পৃথিবীর যে মতগুলো (ধর্ম) প্রবল সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ঘেষা হিন্দুধর্ম তাদের প্রধান। এটা বোধ হয় ভুল নয় যে
হিন্দুধর্মই পৃথিবীর সেই ধর্ম যা প্রবল সাহিত্যিক চাপে, তরবারি চাপে, কথিত মুক্তবুদ্ধির বদ্ধ ধারণার চাপে পড়েছে
সবচেয়ে বেশি। একজন সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে হিন্দুধর্মের অপ্রচার, অপবাদ, অপব্যাখ্যা এগুলোর সাথে আমি খুবই পরিচিত। ক্লাসে এহেন দিন থাকে
না যেদিন হিন্দুধর্ম আক্রমণাত্ম পাঠ নেই। এধরনের অনেক
কথা গ্রথিত হয়ে আছে বলে একে মানসিক পীড়ন-০১ নামে অভিহিত করেছি, সুযোগ পেলে ধারাবাহিক লিখে যাব।
শওকত
আলী রচিত “প্রদোষে
প্রাকৃতজন’’ উপন্যাসের
ওপর ক্লাস হচ্ছে। যাঁরা উপন্যাসটি পড়েছেন তাঁদের জানা
নিশ্চয়ই আছে এটি মুসলিম আগমনের সময়কে কেন্দ্র করে লেখা উপন্যাস। ক্লাসে কোর্স শিক্ষক একসময় বলে বসলেন, “ইসলাম ধর্ম
নারীদের অধিকার দিয়েছে অধিক,
স্বাধীনতা
দিয়েছে অধিক আর যেকারণে মুসলিম আগমন ভারতে একটা সামাজিক ও ধর্মীয় পরিবর্তন এনেছিল।’’
হিন্দু
ছাত্রের সংখ্যা ক্লাসে কম ছিল না,
প্রতিবাদটা
করলাম আমি একাই কারণ ফার্স্ট ইয়ার থেকে এতসব কথা শুনে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। তবে আমার প্রতিবাদটা ছিল ভিন্নধরনের, বক্তব্য ছিল-“পৃথিবীর কোন ধর্ম আদৌ কি নারীকে
স্বাধীনতা দিয়েছে। কোরান বাইবেল থেকে সব গ্রন্থে নারীকে
হেয় করার যথেষ্ট প্রমাণ আছে,
আদমের
জন্ম ইসলামে একটা পাপের ফল আর যে পাপে উৎসাহদাত্রী ছিল নারী হাওয়া।’’
স্বয়ং
শিক্ষক মেনে নিতে বাধ্য হলেন ধর্মে এগুলো অবশ্যই আছে আর ধর্ম নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি
বিপদের। মনে মনে না হেসে পারলাম না যে- যেখানে
প্রতিবাদের ভয় নেই সেখানে দিব্যি সমাজ, ধর্ম গুলিয়ে ব্যাখ্যা করা সহজ, ‘শক্তের ভক্ত নরমের যম!’ অনুরোধ সকলের প্রতি এসব কথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী
শিক্ষককের মূল্যায়নগুলোকে মুখ বুজে মেনে নেওয়া যাবে না। এরাই আমদের অন্তর্গত সাহসকে
প্রচ্ছন্নভাবে দমিয়ে দিচ্ছে কিন্তু এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
এ বিষয়ে অরুণ চন্দ্র মজুমদারের মতে , “শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান দেশের সব নাগরিককে সমান অধিকার দিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও সবার সমান অধিকার রয়েছে। এই অধিকারে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, কে কোন ধর্মের—সেটা দেখার বিষয় নয়। সবাই নিজ ধর্ম পালন করবে******* মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রকৃতই “একজন মানুষ”।
প্রকৃতই “একজন মানুষ” আমি এজন্য বলছি যে একজন মানুষের প্রথম পরিচয় হলো ঐ মানুষটির মনুষ্যত্বের পরিচিতি, অথাৎ আগে মানুষ হিসেবে পরিচিতি । পক্ষান্তরে একজন ধমান্ধ গোড়ার কাছে তার প্রথম ঠিকানা/পরিচিতিই হলো ধম। আজকাল প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বিশ্ববিদ্যালয় কোন সংখ্যা লগু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রী বলতে পারবেনা যে, সে কোন না কোন সুমলিম ধমাবলম্ভী শিক্ষক কিংবা সহপাঠির নিকট হতে নিজ ধমের জন্য ঠাট্টা মসকরার স্বীকার হয়নি। আমার একবন্ধুর ছোট ছোট দু’টি ছেলে মেয়ে লালমাটিয়ার একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। বাচ্ছাটি প্রায়ই স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। কারন জানতে চাইলে সে জানায় তার সহপাঠীরা তাকে “ঐ হিন্দু ঐ হিন্দু” বলে খেপায়। ছেলেটির বাবা বিষয়টি নিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষের বরাবর যোগাযোগ করলে কোন সদ্দুত্তর পায় নাই। ভাবখানা এমন যে স্কুলে থাকলে একটু আধটু শুনতেই হবে।
যেখানে দেশের চলমান সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্হায় কোমলমতি কোন শিশুর প্রাথমিক মানুষ পরিচয়ের পরিচিতির পরিবতে সে ধম পরিচয়ের পরিচিতি শেখায়, আবার সে শিশুটি কালক্রমে বড় হয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেয়, তখন সে তার ছাত্রছাত্রীদেরকে তাই শেখাবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি? বিগত চল্লিশ বছর যাবৎ এখনো যে শিক্ষা ব্যবস্হায় যে পাঠ্য সূচী রাখা হয়েছে তা দিয়ে কী একজন প্রকৃত মুক্তমনা শিক্ষিত মানুষ তৈরী হচ্ছে না, বরং গোড়া ধমান্ধ মানুষ তৈরী হচ্ছে সে দিকে খেয়াল করছেন কী?
