সূত্র
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ‘মুসলমানদের রাষ্ট্র’ পাকিস্তানে (তত্কালীন পশ্চিম পাকিস্তান) হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল ১৫ শতাংশ। আজ ৬৫ বছর পর সেই পাকিস্তানে এদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২ শতাংশে। গত ৬৫ বছরে নানা কারণে অনেক হিন্দু পরিবার পাকিস্তান ত্যাগ করেছে। বলা বাহুল্য, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সাধারণ হিন্দুদের লক্ষ্য সব সময়ই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। সাতচল্লিশের পর ভারতের রাজস্থান, গুজরাট, দিল্লি, পাঞ্জাব প্রমুখ প্রদেশ হয়েছে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের আবাসভূমি।
পাকিস্তান থেকে কোনোমতে জীবন নিয়ে সীমান্ত ত্যাগ করলেই যে পাকিস্তানি হিন্দুদের সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তা আর এখন জোর দিয়ে বলার কোনো উপায় নেই। ভারতের মাটিতে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান থেকে আসা এই হিন্দুদের নানা ধরনের আমলাতান্ত্রিক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। অনেককে জোর করেই আবার ফেরত পাঠানো হয় পাকিস্তানে। নিজভূমি ছেড়ে আসা এমন লোকজন ‘হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ’ রাষ্ট্র ভারতের কাছেও অপাঙক্তেয় হয়ে আছে বছরের পর বছর ধরে। সব মিলিয়ে কেবল হিন্দু হয়ে জন্মানোর ‘অপরাধে’ পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতেও তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, যার আশু কোনো প্রতিকারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কিছুদিন আগে ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে দাঁড়িয়ে রিংকেল কুমারী নামের এক পাকিস্তানি হিন্দু কিশোরী তুলে ধরেছিল তার ও তার পরিবারের ওপর ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের দাপটে মত্ত’ এক ব্যক্তির অত্যাচারের কথা। সেই ব্যক্তির ক্ষমতার দাপটে রিংকেলকে ধর্মান্তরিত করে তাঁর সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য করা হয়। শুধু তা-ই নয়, পরে রিংকেলকে নাভিদ শাহ পরিবার ত্যাগ করতেও বাধ্য করে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সামনে দাঁড়িয়ে রিংকেল ফরিয়াদ জানিয়েছিল সুবিচারের। সে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সাহায্য প্রার্থনা করে বলেছিল, সে যেন তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারে। তার পরিবার যেন পাকিস্তানের মাটিতে নিরাপদ বোধ করে।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সামনে দাঁড়িয়ে করা রিংকেলের এই ফরিয়াদ নাড়া দিয়েছিল পাকিস্তানের সুশীল সমাজকে। পত্রপত্রিকায় ঝড় তুলে ছিল বিষয়টি। রিংকেলের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন একটি সহায়ক তহবিল গঠনে উদ্যোগী হয়। কিন্তু এতকিছুর পর রিংকেল কি নিরাপত্তা পেয়েছিল? রিংকেল কি ফিরে যেতে পেরেছিল তার পরিবারের কাছে?
রিংকেল প্রধান বিচারপতির কাছে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আবেদন জানানোর পর গুলিতে নিহত হন রিংকেলের ৭০ বছর বয়সী পিতামহ। পরিবারের ওপর নতুন করে নেমে আসে অত্যাচারের খড়্গ। তার মা-বাবাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে রাখে সেই নাভিদ শাহের লোকজন। এর ফলে, যে নাভিদ শাহের বিরুদ্ধে রিংকেলের এত অভিযোগ, তাঁর সঙ্গেই রিংকেল ইসলামাবাদের এক জনাকীর্ণ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করে, সে নাভিদ শাহকে বিয়ে করেছে এবং সে এখন থেকে একজন ভালো স্ত্রী হয়েই সংসারধর্ম চালিয়ে যেতে চায়। এর পর আর কিছু বলার নেই।
পাকিস্তান পুলিশের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি হিন্দুধর্মাবলম্বী বাস করে সিন্ধু প্রদেশে (৯০ শতাংশ)। এই সিন্ধুতেই প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ জন মেয়ে রিংকেলের ভাগ্য বরণ করে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রাণের ভয়ে অনেক হিন্দু পরিবার পালিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। কিন্তু ভারতে তাদের যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, তা যেন তাদের কাছে ‘হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র’টির বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। ভারত এদের কখনোই শরণার্থীর মর্যাদা দেয়নি। বরং কিছুদিন আগে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা দায়িত্ব সেরেছিল পুরো বিষয়টিকে পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে চালিয়ে দিয়ে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে এমনকি প্রতিবছর মোট কী পরিমাণ হিন্দুধর্মাবলম্বী পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে আসছে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।
