নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান উৎসবের কারণে আগামী ২৯ মার্চের হরতাল প্রত্যাহার করেছে বিএনপি।
হরতালের পরিবর্তে ২৯ মার্চ জেলায় জেলায় এবং ৩১ মার্চ ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে বিএনপি।রোববার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদার জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে চারদলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে খালেদার জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।তিনি বলেন, “লাঙ্গলবন্দে পূণ্যস্নান উদযাপন কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার দলসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া।”২৯ মার্চ ঢাকার বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।গত ১২ মার্চ ঢাকার মহাসমাবেশে বাধা প্রদান, হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ২৯ মার্চ হরতালের এই কর্মসূচি দেয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।রাত পৌনে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গুলশান কার্যালয়ে পরিতোষ কান্তি সাহার নেতৃত্বে লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান উদযাপন কমিটির ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়।বৈঠকের পর পরিতোষ কান্তি সাহা সাংবাদিকদের বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতার কাছে আমরা একটি আবেদন জানিয়ে এসেছি। তিনি সুবিবেচনা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।”তিনি বলেন, নাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান শুরু হবে ৩০ মার্চ। দুয়েকদিন আগে থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্তরা এখানে আসতে শুরু করেন।তাই ২৯ মার্চের হরতাল এই উৎসবে ভক্তদের আসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।উদযাপন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, গৌতম চক্রবর্তী, জয়ন্ত কুমার কুণ্ড ও লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, পূণ্যস্নান উদযাপন কমিটি নেতারা চলে যাওয়ার পর রাত ১০টা ১০ মিনিট থেকে ১১টা পর্যন্ত খালেদা জিয়া চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, মাওলানা আবদুল রকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment