জল চিকিত্সা পদ্ধতি
দীপিকা চক্রবর্তী
ভারতে বৈদিক যুগ থেকেই মুনি ঋষিরা শরীর সুস্হ রাখার জন্য প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে জলপান করে অবগাহন স্নান করতেন।পরবর্তীতে এই নিয়ম শিথিল হয়ে গেছে মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায়।
এখন আবার প্রাচীন ভারতের "বিনা ওষুধে চিকিত্সাপদ্ধতি", "Alternative system of medicine"নামে বিভিন্ন দেশে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।
দীপিকা চক্রবর্তী
ভারতে বৈদিক যুগ থেকেই মুনি ঋষিরা শরীর সুস্হ রাখার জন্য প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে জলপান করে অবগাহন স্নান করতেন।পরবর্তীতে এই নিয়ম শিথিল হয়ে গেছে মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায়।
এখন আবার প্রাচীন ভারতের "বিনা ওষুধে চিকিত্সাপদ্ধতি", "Alternative system of medicine"নামে বিভিন্ন দেশে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।
ওষুধের বিষক্রিয়া,শরীরের
নানা জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য "Japanese
Sickness Assocition",সারাবিশ্বে প্রচলিত পদ্ধতি,জল চিকিত্সা পদ্ধতির গুণাগুণ গবেষণা
করেছেন।জল
চিকিত্সা পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁরা নিম্নলিখিত রোগ গুলোর নিরাময় বা কিছু ক্ষেত্রে
রোগাবস্হার উন্নতি লক্ষ্য করেছেন :
তীব্র মাথার যন্ত্রণা,রক্তচাপ,রক্তাল্পতা বা এনিমিয়া,বাতজনিত রোগ,পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস,মেদবৃদ্ধি,হৃদযন্ত্রের রোগ,পুরনো কাশি,ব্রঙ্কাইটিস,টিউবারকুলোসিস,মেনিনজাইটিস,লিভার কিডনী ও প্রোস্টেট সংক্রান্ত নানা রোগ,আমাশয়,কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন,পাইলস্ বা অর্শ,ফিস্টুলা,চোখ কান ও নাকের কিছু রোগ,স্ত্রীরোগ ও বিভিন্ন চর্মরোগ।
জল চিকিত্সা পদ্ধতির সারাংশটুকু নিম্নে তুলে ধরছি:
১.ঘুম থেকে উঠে দাঁত না মেজে,মুখ পরিষ্কার না করে ধীরে ধীরে,শান্তভাবে একবার ১.২৬০ লিটার অর্থাত্ বড় গ্লাসের চার গ্লাস জল পান করুন।তাড়াহুড়ো করবেন না।
সমঃ সমং শময়তি,বিষস্য বিষমৌধম,এই সদৃশ বিধান ই জল চিকিত্সার প্রধান অঙ্গ।সুতরাং মনে রাখতে হবে,জল পান করতে হবে সকালে মুখ ধোয়ার আগে।
২.জল পান করার পর ৪৫ মিনিট কোন তরল বা শক্ত খাদ্য গ্রহণ করা যাবেনা।ধূমপান করা যাবেনা।
৩.প্রাতঃরাশ,দুপুর ও রাতের খাবার খাওয়ার সময় জল খাবেন না।খুব বেশি অসুবিধা হলে দু এক চামচ জল খেতে পারেন।
৪.খাওয়ার পর দুঘন্টা পর্যন্ত জল পান করা যাবেনা।দুঘন্টা পর ইচ্ছামত জল পান করা যাবে।
৫.দুপুরে বা রাতে খাওয়ার অন্তত আধঘন্টা পর শুতে যাবেন।ঘুমাবার আধ ঘন্টা পূর্ব থেকে আর কিছু খাওয়া যাবেনা।অসুবিধা হলে দু তিন চামচ জল খাবেন।