পাকিস্তানে কিশোর কুমার নামের এক ব্যবসায়ী চরম অনিরাপদ বোধ করেন, তাঁর দুই কলেজপড়ুয়া মেয়ের জন্য। তাঁর মতে, যেকোনো সময় এই দুই মেয়ে অপহরণ কিংবা ধর্ষণের শিকার হতে পারে। তিনি প্রায় তিন বছর চেষ্টা করে ভারতের ভিসার সিল লাগিয়েছেন তাঁদের পাসপোর্টে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সিন্ধুর মির-খাস সীমান্ত দিয়ে কিশোর কুমার তাঁর পরিবার নিয়ে অবশেষে ভারতের আহমেদাবাদে এসে উঠেছেন। অবশ্য কিশোর কুমার ও তাঁর পরিবার ভারতে স্থায়ীভাবে বাস করতে পারবেন কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
কিশোর কুমারের মতো পাকিস্তানের অনেক অবস্থাপন্ন ও শিক্ষিত পরিবারও নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান ছেড়ে চলে এসেছেন ভারতে। কিন্তু এখানে তাঁরা নাগরিকত্ব না পাওয়ায় দুর্ভোগের জীবন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছেন না। করাচির লিয়াকত মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করা কারমানি নামের এক তরুণ ভারতে এসেছেন। সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী। পাকিস্তানে বিরাট বাংলোয় বড় হওয়া কারমানি নিরাপত্তার কারণে সব ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে আজ শরণার্থী। প্রায় সাত বছর ধরে ভারতে বাস করার পরও নাগরিকত্ব না হওয়ায় হতাশ তিনি। তাঁর স্ত্রীও নাগরিকত্বের অপেক্ষায় আছে।
এই পাকিস্তানি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় হতাশার জায়গা ভারত। ভারতের কাছে তাদের যে প্রত্যাশা, তা অধরাই থেকে যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় পাকিস্তানি হিন্দুদের করণীয় কী? কেবল একটি বিশেষ দেশে ও বিশেষ ধর্মে জন্ম নেওয়ার অপরাধে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত হবে তারা? তাদের কোনো রাষ্ট্র নেই। তাদের কোনো সহায়ক শক্তি নেই। কারণ তারা ‘পাকিস্তানি হিন্দু’, সংখ্যায় অল্প। ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ‘মুসলমানদের রাষ্ট্র’ পাকিস্তানে (তত্কালীন পশ্চিম পাকিস্তান) হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল ১৫ শতাংশ। আজ ৬৫ বছর পর সেই পাকিস্তানে এদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২ শতাংশে। গত ৬৫ বছরে নানা কারণে অনেক হিন্দু পরিবার পাকিস্তান ত্যাগ করেছে। বলা বাহুল্য, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সাধারণ হিন্দুদের লক্ষ্য সব সময়ই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। সাতচল্লিশের পর ভারতের রাজস্থান, গুজরাট, দিল্লি, পাঞ্জাব প্রমুখ প্রদেশ হয়েছে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের আবাসভূমি।
পাকিস্তান থেকে কোনোমতে জীবন নিয়ে সীমান্ত ত্যাগ করলেই যে পাকিস্তানি হিন্দুদের সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তা আর এখন জোর দিয়ে বলার কোনো উপায় নেই। ভারতের মাটিতে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান থেকে আসা এই হিন্দুদের নানা ধরনের আমলাতান্ত্রিক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। অনেককে জোর করেই আবার ফেরত পাঠানো হয় পাকিস্তানে। নিজভূমি ছেড়ে আসা এমন লোকজন ‘হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ’ রাষ্ট্র ভারতের কাছেও অপাঙক্তেয় হয়ে আছে বছরের পর বছর ধরে। সব মিলিয়ে কেবল হিন্দু হয়ে জন্মানোর ‘অপরাধে’ পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতেও তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, যার আশু কোনো প্রতিকারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কিছুদিন আগে ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে দাঁড়িয়ে রিংকেল কুমারী নামের এক পাকিস্তানি হিন্দু কিশোরী তুলে ধরেছিল তার ও তার পরিবারের ওপর ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের দাপটে মত্ত’ এক ব্যক্তির অত্যাচারের কথা। সেই ব্যক্তির ক্ষমতার দাপটে রিংকেলকে ধর্মান্তরিত করে তাঁর সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য করা হয়। শুধু তা-ই নয়, পরে রিংকেলকে নাভিদ শাহ পরিবার ত্যাগ করতেও বাধ্য করে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সামনে দাঁড়িয়ে রিংকেল ফরিয়াদ জানিয়েছিল সুবিচারের। সে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সাহায্য প্রার্থনা করে বলেছিল, সে যেন তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারে। তার পরিবার যেন পাকিস্তানের মাটিতে নিরাপদ বোধ করে।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সামনে দাঁড়িয়ে করা রিংকেলের এই ফরিয়াদ নাড়া দিয়েছিল পাকিস্তানের সুশীল সমাজকে। পত্রপত্রিকায় ঝড় তুলে ছিল বিষয়টি। রিংকেলের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন একটি সহায়ক তহবিল গঠনে উদ্যোগী হয়। কিন্তু এতকিছুর পর রিংকেল কি নিরাপত্তা পেয়েছিল? রিংকেল কি ফিরে যেতে পেরেছিল তার পরিবারের কাছে?
রিংকেল প্রধান বিচারপতির কাছে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আবেদন জানানোর পর গুলিতে নিহত হন রিংকেলের ৭০ বছর বয়সী পিতামহ। পরিবারের ওপর নতুন করে নেমে আসে অত্যাচারের খড়্গ। তার মা-বাবাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে রাখে সেই নাভিদ শাহের লোকজন। এর ফলে, যে নাভিদ শাহের বিরুদ্ধে রিংকেলের এত অভিযোগ, তাঁর সঙ্গেই রিংকেল ইসলামাবাদের এক জনাকীর্ণ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করে, সে নাভিদ শাহকে বিয়ে করেছে এবং সে এখন থেকে একজন ভালো স্ত্রী হয়েই সংসারধর্ম চালিয়ে যেতে চায়। এর পর আর কিছু বলার নেই।
পাকিস্তান পুলিশের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি হিন্দুধর্মাবলম্বী বাস করে সিন্ধু প্রদেশে (৯০ শতাংশ)। এই সিন্ধুতেই প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ জন মেয়ে রিংকেলের ভাগ্য বরণ করে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রাণের ভয়ে অনেক হিন্দু পরিবার পালিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। কিন্তু ভারতে তাদের যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, তা যেন তাদের কাছে ‘হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র’টির বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। ভারত এদের কখনোই শরণার্থীর মর্যাদা দেয়নি। বরং কিছুদিন আগে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা দায়িত্ব সেরেছিল পুরো বিষয়টিকে পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে চালিয়ে দিয়ে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে এমনকি প্রতিবছর মোট কী পরিমাণ হিন্দুধর্মাবলম্বী পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে আসছে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।
পাকিস্তানে কিশোর কুমার নামের এক ব্যবসায়ী চরম অনিরাপদ বোধ করেন, তাঁর দুই কলেজপড়ুয়া মেয়ের জন্য। তাঁর মতে, যেকোনো সময় এই দুই মেয়ে অপহরণ কিংবা ধর্ষণের শিকার হতে পারে। তিনি প্রায় তিন বছর চেষ্টা করে ভারতের ভিসার সিল লাগিয়েছেন তাঁদের পাসপোর্টে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সিন্ধুর মির-খাস সীমান্ত দিয়ে কিশোর কুমার তাঁর পরিবার নিয়ে অবশেষে ভারতের আহমেদাবাদে এসে উঠেছেন। অবশ্য কিশোর কুমার ও তাঁর পরিবার ভারতে স্থায়ীভাবে বাস করতে পারবেন কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
কিশোর কুমারের মতো পাকিস্তানের অনেক অবস্থাপন্ন ও শিক্ষিত পরিবারও নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান ছেড়ে চলে এসেছেন ভারতে। কিন্তু এখানে তাঁরা নাগরিকত্ব না পাওয়ায় দুর্ভোগের জীবন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছেন না। করাচির লিয়াকত মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করা কারমানি নামের এক তরুণ ভারতে এসেছেন। সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী। পাকিস্তানে বিরাট বাংলোয় বড় হওয়া কারমানি নিরাপত্তার কারণে সব ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে আজ শরণার্থী। প্রায় সাত বছর ধরে ভারতে বাস করার পরও নাগরিকত্ব না হওয়ায় হতাশ তিনি। তাঁর স্ত্রীও নাগরিকত্বের অপেক্ষায় আছে।
এই পাকিস্তানি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় হতাশার জায়গা ভারত। ভারতের কাছে তাদের যে প্রত্যাশা, তা অধরাই থেকে যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় পাকিস্তানি হিন্দুদের করণীয় কী? কেবল একটি বিশেষ দেশে ও বিশেষ ধর্মে জন্ম নেওয়ার অপরাধে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত হবে তারা? তাদের কোনো রাষ্ট্র নেই। তাদের কোনো সহায়ক শক্তি নেই। কারণ তারা ‘পাকিস্তানি হিন্দু’, সংখ্যায় অল্প। ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে
No comments:
Post a Comment