Pages

Monday, July 2, 2012

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সমীপে- গৌরমোহন দাস





<<<ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সমীপে>>>
এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এ দেশে কেউ সুবিধা পাবে কেউ পাবে না তা ঠিক নয়। বর্তমান সরকারও বলে থাকেন এ দেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ! আমার মনে হয় কথাটি শুধু মুখেই বাস্তবে নয়।
তার কিছু চিত্র : কোন একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান শুরু করতে গেলেও দেখা যায় যে, শুধু এক ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। কেন? এ দেশ কি একটি ধর্ম জনগোষ্ঠির?
মুসলিম ধর্ম সম্প্রদায়ের উপাসনার জন্য অসংখ্য রয়েছে। অফিস আদালতেও রয়েছে প্রার্থনার স্থান। হিন্দুদের জন্য মন্দির থাকলেও তা রক্ষা করতে পারছে না সরকার। প্রতিনিয়ত হিন্দু জনগণ ও মন্দিরে আক্রমণ হচ্ছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। হিন্দুদের নানাবিধ সমস্যায় উক্ত ট্রাস্ট ভূমিকা পালন এইতো সকলের প্রত্যাশা। ট্রাস্টের অধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পও লোকজনকে ধর্মীয় চেতনায় সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু তা পালন করছে কি! মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্রে এই প্রকল্পের পাঠ্য বইগুলো হলো : সনাতন ধর্ম শিক্ষা, আমার প্রথম পড়া, আমরা শিখি গণিত। মন্দিরে অন্য ধর্মের কোন শিক্ষার্থী আসেও না, সবাই হিন্দু। অথচ উক্ত ট্রাস্টে ও এর অধীন নানান প্রকল্পে শুধু হিন্দু নয় অন্য ধর্মের মতের লোকজনকেও নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। লক্ষণীয় বিষয় যে, মুসলিম ফাউন্ডেশনে শুধু মুসলিমই, বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে শুধু বুদ্ধই নিয়োগ দেয়া হয়। অথচ হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে সকলকেই নিয়োগ দেয়া হয়। মন্দিরভিত্তিক উক্ত কার্যক্রমে অন্য ধর্মের লোক নিয়োগ দেয়া হয় বলে, মন্দিরকে বা মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দেব-দেবীকে তারা হেয় করে, কোমলমতি শিশুদেরকে মনের প্রতিবন্ধক শিক্ষা দিয়ে থাকে। যেমন : অন্য ধর্মের একজন শিক্ষক মন্দিরে প্রবেশ করেন না। হিন্দুরা যথাযথ মর্যাদায় প্রসাদ গ্রহণ করি, কিšতু অন্য ধর্মের একজন শিক্ষক তা তাজ্যিল্যভাবে ত্যাগ করে, মšেত্রর যথার্থ উচ্চারণেও পারদর্শী নয়। তা ছাড়া পড়ানো অবস্থায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন শিক্ষক তার কোন অতিথি আসলে ‘আসসালামুআলাইকুম’ বলে থাকেন (হিন্দুরা নমস্কার বা প্রণাম জানায়)। যার প্রভাব অধ্যয়ণরত শিশুদের উপর পড়ে। স্যারের মুখে উচ্চারিত শব্দটি আয়ত্ব করে এবং অন্যত্র প্রয়োগও করে। ফলে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কল্যাণের নামে আদৌ কি কল্যাণ করছে! না, আদৌ কোন কল্যাণ হবে!
উপরিউক্ত বিষয় বিবেচনা করে, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে হিন্দুধর্মীয় লোকজন নিয়োগ দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।


গৌরমোহন দাস
দফতর সম্পাদক
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি
 

No comments:

Post a Comment