৬.যাঁরা দুর্বল বা অসুস্হ তাঁরা প্রথম থেকে সুবিধামত এক বা দুই বা তিন গ্লাস জল খেয়ে চিকিত্সা শুরু করুন।পরে অবশ্য ই চারগ্লাস খেতে হবে।
৭.সুস্হ,অসুস্হ নির্বিশেষে সবাই এই চিকিত্সা করতে পারেন।
এই চিকিত্সায় নিম্নলিখিত রোগসমূহের শান্তিপূর্ণ নিরাময় পাওয়া গেছেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যঃ ১০দিন পর
গ্যাস্ট্রিক সমস্যাঃ ১০দিন
উচ্চরক্তচাপঃ ১মাস
ডায়বেটিসঃ ১মাস
যক্ষ্মারোগঃ ৩মাস
চোখ,কান,নাক এর রোগঃ ৩মাস
প্রোস্টেট গ্রন্থির আকার বৃদ্ধিঃ ৩মাস
চর্মরোগঃ ১বছর
দৃঢ়তা,আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে
এই পদ্ধতি গ্রহণ করুন।জীবনে শৃঙ্খলা আসবে,নিজের প্রতি আস্হা ও বিশ্বাস আসবে এবং নিয়মানুবর্তী হতে পারবেন।
তীব্র মাথার যন্ত্রণা,রক্তচাপ,রক্তাল্পতা বা এনিমিয়া,বাতজনিত রোগ,পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস,মেদবৃদ্ধি,হৃদযন্ত্রের রোগ,পুরনো কাশি,ব্রঙ্কাইটিস,টিউবারকুলোসিস,মেনিনজাইটিস,লিভার কিডনী ও প্রোস্টেট সংক্রান্ত নানা রোগ,আমাশয়,কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন,পাইলস্ বা অর্শ,ফিস্টুলা,চোখ কান ও নাকের কিছু রোগ,স্ত্রীরোগ ও বিভিন্ন চর্মরোগ।
জল চিকিত্সা পদ্ধতির সারাংশটুকু নিম্নে তুলে ধরছি:
১.ঘুম থেকে উঠে দাঁত না মেজে,মুখ পরিষ্কার না করে ধীরে ধীরে,শান্তভাবে একবার ১.২৬০ লিটার অর্থাত্ বড় গ্লাসের চার গ্লাস জল পান করুন।তাড়াহুড়ো করবেন না।
সমঃ সমং শময়তি,বিষস্য বিষমৌধম,এই সদৃশ বিধান ই জল চিকিত্সার প্রধান অঙ্গ।সুতরাং মনে রাখতে হবে,জল পান করতে হবে সকালে মুখ ধোয়ার আগে।
২.জল পান করার পর ৪৫ মিনিট কোন তরল বা শক্ত খাদ্য গ্রহণ করা যাবেনা।ধূমপান করা যাবেনা।
৩.প্রাতঃরাশ,দুপুর ও রাতের খাবার খাওয়ার সময় জল খাবেন না।খুব বেশি অসুবিধা হলে দু এক চামচ জল খেতে পারেন।
৪.খাওয়ার পর দুঘন্টা পর্যন্ত জল পান করা যাবেনা।দুঘন্টা পর ইচ্ছামত জল পান করা যাবে।
৫.দুপুরে বা রাতে খাওয়ার অন্তত আধঘন্টা পর শুতে যাবেন।ঘুমাবার আধ ঘন্টা পূর্ব থেকে আর কিছু খাওয়া যাবেনা।অসুবিধা হলে দু তিন চামচ জল খাবেন।
৬.যাঁরা দুর্বল বা অসুস্হ তাঁরা প্রথম থেকে সুবিধামত এক বা দুই বা তিন গ্লাস জল খেয়ে চিকিত্সা শুরু করুন।পরে অবশ্য ই চারগ্লাস খেতে হবে।
৭.সুস্হ,অসুস্হ নির্বিশেষে সবাই এই চিকিত্সা করতে পারেন।
এই চিকিত্সায় নিম্নলিখিত রোগসমূহের শান্তিপূর্ণ নিরাময় পাওয়া গেছেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যঃ ১০দিন পর
গ্যাস্ট্রিক সমস্যাঃ ১০দিন
উচ্চরক্তচাপঃ ১মাস
ডায়বেটিসঃ ১মাস
যক্ষ্মারোগঃ ৩মাস
চোখ,কান,নাক এর রোগঃ ৩মাস
প্রোস্টেট গ্রন্থির আকার বৃদ্ধিঃ ৩মাস
চর্মরোগঃ ১বছর
দৃঢ়তা,আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে
এই পদ্ধতি গ্রহণ করুন।জীবনে শৃঙ্খলা আসবে,নিজের প্রতি আস্হা ও বিশ্বাস আসবে এবং নিয়মানুবর্তী হতে পারবেন।