গৌরাঙ্গ সরকার সন্তোষ
১) সুলতান মাহমুদ ১০ হাজার সেনা নিয়ে সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছিল মন্দিরের ধন-রত্ন লুণ্ঠন ও মন্দির ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। তখন ভারতের প্রধান প্রধান রাজারা এই মন্দির রক্ষার জন্য চারদিক থেকে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিল যা ছিল ১ লক্ষের উপরে। কয়েকজন রাজপুত রাজকুমার মন্দির রক্ষার জন্য জীবন বিসর্জন দিতে প্রতিজ্ঞা করেন। খবর পেয়ে সুলতান মাহমুদ ভীত হয়ে পরেন এবং মন্দিরের দিকে অগ্রসর হওয়া থেকে বিরত থাকেন। রাজপুত বাহিনী মাহমুদের বাহিনীকে আক্রমণ করতে অগ্রসর হন। কিন্তু মন্দিরের পুরোহিতরা বিধান দিলেন যে এখন যোগিনী নক্ষত্র এর যোগ চলছে তাই এই সময়ে আক্রমণ করা ঠিক হবে না। রাজপুত বাহিনী তখন আক্রমণ করা থেকে বিরত হলেন। সুলতান মাহমুদ গোপন সূত্রে এই খবর পেলেন এবং রাজপুতরা পুরোহিতদের কথা মত যোগিনী নক্ষত্র এর সময় যুদ্ধ করবে না নিশ্চিত হয়ে হঠাৎ ঝটিকা আক্রমণ করে বসলেন এবং মন্দির ধ্বংস ও লুটপাট করলেন!
অথচ এসব নক্ষত্র বিচার না করে বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন পুরোহিতদের কথায় কান না দিয়ে রাজপুত বাহিনী যদি সুলতান মাহমুদের বাহিনীকে আক্রমণ করত তাহলে তাদের নিশ্চিত পরাজয় হত এবং মন্দির রক্ষা পেত। হিন্দুরা অনেক সময় অপশাস্ত্রের শিকারে পরিনত হয়েছে কিছু বিবেক বর্জিত তথাকথিত ব্রাহ্মণ বা পুরোহিতের অজ্ঞতার কারণে।
২) মোহাম্মাদ ঘুরী ১১ শতকের শেষ দিকে বিশাল এক সেনাবাহিনী নিয়ে ভারতের সেই সময়ের সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানকে আক্রমণ করেন। তারাইনের ১ম এই যুদ্ধে ঘুরী বাহিনী রাজপুত বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের দিকে যেতে থাকে। এমন সময় মোহাম্মাদ ঘুরী পৃথ্বীরাজ চৌহানের ভাই ও প্রধান সেনাপতি গোবিন্দ রাজের সাথে যুদ্ধে ভীষণ আহত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়। গোবিন্দ রাজ ইচ্ছে করলে তাকে পিছন থেকে ধাওয়া করে হত্যা করতে পারত। কিন্তু বৈদিক যুদ্ধনীতিতে কাউকে পিছন থেকে আক্রমণ করা বা পলাতক শত্রু সেনাকে হত্যা করা অন্যায় বা পাপ ও কাপুরুষতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই পলাতক মোহাম্মাদ ঘুরী পরের বছর আরও বেশী সেনা নিয়ে দিল্লী আক্রমণ করেন। দিল্লীর উপকণ্ঠে এসে তারা পৃথ্বীরাজ চৌহানের বিশাল সেনা বাহিনী দেখে হতাশ হয়ে পরেন। তারা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। মোহাম্মাদ ঘুরী পৃথ্বীরাজ এর কাছে সন্ধি স্থাপনের জন্য একটা লিখিত প্রস্তাব পাঠান। এতে বলা হয় যে আফগান বাহিনীকে বিনা বাধায় দিল্লী ত্যাগ করার সূযোগ করে দিতে হবে এবং তারা আর কখনই দিল্লী আক্রমণ করবে না। পৃথ্বীরাজ এই সন্ধি প্রস্তাব মেনে নেন। কিন্তু বিশ্বাস ঘাতক ঘুরী ঐ রাতে হঠাৎ আক্রমণ করেন, আর এটা ছিল ঠিক মাঝ রাত। বৈদিক যুদ্ধনীতিতে রাতে যুদ্ধ করার কোন বিধান নেই, রাতে যুদ্ধ করা অন্যায় ও কাপুরুষতা। পৃথ্বীরাজ কখনই ভাবেননি যে নিজেই সন্ধি প্রস্তাব দিয়ে এই ম্লেচ্ছ এভাবে বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। আসলে ইতিহাসের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখা যাবে এভাবে বিশ্বাস ঘাতকতা করেই নীতিবান ও মানবতাবাদী হিন্দুদেরকে পরাজিত করা হয়েছে। তাই, সনাতন হিন্দুদেরকে আত্মরক্ষার জন্য এইসব কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশল সম্পর্কে সজাগ থাকতে হব।।
