হেমন্ত কুমার মজুমদার রণ
নমস্কার, অনেক দিন ধরে ভাবছি কিছু একটা লিখব কিন্তু লেখার অনেক বিষয় থাকলেও কোন এক কারনে লিখতে পারছি না। বিভিন্ন গ্রুপে,পেজে ও হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত ওয়েব সাইট গুলোতে সনাতন ধর্ম নিয়ে অনেক অনেক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হয়। সেগুলোর উপর নিয়মিত চোখ রাখলে অবশ্যই যে কারো জ্ঞানের পরিধি বাড়বে বৈকি। কিন্তু কেন জানি না মনে এই প্রশ্নই আসে ঐ জ্ঞানগর্ভ কথামালা কি আসলে আমাদেরকে আকৃষ্ট করছে। বিষয়ট আমার কাছে এমন মনে হয় যে কেউ যদি ক্রিকেট ব্যাট ধরতে না জানেন তাহলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ক্রিকেটের বিভিন্ন নান্দনিক শৈল্পিক শট গুলোর বর্ননা দেন বা ব্যাখ্যা দেন তা কি সে ব্যাক্তির পক্ষে কি বোধগম্য হবে যদিও তিনি খেলাটিকে অনেক ভালবাসেন। উওর হচ্ছে না সেটার তারজন্য বোধগম্য হবে না।আমার মনে হয় আমাদের সম্প্রদায়ের বেশীর ভাগ মানুষগুলো অবস্থা অনেকটা এমনই যে ভালবাসা ও ভক্তি আছে কিন্তু জানে না কিভাবে ব্যাট ধরতে হয়। তার নানাবিধ কারন আছে এবং তার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারনগুলো হচ্ছে শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধর্ম শিক্ষা অনুপস্থিত ও পারিবারিক ভাবে ধর্ম শিক্ষা এবং সংস্কৃতির অভাব। প্রথমত হিন্দু দর্শন বোঝার ক্ষেত্রে সবাই দূরুহ মনে করেন। মানে একে বোঝা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। এর প্রধান কারন হচ্ছে অসংখ্য দেবদেবী, ধর্মশাস্ত্র ও একাধিক মতবাদ। আরেকটি কারন হতে পারে এই জনপ্রিয় ধারণাটি যে ঈশ্বর স্বর্গের কোন এক জায়গায় সবার ওপরে বসে সব প্রতক্ষ্য করছেন। এমনকি বেশীর ভাগই হিন্দুই এই ধারণা বিশ্বাসী। তবে হিন্দু ধর্মে একট বিষয় যা অন্যন্যা ধর্ম থেকে আলাদা আর তা হচ্ছে একজন সাধারন হিন্দু তার পছন্দ, ভক্তি, কর্ম ও গুন অনুযায়ী হাজার লক্ষ কোটি দেব দেবী থেকে তার প্রিয় দেব দেবী বেছে নিয়ে সাধন ভজন করতে পারেন। এখানে বলা বাহুল্য প্রতিটি দেব দেবীই কিন্তু সেই পরম ব্রক্ষের এক একটি শক্তির প্রতিনিধিত্ব স্বরূপ।
আরেকটি গুরুত্ব পুর্ন বিষয় জেনে নেয়া ভাল যে "হিন্দু" কোন ধর্ম না এটি একটি সমাজ বা সম্প্রদায় আর এর মাঝে অনেক গুলো মতবাদের অনুসারীরা রয়েছে। এই ধর্মের প্রকৃত নাম হচ্ছে আপনাদের সবার প্রিয় "সনাতন ধর্ম"। তাই নিজেকে হিন্দু নয় বরং সনাতনী বা সনাতনী ধর্মালম্বী বলে পরিচয় দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার এই ধারণা সাথে দ্বিমত থাকলে যেটা সঠিক আমাকে জানাবেন দয়া করে। এবার আসি কিভাবে সনাতনকে জানা যাবে। সনাতনকে জানতে হবে ধাপে ধাপে কারন Confusion বা দ্বিধাদন্দ্ব ও বিপত্তি তখনই ঘটে যখন কেউ সরাসরি বিভিন্ন শ্রাস্ত্রগ্রন্থ ও মতবাদ্গুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পরে অথবা কোন কিছু অধ্যায়ন না করেই নিজের মত করে একটা ধারণা তৈরী করে নেয়া (এটা আরও বিপদজনক)। তাই সনাতন ধর্মকে জানতে হবে ধাপে ধাপে।
