বার্তা২৪ ডটনেট
ঝিনাইদহ, ১৩ মে: ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি দলের ছত্রছায়ায় আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের উপর চরম ভাবে নির্যাতন, হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও বাড়িঘর ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝিনাইদহ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু কনক কান্দি দাস আদিবাসী ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই চিত্র তুলে ধরেন।
এসময় জেলা প্রশাসক খাঁজা আব্দুল হান্নান, পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ও ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল হক, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ন চন্দ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুবির সমাদ্দারসহ নির্যাতিত পরিবারের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, “ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হিন্দু ও আদিবাসীদের উপর নির্যাতন চলছে।” তিনি বলেন, “এভাবে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে সরকারের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।” প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও হিন্দু সমাজ কোনো প্রতিকার পাননি বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমাদের পিট দেয়ালে ঠেকে গেছে। নির্যাতন বন্ধ না হলে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
তিনি ধর্ষণ, খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ঘরবাড়ি ভাংচুরসহ নির্যাতনের রেকর্ড তুলে ধরে বলেন, “ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা বাবু জোয়ারদারের নেতৃত্বে পরেশ ও বিশু বাগদীসহিআটটি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ভিটে থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। শহরের চাকলাপাড়ার বুলু মিয়া সড়কে পার্কতী রানী সরকারের বসতবাড়িও উচ্ছেদ করেছে ভূমিদস্যুরা। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দিতে গেলে ওসি ইকবাল বাহার মামলা গ্রহণ না করে নির্যাতিতদের থানা থেকে বের করে দেন।”
তিনি বলেন, “সদর উপজেলার লৌহাজঙ্গা গ্রামে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী অধির কুমারের ছেলে কষ্ণ কুমার একই গ্রামের সমরেশ চন্দ্র কুন্ডুর সুন্দরী ভাতিজা টুম্পাকে বিয়ের জন্য জোরপূর্বক ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। প্রতিবাদ করায় সমরেশকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করেও সমরেশ কুমার সুস্থ হননি। তিনি এখন ভাতিজা নিয়ে মাগুরায় পালিয়ে রয়েছেন। তিনি জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২২ মেয়েকে ধর্ষণ, সুমন ব্যানার্জী, গুরুপদ, বিকাশ বিশ্বাস ও গৌতমসহ ছয় জনকে খুন, ও ৪২টি সংখ্যালঘু পরিবারের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদাবাজি করা হয়েছে। গত তিন বছরে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ বাজারের সুনিল কুমার, খোশুনি গ্রামের কুমারেশ, কাজলী গ্রামের দিলিপ কুমারসহ বহু পরিবার ভারতে চলে গেছে। এ ছাড়া খড়াশি, কাজলী, নারায়নপুর, ডাকাতিয়া, দক্ষিণ দূর্গাপুর, খড়াশুন, করাতিপাড়া, চেওনিয়া, খেদাপাড়া, শ্রীমন্তপুর, নৈহাটী, আড়মুখ, নলডাঙ্গা, কোলা, কালীগঞ্জের বাদুরগাছা, পিরোজপুর, রাখালগাছি, কামালহাট, বড়বাইসা, তিল্লা, সুন্দরপুর, ভাটপাড়া, কাদিরকোল, তেলটুপি, ভিটশ্বর, হরিনাকুন্ডুর কেসমতপুর, ঘোড়াগাছা, ভালকী, চিথলীয়াপাড়া, শাখেরীদহ ও সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামের হিন্দু পরিবারের উপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের জমি দখল, নারী ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন তারা। ঘরে সুন্দরী মেয়ে দেখলে তাকে আর রক্ষা করা যাচ্ছে না। সদর উপজেলার লৌহাজঙ্গা গ্রামের মৃত অমরেশ কুন্ডুর মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের মামলা করার ক্ষমতা নেই। সেই নির্যাতিত মেয়েটি নিয়ে তার চাচা সমরেশ বাড়ি ছেড়েছে। আর এ সব করা হচ্ছে সরকারী দল আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে। ফলে পুলিশ প্রভাবিত হয়ে কোনো মামলা নিচ্ছেন না আবার অ্যাকশানেও যাচ্ছেন না।
হিন্দু সম্প্রদায়ের এই অভিযোগের জবাবে জেলা প্রশাসক খাঁজা আব্দুল হান্নান বলেন, নির্যাতন ও ধর্ষণের বিষয়ে গোপনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো সংখ্যালঘু পরিবার নির্যাতনের শিকার না হন তিনি সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তিনি হিন্দু নেতাদের বলেন, “যারা করছে তারাও তো আপনাদের দলের লোক। এক জায়গায় বসে এ সব সমস্যা ঠিক করেন।” এ বিষয়ে পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, “বর্তমান সরকারের কাছে কোনো সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু নেই, সবাই সমান।” তিনি বলেন আমি হিন্দু হয়েও পুলিশ সুপার হয়েছি। সরকারের কাছে এই বাছবিচার থাকলে আমি এসপি হতাম না। তিনি হিন্দু ও আদিবাসীদের উপর যারা নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের বিষয়ে আমি কঠোর পদক্ষে নেবেন বলে ঘোষণা দেন।
রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝিনাইদহ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু কনক কান্দি দাস আদিবাসী ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই চিত্র তুলে ধরেন।
এসময় জেলা প্রশাসক খাঁজা আব্দুল হান্নান, পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ও ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল হক, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ন চন্দ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুবির সমাদ্দারসহ নির্যাতিত পরিবারের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, “ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হিন্দু ও আদিবাসীদের উপর নির্যাতন চলছে।” তিনি বলেন, “এভাবে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে সরকারের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।” প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও হিন্দু সমাজ কোনো প্রতিকার পাননি বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমাদের পিট দেয়ালে ঠেকে গেছে। নির্যাতন বন্ধ না হলে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
তিনি ধর্ষণ, খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ঘরবাড়ি ভাংচুরসহ নির্যাতনের রেকর্ড তুলে ধরে বলেন, “ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা বাবু জোয়ারদারের নেতৃত্বে পরেশ ও বিশু বাগদীসহিআটটি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ভিটে থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। শহরের চাকলাপাড়ার বুলু মিয়া সড়কে পার্কতী রানী সরকারের বসতবাড়িও উচ্ছেদ করেছে ভূমিদস্যুরা। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দিতে গেলে ওসি ইকবাল বাহার মামলা গ্রহণ না করে নির্যাতিতদের থানা থেকে বের করে দেন।”
তিনি বলেন, “সদর উপজেলার লৌহাজঙ্গা গ্রামে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী অধির কুমারের ছেলে কষ্ণ কুমার একই গ্রামের সমরেশ চন্দ্র কুন্ডুর সুন্দরী ভাতিজা টুম্পাকে বিয়ের জন্য জোরপূর্বক ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। প্রতিবাদ করায় সমরেশকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করেও সমরেশ কুমার সুস্থ হননি। তিনি এখন ভাতিজা নিয়ে মাগুরায় পালিয়ে রয়েছেন। তিনি জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২২ মেয়েকে ধর্ষণ, সুমন ব্যানার্জী, গুরুপদ, বিকাশ বিশ্বাস ও গৌতমসহ ছয় জনকে খুন, ও ৪২টি সংখ্যালঘু পরিবারের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদাবাজি করা হয়েছে। গত তিন বছরে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ বাজারের সুনিল কুমার, খোশুনি গ্রামের কুমারেশ, কাজলী গ্রামের দিলিপ কুমারসহ বহু পরিবার ভারতে চলে গেছে। এ ছাড়া খড়াশি, কাজলী, নারায়নপুর, ডাকাতিয়া, দক্ষিণ দূর্গাপুর, খড়াশুন, করাতিপাড়া, চেওনিয়া, খেদাপাড়া, শ্রীমন্তপুর, নৈহাটী, আড়মুখ, নলডাঙ্গা, কোলা, কালীগঞ্জের বাদুরগাছা, পিরোজপুর, রাখালগাছি, কামালহাট, বড়বাইসা, তিল্লা, সুন্দরপুর, ভাটপাড়া, কাদিরকোল, তেলটুপি, ভিটশ্বর, হরিনাকুন্ডুর কেসমতপুর, ঘোড়াগাছা, ভালকী, চিথলীয়াপাড়া, শাখেরীদহ ও সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামের হিন্দু পরিবারের উপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের জমি দখল, নারী ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন তারা। ঘরে সুন্দরী মেয়ে দেখলে তাকে আর রক্ষা করা যাচ্ছে না। সদর উপজেলার লৌহাজঙ্গা গ্রামের মৃত অমরেশ কুন্ডুর মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের মামলা করার ক্ষমতা নেই। সেই নির্যাতিত মেয়েটি নিয়ে তার চাচা সমরেশ বাড়ি ছেড়েছে। আর এ সব করা হচ্ছে সরকারী দল আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে। ফলে পুলিশ প্রভাবিত হয়ে কোনো মামলা নিচ্ছেন না আবার অ্যাকশানেও যাচ্ছেন না।
হিন্দু সম্প্রদায়ের এই অভিযোগের জবাবে জেলা প্রশাসক খাঁজা আব্দুল হান্নান বলেন, নির্যাতন ও ধর্ষণের বিষয়ে গোপনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো সংখ্যালঘু পরিবার নির্যাতনের শিকার না হন তিনি সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তিনি হিন্দু নেতাদের বলেন, “যারা করছে তারাও তো আপনাদের দলের লোক। এক জায়গায় বসে এ সব সমস্যা ঠিক করেন।” এ বিষয়ে পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, “বর্তমান সরকারের কাছে কোনো সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু নেই, সবাই সমান।” তিনি বলেন আমি হিন্দু হয়েও পুলিশ সুপার হয়েছি। সরকারের কাছে এই বাছবিচার থাকলে আমি এসপি হতাম না। তিনি হিন্দু ও আদিবাসীদের উপর যারা নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের বিষয়ে আমি কঠোর পদক্ষে নেবেন বলে ঘোষণা দেন।
No comments:
Post a Comment