বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতায় সম্পদ ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলা-লুটপাটের মতো সহিংসতা চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রিপোর্ট ২০১২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র গত সোমবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘তবে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিদ্বেষ, অপরাধ প্রবণতা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, নাকি সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ঘটছে, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন।’ ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছাড়াও প্রতিবেদনে জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর ওপর সহিংসতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে সহিংসতার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া ফতেহপুর, সাতক্ষীরা, উখিয়া, কক্সবাজার ও পটিয়ায় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ অংশে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান এবং অন্যান্য আইন ও নীতিমালায় ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা আছে। সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মানও দেখায়। বলা হয়, ‘গত বছর ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সরকারের সম্মান দেখানোর মানসিকতায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।’
মার্কিন ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা আদালতের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে। সরকারের কিছু কাজে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তবে ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে সরকারি চাকরিতে অগ্রধিকার দেওয়ার মতো আইন নেই।
গত কয়েক বছরের প্রতিবেদনের সঙ্গে তুলনা করে এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে সামরিক বাহিনী বা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধার কথা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা হিন্দুদের অর্পিত সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে খুব কম অগ্রগতি করতে পেরেছে। তবে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ঐচ্ছিক করে পারিবারিক আইনে সমতা আনতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের সহায়তা দিতে বিলম্ব করার অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন সহিংসতার শিকার হয় বলে প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ও সুশীল সমাজের অনেক নেতা বলেন, শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ও বিবৃতি দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় উৎসাহিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি বলা হয়, বিশ্বে মুসলিম ও ইহুদিবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বিশ্বের সব দেশের প্রতি ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবেদনে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর এবং পাকিস্তানে সংখ্যালঘু আহমদিয়া ও শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার কথা তুলে ধরা হয়। খবর ইউএনবি ও এএফপির।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-05-22/news/354180#Scene_5
যুক্তরাষ্ট্র গত সোমবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘তবে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিদ্বেষ, অপরাধ প্রবণতা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, নাকি সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ঘটছে, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন।’ ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছাড়াও প্রতিবেদনে জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর ওপর সহিংসতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে সহিংসতার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া ফতেহপুর, সাতক্ষীরা, উখিয়া, কক্সবাজার ও পটিয়ায় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ অংশে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান এবং অন্যান্য আইন ও নীতিমালায় ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা আছে। সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মানও দেখায়। বলা হয়, ‘গত বছর ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সরকারের সম্মান দেখানোর মানসিকতায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।’
মার্কিন ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা আদালতের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে। সরকারের কিছু কাজে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তবে ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে সরকারি চাকরিতে অগ্রধিকার দেওয়ার মতো আইন নেই।
গত কয়েক বছরের প্রতিবেদনের সঙ্গে তুলনা করে এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে সামরিক বাহিনী বা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধার কথা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা হিন্দুদের অর্পিত সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে খুব কম অগ্রগতি করতে পেরেছে। তবে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ঐচ্ছিক করে পারিবারিক আইনে সমতা আনতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের সহায়তা দিতে বিলম্ব করার অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন সহিংসতার শিকার হয় বলে প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ও সুশীল সমাজের অনেক নেতা বলেন, শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ও বিবৃতি দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় উৎসাহিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি বলা হয়, বিশ্বে মুসলিম ও ইহুদিবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বিশ্বের সব দেশের প্রতি ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবেদনে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর এবং পাকিস্তানে সংখ্যালঘু আহমদিয়া ও শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার কথা তুলে ধরা হয়। খবর ইউএনবি ও এএফপির।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-05-22/news/354180#Scene_5
No comments:
Post a Comment