প্রথম ধাপঃ পরম ঈশ্বর, সর্ব শক্তিমান ও পরম আত্মা কেবলই একজনই যাকে বিভিন নামে ডাকা হয়। তিনি সকল বস্তুতে (জীব ও জড়) বিদ্যমান। সকল জন্ম ও মৃত্য হচ্ছে পরম সত্য। আমাদের জন্ম হচ্ছে পরম সৌভাগ্যের ফল (Supreme Bliss)।
দ্বিতীয় ধাপঃ সমাজ, পরিবার ও শিক্ষার কারনে এই পরম সৌভাগ্য বিভিন্ন ধর্মীয় মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়। সনাতন ধর্মে প্রত্যেক নর নারীর সাধনা শুরু হয় তার নিজস্ব কর্ম, গুন, কামনা অনুযায়ী বিভিন্ন দেব দেবীর আরাধনা ও পুজা করে। এই ধাপেই কিন্তু নর নারীর দ্বিধাদন্দ্ব সাগরে সাঁতরে বেড়ায়। এই ধাপেই অসংখ্যা দেব দেবীর উপস্থিতি ঘটে। এই ধাপেই বিভিন্ন ধর্মীয় শাস্ত্র, মতবাদ, দর্শন, পৌরানিক কাহিনী, বর্নাশ্রম, শ্লোক, মন্ত্র, নানাবিধ যজ্ঞ, অবতার, প্রার্থনা, উৎসব, তর্ক ও বির্তকের মাঝে পরে একজন পথিক। বেশীর ভাগ মানুষই এই ধাপে হয়ে থাকে ভাগ্য অন্বেষণকারী। তারা প্রত্যেকে কামনা, বাসনা, মায়া ও মমতার দাসত্ব গ্রহন করে। তারা প্রত্যকে চায় ঈশ্বর তাদের সাহায্য করবে তাদের মনের বাসনা কামনা হুলো চরিতার্থ করতে ও সুন্দর জীবন যাপন করতে। তাইতো এত দেব দেবীর পুজা পার্বন। বলতে গেলে ঈশ্বরকে এক প্রকার উৎকোচই দেয়াই হচ্ছে (মজা করে বললাম)। আমাদের সনাতন ধর্মের প্রধান তিন ভাগ বৈষ্ণব, শিব দর্শন ও সাক্তবাদ এই ধাপেই উপস্থিত হয়।
এমনকি বেশীর ভাগই সনাতনীরা এই ধাপে ব্রক্ষ ধারণা উপলব্ধি করতে পারে না। তাই দেব দেবীর আশ্রয় নেয়। কেউ শিবের ভক্ত, কেউ মা দূর্গার, কেউ বা গনপতি গনেশের, কেউবা মা স্বরসতী, কেউ লক্ষী, কেউবা বা কালীর। কিন্তু পবিত্র উপনিষদ ও শ্রী মাদ্ভাগবত গীতা পুনঃ পুনঃ এই নির্দেশ, উপদেশ ও শিক্ষায় দেয় যে মায়া মোহের অধীনের বাইরে গিয়ে ব্রক্ষ চিন্তা করো এবং "আমি কে এবং কেনই বা আমি কষ্ট পাচ্ছি ?" এর উওর খোঁজ। কিন্তু খুবই অল্প সংখ্যাক মানুষই এই প্রশ্নের উওরের অন্বেষন করেন।
তৃতীয় ধাপঃ এই ধাপ শুরু হয় ধ্যানযোগ দিয়ে। কেউ কেউ অবশ্য এই ধাপে এসে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্নও তোলে তবে তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম আর বাকীরা "আমি কে? এই প্রশ্নের উত্তর অন্বেষন করেন। এই ধাপে এসে একজন সাক উপলব্ধি করেন যে আমি ও ঈশ্বর এক এবং তজন্য তিনি ব্রক্ষজ্ঞান লাভ করার জন্য কঠোর ভাবে অধ্যায়নে মনোনিবেশ করেন। এই অধ্যায়ে একজন সাধক শ্রাস্থসমুহ অধ্যায়ন করেন এবং গুরু সন্ধান করেন যিনি তাকে দীক্ষা দেবেন। এই ধাপে প্রত্যেকে থাকে একনিষ্ঠ ছাত্র। আবার অনেকে আছেন এই ধাপ থেকে পিছিয়ে আগের ধাপে ফিরে যান কারন ব্রক্ষকে বোঝা খুবই কষ্ট সাধ্য এবং কেউ কেউ এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না যে ঈশ্বরচ সুখ স্বাচ্ছন্দ অর্জনের জন্য তাকে সাহায্য করবে না।