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে অসুমলিম ছাত্রছাত্রী উচ্চতর ক্লাসে ইসলামের শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাস নিয়ে পড়তে হয়। কেননা তাদের ধমের শিক্ষা ও ইতিহাস নিয়ে কোন বিষয় পাঠ্যক্রম নাই। তার মানে কি এই ইসলামের শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাস ব্যতীত অন্য ধমের শিক্ষা ও ইতিহাস নাই?
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সমীপে অনুরোধ জাতির এ বধিরতা উত্তোরণের জন্যে হিন্দু ধম সহ অন্যান্য ধমের প্রকৃত ইতিহাস ও মহান মূল্যবোধ গুলি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করুন। ১০-২০ বছর দেখবেন দেশটা এমনিতেই পাল্টে গেছে। ”
এ বিষয়ে অরুণ চন্দ্র মজুমদারের মতে , “শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান দেশের সব নাগরিককে সমান অধিকার দিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও সবার সমান অধিকার রয়েছে। এই অধিকারে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, কে কোন ধর্মের—সেটা দেখার বিষয় নয়। সবাই নিজ ধর্ম পালন করবে******* মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রকৃতই “একজন মানুষ”।
প্রকৃতই “একজন মানুষ” আমি এজন্য বলছি যে একজন মানুষের প্রথম পরিচয় হলো ঐ মানুষটির মনুষ্যত্বের পরিচিতি, অথাৎ আগে মানুষ হিসেবে পরিচিতি । পক্ষান্তরে একজন ধমান্ধ গোড়ার কাছে তার প্রথম ঠিকানা/পরিচিতিই হলো ধম। আজকাল প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বিশ্ববিদ্যালয় কোন সংখ্যা লগু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রী বলতে পারবেনা যে, সে কোন না কোন সুমলিম ধমাবলম্ভী শিক্ষক কিংবা সহপাঠির নিকট হতে নিজ ধমের জন্য ঠাট্টা মসকরার স্বীকার হয়নি। আমার একবন্ধুর ছোট ছোট দু’টি ছেলে মেয়ে লালমাটিয়ার একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। বাচ্ছাটি প্রায়ই স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। কারন জানতে চাইলে সে জানায় তার সহপাঠীরা তাকে “ঐ হিন্দু ঐ হিন্দু” বলে খেপায়। ছেলেটির বাবা বিষয়টি নিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষের বরাবর যোগাযোগ করলে কোন সদ্দুত্তর পায় নাই। ভাবখানা এমন যে স্কুলে থাকলে একটু আধটু শুনতেই হবে।
যেখানে দেশের চলমান সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্হায় কোমলমতি কোন শিশুর প্রাথমিক মানুষ পরিচয়ের পরিচিতির পরিবতে সে ধম পরিচয়ের পরিচিতি শেখায়, আবার সে শিশুটি কালক্রমে বড় হয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেয়, তখন সে তার ছাত্রছাত্রীদেরকে তাই শেখাবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি? বিগত চল্লিশ বছর যাবৎ এখনো যে শিক্ষা ব্যবস্হায় যে পাঠ্য সূচী রাখা হয়েছে তা দিয়ে কী একজন প্রকৃত মুক্তমনা শিক্ষিত মানুষ তৈরী হচ্ছে না, বরং গোড়া ধমান্ধ মানুষ তৈরী হচ্ছে সে দিকে খেয়াল করছেন কী?
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে অসুমলিম ছাত্রছাত্রী উচ্চতর ক্লাসে ইসলামের শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাস নিয়ে পড়তে হয়। কেননা তাদের ধমের শিক্ষা ও ইতিহাস নিয়ে কোন বিষয় পাঠ্যক্রম নাই। তার মানে কি এই ইসলামের শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাস ব্যতীত অন্য ধমের শিক্ষা ও ইতিহাস নাই?
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সমীপে অনুরোধ জাতির এ বধিরতা উত্তোরণের জন্যে হিন্দু ধম সহ অন্যান্য ধমের প্রকৃত ইতিহাস ও মহান মূল্যবোধ গুলি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করুন। ১০-২০ বছর দেখবেন দেশটা এমনিতেই পাল্টে গেছে। ”
হরে কৃষ্ণ আমি রতন চন্দ্র বমন , আপনার পোষ্টটি আমার প্রছন্দ হয়েছে। আমাদের দেশের বাংলা বই গুলোতে যেমন :( ১ম থেকে ১২ দশ ) শ্রেণীর বই গুলোতে আদশ জীবন চরিত্র বলতে শুধু নবীজীকে বুঝান কিন্তু আমাদের হিন্দু ধমের অনেক আদশ মহাপুরুষ আছেন তাদের টা কেন প্রকাশ করা হয়না ? আমরা সংখ্যায় কম বলে, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সমীপে অনুরোধ জাতির এ বধিরতা উত্তোরণের জন্যে হিন্দু ধম সহ অন্যান্য ধমের প্রকৃত ইতিহাস ও মহান মূল্যবোধ গুলি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করুন। ১০-২০ বছর দেখবেন দেশটা এমনিতেই পাল্টে গেছে। ”
ReplyDelete