Rig 3.31.1
The right is equal in the fathers property for both son and daughter
(Book: Mera Dharma, Author: Priyavrat Vedavachaspati, Gurukul Kangri University)
Chapter 1: Women in Vedic Dharma, Page 21
কিন্তু কালক্রমে মানুষ বেদ থেকে সরে যাচ্ছে।
তবে আগেই বলেছি হিন্দুধর্ম পরিবেশের সাথে কোপ আপ করে নিতে শিখায়। এর ফলে এই সমাজে গড়ে উথেছে শক্তিশালী পরিবার ব্যবস্থা যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের
নারী-শিশু-বৃদ্ধরা নিরাপদ থাকে। একারণে এ সম্প্রদায়ের মানুষ দুস্থ ও অসহায় হয় না।
একশ্রেণীল দালাল ও বিদেশী অর্থে পরিচালিত এনজিও এ কাঠামো ভেঙে দিতে চায়। যেন তারা দুস্থ সহায়তা তহবিল খুলে লাভবান হতে পারে। বাবার সম্পত্তিতে নারীকে সমঅধিকার দেওয়া হলে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা বেড়ে যাবে। পরে ধর্মান্তরিত মেয়েকে বিয়ে করে সম্পত্তি তার সম্পত্তি দখলের ছুতোয় বাবার সব সম্পত্তিই দখল করা হবে।
আমি উদাহরণ দেই
হিন্দু আইন লাখ লাখ বছরের পরীক্ষিত আইন। কোন ব্যক্তি বিশেষের সুবিধার জন্য হিন্দু আইন নয়। সমগ্র পরিবারের কল্যাণের নিমিত্তই ভগবান আইন প্রণয়ন করেছেন। হিন্দু পরিবার একটি কর্পোরেশন হিসেবে গণ্য হয়। পরিবারের সকল দায়-দায়িত্ব কর্তার বহন করতে হয়। সাধারণত পরিবারের কর্তা পুরুষ এই কারণে হয় যে, হিন্দু আইন পুরুষকে তার স্ত্রী, পিতা-মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন, নাতী-নাতনী, অসহায় পিশি ও অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের ভরণপোষণ করতে বাধ্য করেছে। পরিবারের যাবতীয় ঋণ, রাষ্ট্রীয় পাওনা, পরিবারের সদস্যদের ক্রিমিনাল অপেন্সের দায়-দায়িত্ব সর্ববস্থায় পুরুষের ওপর অর্পিত হয়েছে। হিন্দু আইনে নারীর কোন দায়-দায়িত্ব নেই।
ব্যক্তি নয় প্রতিটি পরিবার সুস্থ হোক। পরিবার সুস্থহলেই নারী সুরক্ষিত থাকবে। ব্যক্তিস্বার্থ জাগ্রত হলে অন্য সমাজের মত হিন্দু নারীরাও অসহায় হয়ে পড়বে।
আজ ওয়েস্টে পরিবার প্রথা ধ্বংসের ফলে কি হচ্ছে তা তো দেখছেন। আর ঐ কালচারের পা চাঁটতে গিয়ে ভারতে কি হচ্ছে তাও দেখেছেন। বেদের পরিবার প্রথা না মেনে ব্যক্তিস্বার্থ জাগ্রত করে সমাজকে শেষ করে দিয়েছে।
বর্তমান আইন বর্বর লাগতে পারে কিন্তু টিকে থাকতে হলে বিকল্প নাই। আমি নারীর অধিকার বিরোধী না কিন্তু ধর্মান্তর বিরোধী আইন বাংলাদেশে সম্ভব না। মোল্লা রা সবসময় চায় হিন্দুদের গরুখর বানাতে।
হিন্দু ধর্ম নারী বিরোধী নয় বরং নারীর সুরক্ষার পন্থী। আমাদের অ্যালবাম বেদে নারী দেখতে পারেন।
মান্যবর সংস্কারকদের প্রতি অ।মার সনির্বন্ধ অনুরোধ, অ।পনারা দয়া করে হিন্দুদের সম্পত্তি সংক্রান্ত কোন অ।ইন করবেন না । এই হিন্দু সম্প্রদায়েই বিবাহ পরবর্তী শান্তি বেশি । এবং বিবাহ পরবর্তী সম্পত্তি বন্টন সংক্রান্ত ব্যাপারই শান্তি ভঙ্গের মূল কারন । বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিবাহ পরবর্তী অধ্যায় পর্যালোচনা করলে সেটা খুব সহজেই অনুমান করা যায় । সুতরাং, দয়া করে একটা শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায়কে চিরতরে অশান্তির দিকে ঠেলে দিবেন না ।
নারী পিণ্ড দান করে মৃতের পরিবারের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারেন :
পরিবারে যদি পুরুষ সদস্য না থাকে তবে নারী মৃত ব্যক্তির/পরিবার কর্তার উদ্দেশ্যে কর্তব্য সম্পাদন করে মৃতের উদ্দেশ্যে পিণ্ড দান করে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান মৃত ব্যক্তির বিধবা স্ত্রী। তিনি আজীবন স্বামীর সম্পূর্ণ সম্পত্তি নিজ দখলে রাখতে পারেন এবং যথেচ্ছা ভোগ করতে পারেন। যেখানে মুসলিম আইনে বিধবা পায় আট ভাগের এক ভাগ।
এবার দেখা যাক কন্যা প্রসঙ্গে হিন্দু আইন কি বলেছে। হিন্দু আইনে পুত্রের অবর্তমানে কন্যা সম্পূর্ণ সম্পত্তির মালিক হন। যেখানে মুসলিম আইনে এক-তৃতীয়াংশ চাচাদের কাছে চলে যায়। যেহেতু স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহের সুযোগ আছে, তাই পরিবারের নাবালক সন্তানেরা যাতে অসহায় হয়ে না পড়ে, সে কারণে হিন্দু আইনে নারীর সম্পত্তি হস্তান্তরের কিছুটা বিধি-নিষেধ আছে। কিন্তু বৈধ প্রয়োজনে সম্পত্তি হস্তান্তরে বা বিক্রি করতে কোন বাধা নেই। পুত্র সন্তান থাকলেও এবং তারা যদি পৃথক হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও বিধবা স্ত্রী এক পুত্রের সমান সম্পত্তির অংশীদার হয়। অর্থাৎ কোন ভাবেই নারীকে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। বাস্তবেও হিন্দু মহিলারা অন্যান্য সমাজ থেকে যথেষ্ট সুরক্ষিত ও সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় আছে। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না।
বাধা-নিষেধ সত্ত্বেও দেখা গেছে নাবালক শিশুদের ফেলে সব সম্পত্তি বিক্রি করে অন্যের সঙ্গে বিয়ে করে চলে গেছে এমন হিন্দু নারীর সংখ্যা নেই বললেই চলে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ে স্বামী সন্তানকে ফেলে অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যাওয়া নারীর সংখ্যা গুটিকতক নয়, হাজারে হাজারে দেখা যায়। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় এমনও দেখা গেছে, নিজ স্বামী-সন্তানকে হত্যা করে গচ্ছিত সম্পত্তি নিয়ে অন্যের হাত ধরে চলে যাচ্ছে। যা হিন্দু সমাজে বিরল ঘটনা।
হিন্দু আইনে বিবাহ হলো "আত্মার সাথে আত্মার, মাংসের সাথে মাংসের এবং অস্থিতে অস্থিতে মিলন" (কলিকাতা হাইকোর্ট)। "আত্মার জন্য জীবনী শক্তির অংশ এবং এমন এক স্বর্গীয় মিলন যার ফলে স্বামী-স্ত্রী মিলে এক ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হয়" (এলাহাবাদ হইকোর্ট)। সে কারণে হিন্দু বিবাহ অবিচ্ছেদ্য।
এটা এমন নয় যে যাকে খুশি বিয়ে করলাম, কিছুদিন সংসার করলাম, দু'-চারটা সন্তান সৃষ্টি করলাম, তারপর যখন খুশি ছেড়ে দিয়ে নতুন একটা বিয়ে করলাম। নারী যেন ভোগ্য পণ্য ছাড়া কিছুই নয়! তারপর সেই নারী ও সন্তানগুলোর কি হবে -এটা ঐ এনজিওদের দায়িত্ব। কি চমৎকার!
বর্তমানে হিন্দু পারিবারিক আইনের পরিবর্তনের জন্য বিদেশী সহায়তায় কিছু এনজিও সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় অর্থ ব্যয় করে চাতুরীপূর্ণ তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা করে প্রচারণা চালাচ্ছে। কিছু মাসিক বেতনে, কিছু সম্মানী দিয়ে হিন্দু আইনের বিরুদ্ধে লেখা লেখিয়ে পত্রিকায় ছাপাচ্ছে। কখনো কখনো সরকারকেও চাপ সৃষ্টি করছে। উদ্দেশ্য শকুনজাত। গরুর মড়ক লাগলে শকুনের যেমন আনন্দ, তেমনি রাস্তা-ঘাটে পরিত্যক্ত মহিলা-শিশু বাড়লে এনজিওদের আনন্দ। যত পরিত্যক্ত শিশু ও নারী বাড়বে, তত বেশী অনুদান আসবে। এনজিও মালিকরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে পরবে। এনজিওদের প্ররোচনায় মুসলিম সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ায় পিতা মাতার আশ্রয়হীন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বর্তমানে ৭৪ লাখ, পথশিশু ২০ লাখ, প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু ধর্ষণ হয়। ডাস্টবিনে পড়ে থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত শিশু বছরে ২০৩টি। বর্তমানে শিশু যৌনকর্মীর সংখ্যা ২ লাখ, বাসাবাড়িতে কাজ করে ২০ লাখ শিশু। ঢাকার লালবাগের জমিলা খাতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় মোট ৬২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১১ জন শিশুই পিতা মাতার ছাড়াছাড়ির কারণে অসহায় এতিম। শিশুদের মধ্যে চোরা চালান ও অস্ত্র বহন করে ৩৫ হাজার, এই সব অসহায় শিশুদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত সহিংস ঘটনা ঘটেছে প্রায় ৮৪০০০। গবেষকরা দাবী করেন সহিংস ঘটনার সিংহভাগই অপ্রকাশিত থেকে যায়। (সূত্র : মোঃ খোরশেদ, প্রকল্প সমন্বয়কারী-'সেভ দ্য চিলড্রেন' ইউ.কে, প্রদীপন, লালবাগ, ঢাকা
The right is equal in the fathers property for both son and daughter
(Book: Mera Dharma, Author: Priyavrat Vedavachaspati, Gurukul Kangri University)
Chapter 1: Women in Vedic Dharma, Page 21
কিন্তু কালক্রমে মানুষ বেদ থেকে সরে যাচ্ছে।
তবে আগেই বলেছি হিন্দুধর্ম পরিবেশের সাথে কোপ আপ করে নিতে শিখায়। এর ফলে এই সমাজে গড়ে উথেছে শক্তিশালী পরিবার ব্যবস্থা যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের
নারী-শিশু-বৃদ্ধরা নিরাপদ থাকে। একারণে এ সম্প্রদায়ের মানুষ দুস্থ ও অসহায় হয় না।
একশ্রেণীল দালাল ও বিদেশী অর্থে পরিচালিত এনজিও এ কাঠামো ভেঙে দিতে চায়। যেন তারা দুস্থ সহায়তা তহবিল খুলে লাভবান হতে পারে। বাবার সম্পত্তিতে নারীকে সমঅধিকার দেওয়া হলে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা বেড়ে যাবে। পরে ধর্মান্তরিত মেয়েকে বিয়ে করে সম্পত্তি তার সম্পত্তি দখলের ছুতোয় বাবার সব সম্পত্তিই দখল করা হবে।
আমি উদাহরণ দেই
হিন্দু আইন লাখ লাখ বছরের পরীক্ষিত আইন। কোন ব্যক্তি বিশেষের সুবিধার জন্য হিন্দু আইন নয়। সমগ্র পরিবারের কল্যাণের নিমিত্তই ভগবান আইন প্রণয়ন করেছেন। হিন্দু পরিবার একটি কর্পোরেশন হিসেবে গণ্য হয়। পরিবারের সকল দায়-দায়িত্ব কর্তার বহন করতে হয়। সাধারণত পরিবারের কর্তা পুরুষ এই কারণে হয় যে, হিন্দু আইন পুরুষকে তার স্ত্রী, পিতা-মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন, নাতী-নাতনী, অসহায় পিশি ও অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের ভরণপোষণ করতে বাধ্য করেছে। পরিবারের যাবতীয় ঋণ, রাষ্ট্রীয় পাওনা, পরিবারের সদস্যদের ক্রিমিনাল অপেন্সের দায়-দায়িত্ব সর্ববস্থায় পুরুষের ওপর অর্পিত হয়েছে। হিন্দু আইনে নারীর কোন দায়-দায়িত্ব নেই।
ব্যক্তি নয় প্রতিটি পরিবার সুস্থ হোক। পরিবার সুস্থহলেই নারী সুরক্ষিত থাকবে। ব্যক্তিস্বার্থ জাগ্রত হলে অন্য সমাজের মত হিন্দু নারীরাও অসহায় হয়ে পড়বে।
আজ ওয়েস্টে পরিবার প্রথা ধ্বংসের ফলে কি হচ্ছে তা তো দেখছেন। আর ঐ কালচারের পা চাঁটতে গিয়ে ভারতে কি হচ্ছে তাও দেখেছেন। বেদের পরিবার প্রথা না মেনে ব্যক্তিস্বার্থ জাগ্রত করে সমাজকে শেষ করে দিয়েছে।
বর্তমান আইন বর্বর লাগতে পারে কিন্তু টিকে থাকতে হলে বিকল্প নাই। আমি নারীর অধিকার বিরোধী না কিন্তু ধর্মান্তর বিরোধী আইন বাংলাদেশে সম্ভব না। মোল্লা রা সবসময় চায় হিন্দুদের গরুখর বানাতে।
হিন্দু ধর্ম নারী বিরোধী নয় বরং নারীর সুরক্ষার পন্থী। আমাদের অ্যালবাম বেদে নারী দেখতে পারেন।
মান্যবর সংস্কারকদের প্রতি অ।মার সনির্বন্ধ অনুরোধ, অ।পনারা দয়া করে হিন্দুদের সম্পত্তি সংক্রান্ত কোন অ।ইন করবেন না । এই হিন্দু সম্প্রদায়েই বিবাহ পরবর্তী শান্তি বেশি । এবং বিবাহ পরবর্তী সম্পত্তি বন্টন সংক্রান্ত ব্যাপারই শান্তি ভঙ্গের মূল কারন । বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিবাহ পরবর্তী অধ্যায় পর্যালোচনা করলে সেটা খুব সহজেই অনুমান করা যায় । সুতরাং, দয়া করে একটা শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায়কে চিরতরে অশান্তির দিকে ঠেলে দিবেন না ।
নারী পিণ্ড দান করে মৃতের পরিবারের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারেন :
পরিবারে যদি পুরুষ সদস্য না থাকে তবে নারী মৃত ব্যক্তির/পরিবার কর্তার উদ্দেশ্যে কর্তব্য সম্পাদন করে মৃতের উদ্দেশ্যে পিণ্ড দান করে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান মৃত ব্যক্তির বিধবা স্ত্রী। তিনি আজীবন স্বামীর সম্পূর্ণ সম্পত্তি নিজ দখলে রাখতে পারেন এবং যথেচ্ছা ভোগ করতে পারেন। যেখানে মুসলিম আইনে বিধবা পায় আট ভাগের এক ভাগ।
এবার দেখা যাক কন্যা প্রসঙ্গে হিন্দু আইন কি বলেছে। হিন্দু আইনে পুত্রের অবর্তমানে কন্যা সম্পূর্ণ সম্পত্তির মালিক হন। যেখানে মুসলিম আইনে এক-তৃতীয়াংশ চাচাদের কাছে চলে যায়। যেহেতু স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহের সুযোগ আছে, তাই পরিবারের নাবালক সন্তানেরা যাতে অসহায় হয়ে না পড়ে, সে কারণে হিন্দু আইনে নারীর সম্পত্তি হস্তান্তরের কিছুটা বিধি-নিষেধ আছে। কিন্তু বৈধ প্রয়োজনে সম্পত্তি হস্তান্তরে বা বিক্রি করতে কোন বাধা নেই। পুত্র সন্তান থাকলেও এবং তারা যদি পৃথক হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও বিধবা স্ত্রী এক পুত্রের সমান সম্পত্তির অংশীদার হয়। অর্থাৎ কোন ভাবেই নারীকে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। বাস্তবেও হিন্দু মহিলারা অন্যান্য সমাজ থেকে যথেষ্ট সুরক্ষিত ও সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় আছে। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না।
বাধা-নিষেধ সত্ত্বেও দেখা গেছে নাবালক শিশুদের ফেলে সব সম্পত্তি বিক্রি করে অন্যের সঙ্গে বিয়ে করে চলে গেছে এমন হিন্দু নারীর সংখ্যা নেই বললেই চলে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ে স্বামী সন্তানকে ফেলে অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যাওয়া নারীর সংখ্যা গুটিকতক নয়, হাজারে হাজারে দেখা যায়। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় এমনও দেখা গেছে, নিজ স্বামী-সন্তানকে হত্যা করে গচ্ছিত সম্পত্তি নিয়ে অন্যের হাত ধরে চলে যাচ্ছে। যা হিন্দু সমাজে বিরল ঘটনা।
হিন্দু আইনে বিবাহ হলো "আত্মার সাথে আত্মার, মাংসের সাথে মাংসের এবং অস্থিতে অস্থিতে মিলন" (কলিকাতা হাইকোর্ট)। "আত্মার জন্য জীবনী শক্তির অংশ এবং এমন এক স্বর্গীয় মিলন যার ফলে স্বামী-স্ত্রী মিলে এক ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হয়" (এলাহাবাদ হইকোর্ট)। সে কারণে হিন্দু বিবাহ অবিচ্ছেদ্য।
এটা এমন নয় যে যাকে খুশি বিয়ে করলাম, কিছুদিন সংসার করলাম, দু'-চারটা সন্তান সৃষ্টি করলাম, তারপর যখন খুশি ছেড়ে দিয়ে নতুন একটা বিয়ে করলাম। নারী যেন ভোগ্য পণ্য ছাড়া কিছুই নয়! তারপর সেই নারী ও সন্তানগুলোর কি হবে -এটা ঐ এনজিওদের দায়িত্ব। কি চমৎকার!
বর্তমানে হিন্দু পারিবারিক আইনের পরিবর্তনের জন্য বিদেশী সহায়তায় কিছু এনজিও সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় অর্থ ব্যয় করে চাতুরীপূর্ণ তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা করে প্রচারণা চালাচ্ছে। কিছু মাসিক বেতনে, কিছু সম্মানী দিয়ে হিন্দু আইনের বিরুদ্ধে লেখা লেখিয়ে পত্রিকায় ছাপাচ্ছে। কখনো কখনো সরকারকেও চাপ সৃষ্টি করছে। উদ্দেশ্য শকুনজাত। গরুর মড়ক লাগলে শকুনের যেমন আনন্দ, তেমনি রাস্তা-ঘাটে পরিত্যক্ত মহিলা-শিশু বাড়লে এনজিওদের আনন্দ। যত পরিত্যক্ত শিশু ও নারী বাড়বে, তত বেশী অনুদান আসবে। এনজিও মালিকরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে পরবে। এনজিওদের প্ররোচনায় মুসলিম সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ায় পিতা মাতার আশ্রয়হীন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বর্তমানে ৭৪ লাখ, পথশিশু ২০ লাখ, প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু ধর্ষণ হয়। ডাস্টবিনে পড়ে থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত শিশু বছরে ২০৩টি। বর্তমানে শিশু যৌনকর্মীর সংখ্যা ২ লাখ, বাসাবাড়িতে কাজ করে ২০ লাখ শিশু। ঢাকার লালবাগের জমিলা খাতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় মোট ৬২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১১ জন শিশুই পিতা মাতার ছাড়াছাড়ির কারণে অসহায় এতিম। শিশুদের মধ্যে চোরা চালান ও অস্ত্র বহন করে ৩৫ হাজার, এই সব অসহায় শিশুদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত সহিংস ঘটনা ঘটেছে প্রায় ৮৪০০০। গবেষকরা দাবী করেন সহিংস ঘটনার সিংহভাগই অপ্রকাশিত থেকে যায়। (সূত্র : মোঃ খোরশেদ, প্রকল্প সমন্বয়কারী-'সেভ দ্য চিলড্রেন' ইউ.কে, প্রদীপন, লালবাগ, ঢাকা
To
ReplyDeleteWorld Conscience,
Subject- Save the ancient heritage Sri Sri Gopinath Deb Bigroh Mondir, Protest torturing to Hindu people of Rangpur, Bangladesh and Deity lands.
Sir,
We are the inhabitants of village Jadabpur, Ajodhyapur, Jolkoria, Madhobpur and Barobari of Rangpur Sadar Upazila, Rangpur, Bangladesh. We have an ancient heritage and Deity land at Monoharpur, Satgara UP, Rangpur Sadar, Rangpur. Hindu peoples used to have it as a famous Pilgrimage. Many pilgrims from Rangpur Division come here for peace of their soul and their ancestor's soul.
Recently, some devils targeted this Deity land to occupy it with dishonoring to divine Deity. They (devils) are also torturing to Hindu peoples. On 07/05/2012 night, they have broken temple gate, removed signboard, Charok tree, Kitchen, tube well broken Gopinath temple and stolen the goods from store room of about 50 thousand taka.
They are also continuously threatening the leaders of temple committee and general Hindu peoples. Free movements and other fundamental rights of Hindu peoples have been restricted by them. The local administration is playing a questionable role. Everything they are acknowledged, but taking no initiatives. Rather, inspire the devils indirectly.
So, please come forward, save the heritage and help to establish the constitutional rights of Hindu peoples of Bangladesh.
On behave of Hindu peoples.....
Gopinath Deb Bigroh Temple Committee
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteআবার পুত্রের অবর্তমানে নারী!! মানে নারী হচ্ছে বিকল্প!! আর কত অপমান করবেন নারীদের? একটা কথা বোঝার মত কি সাধারন কমন সেন্স কি আপনাদের নেই। যে সম্পত্তি বন্টন হয় বাবা মা স্বর্গীয় হবার পরে আর বাবা মা বেঁচে থাকতেই সন্তানদের বিবাহ সম্পন্ন করে বেশীর ভাগই। তাই এটি নিয়ে চিন্তার কোন কারন নেই। আর সম্পত্তি দেয়া হবে হিন্দু কন্যা সন্তানকে কোন ধর্মান্তরিত কাউকে নয়। তাহলে আপনাদের এত ভয় কিসের? জোর করেতো এখনো হচ্ছে আবার স্বচ্ছায়ও হচ্ছে প্রেমের কারনে তা তো ঠেকাতে পারছেন না। এই ধরনের অমানবিক বৈষম্যপূর্ন ও বেদ বর্হিভূত আইন মানি না। এর সংস্কার করতেই হবে।
ReplyDelete