চতুর্থ ধাপঃ খুবই কমই আত্মা পারেন এই ধাপে পৌঁছাতে। এই ধাপে পৌঁছে তারা কেবল একটি সত্যকে উপলব্ধি করতে পারেন আর তা হলো শুধুই ব্রক্ষ এবং আমাকে এই দেহ ত্যাগ করতে হবে। এই ধাপে এসে একজন পুণ্য আত্মা নিশ্চুপ ভাবে অথবা ভজন করে তার প্রিয় দেব দেবীর প্রতি অথবা শুধুই এক নিরাকার ঈশ্বরের প্রতি। এই ধাপে পৌঁছানো বড়ই কঠিন ব্যাপার আর খুবই কম ব্যাক্তি এই ধাপ থেকে ফিরে আসেন। এখানে তিনি নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেন অথবা সন্ন্যাসী হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ান। তারা সেই পরম সত্যটি জানতে পেরেছেন আর সেটা হলো সব কিছুই ব্রক্ষ। কোন জন্ম নেই ,মৃত্যু নেই আছে কেবল রুপান্তর। এক শরীর থেকে আরেক শরীরে গমন।
পঞ্চম ধাপঃ এই শেষ ধাপে এসে একজন সাধক আবার প্রথম ধাপে ফিরে যান যেখানে কিছু লেখার নেই, কোন কিছুর পড়ার নেই কারন সেখানে কোন দ্বিতীয় পরম আত্মা নেই আছে কেবলই এক সর্ব শক্তিমান পরম আত্মা। কোন জন্ম নেই, নেই কোন মৃত্যু।
ধন্যবাদ
নমস্কার, অনেক দিন ধরে ভাবছি কিছু একটা লিখব কিন্তু লেখার অনেক বিষয় থাকলেও কোন এক কারনে লিখতে পারছি না। বিভিন্ন গ্রুপে,পেজে ও হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত ওয়েব সাইট গুলোতে সনাতন ধর্ম নিয়ে অনেক অনেক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হয়। সেগুলোর উপর নিয়মিত চোখ রাখলে অবশ্যই যে কারো জ্ঞানের পরিধি বাড়বে বৈকি। কিন্তু কেন জানি না মনে এই প্রশ্নই আসে ঐ জ্ঞানগর্ভ কথামালা কি আসলে আমাদেরকে আকৃষ্ট করছে। বিষয়ট আমার কাছে এমন মনে হয় যে কেউ যদি ক্রিকেট ব্যাট ধরতে না জানেন তাহলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ক্রিকেটের বিভিন্ন নান্দনিক শৈল্পিক শট গুলোর বর্ননা দেন বা ব্যাখ্যা দেন তা কি সে ব্যাক্তির পক্ষে কি বোধগম্য হবে যদিও তিনি খেলাটিকে অনেক ভালবাসেন। উওর হচ্ছে না সেটার তারজন্য বোধগম্য হবে না।আমার মনে হয় আমাদের সম্প্রদায়ের বেশীর ভাগ মানুষগুলো অবস্থা অনেকটা এমনই যে ভালবাসা ও ভক্তি আছে কিন্তু জানে না কিভাবে ব্যাট ধরতে হয়। তার নানাবিধ কারন আছে এবং তার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারনগুলো হচ্ছে শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধর্ম শিক্ষা অনুপস্থিত ও পারিবারিক ভাবে ধর্ম শিক্ষা এবং সংস্কৃতির অভাব। প্রথমত হিন্দু দর্শন বোঝার