ইসাইমুন মুনইসাই
সপ্তম শতকে সিন্ধু প্রদেশের ওপর পারস্য সম্রাট তাঁর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলে সিন্ধুর রাজা সাইসি বা সাহসি পারসীকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র দ্বিতীয় সাহসি সিন্ধুর সিংহাসনে বসেন।
এই সময়ে সিন্ধুর রাজধানী ছিল আলোর নগরী। দ্বিতীয় সাহসির মৃত্যুর পর তাঁর ব্রাক্ষ্মণ মন্ত্রী চাচ্ তাঁর সিংহাসনে বসলে সিন্ধুতে ব্রাক্ষ্মণ রাজবংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। চাচের পুত্র দাহির সিন্ধুর সিংহাসনে যখন অধিষ্ঠিত ছিলেন সেই সময় সিন্ধু দেশে আরব আক্রমণ আরম্ভ হয়। সিন্দুর সিংহাসনে বৈধ রাজবংশকে সরিয়ে চাচ্ সিংহাসনে বসায় সমস্ত রাজারা চাচের ও দাহিরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এজন্য সিন্ধুতে অর্ন্তদ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ব্রাক্ষ্মণ রাজারা নিম্ন বর্ণের হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচার করত। এজন্য ব্রাক্ষ্মণ রাজা দাহিরের জনপ্রিয়তা ছিল না। তাছাড়া প্রতিবেশী কাশ্মীর প্রভৃতিরাজ্যের সঙ্গে বিরোধের ফলে সিন্ধুর শক্তি ক্ষয় হয়। এই সুযোগে আরবরা সিন্ধু আক্রমণ করে।
পয়গম্বর হজরত মহম্মদের ৬৩২ খ্রীঃ মৃত্যু হলে খলিফাগণ ইসলামের নেতৃত্ব দেন। খলিফাগণের প্রভাবে ইসলামের রাজ্য বিস্তারের দিকে কাজ আরম্ভ হয়। আরব জাতি ইসলামে দীক্ষিত হয়ে নব উন্মাদনায় রাজ্য জয়ে বেরিয়ে পড়ে। আরবরা প্রথমে পারস্য দেশ জয় করে পারস্যে ইসলামের জয় পতাকা উড়িয়ে দেয় (৬৪৪খ্রীঃ)। এর পর সিরিয়া ও প্যালেষ্টাইনে ইসলামের বিজয় পতাকা উড়ে। এরপর আরবরা মিশরে ঢুকে পড়ে। মিশরের পতন হলে সমগ্র উত্তর আফ্রিকায় আবর উপনিবেশ স্থাপিত হয়। উত্তর আফ্রিকা থেকে আবরা স্পেনে ঢুকে পড়ে। এই ভাবে আরব আক্রমণের পশ্চিম বাহু ইওরোপের দরজা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আরব অভিযানের পূর্ব বাহু ৬৫০ খ্রীঃ মধ্য এশিয়ায় অক্ষু নদ ও হিন্দুকুশ পর্বত পর্যন্ত প্রসারিত হয়। এর ফলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে আরবরা আঘাত করে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের হিরাট আরবদের অধিকারে গেলে তারা এই পথে প্রথমে ভারতে ঢোকার চিন্তা করে। এই সময় পশ্চিম এশিয়া থেকে স্থলপথে ভারতে ঢোকার তিনটি পথ ছিল যথা, খাইবার ও বোলান গিরিপথ এবং মাকরানের উপকূলভাগ। আরবরা প্রথমে এই পথে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে।
ইসলাম ধর্মপ্রচার ও রাজ্যবিস্তার ছিল আরব অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য। আরবরা বনিকের ছদ্মবেশে ভারতে এসে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ভূমি এবং পশ্চিম উপকূলের বন্দরগুলির ওপর আরবদের প্রখর দৃষ্টি ছিল। ভারতের মশলা, রেশম প্রভৃতি জিনিসের ইওরোপের বাজারে প্রচুর চাহিদা ছিল। আরবরা ভারত ও ইওরোপের এই বাণিজ্য দখলের চেষ্টা চালায়।
ভারতের ধনরত্ম লুন্ঠন ছিল আরবদের প্রধান লক্ষ্য। আরব যুদ্ধ আইন অনুসারে শত্রুকে পরাজিত করে তার সম্পত্তি, নারী, শিশু লুঠ করে তার অংশ সেনাদলকে দিয়ে বাকি সরকার নেয়। ধর্মপ্রচার, রাজ্যবিস্তার, ধনরত্ম লুন্ঠন, বানিজ্য বিস্তারই ছিল ভারতে আরব আক্রমণের প্রাধান কারণ।
