প্রসেনজিত দাস
বাংলাদেশে তালাক ব্যবস্থা কঠিনতর করা সত্ত্বেও মানব জমিন পত্রিকা (২/২/৯৯) 'তালাকের টর্নেডো' শিরোনামে লিখেছে, "বাসা বদলের মত ভালবাসাও পাল্টে যাচ্ছে। সমাজ গবেষকরা বলছেন এ অবস্থা উদ্বেগজনক। পাশ্চাত্য প্রভাবিত এক নতুন সংকট।" সিটি কর্পোরেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শতকরা একটিও সমঝোতায় পৌছানো যাচ্ছে না। অথচ সরকার এর পিছনে অফিস কর্মকর্তা কর্মচারী বাবদ প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ঢালছে। ফলাফল শূন্য। তিন মাসের খোরপোষ দিয়ে লাখ লাখ মহিলাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এসব অসহায় মহিলারা যেমন বিভিন্ন হোটেলে দেহ ব্যবসা করে, ছিনতাই, প্রতারণা করে সমাজকে কলুষিত করছে; তেমনি সন্তানগুলোও পিতা মাতার স্নেহ বঞ্চিত হয়ে নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, জঙ্গীবাদসহ এহেন অপরাধ নাই যা তারা করছে না। আজও হিন্দুরা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত। অথচ যুক্তির বিচারে হিন্দুদেরই বিদ্রোহ ও সন্ত্রাসে যুক্ত হওয়ার কথা। হাজার বছর ধরে নির্যাতন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ১০০% হিন্দু থেকে বর্তমানে ১০%-এ নেমে আসা, ১৭% সংখ্যালঘু ভোটারের হিসাবে পার্লামেন্টে কমপক্ষে ৫৮ জন হিন্দু সদস্য না থাকা, স্বাধীন দেশেও তারা আইনত শত্রু, চাকুরী ক্ষেত্রে বৈষম্য, মঠ-মন্দির বেদখল, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল, মন্দিরের সম্পদ চুরি, দেবতাদের মন্দির থেকে উচ্ছেদ করে যাদুঘরে প্রেরণ, সর্বোপরি আবুল বারাকাতের হিসাব মতে প্রতিদিন গড়ে ৫৫০ জন হিন্দু নিখোঁজ হওয়া। এসব মিলিয়ে হিন্দু অসন্তোষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তার কারণ, হিন্দু শিশু সহিষ্ণু ও আদর্শ মানবতাবাদী হয়ে বেড়ে ওঠে। হিন্দু পরিবার ব্যবস্থায় হিন্দু মহিলা ও শিশুর জীবন এতটাই নিরাপদ যে, কোন অবস্থাতেই লাথি মেরে বের করে দেওয়ার সুযোগ নেই। স্বামীর সঙ্গে সেপারেশন থাকার পরও নারী আজীবন ভরণ পোষণ পাওয়ার অধিকারী। আর একারণেই হিন্দু সন্তান পিতামাতার স্নেহে সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বড় হওয়ার সুযোগ পায়। পিতা মাতার স্নেহ বঞ্চিত হয়ে এতিমখানা আর রাস্তাঘাটে মানুষ হতে হয় না, মৌলবাদী আর জঙ্গী হতে হয় না। সারা দেশে হাজার হাজার মুসলিম এতিমখানায় লক্ষ লক্ষ এতিম শিশু পালিত হচ্ছে। কিন্তু সারা দেশে হিন্দু অনাথ আশ্রম আছে মাত্র চারটি এবং সেখানে অনাথ শিশুর সংখ্যা মাত্র কয়েক শত। এও সম্ভব হয়েছে হিন্দু পারিবারিক আইনের সুরক্ষায়।
হিন্দু সমাজ বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের বাধ্যবাধকতাকেও বিরোধিতা করে; কারণ ঐ একটাই। এখন বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে বিস্তারিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হিন্দু বিয়ে হয়; ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গভীর বিশ্বাস জন্মে তারা এক। বিবাহ হলো মানব জীবনের দশবিধ সংস্কারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটি সংস্কার। এটি একটি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান। হিন্দু বিবাহ নারী-পুরুষ শরীর ভোগ করার জন্য কোন চুক্তি নয়, এটি হলো আজীবন একসাথে সুখে-দুঃখে ধর্ম ও জীবন পালনের ব্রত। ধর্ম সম্মত এই ব্রত অবশ্য পালনীয়। বিবাহের সময় ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে যে অঙ্গীকার করা হয় তা অলঙ্ঘনীয়। হিন্দু বিবাহ তাই অবিচ্ছেদ্য। সেই ভাড়া বাড়ির মত, মানুষ যদি মনে করে বাড়িটি তার নয়, তবে সামান্য ছল-ছুতায় বাড়িটি ছেড়ে অন্য বাড়ি ভাড়া নেয়। আর যদি বাড়িটি নিজের মনে করে, তাহলে যত অসুবিধাই হোক বাড়ি পরিত্যাগ করে না; প্রয়োজনে সংস্কার করে। হিন্দু বিবাহে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সেই নিজের বাড়ির মতো। কিন্তু যদি রেজিস্ট্রেশন বা চুক্তিনামা চালু হয় তাহলে মানুষ অনুষ্ঠান ও আধ্যাত্মিকতা বাদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের দিকে বেশী ঝুঁকবে। ফলাফল আত্মিক মিলন না হয়ে শুধুমাত্র শারীরিক মিলনটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়াবে। ফলে মনোমালিন্য, ঝগড়া-ফ্যাসাদ লেগেই থাকবে; নারী ও শিশুর জীবন বিপন্ন হবে। এর চাক্ষুষ প্রমাণ ভারতে হাজারে হাজারে রয়েছে। ভারতে রেজিস্ট্রেশন চালু হওয়ার পর থেকে অশাস্ত্রীয় বিবাহের জোয়ার চলছে। বিবাহ শাস্ত্রীয় ও ধর্মীয় বন্ধন না হওয়ায় আত্মিক বন্ধনের পরিবর্তে শারীরিক ও কাগুজে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। শাস্ত্রীয় দাম্পত্য বন্ধন শিথিলের ফলাফল আজ কোটি কোটি নারী ও শিশুর জীবন বিপন্ন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বামী পরিত্যক্ত মুসলমান নারীদের জন্য ৭০০০ বাড়িঘর তৈরির উদ্যোগ নিলে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তার দাবী করেছেন এই সংখ্যা খুবই সামান্য। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী শুধু বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় তালাক প্রাপ্তা নারীর সংখ্যা তিন লাখ। অন্য জেলাগুলোতে এ সংখ্যা আরও কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে (সমকাল ৬/৯/০৯)। অর্থাৎ সুস্থ সুনিয়ন্ত্রিত ভারতীয় সমাজ পশ্চিমা চিন্তাধারার ফাঁদে পা দিয়ে আজ হাজারটা সমস্যা তৈরী করেছে ভারত নিজেই। ফলাফল শত শত কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়। সর্বাবস্থায় যে নারী ও শিশুর ভরণ পোষণ করতো পরিবার; আজ সে নারীকে সামান্য কারণেই ছুড়ে ফেলে দিতে কেউ ইতস্তত করছে না। বিপন্ন নারী জীবন বাঁচাতে এখন পতিতালয়ে। মাদক, ব্যাভিচারে ভাসছে ভারত, বাড়ছে এইডস্, কলিকাতা এখন এশিয়ার বৃহত্তম পতিতালয়। এনজিওরা পতিতাদের যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে বৈধ ব্যবসার কাতারে নিয়ে এসেছে।
বিয়ে পড়ানোর সময় পুরোহিতের সামান্য দাবী নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ একটি সাধারণ ব্যাপার। রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে গেলে এই তিক্ততা বাড়বে এবং বৈধতা আনতে শাস্ত্রীয় বিবাহের পরিবর্তে রেজিস্ট্রেশনের দিকেই সকলে ঝুকবে। এদেশের দরিদ্র সমাজে একটি মেয়ের বিবাহ দেওয়া যে কত বড় দায়বদ্ধতা ও খরচের ব্যাপার, মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত কোটি কোটি মানুষ সকলেই বোঝেন। এখন এই মেয়েকে যদি তার স্বামী ডিভোর্স দেয়, তবে মেয়ের মা-বাবার কি সাধ্য থাকে তাকে আবার বিয়ে দেওয়ার? তারপর সেই মেয়েটির কি অবস্থা হবে? হিন্দু সমাজ ডিভোর্সী নারীদের প্রতি সবসময়ই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করে থাকে। একজন ডিভোর্সী হিন্দু মেয়েকে বিয়ে দেওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। মেয়েটি তখন নানান দুষ্ট মানুষের খপ্পরে পড়বে। এমতাবস্থায় মেয়েটি দুষ্ট মানুষের প্ররোচণায় বিপথে গেলে বা ধর্মান্তরিত হলে অবাক হওয়াটা মোটেও সমীচীন হবে না।.......
