দৈনিক জনকণ্ঠ সোমবার, ২১ মে ২০১২, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ অপহরণের ৪ মাস পর স্কুলছাত্রী ফুলবালা উদ্ধার হলেও বাবা-মায়ের কাছে ফুলবালাকে যেতে দেয়া হয়নি। আদালতে দাঁড়িয়ে মেয়েকে নিজেদের জিম্মায় নেয়ার দাবি জানানোর কারণে অপহরণকারীরা ফুলবালার বাবা-মাসহ সপরিবারে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এমন খবরে এখন এলাকায় তোলপাড়। অপহরণকারীদের হুমকির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ওসি অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার পর তারা জীবনের নিরাপত্তার জন্য গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। তারা নদী পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এমন প্রচার এখন এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে জিডি না নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামনগর থানার ওসি আলিনুর রবিবার বিকালে জনকণ্ঠকে বলেন, তারা দেশ ছেড়ে যাবে কেন, তারা নিজেদের দেশেই গেছে। ঢাকা থেকে যুদ্ধ করে পুলিশ ফুলবালাকে উদ্ধার করেছে দাবি করে ওসি বলেন, মেয়েকে উদ্ধারের পর তার বাবা-মাকে খবর দেয়া হলেও তারা থানায় মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। জিডি না দিয়ে মেয়ের মা আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানায় এমন দাবি করে তিনি তাদের গ্রেফতার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে স্বীকার করেন। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদহের বর্বরতার রেশ না কাটতেই শ্যামনগর থানা পুলিশের এমন আচরণে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পুলিশ ইচ্ছা করেই অপহরণকারীদের পক্ষ নিয়েছে এমন অভিযোগও খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।
গত ১৩ জানুয়ারি শ্যামনগর উপজেলার পূর্বকালীনগর গ্রামের খগেন্দ্রনাথ সরদারের স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফুলমালাকে অপহরণ করা হয়। সম্ভাব্য সকল জায়গায় সন্ধান করেও মেয়েকে না পেয়ে খগেন্দ্রনাথ আব্দুল আজিজসহ ছয় জনের নামে শ্যামনগর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। অভিযোগ, তৎকালীন ওসি মামলার অভিযোগ পরিবর্তন করতে বাদীকে বাধ্য করে শুধু হাসানের নামে রেকর্ড করে। চার মাস পর ফুলবালাকে পুলিশ উদ্ধার দেখালেও অপহরণকারীদের হুমকির মুখে মেয়েকে কাছে পায়নি তার বাবা-মা। আদালত থেকে মেয়েটিকে যশোরের সেফ কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ, আদালতে মেয়েকে নিজেদের জিম্মায় নেয়ার দাবি জানানোর কারণে ১৭ মে দুপুরে আসামিরা তাদের সপরিবারে ভারতে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। দেশ ত্যাগ না করলে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় পরদিন একজন সংবাদকর্মীকে নিয়ে শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে সারাদিন থানায় বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেয় ফুলবালার মা চমৎকার বালা সরদারকে। থানায় জিডি করতে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে রাতে আসামিরা খগেন্দ্রনাথের বাড়িতে এসে আবারও হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মেয়ের আশা বাদ দিয়ে জীবন বাঁচাতে শনিবার রাতের আঁধারে খগেন্দ্রনাথ সরদার ও চমৎকার বালা সরদার গ্রাম ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়। নিরাপত্তার জন্য গ্রাম ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদকর্মীদের নিশ্চিত করেন খগেন্দ্রনাথ সরদারের বৃদ্ধ বাবা যুধিষ্ঠির সরদার ( ৭০) ।
বৃদ্ধ যুধিষ্ঠির সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সহায়তায় আসামিদের দেয়া মাইক্রোবাসে করে আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করতে পাঠানো হয়। পথিমধ্যে ফুলতলায় আসামি হাসান সরদার ও তার চাচা আজিজ সরদার খগেন্দ্রনাথ সরদারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। বিষয়টি পরদিন সকালে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। ১৭ মে কয়েক দফায় হুমকি দেয়ার বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। সে অনুযায়ী শ্যামনগরের একজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে ১৮ মে দুপুরে চমৎকার বালা সরদার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ডায়েরি না নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরিয়ে দেন। রাতে আবারও আসামিদের হুমকির ফলে শনিবার রাতে সব কিছু ফেলে কালিন্দি নদী পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তারা দেশেই গেছে এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ওসি আলিনুর জনকণ্ঠকে বলেন, হিন্দুরা তো প্রায়ই ভারতে যায়। ওখানে ওদের বসবাস রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ অপহরণের ৪ মাস পর স্কুলছাত্রী ফুলবালা উদ্ধার হলেও বাবা-মায়ের কাছে ফুলবালাকে যেতে দেয়া হয়নি। আদালতে দাঁড়িয়ে মেয়েকে নিজেদের জিম্মায় নেয়ার দাবি জানানোর কারণে অপহরণকারীরা ফুলবালার বাবা-মাসহ সপরিবারে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এমন খবরে এখন এলাকায় তোলপাড়। অপহরণকারীদের হুমকির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ওসি অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার পর তারা জীবনের নিরাপত্তার জন্য গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। তারা নদী পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এমন প্রচার এখন এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে জিডি না নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামনগর থানার ওসি আলিনুর রবিবার বিকালে জনকণ্ঠকে বলেন, তারা দেশ ছেড়ে যাবে কেন, তারা নিজেদের দেশেই গেছে। ঢাকা থেকে যুদ্ধ করে পুলিশ ফুলবালাকে উদ্ধার করেছে দাবি করে ওসি বলেন, মেয়েকে উদ্ধারের পর তার বাবা-মাকে খবর দেয়া হলেও তারা থানায় মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। জিডি না দিয়ে মেয়ের মা আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানায় এমন দাবি করে তিনি তাদের গ্রেফতার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে স্বীকার করেন। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদহের বর্বরতার রেশ না কাটতেই শ্যামনগর থানা পুলিশের এমন আচরণে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পুলিশ ইচ্ছা করেই অপহরণকারীদের পক্ষ নিয়েছে এমন অভিযোগও খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।
গত ১৩ জানুয়ারি শ্যামনগর উপজেলার পূর্বকালীনগর গ্রামের খগেন্দ্রনাথ সরদারের স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফুলমালাকে অপহরণ করা হয়। সম্ভাব্য সকল জায়গায় সন্ধান করেও মেয়েকে না পেয়ে খগেন্দ্রনাথ আব্দুল আজিজসহ ছয় জনের নামে শ্যামনগর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। অভিযোগ, তৎকালীন ওসি মামলার অভিযোগ পরিবর্তন করতে বাদীকে বাধ্য করে শুধু হাসানের নামে রেকর্ড করে। চার মাস পর ফুলবালাকে পুলিশ উদ্ধার দেখালেও অপহরণকারীদের হুমকির মুখে মেয়েকে কাছে পায়নি তার বাবা-মা। আদালত থেকে মেয়েটিকে যশোরের সেফ কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ, আদালতে মেয়েকে নিজেদের জিম্মায় নেয়ার দাবি জানানোর কারণে ১৭ মে দুপুরে আসামিরা তাদের সপরিবারে ভারতে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। দেশ ত্যাগ না করলে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় পরদিন একজন সংবাদকর্মীকে নিয়ে শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে সারাদিন থানায় বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেয় ফুলবালার মা চমৎকার বালা সরদারকে। থানায় জিডি করতে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে রাতে আসামিরা খগেন্দ্রনাথের বাড়িতে এসে আবারও হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মেয়ের আশা বাদ দিয়ে জীবন বাঁচাতে শনিবার রাতের আঁধারে খগেন্দ্রনাথ সরদার ও চমৎকার বালা সরদার গ্রাম ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়। নিরাপত্তার জন্য গ্রাম ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদকর্মীদের নিশ্চিত করেন খগেন্দ্রনাথ সরদারের বৃদ্ধ বাবা যুধিষ্ঠির সরদার ( ৭০) ।
বৃদ্ধ যুধিষ্ঠির সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সহায়তায় আসামিদের দেয়া মাইক্রোবাসে করে আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করতে পাঠানো হয়। পথিমধ্যে ফুলতলায় আসামি হাসান সরদার ও তার চাচা আজিজ সরদার খগেন্দ্রনাথ সরদারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। বিষয়টি পরদিন সকালে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। ১৭ মে কয়েক দফায় হুমকি দেয়ার বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। সে অনুযায়ী শ্যামনগরের একজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে ১৮ মে দুপুরে চমৎকার বালা সরদার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ডায়েরি না নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরিয়ে দেন। রাতে আবারও আসামিদের হুমকির ফলে শনিবার রাতে সব কিছু ফেলে কালিন্দি নদী পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তারা দেশেই গেছে এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ওসি আলিনুর জনকণ্ঠকে বলেন, হিন্দুরা তো প্রায়ই ভারতে যায়। ওখানে ওদের বসবাস রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
No comments:
Post a Comment