ক্ষেত্রে সবাই দূরুহ মনে করেন। মানে একে বোঝা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। এর প্রধান কারন হচ্ছে অসংখ্য দেবদেবী, ধর্মশাস্ত্র ও একাধিক মতবাদ। আরেকটি কারন হতে পারে এই জনপ্রিয় ধারণাটি যে ঈশ্বর স্বর্গের কোন এক জায়গায় সবার ওপরে বসে সব প্রতক্ষ্য করছেন। এমনকি বেশীর ভাগই হিন্দুই এই ধারণা বিশ্বাসী। তবে হিন্দু ধর্মে একট বিষয় যা অন্যন্যা ধর্ম থেকে আলাদা আর তা হচ্ছে একজন সাধারন হিন্দু তার পছন্দ, ভক্তি, কর্ম ও গুন অনুযায়ী হাজার লক্ষ কোটি দেব দেবী থেকে তার প্রিয় দেব দেবী বেছে নিয়ে সাধন ভজন করতে পারেন। এখানে বলা বাহুল্য প্রতিটি দেব দেবীই কিন্তু সেই পরম ব্রক্ষের এক একটি শক্তির প্রতিনিধিত্ব স্বরূপ।
আরেকটি গুরুত্ব পুর্ন বিষয় জেনে নেয়া ভাল যে "হিন্দু" কোন ধর্ম না এটি একটি সমাজ বা সম্প্রদায় আর এর মাঝে অনেক গুলো মতবাদের অনুসারীরা রয়েছে। এই ধর্মের প্রকৃত নাম হচ্ছে আপনাদের সবার প্রিয় "সনাতন ধর্ম"। তাই নিজেকে হিন্দু নয় বরং সনাতনী বা সনাতনী ধর্মালম্বী বলে পরিচয় দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার এই ধারণা সাথে দ্বিমত থাকলে যেটা সঠিক আমাকে জানাবেন দয়া করে। এবার আসি কিভাবে সনাতনকে জানা যাবে। সনাতনকে জানতে হবে ধাপে ধাপে কারন Confusion বা দ্বিধাদন্দ্ব ও বিপত্তি তখনই ঘটে যখন কেউ সরাসরি বিভিন্ন শ্রাস্ত্রগ্রন্থ ও মতবাদ্গুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পরে অথবা কোন কিছু অধ্যায়ন না করেই নিজের মত করে একটা ধারণা তৈরী করে নেয়া (এটা আরও বিপদজনক)। তাই সনাতন ধর্মকে জানতে হবে ধাপে ধাপে।
প্রথম ধাপঃ পরম ঈশ্বর, সর্ব শক্তিমান ও পরম আত্মা কেবলই একজনই যাকে বিভিন নামে ডাকা হয়। তিনি সকল বস্তুতে (জীব ও জড়) বিদ্যমান। সকল জন্ম ও মৃত্য হচ্ছে পরম সত্য। আমাদের জন্ম হচ্ছে পরম সৌভাগ্যের ফল (Supreme Bliss)।
দ্বিতীয় ধাপঃ সমাজ, পরিবার ও শিক্ষার কারনে এই পরম সৌভাগ্য বিভিন্ন ধর্মীয় মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়। সনাতন ধর্মে প্রত্যেক নর নারীর সাধনা শুরু হয় তার নিজস্ব কর্ম, গুন, কামনা অনুযায়ী বিভিন্ন দেব দেবীর আরাধনা ও পুজা করে। এই ধাপেই কিন্তু নর নারীর দ্বিধাদন্দ্ব সাগরে সাঁতরে বেড়ায়। এই ধাপেই অসংখ্যা দেব দেবীর উপস্থিতি ঘটে। এই ধাপেই বিভিন্ন ধর্মীয় শাস্ত্র, মতবাদ, দর্শন, পৌরানিক কাহিনী, বর্নাশ্রম, শ্লোক, মন্ত্র, নানাবিধ যজ্ঞ, অবতার, প্রার্থনা, উৎসব, তর্ক ও বির্তকের মাঝে পরে একজন পথিক। বেশীর ভাগ মানুষই এই ধাপে হয়ে থাকে ভাগ্য অন্বেষণকারী। তারা প্রত্যেকে কামনা, বাসনা, মায়া ও মমতার দাসত্ব গ্রহন করে। তারা প্রত্যকে চায় ঈশ্বর তাদের সাহায্য করবে তাদের মনের বাসনা কামনা হুলো চরিতার্থ করতে ও সুন্দর জীবন যাপন করতে। তাইতো এত দেব দেবীর পুজা পার্বন। বলতে গেলে ঈশ্বরকে এক প্রকার উৎকোচই দেয়াই হচ্ছে (মজা করে বললাম)। আমাদের সনাতন ধর্মের প্রধান তিন ভাগ বৈষ্ণব, শিব দর্শন ও সাক্তবাদ এই ধাপেই উপস্থিত হয়।
