জামালপুরের মাদারগঞ্জে সিধুলি ইউনিয়নের রায়গঞ্জ কালীবাড়ি বাজার এলাকায় গতকাল বুধবার সকালে সংখ্যালঘু পাল সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবারের বাড়িঘর ও দোকানপাট এবং মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও পুলিশ সুপার মো. আবদুর রাজ্জাক গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায়গঞ্জ কালীবাড়ি বাজারের নারায়ণ পাল, নিবারণ পাল, অখিল পাল, সুবল পাল ও রুদ্র পালের ৪৭ শতাংশ জমি নিয়ে সিধুলি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ ১১ জনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসছে। গতকাল ভোরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় বীর লোটাবর ও হাটবাড়ী গ্রামের তিন শতাধিক লোক লাঠি, রামদা, বল্লম, ফালা ও টেঁটা নিয়ে সংখ্যালঘু পাল পরিবারগুলোর ওপর হামলা চালায়। হামলায় পাল পরিবারের মিলন রানী (২৬), কাজল পাল ( ১৮), অখিল পালসহ (৬২) অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর পাল পরিবারের লোকজন ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
হামলার শিকার অখিল পাল বলেন, হামলাকারীরা প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁদের ওপর নির্যাতন চালায়। এ সময় তারা কালীমন্দিরের টিনের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে; ছয়টি বসতঘর ও ১২টি দোকানে ভাঙচুরসহ ব্যাপক লুটপাট চালায়। তিনি দাবি করেন, হামলাকারীরা আসবাব, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বলেন, ‘রায়গঞ্জ কালীবাড়ি বাজারের বিরোধপূর্ণ জমিতে আমারও সাত শতাংশ জমি আছে। সকালে সেখানে হামলা হওয়ার কথা কথা শুনেছি। ওই হামলায় আমি কোনো নেতৃত্ব দিইনি। যারা করেছে, তারা কাজটি ঠিক করেনি।’
পুলিশ সুপার মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের বলা হয়েছে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও পুলিশ সুপার মো. আবদুর রাজ্জাক গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায়গঞ্জ কালীবাড়ি বাজারের নারায়ণ পাল, নিবারণ পাল, অখিল পাল, সুবল পাল ও রুদ্র পালের ৪৭ শতাংশ জমি নিয়ে সিধুলি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ ১১ জনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসছে। গতকাল ভোরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় বীর লোটাবর ও হাটবাড়ী গ্রামের তিন শতাধিক লোক লাঠি, রামদা, বল্লম, ফালা ও টেঁটা নিয়ে সংখ্যালঘু পাল পরিবারগুলোর ওপর হামলা চালায়। হামলায় পাল পরিবারের মিলন রানী (২৬), কাজল পাল ( ১৮), অখিল পালসহ (৬২) অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর পাল পরিবারের লোকজন ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
হামলার শিকার অখিল পাল বলেন, হামলাকারীরা প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁদের ওপর নির্যাতন চালায়। এ সময় তারা কালীমন্দিরের টিনের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে; ছয়টি বসতঘর ও ১২টি দোকানে ভাঙচুরসহ ব্যাপক লুটপাট চালায়। তিনি দাবি করেন, হামলাকারীরা আসবাব, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বলেন, ‘রায়গঞ্জ কালীবাড়ি বাজারের বিরোধপূর্ণ জমিতে আমারও সাত শতাংশ জমি আছে। সকালে সেখানে হামলা হওয়ার কথা কথা শুনেছি। ওই হামলায় আমি কোনো নেতৃত্ব দিইনি। যারা করেছে, তারা কাজটি ঠিক করেনি।’
পুলিশ সুপার মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment