সূত্রঃ প্রথম আলো
সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় ৬২ বছর ধরে বাস করছে সরকারি কলেজের সাবেক অফিস সহকারী দীনেশ চন্দ্র রায়ের পরিবার। তারা যে বাড়িতে আছে সেটি অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে। বাড়িটির ১৮ শতাংশ জমি তারা বন্দোবস্ত পায় ১৯৬৭-৬৮ সালে। সমপ্রতি তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
বাড়ির ১০ শতাংশ জমি সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ মতিউর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এমদাদুল হক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. ইব্রাহিমের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাংসদ মতিউর রহমান জানান, তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তিনি জেনে সঙ্গে সঙ্গে বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।
দীনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে দীগেশ চন্দ্র রায় জানান, ১৯৪৯ সাল থেকে তাঁরা উকিলপাড়ায় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের কৃষ্ণচন্দ্র ছাত্রাবাসের পাশের ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। সেখানে তাঁদের আধা পাকা বাড়ি রয়েছে। ১৯৬৭-৬৮ সালে এটি তাঁর বাবা দীনেশ চন্দ্র রায়ের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বাবার মৃত্যুর পর এখানে তিনি ও তাঁর ভাই আশীষ রায়, দীপ্তেশ রায় ও কৃপেশ রায়ের পরিবার বাস করছে।
দীগেশ চন্দ্র রায় আরও জানান, বাড়িটি নিয়ে তাঁদের একটি অর্পিত সম্পত্তি মামলাও (নং-২৫৫,৬৭-৬৮) রয়েছে। গত বুধবার তাঁরা জেনেছেন, বাড়ির ১৮ শতাংশ জমির মধ্যে ১০ শতাংশ এমদাদুল হক ও ইব্রাহিমের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।
বাড়িটির পাঁচ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার কথা স্বীকার করে সাংসদের পিএস ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি সব নিয়ম মেনেই জায়গা বন্দোবস্ত নিয়েছি। কোনো অন্যায় করিনি। এর সঙ্গে সাংসদকে জাড়ানো ঠিক হবে না।’ তবে গত শনিবার প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এই জায়গা এখন আর আমি নেব না।’
স্থানীয় লোকজন জানান, উকিলপাড়া এলাকাটি শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকায় এখানে জমির দাম বেশি। এই ১০ শতাংশ জমির দাম কম করে হলেও ৫০ লাখ টাকা হবে। সুনামগঞ্জের অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় ১৭৪টি বাড়ি ও ১৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই বাড়িটিও রয়েছে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন-২০১১ অনুযায়ী, সরকার যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভোগদখলকারীদের সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে লক্ষ্যে সারা দেশে তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ সময় ৬২ বছর ধরে ভোগদখলে থাকা বাড়ি অন্যের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ায় শহরের সংখ্যালঘুদের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
সুনামগঞ্জের প্রবীণ আইনজীবী স্বপন কুমার দেব বলেন, ‘এক ভাই ভারতে গেছে। চার ভাই দেশে আছে। এমন অনেক জায়গার পুরোটাই অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে হিন্দু জানলে কোনো যাচাই-বাছাই না করেই তালিকায় নাম উঠানো হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি সুনামগঞ্জে অনুপস্থিত থাকার সময় জায়গাটি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বন্দোবস্ত দিয়েছেন। বন্দোবস্ত নিয়মানুযায়ী হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামরুল আলম বলেন, যাঁদের আগে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা দীর্ঘদিন খাজনা না দেওয়ায় তাঁদের নামে বন্দোবস্ত বাতিল করে অন্যকে দেওয়া হয়েছে।
দীগেশ চন্দ্র রায় দাবি করেন, বাংলা ১৪০২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জমির খাজনা পরিশোধ করেছেন তাঁরা। এরপর বারবার খাজনা পরিশোধের জন্য আবেদন করলেও ভূমি কার্যালয় তাঁদের খাজনা রাখেনি।
সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় ৬২ বছর ধরে বাস করছে সরকারি কলেজের সাবেক অফিস সহকারী দীনেশ চন্দ্র রায়ের পরিবার। তারা যে বাড়িতে আছে সেটি অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে। বাড়িটির ১৮ শতাংশ জমি তারা বন্দোবস্ত পায় ১৯৬৭-৬৮ সালে। সমপ্রতি তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
বাড়ির ১০ শতাংশ জমি সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ মতিউর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এমদাদুল হক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. ইব্রাহিমের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাংসদ মতিউর রহমান জানান, তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তিনি জেনে সঙ্গে সঙ্গে বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।
দীনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে দীগেশ চন্দ্র রায় জানান, ১৯৪৯ সাল থেকে তাঁরা উকিলপাড়ায় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের কৃষ্ণচন্দ্র ছাত্রাবাসের পাশের ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। সেখানে তাঁদের আধা পাকা বাড়ি রয়েছে। ১৯৬৭-৬৮ সালে এটি তাঁর বাবা দীনেশ চন্দ্র রায়ের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বাবার মৃত্যুর পর এখানে তিনি ও তাঁর ভাই আশীষ রায়, দীপ্তেশ রায় ও কৃপেশ রায়ের পরিবার বাস করছে।
দীগেশ চন্দ্র রায় আরও জানান, বাড়িটি নিয়ে তাঁদের একটি অর্পিত সম্পত্তি মামলাও (নং-২৫৫,৬৭-৬৮) রয়েছে। গত বুধবার তাঁরা জেনেছেন, বাড়ির ১৮ শতাংশ জমির মধ্যে ১০ শতাংশ এমদাদুল হক ও ইব্রাহিমের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।
বাড়িটির পাঁচ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার কথা স্বীকার করে সাংসদের পিএস ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি সব নিয়ম মেনেই জায়গা বন্দোবস্ত নিয়েছি। কোনো অন্যায় করিনি। এর সঙ্গে সাংসদকে জাড়ানো ঠিক হবে না।’ তবে গত শনিবার প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এই জায়গা এখন আর আমি নেব না।’
স্থানীয় লোকজন জানান, উকিলপাড়া এলাকাটি শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকায় এখানে জমির দাম বেশি। এই ১০ শতাংশ জমির দাম কম করে হলেও ৫০ লাখ টাকা হবে। সুনামগঞ্জের অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় ১৭৪টি বাড়ি ও ১৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই বাড়িটিও রয়েছে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন-২০১১ অনুযায়ী, সরকার যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভোগদখলকারীদের সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে লক্ষ্যে সারা দেশে তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ সময় ৬২ বছর ধরে ভোগদখলে থাকা বাড়ি অন্যের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ায় শহরের সংখ্যালঘুদের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
সুনামগঞ্জের প্রবীণ আইনজীবী স্বপন কুমার দেব বলেন, ‘এক ভাই ভারতে গেছে। চার ভাই দেশে আছে। এমন অনেক জায়গার পুরোটাই অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে হিন্দু জানলে কোনো যাচাই-বাছাই না করেই তালিকায় নাম উঠানো হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি সুনামগঞ্জে অনুপস্থিত থাকার সময় জায়গাটি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বন্দোবস্ত দিয়েছেন। বন্দোবস্ত নিয়মানুযায়ী হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামরুল আলম বলেন, যাঁদের আগে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা দীর্ঘদিন খাজনা না দেওয়ায় তাঁদের নামে বন্দোবস্ত বাতিল করে অন্যকে দেওয়া হয়েছে।
দীগেশ চন্দ্র রায় দাবি করেন, বাংলা ১৪০২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জমির খাজনা পরিশোধ করেছেন তাঁরা। এরপর বারবার খাজনা পরিশোধের জন্য আবেদন করলেও ভূমি কার্যালয় তাঁদের খাজনা রাখেনি।
No comments:
Post a Comment