বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/২২৩৬ ঘ.
অনেকদিন পর ভারতের একটা কাজে খুশি হলাম। ইসরাইল যেমন সারা বিশ্বের ইহুদীদের স্বার্থ রক্ষা করছে ভারতের উচিত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশের নির্যাতিত হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করা।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে হামলার শিকার সংখ্যালঘুর বাড়িঘরসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি সুজিত কুমার ঘোষ।
শুক্রবার দুপুরে তিনি ফতেপুর ও চাকদাহ গ্রামে এসব বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ দেখার সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথাও বলেন।
তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। সাংবাদিকদের সঙ্গেও কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মার্চের শেষ সপ্তাহে একটি নাটকে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। বাড়ির লোকজনকে মারধরও করে।
এ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আলী নুর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুজিত কুমার সকালে সার্কিট হাউসে আসেন। এরপর তাকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সরকারি বাসভবনে নিয়ে যান।
সার্কিট হাইসে অবস্থানকালে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম তার সঙ্গে দেখা করেন।
ওসি নুর হোসেন আরো বলেন, তিনি চাকদাহ গ্রামের জ্বালিয়ে দেওয়া আট সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ হামলাকারীদরে সম্পর্কে জানতে চান। এরপর যান ফতেপুর।
সেখানে ফতেপুর বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
সহিংসতার শিকার শিক্ষক মিতা রানী হাজরা, লক্ষ্মীপদ মণ্ডল, আনারুল ইসলাম আকুল মেম্বার, শাহীনুর রহমান, আব্দুল হাকিমসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শোনেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তাইজুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জি, যুগ্ম সম্পাদক অসীম চক্রবর্তী, কালিগঞ্জ থানার ওসি নুর ইসলাম প্রমুখ।
বিকাল ৪টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে কালিগঞ্জ ত্যাগ করেন।
গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর হাইস্কুলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদ রচিত ‘হুযুর কেবলা’ প্রবন্ধের নাট্যরূপ মঞ্চস্থ হয়। এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ উঠলে কর্তৃপক্ষ নাটকটি বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় একটি পত্রিকায় ছাপা হয়। এর জেরে সন্ত্রাসীরা ফতেপুর ও চাকদার ১১টি সংখ্যালঘু পরিবারসহ ১৫টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
No comments:
Post a Comment