এমনকি বেশীর ভাগই সনাতনীরা এই ধাপে ব্রক্ষ ধারণা উপলব্ধি করতে পারে না। তাই দেব দেবীর আশ্রয় নেয়। কেউ শিবের ভক্ত, কেউ মা দূর্গার, কেউ বা গনপতি গনেশের, কেউবা মা স্বরসতী, কেউ লক্ষী, কেউবা বা কালীর। কিন্তু পবিত্র উপনিষদ ও শ্রী মাদ্ভাগবত গীতা পুনঃ পুনঃ এই নির্দেশ, উপদেশ ও শিক্ষায় দেয় যে মায়া মোহের অধীনের বাইরে গিয়ে ব্রক্ষ চিন্তা করো এবং "আমি কে এবং কেনই বা আমি কষ্ট পাচ্ছি ?" এর উওর খোঁজ। কিন্তু খুবই অল্প সংখ্যাক মানুষই এই প্রশ্নের উওরের অন্বেষন করেন।
তৃতীয় ধাপঃ এই ধাপ শুরু হয় ধ্যানযোগ দিয়ে। কেউ কেউ অবশ্য এই ধাপে এসে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্নও তোলে তবে তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম আর বাকীরা "আমি কে? এই প্রশ্নের উত্তর অন্বেষন করেন। এই ধাপে এসে একজন সাক উপলব্ধি করেন যে আমি ও ঈশ্বর এক এবং তজন্য তিনি ব্রক্ষজ্ঞান লাভ করার জন্য কঠোর ভাবে অধ্যায়নে মনোনিবেশ করেন। এই অধ্যায়ে একজন সাধক শ্রাস্থসমুহ অধ্যায়ন করেন এবং গুরু সন্ধান করেন যিনি তাকে দীক্ষা দেবেন। এই ধাপে প্রত্যেকে থাকে একনিষ্ঠ ছাত্র। আবার অনেকে আছেন এই ধাপ থেকে পিছিয়ে আগের ধাপে ফিরে যান কারন ব্রক্ষকে বোঝা খুবই কষ্ট সাধ্য এবং কেউ কেউ এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না যে ঈশ্বরচ সুখ স্বাচ্ছন্দ অর্জনের জন্য তাকে সাহায্য করবে না।
চতুর্থ ধাপঃ খুবই কমই আত্মা পারেন এই ধাপে পৌঁছাতে। এই ধাপে পৌঁছে তারা কেবল একটি সত্যকে উপলব্ধি করতে পারেন আর তা হলো শুধুই ব্রক্ষ এবং আমাকে এই দেহ ত্যাগ করতে হবে। এই ধাপে এসে একজন পুণ্য আত্মা নিশ্চুপ ভাবে অথবা ভজন করে তার প্রিয় দেব দেবীর প্রতি অথবা শুধুই এক নিরাকার ঈশ্বরের প্রতি। এই ধাপে পৌঁছানো বড়ই কঠিন ব্যাপার আর খুবই কম ব্যাক্তি এই ধাপ থেকে ফিরে আসেন। এখানে তিনি নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেন অথবা সন্ন্যাসী হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ান। তারা সেই পরম সত্যটি জানতে পেরেছেন আর সেটা হলো সব কিছুই ব্রক্ষ। কোন জন্ম নেই ,মৃত্যু নেই আছে কেবল রুপান্তর। এক শরীর থেকে আরেক শরীরে গমন।
পঞ্চম ধাপঃ এই শেষ ধাপে এসে একজন সাধক আবার প্রথম ধাপে ফিরে যান যেখানে কিছু লেখার নেই, কোন কিছুর পড়ার নেই কারন সেখানে কোন দ্বিতীয় পরম আত্মা নেই আছে কেবলই এক সর্ব শক্তিমান পরম আত্মা। কোন জন্ম নেই, নেই কোন মৃত্যু।
ধন্যবাদ
No comments:
Post a Comment