মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ী দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে অপর এক সন্দেহভাজন আসামি কারাগারে মারা যাওয়ার পরও তাঁকে মরণোত্তর দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দেশটির আইনজীবীরা আদালতের এই রায়ের কথা জানান বলে বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, গত মাসের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ ও মুসলমান রোহিঙ্গাদের মধ্যে জাতিগত সহিংসতায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়। হাজার হাজার মানুষ নিজের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
ওই বৌদ্ধ নারীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে মুসলমান যাত্রীবাহী একটি বাসে হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ জনকে হত্যা করা হয়। এর পর থেকেই রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু শহর ও গ্রামে জাতিগত সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করে।
ওই সহিংসতার পর শত শত মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থী নৌকায় করে বাংলাদেশ উপকূলে আশ্রয়ের জন্য ভিড় জমায়। বাংলাদেশ তাদের প্রাথমিক সেবা-শুশ্রূষা দিলেও শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়ার বিপক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে অবস্থান নিয়েছে।
১০ জুন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন রাখাইন রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করে। মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, জরুরি অবস্থার নামে রোহিঙ্গাদের দমনে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বৌদ্ধ ও মুসলমান উভয় ধর্মের মানুষের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম দমন-পীড়নের অতীত ইতিহাস আছে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে জাতিগত এই সহিংসতা চলতে থাকবে বলে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি।
No comments:
Post a Comment