বাংলাদেশে তালাক ব্যবস্থা কঠিনতর করা সত্ত্বেও মানব জমিন পত্রিকা (২/২/৯৯) 'তালাকের টর্নেডো' শিরোনামে লিখেছে, "বাসা বদলের মত ভালবাসাও পাল্টে যাচ্ছে। সমাজ গবেষকরা বলছেন এ অবস্থা উদ্বেগজনক। পাশ্চাত্য প্রভাবিত এক নতুন সংকট।" সিটি কর্পোরেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শতকরা একটিও সমঝোতায় পৌছানো যাচ্ছে না। অথচ সরকার এর পিছনে অফিস কর্মকর্তা কর্মচারী বাবদ প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ঢালছে। ফলাফল শূন্য। তিন মাসের খোরপোষ দিয়ে লাখ লাখ মহিলাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এসব অসহায় মহিলারা যেমন বিভিন্ন হোটেলে দেহ ব্যবসা করে, ছিনতাই, প্রতারণা করে সমাজকে কলুষিত করছে; তেমনি সন্তানগুলোও পিতা মাতার স্নেহ বঞ্চিত হয়ে নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, জঙ্গীবাদসহ এহেন অপরাধ নাই যা তারা করছে না। আজও হিন্দুরা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত। অথচ যুক্তির বিচারে হিন্দুদেরই বিদ্রোহ ও সন্ত্রাসে যুক্ত হওয়ার কথা। হাজার বছর ধরে নির্যাতন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ১০০% হিন্দু থেকে বর্তমানে ১০%-এ নেমে আসা, ১৭% সংখ্যালঘু ভোটারের হিসাবে পার্লামেন্টে কমপক্ষে ৫৮ জন হিন্দু সদস্য না থাকা, স্বাধীন দেশেও তারা আইনত শত্রু, চাকুরী ক্ষেত্রে বৈষম্য, মঠ-মন্দির বেদখল, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল, মন্দিরের সম্পদ চুরি, দেবতাদের মন্দির থেকে উচ্ছেদ করে যাদুঘরে প্রেরণ, সর্বোপরি আবুল বারাকাতের হিসাব মতে প্রতিদিন গড়ে ৫৫০ জন হিন্দু নিখোঁজ হওয়া। এসব মিলিয়ে হিন্দু অসন্তোষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তার কারণ, হিন্দু শিশু সহিষ্ণু ও আদর্শ মানবতাবাদী হয়ে বেড়ে ওঠে। হিন্দু পরিবার ব্যবস্থায় হিন্দু মহিলা ও শিশুর জীবন এতটাই নিরাপদ যে, কোন অবস্থাতেই লাথি মেরে বের করে দেওয়ার সুযোগ নেই। স্বামীর সঙ্গে সেপারেশন থাকার পরও নারী আজীবন ভরণ পোষণ পাওয়ার অধিকারী। আর একারণেই হিন্দু সন্তান পিতামাতার স্নেহে সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বড় হওয়ার সুযোগ পায়। পিতা মাতার স্নেহ বঞ্চিত হয়ে এতিমখানা আর রাস্তাঘাটে মানুষ হতে হয় না, মৌলবাদী আর জঙ্গী হতে হয় না। সারা দেশে হাজার হাজার মুসলিম এতিমখানায় লক্ষ লক্ষ এতিম শিশু পালিত হচ্ছে। কিন্তু সারা দেশে হিন্দু অনাথ আশ্রম আছে মাত্র চারটি এবং সেখানে অনাথ শিশুর সংখ্যা মাত্র কয়েক শত। এও সম্ভব হয়েছে হিন্দু পারিবারিক আইনের সুরক্ষায়।
হিন্দু সমাজ বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের বাধ্যবাধকতাকেও বিরোধিতা করে; কারণ ঐ একটাই। এখন বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে বিস্তারিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হিন্দু বিয়ে হয়; ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গভীর বিশ্বাস জন্মে তারা এক। বিবাহ হলো মানব জীবনের দশবিধ সংস্কারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটি সংস্কার। এটি একটি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান। হিন্দু বিবাহ নারী-পুরুষ শরীর ভোগ করার জন্য কোন চুক্তি নয়, এটি হলো আজীবন একসাথে সুখে-দুঃখে ধর্ম ও জীবন পালনের ব্রত। ধর্ম সম্মত এই ব্রত অবশ্য পালনীয়। বিবাহের সময় ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে যে অঙ্গীকার করা হয় তা অলঙ্ঘনীয়। হিন্দু বিবাহ তাই অবিচ্ছেদ্য। সেই ভাড়া বাড়ির মত, মানুষ যদি মনে করে বাড়িটি তার নয়, তবে সামান্য ছল-ছুতায় বাড়িটি ছেড়ে অন্য বাড়ি ভাড়া নেয়। আর যদি বাড়িটি নিজের মনে করে, তাহলে যত অসুবিধাই হোক বাড়ি পরিত্যাগ করে না; প্রয়োজনে সংস্কার করে। হিন্দু বিবাহে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সেই নিজের বাড়ির মতো। কিন্তু যদি রেজিস্ট্রেশন বা চুক্তিনামা চালু হয় তাহলে মানুষ অনুষ্ঠান ও আধ্যাত্মিকতা বাদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের দিকে বেশী ঝুঁকবে। ফলাফল আত্মিক মিলন না হয়ে শুধুমাত্র শারীরিক মিলনটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়াবে। ফলে মনোমালিন্য, ঝগড়া-ফ্যাসাদ লেগেই থাকবে; নারী ও শিশুর জীবন বিপন্ন হবে। এর চাক্ষুষ প্রমাণ ভারতে হাজারে হাজারে রয়েছে। ভারতে রেজিস্ট্রেশন চালু হওয়ার পর থেকে অশাস্ত্রীয় বিবাহের জোয়ার চলছে। বিবাহ শাস্ত্রীয় ও ধর্মীয় বন্ধন না হওয়ায় আত্মিক বন্ধনের পরিবর্তে শারীরিক ও কাগুজে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। শাস্ত্রীয় দাম্পত্য বন্ধন শিথিলের ফলাফল আজ কোটি কোটি নারী ও শিশুর জীবন বিপন্ন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বামী পরিত্যক্ত মুসলমান নারীদের জন্য ৭০০০ বাড়িঘর তৈরির উদ্যোগ নিলে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তার দাবী করেছেন এই সংখ্যা খুবই সামান্য। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী শুধু বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় তালাক প্রাপ্তা নারীর সংখ্যা তিন লাখ। অন্য জেলাগুলোতে এ সংখ্যা আরও কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে (সমকাল ৬/৯/০৯)। অর্থাৎ সুস্থ সুনিয়ন্ত্রিত ভারতীয় সমাজ পশ্চিমা চিন্তাধারার ফাঁদে পা দিয়ে আজ হাজারটা সমস্যা তৈরী করেছে ভারত নিজেই। ফলাফল শত শত কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়। সর্বাবস্থায় যে নারী ও শিশুর ভরণ পোষণ করতো পরিবার; আজ সে নারীকে সামান্য কারণেই ছুড়ে ফেলে দিতে কেউ ইতস্তত করছে না। বিপন্ন নারী জীবন বাঁচাতে এখন পতিতালয়ে। মাদক, ব্যাভিচারে ভাসছে ভারত, বাড়ছে এইডস্, কলিকাতা এখন এশিয়ার বৃহত্তম পতিতালয়। এনজিওরা পতিতাদের যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে বৈধ ব্যবসার কাতারে নিয়ে এসেছে।
বিয়ে পড়ানোর সময় পুরোহিতের সামান্য দাবী নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ একটি সাধারণ ব্যাপার। রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে গেলে এই তিক্ততা বাড়বে এবং বৈধতা আনতে শাস্ত্রীয় বিবাহের পরিবর্তে রেজিস্ট্রেশনের দিকেই সকলে ঝুকবে। এদেশের দরিদ্র সমাজে একটি মেয়ের বিবাহ দেওয়া যে কত বড় দায়বদ্ধতা ও খরচের ব্যাপার, মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত কোটি কোটি মানুষ সকলেই বোঝেন। এখন এই মেয়েকে যদি তার স্বামী ডিভোর্স দেয়, তবে মেয়ের মা-বাবার কি সাধ্য থাকে তাকে আবার বিয়ে দেওয়ার? তারপর সেই মেয়েটির কি অবস্থা হবে? হিন্দু সমাজ ডিভোর্সী নারীদের প্রতি সবসময়ই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করে থাকে। একজন ডিভোর্সী হিন্দু মেয়েকে বিয়ে দেওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। মেয়েটি তখন নানান দুষ্ট মানুষের খপ্পরে পড়বে। এমতাবস্থায় মেয়েটি দুষ্ট মানুষের প্ররোচণায় বিপথে গেলে বা ধর্মান্তরিত হলে অবাক হওয়াটা মোটেও সমীচীন হবে না।.......
No comments:
Post a Comment