সপ্তম শতকে সিন্ধু প্রদেশের ওপর পারস্য সম্রাট তাঁর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলে সিন্ধুর রাজা সাইসি বা সাহসি পারসীকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র দ্বিতীয় সাহসি সিন্ধুর সিংহাসনে বসেন।
এই সময়ে সিন্ধুর রাজধানী ছিল আলোর নগরী। দ্বিতীয় সাহসির মৃত্যুর পর তাঁর ব্রাক্ষ্মণ মন্ত্রী চাচ্ তাঁর সিংহাসনে বসলে সিন্ধুতে ব্রাক্ষ্মণ রাজবংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। চাচের পুত্র দাহির সিন্ধুর সিংহাসনে যখন অধিষ্ঠিত ছিলেন সেই সময় সিন্ধু দেশে আরব আক্রমণ আরম্ভ হয়। সিন্দুর সিংহাসনে বৈধ রাজবংশকে সরিয়ে চাচ্ সিংহাসনে বসায় সমস্ত রাজারা চাচের ও দাহিরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এজন্য সিন্ধুতে অর্ন্তদ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ব্রাক্ষ্মণ রাজারা নিম্ন বর্ণের হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচার করত। এজন্য ব্রাক্ষ্মণ রাজা দাহিরের জনপ্রিয়তা ছিল না। তাছাড়া প্রতিবেশী কাশ্মীর প্রভৃতিরাজ্যের সঙ্গে বিরোধের ফলে সিন্ধুর শক্তি ক্ষয় হয়। এই সুযোগে আরবরা সিন্ধু আক্রমণ করে।
পয়গম্বর হজরত মহম্মদের ৬৩২ খ্রীঃ মৃত্যু হলে খলিফাগণ ইসলামের নেতৃত্ব দেন। খলিফাগণের প্রভাবে ইসলামের রাজ্য বিস্তারের দিকে কাজ আরম্ভ হয়। আরব জাতি ইসলামে দীক্ষিত হয়ে নব উন্মাদনায় রাজ্য জয়ে বেরিয়ে পড়ে। আরবরা প্রথমে পারস্য দেশ জয় করে পারস্যে ইসলামের জয় পতাকা উড়িয়ে দেয় (৬৪৪খ্রীঃ)। এর পর সিরিয়া ও প্যালেষ্টাইনে ইসলামের বিজয় পতাকা উড়ে। এরপর আরবরা মিশরে ঢুকে পড়ে। মিশরের পতন হলে সমগ্র উত্তর আফ্রিকায় আবর উপনিবেশ স্থাপিত হয়। উত্তর আফ্রিকা থেকে আবরা স্পেনে ঢুকে পড়ে। এই ভাবে আরব আক্রমণের পশ্চিম বাহু ইওরোপের দরজা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আরব অভিযানের পূর্ব বাহু ৬৫০ খ্রীঃ মধ্য এশিয়ায় অক্ষু নদ ও হিন্দুকুশ পর্বত পর্যন্ত প্রসারিত হয়। এর ফলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে আরবরা আঘাত করে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের হিরাট আরবদের অধিকারে গেলে তারা এই পথে প্রথমে ভারতে ঢোকার চিন্তা করে। এই সময় পশ্চিম এশিয়া থেকে স্থলপথে ভারতে ঢোকার তিনটি পথ ছিল যথা, খাইবার ও বোলান গিরিপথ এবং মাকরানের উপকূলভাগ। আরবরা প্রথমে এই পথে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে।
ইসলাম ধর্মপ্রচার ও রাজ্যবিস্তার ছিল আরব অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য। আরবরা বনিকের ছদ্মবেশে ভারতে এসে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ভূমি এবং পশ্চিম উপকূলের বন্দরগুলির ওপর আরবদের প্রখর দৃষ্টি ছিল। ভারতের মশলা, রেশম প্রভৃতি জিনিসের ইওরোপের বাজারে প্রচুর চাহিদা ছিল। আরবরা ভারত ও ইওরোপের এই বাণিজ্য দখলের চেষ্টা চালায়।
ভারতের ধনরত্ম লুন্ঠন ছিল আরবদের প্রধান লক্ষ্য। আরব যুদ্ধ আইন অনুসারে শত্রুকে পরাজিত করে তার সম্পত্তি, নারী, শিশু লুঠ করে তার অংশ সেনাদলকে দিয়ে বাকি সরকার নেয়। ধর্মপ্রচার, রাজ্যবিস্তার, ধনরত্ম লুন্ঠন, বানিজ্য বিস্তারই ছিল ভারতে আরব আক্রমণের প্রাধান কারণ।
No comments:
Post a Comment