Pages

Saturday, July 14, 2012

সনাতন এর কিছু রীতিনীতি

লিঙ্কন চক্রবর্তী 




সনাতনী সমাজে আরাধনার সময় বাতি বা আগুন, ঘণ্টা, শঙ্খ, উলু এবং ধূপ ব্যবহার করি। বেশিরভাগ মানুষ এটাকে শধু মাত্র পুণ্য মনেকরেন। কিন্তু এর পেছনে একটা যৌক্তিক কারণ রয়েছে। কারণটি হলঃ

ধূপ এর ব্যবহারঃ
তৎকালীন সময়ে ঋষি গন ধ্যান করতেন তপোবনে। যেহেতু সেখানে থাকত ঘন জঙ্গল সেহেতু মশার ও পোকামাকড়ের অত্যাচার ও ছিল সেখানে, যা ঋষিদের ধ্যানে বিঘ্ন ঘটাত; সুতরাং নির্বিঘ্নে ঈশ্বরের উপাসনা করারার প্রয়োজনে ধূপ এর বেবহার হত। যা শুধুমাত্র মাঙ্গলিক বলে ব্যবহার করা হয় বর্তমানে। সুতরাং প্রয়োজনে ব্যবহার করুণ এবং জেনে ব্যবহার করুণ। আমার জানা মতে ধূপ এর ঔষধি গুন ও রয়েছে। ( কি গুন আছে তা আমি নিদিষ্ট করে বলতে পারছিনা, কেও জেনে থাকতে আমাদের সহযোগিতা করুণ )।

ঘণ্টা, শঙ্খ ও উলুর ব্যাবহারঃ
সংকেত দিতে ব্যবহার হতো এগুলি। তৎকালীন সময়ে মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ছিলনা যার মাধ্যমে দূরে সংকেত পাঠানো যেত। যাক-যজ্ঞ করার খবর দূরে পোঁছে দিতে এই মাধ্যম গুলিকে ব্যবহার করা হত।

বাতির ব্যবহারঃ

পুঁথি পরতে এবং লিখতে আলোর প্রয়োজন। তাই ঋষিরা তেলের বা মোম এর বাতি ব্যবহার করতেন রাতে আলোর প্রয়োজন মিটাতে। আবার আমরা অগ্নিকে সমস্ত শক্তির আধার মানি; আমরা অগ্নি হতে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে মানি। তায় আমাদের জাগ যজ্ঞ, পুজা বা আরাধনায় অঙ্গি কে সাক্ষী রেখে সমস্ত কাজ গুলি করেথাকি।

প্রথা ধরে রাখতে এবং ক্ষেত্র বিশেষে উপরোক্ত ব্যবহার গুলুর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্ত শুধু মাত্র মাঙ্গলিক কারনে এবং না বুঝে অপ্রয়োজনে ব্যবহার করবেননা, এতে বিপদ হতে পারে। অনেকে মনেকরেন মোম বাতি আসন থেকে নিবানো যাবেনা। নিজথেকে নিবেযাবার আগে নেবালে অমঙ্গল হবে, এ ধারণা ঠিক নয়। তাই প্রয়োজনে ব্যবহার করুণ এবং বুঝে করুণ।
(এই বিষয়ে কারো মতামত থাকলে আমাদের জানান)

No comments:

Post a Comment