Pages

Saturday, June 30, 2012

পবিত্র বেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

অগ্নি সম্পদ 



"বেদ আমাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ,বিভিন্ন 
অপপ্রচার এবং স্বার্থন্বেষি দের চক্রান্তে আমাদের মধ্যে একটি দৃঢ় ধারনা হয়েছে যে বেদে ব্রাহ্মন ছাড়া সকলের অধিকার নাই ।এট পুরোটাই ভুল কারন যর্জুবেদ বলা হয়েছে

ওঁ যথেমাং বাচং কল্যানীমাবদানি জনেভ্যঃ ।
বহ্ম রাজন্যাভ্যাং শূদ্রায় চার্য্যায় চ স্বায় চারণায়
।।
প্রিয়ো দেবানাং দক্ষিণায়ৈ দাতুরিহ ,
ভূয়াসময়ং মে কামঃ সমৃধ্যতামুপ মাদো নমতু ।।
যজুর্বেদ ২৬/২

অনুবাদ :হে মনুষ্যগন
আমি যেরূপে ব্রাক্ষন ,ক্ষত্রিয় ,বৈশ্য ,শূদ্র
স্ত্রীলোক এবং অন্যান সমস্ত জনগনকে এই
কল্যানদায়িনী পবিত্র বেদবানী বলিতেছি ,তোমরাও
সেই রূপ কর ।যেমন বেদবানীর উপদেশ
করিয়া আমি বিদ্বানদের প্রিয় হয়েছি ,তোমরাও
সেরুপ হও ।আমার ইচ্ছা বেদ বিদ্যা প্রচার হোক ।
এর দ্বারা সকলে মোক্ষ এবং সুখ লাভ করুক ।

এখানে দেখা যাচ্ছে বেদের সত্যদ্রষ্টা ঋষি বলছেন
ব্রাহ্মন ,ক্ষত্রিয় ,বৈশ্য ,শূদ্র স্ত্রীলোক
এবং অন্যান্য সকল জনগনের জন্যই এই পবিত্র
বেদবানী ।সুতরাং বেদ মন্ত্র উচ্চারনে সকলেরই
সমান অধিকার ।
সব থেকে মজার বিষয় হল বেদের মন্ত্র
দ্রষ্ট্রা ঋষিদের মধ্যে মহিলা ঋষিও রয়েছেন যেমন

১/ ১ম মন্ডল১৭৯সূক্তের
দেবতা রতি ,ঋষি অগস্ত্যের পত্নী লোপামুদ্রা ।

২/ ৫মন্ডল ২৮সুক্তের
দেবতা অগ্নী ,ঋষি অত্রিকন্যা বিশ্ববারা ।

৩/ ৮মন্ডল ৯৬ সুক্তের
দেবতা ইন্দ্র ,ঋষি অত্রি কন্যা অপালা ।

৪/ ১০মন্ডল ৩৯ ও ৪০ সুক্তের
দেবতা অশ্বিদয় ,ঋষি কক্ষিবত্ কন্য ঘোষা ।

৫/ ১০মন্ডল ৮৫সুক্ত যা বিবাহ সূক্ত বলে খ্যাত
তার ঋষি সাবিত্রি সূর্যা ।

৬/ ১০মন্ডল ১২৫সুক্তের
দেবতা আত্মা ,ঋষি অশ্ভৃণ কন্যা বাকৃ

৭/ ১০মন্ডল ১৮৫ সুক্তের
দেবতা সপত্নীবাধন ,ঋষি ইন্দ্রানী ।
আমরা উপরে পেলাম সাত জন
মহিলা ঋষি যথাক্রমে :লোপামুদ্রা ,বিশ্ববারা ,অপালা ,ঘোষা ,সূর্যা ,বাকৃ
এবং ইন্দ্রানী ।আমাদের একটা প্রচলিত
কথা আছে যে বেদে মেয়েদেরও অধিকার নেই ।
এটা আসলে ঠিক নয় ,কারন দেখা যাচ্ছে বেদের
মন্ত্রদ্রষ্ট্রা ঋষিদের মধ্যে নারীরাও রয়েছন ।
যাদের অধিকারই নাই তারা ঋষি এবং মন্ত্রদ্রষ্ট্রা
হন কেমন ?আসলে এগুলো অসাধু মহলের কারসাজি ।
এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে ।

তাহলে উপরক্ত প্রমান অনুসারে আমরা অবশ্যই
বলতে পারি বেদে সকলেরই সমান অধিকার ।নমষ্কার
সবাই কে ......"।

No comments:

Post a Comment