অনিন্দ্য নন্দী
নিজের দেশে নিজের ঘরে কিভাবে চোরের মত ঢুকতে হয় তার অভিজ্ঞতা আজ হলো | পুরো এলাকাতে 144 ধারা চলছে | একটা থমথমে ভাব গোটা এলাকাটাকে গ্রাস করে রেখেছে | বহু কষ্টে স্থানীয় এক সাহসী যুবকের সাহায্যে Ground Zero তে পৌঁছতে পারলাম | সমুদ্রগড়-এর এই অঞ্চলগুলি প্রকৃতপক্ষে শেষ হয়ে গেছে | শেষ করে দিয়েছে পাশের গ্রাম থেকে আসা মুসলমান হামলাকারীরা | গত 4th জুন তারিখে একটি দেশী মদের দোকানের সামান্য ঝামেলা কে কেন্দ্র করে যে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে, সেটা হয়ত কেউই চিন্তা করেনি | ওই দিন সমুদ্রগড়ের বাজারের একটি দেশী মদের দোকানে কিছু মুসলমান মদ খেতে আসে | তারা নিজেদের সঙ্গে আনা গরুর মাংস দিয়ে মদ খেতে শুরু করে ওই দোকানে | দোকানের মালিক তাতে বাধা দেওয়াতে বচসা বাঁধে | শেষ পর্য্যন্ত দোকানে বসে গরুর মাংস দিয়ে মদ না খেতে পাওয়ায় মুসলমান খদ্দেররা মদেরও দাম দিতে নারাজ হয় | বচসা আরো বাড়ে | আসে পাশের কিছু হিন্দু দোকানদার এসে মোল্লা দের ঘিরে ধরে তারা তখনকার মত পয়সা মিটিয়ে চলে যায় | ঘন্টা খানেক পরই তারা প্রায় ২০০ জন মোল্লা নিয়ে চড়াও হয় ওই দোকানে | দোকানদার ও তার ছেলেকে বেধরক মার মারা হয় এবং তাদের দোকান লুট করা হয় | আসে পাশের যত হিন্দু দোকান ছিল সেগুলোকেও ভেঙ্গে দেওয়া হয় আর সমস্ত মাল লুট করা হয় | আজ সেই মদের দোকানের মালিক, যিনি দোকানে গরুর মাংস খাওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন, তিনি মারা গেছেন | তাঁর ছেলে শঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে | বাজারের দোকানগুলিতে এই লুটপাট আর হিন্দু দোকানদের মার, এই সবই চোখ বুজে দেখে গেছে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ | হিন্দুরা প্রতিরোধ করতে গেলে পুলিশ তাদেরই আটকেছে |
পর দিন মুসলমানরা আবার হামলা চালায় | এবারে তারা বেছে নেই বাজার থেকে অনেক দুরের হিন্দু গোয়ালপাড়া আর শান্তিরহাট | এই গ্রামগুলি মূলত তাঁত শিল্পীদের বসবাস | সমুদ্রগড়ের মূল অর্থ উপার্জনের উপায় | এই ব্যবসায় অনেকদিন থেকে ভাগ বসাতে চায় স্থানীয় মুসলমানেরা | বাজারের ঘটে যাওয়া ঘটনায় পুলিশের নিস্ক্রিয়তা তাদের লাইসেন্স দিল বহুদিনের পুরানো রাগ মেটানোর | প্রায় ১০০০ মুসলমান মুখে কাপড় বেঁধে হামলা চালায় | ওই গ্রামগুলির প্রায় প্রতিটি বাড়িই ভেঙ্গে, লুট করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে | এবার পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখেছে মুসলমানদের এই লুঠতরাজ | ঘর জ্বলতে দেখে হিন্দুরা যখন পুলিশকে দমকল ডাকতে বলেছে তখন পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের কাছে উপরতলার অর্ডার নেই কিছু করার | যেসব হিন্দু ছেলেরা পুলিশকে উপেক্ষা করে এগিয়ে গেছে ....পুলিশ তাদের arrest করে বর্ধমান জেলে পুরেছে |
পুরো সমুদ্রগড় ঘুরে দেখে যা মনে হলো তাতে প্রায় ১ কোটি টাকার মাল ও জিনিসপত্র লুট হয়েছে | ঘরবাড়ি অর হিন্দুদের প্রাণ তো গেছেই।
বাকি ছবি দেখুন এখানে
