খলিফা আল-ওয়ালিদের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ
সিন্ধুতে উবায়দুল্লাহ ও বুদাইলের নেতৃত্বে দু’টো অভিযান প্রেরণ
করেন। উভয় অভিযানই চরমভাবে ব্যর্থ হয় অনেক
মৃত্যুর মাশুল দিয়ে, নিহত হয় উভয় সেনাপতি। অন্তরে ক্ষতবিক্ষত হাজ্জাজ এরপর ৬,০০০ সৈন্যের নেতৃত্বে
১৭-বছর-বয়স্ক তারই ভাতিজা ও জামাতা কাসিমকে প্রেরণ করেন। মোহাম্মদ বিন কাসিম ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে সিন্ধুর দেবাল বন্দর জয়ের
মাধ্যমে ভারতবর্ষে ইসলামের শক্ত ও স্থায়ী ভিত্তি রচনা করে। বিখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদ আল-বিরাদুরী লিখেছেন: ‘দেবাল আক্রমণ করে
সেখানে তিনদিন ধরে লুণ্ঠন ও হত্যাকাণ্ড চালানো হয়; মন্দিরের যাজকদের
সবাইকে হত্যা করা হয়।’[১৩] কাসিম ১৭ বছরের
অধিক বয়সী পুরুষদেরকে তলোয়ারের ডগায় হত্যা করে এবং নারী ও শিশুদেরকে ক্রীতদাস
বানায়। দেবালে কত লোককে বন্দি করা হয়েছিল সে
সংখ্যা লিখা হয়নি, তবে তাদের মধ্যে ছিল মন্দিরে আশ্রয়গ্রহণকারী ৭০০ রমণী, জানায় ‘চাচনামা’। লুণ্ঠিত মালামাল ও ক্রীতদাসদের মধ্যে খলিফার এক-পঞ্চমাংশের
হিস্যায় ছিল পঁচাত্তর জন কুমারী, যাদেরকে হাজ্জাজের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অবশিষ্টদেরকে কাসিম তার সেনাদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়।
রাওয়ার আক্রমণে, লিখিত হয়েছে চাচনামায়, ‘বন্দিদের গণনা করলে তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০,০০০, যাদের মধ্যে ছিল সেনাধ্যক্ষদের কন্যারা ও একজন ছিল রাজা দাহিরের বোনের মেয়ে।’ বন্দি ও লুণ্ঠিত মালামালের এক-পঞ্চমাংশ হাজ্জাজের নিকট প্রেরণ করা হয়।১৫. ব্রাহ্মণাবাদ যখন মুসলিম আক্রমণে পতিত হয়, জানায় ‘চাচনামা’: ৮,০০০ থেকে ২৬,০০০ লোককে নিধন করা হয়; ‘এক-পঞ্চমাংশ বন্দিকে আলাদা করে গণনা করা হলে তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ হাজার; অবশিষ্টদেরকে যোদ্ধাদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়।’তার অর্থ দাঁড়ায়: এ আক্রমণে প্রায় ১০০,০০০ নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস করা হয়েছিল।
খলিফার হিস্যা হিসেবে একবার প্রেরিত লুণ্ঠনদ্রব্য ও ক্রীতদাসদের মধ্যে ছিল ৩০,০০০ নারী ও শিশু এবং নিহত দাহিরের ছিন্ন মস্তক। সেসব বন্দির মধ্যে ছিল সিন্ধুর বিশিষ্ট মর্যাদাবান পরিবারের কিছু তরুণী কন্যা। হাজ্জাজ লুণ্ঠনদ্রব্য ও ক্রীতদাস বহনকারী বহর দামেস্কে খলিফা আল-ওয়ালিদের নিকট পাঠিয়ে দেন। ‘সে সময়ের খলিফা যখন চিঠিটি পড়েন’, লিখেছে চাচনামা: ‘তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রশংসা করেন। তিনি সেনাধ্যক্ষদের কন্যাদের কিছুকে বিক্রি করে দেন এবং কিছু উপহার হিসেবে প্রদান করেন। তিনি রাজা দাহিরের ভগ্নির কন্যাদেরকে যখন দেখেন, তাদের সৌন্দর্য ও মনোহর রূপে এতই অভিভূত হন যে, হতবাক হয়ে আঙ্গুল কামড়াতে থাকেন।’
আল-বিলাদুরী লিখেছেন, মুলতান আক্রমণে বন্দি হওয়া লোকদের মধ্যে ‘মন্দিরের পুরোহিতদের সংখ্যাই ছিল ৬ হাজার’।১৮ এ সংখ্যাটি আমাদেরকে ধারণা দিতে পারে মুলতান আক্রমণে মোট কত সংখ্যক নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস করা হয়েছিল। কাসিম একই রকমের অভিযান চালিয়েছিল সেহওয়ান ও ধালিলায়। সংক্ষিপ্ত তিন বছরের (৭১২-১৫) নেহাৎই ছোট কৃতিত্বে কাসিম সম্ভবত সর্বমোট তিন লাখের মতো লোককে ক্রীতদাস বানিয়েছিল।
রাওয়ার আক্রমণে, লিখিত হয়েছে চাচনামায়, ‘বন্দিদের গণনা করলে তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০,০০০, যাদের মধ্যে ছিল সেনাধ্যক্ষদের কন্যারা ও একজন ছিল রাজা দাহিরের বোনের মেয়ে।’ বন্দি ও লুণ্ঠিত মালামালের এক-পঞ্চমাংশ হাজ্জাজের নিকট প্রেরণ করা হয়।১৫. ব্রাহ্মণাবাদ যখন মুসলিম আক্রমণে পতিত হয়, জানায় ‘চাচনামা’: ৮,০০০ থেকে ২৬,০০০ লোককে নিধন করা হয়; ‘এক-পঞ্চমাংশ বন্দিকে আলাদা করে গণনা করা হলে তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ হাজার; অবশিষ্টদেরকে যোদ্ধাদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়।’তার অর্থ দাঁড়ায়: এ আক্রমণে প্রায় ১০০,০০০ নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস করা হয়েছিল।
খলিফার হিস্যা হিসেবে একবার প্রেরিত লুণ্ঠনদ্রব্য ও ক্রীতদাসদের মধ্যে ছিল ৩০,০০০ নারী ও শিশু এবং নিহত দাহিরের ছিন্ন মস্তক। সেসব বন্দির মধ্যে ছিল সিন্ধুর বিশিষ্ট মর্যাদাবান পরিবারের কিছু তরুণী কন্যা। হাজ্জাজ লুণ্ঠনদ্রব্য ও ক্রীতদাস বহনকারী বহর দামেস্কে খলিফা আল-ওয়ালিদের নিকট পাঠিয়ে দেন। ‘সে সময়ের খলিফা যখন চিঠিটি পড়েন’, লিখেছে চাচনামা: ‘তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রশংসা করেন। তিনি সেনাধ্যক্ষদের কন্যাদের কিছুকে বিক্রি করে দেন এবং কিছু উপহার হিসেবে প্রদান করেন। তিনি রাজা দাহিরের ভগ্নির কন্যাদেরকে যখন দেখেন, তাদের সৌন্দর্য ও মনোহর রূপে এতই অভিভূত হন যে, হতবাক হয়ে আঙ্গুল কামড়াতে থাকেন।’
আল-বিলাদুরী লিখেছেন, মুলতান আক্রমণে বন্দি হওয়া লোকদের মধ্যে ‘মন্দিরের পুরোহিতদের সংখ্যাই ছিল ৬ হাজার’।১৮ এ সংখ্যাটি আমাদেরকে ধারণা দিতে পারে মুলতান আক্রমণে মোট কত সংখ্যক নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস করা হয়েছিল। কাসিম একই রকমের অভিযান চালিয়েছিল সেহওয়ান ও ধালিলায়। সংক্ষিপ্ত তিন বছরের (৭১২-১৫) নেহাৎই ছোট কৃতিত্বে কাসিম সম্ভবত সর্বমোট তিন লাখের মতো লোককে ক্রীতদাস বানিয়েছিল।
The world famous historian, Will Durant has written in his Story of Civilisation that "the Mohammedan conquest of India was probably the bloodiest story in history".
ReplyDeleteIndia before the advent of Islamic imperialism was not exactly a zone of peace. There were plenty of wars fought by Hindu princes. But in all their wars, the Hindus had observed some time-honoured conventions sanctioned by the Sastras. The Brahmins and the Bhikshus were never molested. The cows were never killed. The temples were never touched. The chastity of women was never violated. The non-combatants were never killed or captured. A human habitation was never attacked unless it was a fort. The civil population was never plundered. War booty was an unknown item in the calculations of conquerors. The martial classes who clashed, mostly in open spaces, had a code of honor. Sacrifice of honor for victory or material gain was deemed as worse than death.
Islamic imperialism came with a different code--the Sunnah of the Prophet. It required its warriors to fall upon the helpless civil population after a decisive victory had been won on the battlefield. It required them to sack and burn down villages and towns after the defenders had died fighting or had fled. The cows, the Brahmins, and the Bhikshus invited their special attention in mass murders of non-combatants. The temples and monasteries were their special targets in an orgy of pillage and arson. Those whom they did not kill, they captured and sold as slaves. The magnitude of the booty looted even from the bodies of the dead, was a measure of the success of a military mission. And they did all this as mujahids (holy warriors) and ghazls (kafir-killers) in the service of Allah and his Last Prophet.
Hindus found it very hard to understand the psychology of this new invader. For the first time in their history, Hindus were witnessing a scene which was described by Kanhadade Prabandha (1456 AD) in the following words:
"The conquering army burnt villages, devastated the land, plundered people's wealth, took Brahmins and children and women of all classes captive, flogged with thongs of raw hide, carried a moving prison with it, and converted the prisoners into obsequious Turks."
That was written in remembrance of Alauddin Khalji's invasion of Gujarat in the year l298 AD. But the gruesome game had started three centuries earlier when Mahmud Ghaznavi had vowed to invade India every year in order to destroy idolatry, kill the kafirs, capture prisoners of war, and plunder vast wealth for which India was well-known.