Pages

Thursday, April 10, 2014

হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপরে আঘাতের অপচেষ্টা রুখে দিল ভীমপুরের যুবকেরা



হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপরে আঘাতের অপচেষ্টা রুখে দিল ভীমপুরের যুবকেরা



-------------------------------------------
http://www.hindusamhatibangla.com/
হুগলী জেলার জাঙ্গিপাড়া থানার একটি গ্রাম ভীমপুর। ফুরফুরা অঞ্চলের এই গ্রামটিতে প্রতিবছর খুব ধুমধাম করে হয় শ্মশানকালি পূজা। প্রতি বছরের মত এবছরও শোভাযাত্রা করে কালিমূর্তি আনা হচ্ছিল পূজাস্থলে। ২রা এপ্রিল এই শোভাযাত্রা যখন ফুরফুরা তালতলা হাটের কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন স্থানীয় মুসলমানেরা এবং পুলিশ তাদের পথ আটকায়। তাদের বক্তব্য ছিল কবরস্থানের পাশ দিয়ে এই শোভাযাত্রাকে যেতে হবে নীরবে মাইক এবং বাজনা বন্ধ করে। ভীমপুরের হিন্দু বাগদী সম্প্রদায়ের কাছে এটা ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। কারন এর আগে কোন বছর তাদের এই নিয়মটা পালন করতে হয়নি।
বছর তাহলে হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞা কেন ? সংখ্যালঘু মুসলমানদের সংখ্যা কোনো অঞ্চলে যত বাড়ে,তাদের নতুন নতুন আবদার- তা ন্যায়সঙ্গত বা যুক্তিসঙ্গত না হলেও বাকিরা তা মানতে বাধ্য হয় এটাই সব ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকি। এদেশে এরই নাম ধর্মনিরপেক্ষতা। আর এরাজ্যে এই নতুন জমানায় দেখা যাচ্ছে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ইচ্ছা মানেই আদেশ। সুতরাং এই নিষেধাজ্ঞার কারণ সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু ভীমপুরের হিন্দু যুবকেরা রুখে দাঁড়ায়। তাদের বক্তব্য, যেহেতু প্রতিবছর এই শোভাযাত্রা মাইক এবং বাজনা সহযোগে এই রাস্তা দিয়ে যায়, তাই এবছরও সেভাবেই যাবে। মুসলমানদের কবরস্থান আছে বলে রাস্তায় শোরগোল করা যাবে না পুলিশের এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য, কিছুদিন আগে পরীক্ষার সীজনে যখন মুসলমানদের জলসা হচ্ছিল, তখন দিন রাত মাইক বাজছিল। পরীক্ষার্থীদের এই অসুবিধার সময় পুলিশ কোথায় ছিল? সুতরাং শোভাযাত্রা যাবে এবং মাইক বাজনা বাজবে। শোভাযাত্রা বন্ধ করার জন্য পুলিশ বলপ্রয়োগের চেষ্টা করলে ভীমপুরের যুবকরা পুলিশের উপরেই চড়াও হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশসহ অন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। অবশেষে সেই শোভাযাত্রা মাইক বাজনা বাজাতে বাজাতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় সুত্রে খবর, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী পুলিশ প্রশাসনকে বাজনা বন্ধ করাতে চাপ দিলে পুলিশ তাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলে। তাতে তিনি পিছু হটেন এবং পুলিশও আর এগিয়ে যায় না।

No comments:

Post a Comment