নিজের দেশে নিজের ঘরে কিভাবে চোরের মত ঢুকতে হয় তার অভিজ্ঞতা আজ হলো | পুরো এলাকাতে 144 ধারা চলছে | একটা থমথমে ভাব গোটা এলাকাটাকে গ্রাস করে রেখেছে | বহু কষ্টে স্থানীয় এক সাহসী যুবকের সাহায্যে Ground Zero তে পৌঁছতে পারলাম | সমুদ্রগড়-এর এই অঞ্চলগুলি প্রকৃতপক্ষে শেষ হয়ে গেছে | শেষ করে দিয়েছে পাশের গ্রাম থেকে আসা মুসলমান হামলাকারীরা | গত 4th জুন তারিখে একটি দেশী মদের দোকানের সামান্য ঝামেলা কে কেন্দ্র করে যে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে, সেটা হয়ত কেউই চিন্তা করেনি | ওই দিন সমুদ্রগড়ের বাজারের একটি দেশী মদের দোকানে কিছু মুসলমান মদ খেতে আসে | তারা নিজেদের সঙ্গে আনা গরুর মাংস দিয়ে মদ খেতে শুরু করে ওই দোকানে | দোকানের মালিক তাতে বাধা দেওয়াতে বচসা বাঁধে | শেষ পর্য্যন্ত দোকানে বসে গরুর মাংস দিয়ে মদ না খেতে পাওয়ায় মুসলমান খদ্দেররা মদেরও দাম দিতে নারাজ হয় | বচসা আরো বাড়ে | আসে পাশের কিছু হিন্দু দোকানদার এসে মোল্লা দের ঘিরে ধরে তারা তখনকার মত পয়সা মিটিয়ে চলে যায় | ঘন্টা খানেক পরই তারা প্রায় ২০০ জন মোল্লা নিয়ে চড়াও হয় ওই দোকানে | দোকানদার ও তার ছেলেকে বেধরক মার মারা হয় এবং তাদের দোকান লুট করা হয় | আসে পাশের যত হিন্দু দোকান ছিল সেগুলোকেও ভেঙ্গে দেওয়া হয় আর সমস্ত মাল লুট করা হয় | আজ সেই মদের দোকানের মালিক, যিনি দোকানে গরুর মাংস খাওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন, তিনি মারা গেছেন | তাঁর ছেলে শঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে | বাজারের দোকানগুলিতে এই লুটপাট আর হিন্দু দোকানদের মার, এই সবই চোখ বুজে দেখে গেছে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ | হিন্দুরা প্রতিরোধ করতে গেলে পুলিশ তাদেরই আটকেছে |
পর দিন মুসলমানরা আবার হামলা চালায় | এবারে তারা বেছে নেই বাজার থেকে অনেক দুরের হিন্দু গোয়ালপাড়া আর শান্তিরহাট | এই গ্রামগুলি মূলত তাঁত শিল্পীদের বসবাস | সমুদ্রগড়ের মূল অর্থ উপার্জনের উপায় | এই ব্যবসায় অনেকদিন থেকে ভাগ বসাতে চায় স্থানীয় মুসলমানেরা | বাজারের ঘটে যাওয়া ঘটনায় পুলিশের নিস্ক্রিয়তা তাদের লাইসেন্স দিল বহুদিনের পুরানো রাগ মেটানোর | প্রায় ১০০০ মুসলমান মুখে কাপড় বেঁধে হামলা চালায় | ওই গ্রামগুলির প্রায় প্রতিটি বাড়িই ভেঙ্গে, লুট করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে | এবার পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখেছে মুসলমানদের এই লুঠতরাজ | ঘর জ্বলতে দেখে হিন্দুরা যখন পুলিশকে দমকল ডাকতে বলেছে তখন পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের কাছে উপরতলার অর্ডার নেই কিছু করার | যেসব হিন্দু ছেলেরা পুলিশকে উপেক্ষা করে এগিয়ে গেছে ....পুলিশ তাদের arrest করে বর্ধমান জেলে পুরেছে |
পুরো সমুদ্রগড় ঘুরে দেখে যা মনে হলো তাতে প্রায় ১ কোটি টাকার মাল ও জিনিসপত্র লুট হয়েছে | ঘরবাড়ি অর হিন্দুদের প্রাণ তো গেছেই।
বাকি ছবি দেখুন এখানে
ইসলাম শান্তির ধর্ম কিন্তু...যে দেশে মুসলিম বাস করে, সে দেশেই আশান্তি রাজ করে......
ReplyDelete