আমাদের পেজে হিন্দু নির্যাতনের আর মন্দির ভাঙ্গার কথা উঠতেই কিছু মোডারেট ভণ্ড মুসলিম ভাঙ্গা রেকর্ডের মত গুজরাট দাঙ্গা আর বাবরী মসজিদের গান গেয়ে যায়। বাবরী মসজিদের সম্পর্কে আমরা আগেই লিখেছি (https://www.facebook.com/ BangaliHinduPost/photos/ a.235777976544869.51050.145 957298860271/ 509361579186506/ ?type=3&theater)। কোন চক্ষু লজ্জা সম্পন্ন মুসলিম বাবরী মসজিদ প্রসঙ্গ কেমন করে আনে আমি বুঝি না। শুধুমাত্র হিন্দু শাসিত ভারত বলেই বাবরী মসজিদের জায়গা হিন্দু মুসলিম আর জৈনদের মাঝে ভাগ করে দেয়া হয়।অথচ ওই একই মুসলিমকে আপনি সোমনাথ, কাশী বিশ্বনাথ বা মুসলিম আমলে ধ্বংস করা হাজার হাজার মন্দিরের কথা জিজ্ঞেস করুন, বলবে জানি না।প্রসংগত জানা দরকার সোমনাথের ধ্বংসের উপর নির্মিত মসজিদটি ভারত সরকার নিজ অর্থায়নে পাশেই তৈরি করে দেয়। অথচ আমাদের দেশের বেহায়া মুসলিমরা এদেশে হাজার হাজার মন্দির ধ্বংস করছে, আর আমাদের পেজে সে সব কথা বললেই দল বেঁধে এসে ভারতের বাবরী মসজিদের উদাহরণ দেয়।রাম জন্মস্থানে যেমন তারা রাম মন্দির ভেঙ্গে বাবরী মসজিদ বানিয়েছে তেমনি কৃষ্ণ জন্মস্থান মথুরাতেও তারা কৃষ্ণ মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ আর ঈদগাহ বানিয়েছে যা এখনও বর্তমান।মুসলিমদের নির্লজ্জতার কোন সীমা পরিসীমা নাই।আগেই বলেছি তাদের আরেকটি চর্বিত চর্বণ হল গুজরাটের দাঙ্গা প্রসঙ্গ। আজ থেকে কেউ এই প্রসঙ্গ আনলে তাদের মুখের উপর এ লেখা ছুড়ে দিবেন।
গুজরাট দাঙ্গার কথার নিশ্চয় সকলের মনে আছে। তথাকথিত সেকুলারিস্টরা এই দাঙ্গার কথাটাই যেখানে সেখানে প্রচার করে থাকে। ঘটনার যে গোধরা ট্রেন পোড়ানোর কাণ্ড থেকে সূত্রপাত সেটা তারা অনেকেই বলতে চান না বা স্বীকার করেন না।গুজরাটের গোধরা রেল স্টেশনের কাছে সবরমতি এক্সপ্রেসে করে অযোধ্যা থেকে প্রত্যাবর্তনকারী S6 কামরায় অবস্থানকারী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের করসেবকদের উপর প্রায় প্রায় ২০০০ জনের একদল উগ্র মুসলিম পূর্বপরিকল্পনা মাফিক আগুন ধরিয়ে দেয়।যে নৃশংসভাবে ঐ জীবন্ত ৫৯ জন যাত্রীকে (যারমধ্যে ২৭ জন মহিলা ও ১০ টি শিশু) দগ্ধ করা হয়েছিল , তা কোনও সভ্য সমাজের কল্পনারও অতীত !
কি হয়েছিল সেদিন...২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারীর সকাল ৭:৪৩ মিনিটে "সবরমতি এক্সপ্রেস" প্রায় ৪ ঘন্টা দেরী করে পৌছায় গোধরা স্টেশনে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের করসেবকেরা রাম জন্মভুমিতে তাদের সম্মেলন শেষে ঐ ট্রেনে ফিরছিলো।নির্দ্দিষ্ট ৫ মিনিট যাত্রা বিরতির পর ট্রেন যাত্রা শুরু করে। স্টেশন থেকে প্রায় ১ কিলো মিটার দূরে ফাদিয়া সিগন্যালের কাছে চেন টেনে ট্রেন থামানো হয় (আনোয়ার কালান্দার নামের এক ছেলে চেন টেনেছিল)। প্রায় ৫০০ জন উগ্র মুসলিম এক যোগে হামলা চালায় ট্রেনে। তারপর করসেবকদের কোচে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মারা যায় ২৭ জন মহিলা এবং ১০ টি শিশু সমেত মোট ৫৯ জন তীর্থযাত্রী !!! ২৫০ জন বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তাদের একজনের দাবী প্রায় ২,০০০ মুসলমান হামলা করেছিল ফাদিয়া সিগন্যাল এ।দি ডেইলি ট্রিবিউন লিখেছিল “ চেন টেনে ট্রেন থামানোর পর ইটপাটকেল নিক্ষেপকারী বিপুল সংখ্যক লোক, পেট্রোল, পেট্রোল বোমা এবং কেরসিন ঢেলে ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেয়।”
নেপথ্য কাহিনী --ট্রেনে হামলার ঘটনা পুর্ব পরিকল্পিত । ট্রেন পোড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত জাবির বেহেরার স্বীকারক্তি অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় মৌলানা হুসেন ওমারজীকে।আদালতে বেহেরার স্বীকারোক্তি দেয় যে “ ঘটনার আগের দিন রাত এগারোটায় মৌলানা উমরজী গেস্ট হাউস “ আমান”এ মিটিং করেন। গেস্ট হাউজের মালিক “রাজ্জাক কুরকুরে” ঐদিন পার্শবর্তী পেট্রোল পাম্প থেকে ১৪০ লিটার পেট্রোল সংগ্রহ করেন তারা। পেট্রোল পাম্পের মালিক “প্যাটেল “ ভ্রাতৃদ্বয় পেট্রোল কেনার ব্যাপার নিশ্চিত করেন। সেলিম পানওয়ালা স্টেশনে গিয়ে খবর নিয়ে জানেন যে সবরমতি এক্সপ্রেস প্রায় ৪ ঘন্টা দেরী করে আসছে। তারা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনার সময় নির্ধারন করেন।ফাদিয়া সিগনাল এলাকা মুসুলমান অধ্যুষিত।আমান গেস্টহাউজ সিগন্যাল ফাদিয়ার কাছেই। ওখানেই জমা রাখা হয়েছিলো প্রতিটি ২০ লিটারের জারিক্যান” এ ভরা পেট্রোল।বেহেরা সহ মোট ৬ জন ট্রেনের সংযোগ স্থল কেটে ট্রেন এ জারী ক্যান সহ ঢুকে পড়েন। তারপর জারিক্যান ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দরজা খুলে লাফিয়ে পড়েন তারা। তাছাড়া ওই দিন সকালবেলায় গোধরা স্টেশনে এত বেশী লোকের স্টেশনে উপস্থিত থাকা পুর্ব পরিকল্পনারই ইঙ্গিত দেয়। হামলা কারীরা জানতো ঐ ট্রেনে করসেবকরা ফিরছে এবং তারা নির্দ্দিষ্ট কামরাতেই আক্রমন চালায়।এই ঘটনার পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে আমাদের দেশের সেকুলার মিডিয়া-বুদ্ধিজীবি সকলে সরব হলেও গোধরার হিন্দু নিধনের ঘটনায় তারা আশ্চর্যজনকভাবে নিরব থাকে।