চরম হিন্দু বিদ্বেষী দৈনিক এবং বিএনপির মুখপাত্র দৈনিক আমার দেশের ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর সংখ্যায় জামাতি বুদ্ধিজীবী এরশাদ মজুমদার ‘বাংলাদেশের নাটকে সাম্প্রদায়িকতা’ শীর্ষক লেখায় দাবি করে “বাংলাদেশে বেশ কিছু হিন্দু সাংবাদিক আছেন, গোপনে বা ভারতীয় কাগজে ভুয়া দাঙ্গার খবর প্রচার করে থাকেন। এমনকি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ওই ভুয়া খবরের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। বাংলাদেশে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী ও সংগঠন আছে যারা প্রায়ই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি দিয়ে নানা ধরনের সুযোগ নিতে চায়। ”
আরও ভয়াবহ বিষয় একধাপ এগিয়ে সে দাবি করে নোয়াখালীতে ১৯৪৬ সালে নাকি কোন দাঙ্গা হয় নাই। এ নিয়ে সে লিখে, “বিহারে যখন বিরাট দাঙ্গা চলছিল তখন প্রতিক্রিয়া হিসেবে নোয়াখালীতে কয়েকটি এলাকায় দাঙ্গার অবস্থা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু গান্ধীজী বিহারে না গিয়ে চলে গেলেন নোয়াখালীতে মিডিয়াতে নোয়াখালীর দাঙ্গাকে বড় করে দেখানোর জন্য। আজ কেউ দাঙ্গার ইতিহাস লিখতে গেলে বা কোনো রেফারেন্স উল্লেখ করতে গেলেই নোয়াখালীর দাঙ্গার কথা বলা হয়। কাহিনীটা কলকাতার হলওয়েল মনুমেন্ট বা সিরাজুদ্দৌলার অন্ধকূপ হত্যা কাহিনীর মতো। দাঙ্গাবাজ সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও ঐতিহাসিকরা জিন্নাহ সাহেবকে সাম্প্রদায়িক নেতা বানিয়ে ফেলেছেন।”
অবশ্য এই মিথ্যাচার তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হামলার যেকোনো ঘটনাকে তারা অস্বীকার করে। এই জন্য বাঙ্গালী হিন্দু পোস্ট নোয়াখালী দাঙ্গার উপর ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সাম্নের দিনে। আমাদের পেজে চোখ রাখুন।
No comments:
Post a Comment