রিয় অংশ নিয়েছিল। পর পর ১৩-টি বিস্ফোরণের মাধ্যমে। বিস্ফোরক RDX নিয়ে এসেছিল পাকিস্তান থেকে। নাম তার ইয়াকুব মেমন। আজ সকালে নাগপুর জেলে তার ফাঁসি দেওয়া হল। না, বিনা বিচারে নয়। দীর্ঘ ২২ বছর বিচারের পর, নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত সব আদালতে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দেশে তো শরীয়ত চলে না ! তাই ২৫৭ জনের হত্যাকারী এই সুযোগ পেয়েছিল। সেরা সেরা উকিল সে লাগিয়েছিল। উকিলের ফী তাকে পাকিস্তান বা আরব থেকে আনতে হয়নি তা এই ছবিগুলো দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। এত মানুষ তাকে ভালবাসে। পয়সার অভাব হবে ?
এত মানুষ এই হত্যাকারীকে কেন ভালবাসে তা আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলার জন্য আমার এই পোস্ট নয়। আপনি যদি বুঝতে না পারেন, তবুও আমি বোঝানোর চেষ্টা করব না। আমি শুধু এই কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে এই লক্ষ লক্ষ মানুষ্ আপনার অপরিচিত নয়, আপনার দূরের মানুষ নয়। এরা আপনারই প্রতিবেশী। এরা ইয়াকুব মেমন-কে এত ভালবাসে, তাহলে আপনাকে কতটা ভালবাসে - একটু ভেবে দেখবেন। ২০% হিন্দু অধ্যুষিত জেলায় (চট্টগ্রাম) বসে মাষ্টারদা সূর্য সেন যে ভুল করেছিলেন, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না। যদি করেন তাহলে সূর্য সেনের বংশধরদের মত আপনার বংশধরদেরও আর একবার রিফিউজী হতে হবে।
এই ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আর একবার ভেবে দেখবেন - নেতাদের মুখনিঃসৃত "সন্ত্রাসবাদীর কোন ধর্ম হয় না" কথাটা মেনে নেবেন কিনা ! ধর্মনিরপেক্ষতা, সম্প্রীতি, ভাই ভাই - আপনাকে আমাকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে একটু ভেবে দেখবেন। দেওয়ালের লিখন পড়তে ভুল করবেন না।
তপন ঘোষ
আমি ও মনে করি
ReplyDeleteসে যদি তার ভায়ের দোষে দোষি
হয়ে মরতে হলো
এখন টাইগার মেমন কি নিদোষ