১) সুলতান মাহমুদ ১০ হাজার সেনা নিয়ে সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছিল মন্দিরের ধন-রত্ন লুণ্ঠন ও মন্দির ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। তখন ভারতের প্রধান প্রধান রাজারা এই মন্দির রক্ষার জন্য চারদিক থেকে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিল যা ছিল ১ লক্ষের উপরে। কয়েকজন রাজপুত রাজকুমার মন্দির রক্ষার জন্য জীবন বিসর্জন দিতে প্রতিজ্ঞা করেন। খবর পেয়ে সুলতান মাহমুদ ভীত হয়ে পরেন এবং মন্দিরের দিকে অগ্রসর হওয়া থেকে বিরত থাকেন। রাজপুত বাহিনী মাহমুদের বাহিনীকে আক্রমণ করতে অগ্রসর হন। কিন্তু মন্দিরের পুরোহিতরা বিধান দিলেন যে এখন যোগিনী নক্ষত্র এর যোগ চলছে তাই এই সময়ে আক্রমণ করা ঠিক হবে না। রাজপুত বাহিনী তখন আক্রমণ করা থেকে বিরত হলেন। সুলতান মাহমুদ গোপন সূত্রে এই খবর পেলেন এবং রাজপুতরা পুরোহিতদের কথা মত যোগিনী নক্ষত্র এর সময় যুদ্ধ করবে না নিশ্চিত হয়ে হঠাৎ ঝটিকা আক্রমণ করে বসলেন এবং মন্দির ধ্বংস ও লুটপাট করলেন!
অথচ এসব নক্ষত্র বিচার না করে বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন পুরোহিতদের কথায় কান না দিয়ে রাজপুত বাহিনী যদি সুলতান মাহমুদের বাহিনীকে আক্রমণ করত তাহলে তাদের নিশ্চিত পরাজয় হত এবং মন্দির রক্ষা পেত। হিন্দুরা অনেক সময় অপশাস্ত্রের শিকারে পরিনত হয়েছে কিছু বিবেক বর্জিত তথাকথিত ব্রাহ্মণ বা পুরোহিতের অজ্ঞতার কারণে।
২) মোহাম্মাদ ঘুরী ১১ শতকের শেষ দিকে বিশাল এক সেনাবাহিনী নিয়ে ভারতের সেই সময়ের সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানকে আক্রমণ করেন। তারাইনের ১ম এই যুদ্ধে ঘুরী বাহিনী রাজপুত বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের দিকে যেতে থাকে। এমন সময় মোহাম্মাদ ঘুরী পৃথ্বীরাজ চৌহানের ভাই ও প্রধান সেনাপতি গোবিন্দ রাজের সাথে যুদ্ধে ভীষণ আহত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়। গোবিন্দ রাজ ইচ্ছে করলে তাকে পিছন থেকে ধাওয়া করে হত্যা করতে পারত। কিন্তু বৈদিক যুদ্ধনীতিতে কাউকে পিছন থেকে আক্রমণ করা বা পলাতক শত্রু সেনাকে হত্যা করা অন্যায় বা পাপ ও কাপুরুষতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই পলাতক মোহাম্মাদ ঘুরী পরের বছর আরও বেশী সেনা নিয়ে দিল্লী আক্রমণ করেন। দিল্লীর উপকণ্ঠে এসে তারা পৃথ্বীরাজ চৌহানের বিশাল সেনা বাহিনী দেখে হতাশ হয়ে পরেন। তারা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। মোহাম্মাদ ঘুরী পৃথ্বীরাজ এর কাছে সন্ধি স্থাপনের জন্য একটা লিখিত প্রস্তাব পাঠান। এতে বলা হয় যে আফগান বাহিনীকে বিনা বাধায় দিল্লী ত্যাগ করার সূযোগ করে দিতে হবে এবং তারা আর কখনই দিল্লী আক্রমণ করবে না। পৃথ্বীরাজ এই সন্ধি প্রস্তাব মেনে নেন। কিন্তু বিশ্বাস ঘাতক ঘুরী ঐ রাতে হঠাৎ আক্রমণ করেন, আর এটা ছিল ঠিক মাঝ রাত। বৈদিক যুদ্ধনীতিতে রাতে যুদ্ধ করার কোন বিধান নেই, রাতে যুদ্ধ করা অন্যায় ও কাপুরুষতা। পৃথ্বীরাজ কখনই ভাবেননি যে নিজেই সন্ধি প্রস্তাব দিয়ে এই ম্লেচ্ছ এভাবে বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। আসলে ইতিহাসের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখা যাবে এভাবে বিশ্বাস ঘাতকতা করেই নীতিবান ও মানবতাবাদী হিন্দুদেরকে পরাজিত করা হয়েছে। তাই, সনাতন হিন্দুদেরকে আত্মরক্ষার জন্য এইসব কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশল সম্পর্কে সজাগ থাকতে হব।।
No comments:
Post a Comment