তাই আমাদের সকলের মনে রাখতে হবেঃ দাঙ্গা লাগিয়েছিল মুসলমানরাই। ২০০২ এর গুজরাট দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিল ২৮শে ফেব্রুয়ারী। তার আগের দিন অর্থাৎ ২৭শে ফেব্রুয়ারী সাবরমতী এক্সপ্রেস এ একটি কামরা মুসলিমরা আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনার পরদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সারা রাজ্যে বন্ধ ডাকে। গুজরাট সরকার ওই দিন সারা রাজ্যে কারফিউ ঘোষণা করেছিল। দাঙ্গার পরদিন প্রচুর সশস্ত্র যুবক গেরুয়া পোষাক পরে ট্রাক বোঝাই করে আসে এবং গোধরা, আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর, ভদোদরা ও সন্নিহিত অঞ্চলে মুসলিমদের আক্রমণ করে। সেই সময় বর্তমান পত্রিকায় সম্পাদকীয় লেখা হয়েছিল,' আক্রমণের পর আক্রমণ করে অবশেষে মুসলিম জঙ্গীরা সফল হয়েছে। তারা হিন্দুদের অস্ত্র হাতে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। প্রমাণ করে দিয়েছে হিন্দুরাও দাঙ্গা করে। এটাই তারা এতদিন ধরে চাইছিল।'অথচ হিন্দু বিরোধী মিডিয়া তিস্তা জাভেদ সিতলাবাদ এবং তেহেল্কার মিত্থাচার ছিল নরেন্দ্র মোদীই নাকি দাঙ্গা বাধিয়েছিলেন!!!!!!!!! টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ বলেন, ‘২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার ঘটনায় করা মামলাগুলোতে আমাদের আর কোনো পর্যবেক্ষণ নেই।’ সিটের প্রতিবেদনে মোদিকে কোনো দোষারোপ করা হয়নি। তখন মোদী টুইটার করলেন "GOD IS GREAT." মুসলিম তোষণকারী মিডিয়া বোধহয় মনক্ষুণ্ণ হলেন। বাংলাদেশের প্রথম আলো রিপোর্ট করলোঃ "২০০২ সালে গুজরাটের গোধরায় ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রায় ৬০ জন হিন্দু করসেবক নিহত হয়। এরপর রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই হাজারের বেশি মুসলমান নিহত হয়। " http://
দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যাচার হল মুসলিমরাই নাকি শুধু দাঙ্গাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একথা সত্য মুসলিমরা নির্মমভাবে নিহত হয়েছে নারুদা পটিয়া,গুলবার্গ সোসাইটি এবং সরদপুরে। কিন্তু তারাও নিরীহ ছিল না।মুসলমানরাই গোধরাতে দাঙ্গা লাগিয়েছিল এবং মুসলমানরাও সমান ভয়ানক ছিল। মুসলমানরা হিন্দুদের নির্মমভাবে হত্যা করে হিমান্তানগর, দানিলিমদা ও সিন্ধী মার্কেট এলাকা সহ অনেক জায়গাতে। IndiaToday এর খবর পড়ুন http://
গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে হিন্দু বিরোধী মিডিয়ার অপপ্রচার হল শুধু মুসলমানরাই দাঙ্গাতে গৃহহীন হয়েছিল। ২০০২ এর ৫ মার্চ হিন্দু বিরোধী টাইম্স অফ ইন্ডিয়া লিখেছিল মুসলিমদের জন্য ৮৫ টি এবং হিন্দুদের জন্য ১৩ টি ক্যাম্প খোলা হয়। আহমেদাবাদে ১০০০০ হিন্দু গৃহহীন হয়েছিল। এবং ২৫ এপ্রিলের ভিতর ১০০০০০ মুসলিম এবং ৪০০০০ হিন্দু গৃহহীন হয়।The Indian Express অসহায় হিন্দুদের উপর দুটি রিপোর্ট করেছিল।২০০২ এর সাত মে এবং দশ মে তারিখে মুসলমানরা দলিত হিন্দুদের উপর হামলা করেছিল। হিন্দুদের মন্দিরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। কারন গুজরাটে বিজেপি সরকার মুসলিমদের বাঁচাতে এতোই ব্যাস্ত ছিল যে তারা হিন্দুদের বাঁচাতে কিছুই করেনি। এটা পড়ুন http://