Pages

Monday, June 11, 2012

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হামলায় চার বৌদ্ধধর্মাবলম্বী নিহত

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিবাদে জাতিগত রাখাইনরা গতকাল ইয়াঙ্গুনের শোয়েডাগন প্যাগোডার সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা ‘আরাকান বাঁচাও’ লেখা ব্যানার তুলে ধরে। রাখাইন রাজ্যের পূর্ব নাম হচ্ছে আরাকান



মিয়ানমারে গত শুক্রবার রোহিঙ্গা মুসলমানদের হামলায় চার বৌদ্ধধর্মাবলম্বী নিহত হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এদিকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল শনিবার থেকে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী লোকজন গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া রাজ্যের মুয়াংদাও ও বুথিদাঙ্গ শহরতলিতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুয়াংদাও শহরতলি এলাকায় শত শত ক্ষুব্ধ মুসলিম রোহিঙ্গা বিভিন্ন বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরবাড়িতে পাথর ছোড়ে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের দপ্তরের কর্মকর্তা হমু জাও তাঁর ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেন, দাঙ্গাকারীদের ছুরিকাঘাতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী চারজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন বয়স্ক ব্যক্তি আছেন। তবে সেখানকার একটি হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, দাঙ্গায় এক ব্যক্তি নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। 
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের জাতিগত সহিংসতাপ্রবণ রাখাইন রাজ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখাটা দেশটির সংস্কারপন্থী সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গত রোববার ভ্রমণের সময় বৌদ্ধদের হামলায় ১০ মুসলমান নিহত হওয়ার পর এখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর গত শুক্রবার দাঙ্গা ঘটল। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্যের মুয়াংদাও ও বুথিদাঙ্গ শহর এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চল দুটিতে রাতে এই কারফিউ বলবৎ থাকবে। এ ছাড়া কয়েকটি গ্রামে পাঁচ বা তার বেশি মানুষের একসঙ্গে জড়ো হওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। 
একজন রোহিঙ্গা রাজনৈতিক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেছেন, শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার পরই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এ তথ্য যাচাই করা যায়নি। এএফপি, রয়টার্স।

No comments:

Post a Comment