বাংলাদেশে (তৎকালীন
পূর্ব পাকিস্তান) সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে পরিচালিত জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান ১৯৪৬ সালে
কুখ্যাত নোয়াখালী দাঙ্গার (১০ অক্টোবর ১৯৪৬) মধ্য দিয়ে শুরু হয়। কোজাগরী
লক্ষ্মী পূজার পূর্ণিমার রাতে ২১৮ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়, ১০ হাজারের বেশী হিন্দু
বাড়ী লুট করা হয়, ২০০০-এর বেশী হিন্দুকে জোর করে মুসলমান বানানো হয়, কয়েক হাজার হিন্দু রমণী
ধর্ষিতা হন এবং শত শত হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা হয়। এসব ঘটনার দুঃখজনক দিক হচ্ছে তৎকালীন
প্রাদেশিক গভর্ণর মিঃ বরোজ বলেছিলেন, এটা স্বাভাবিক যে হিন্দু মহিলারা শত শত
মুসলমান কর্তৃক ধর্ষিতা হবেন, কারণ এরা
মুসলমান রমণীদের চেয়ে বেশী সুন্দরী (রায়, ২০০৭, পৃঃ ১২০,
রাজাবাজারে হাত-পা কাটা হিন্দু মেয়েদের চুল দিয়ে বেঁধে উলঙ্গ করে সব ঝুলিয়ে রেখেছিল। - প্রাক্তন পঃবঃ পুলিশের ডি জি, গোলক বিহারী মজুমদার, আই পি এস, ‘ছেচল্লিশের আতঙ্কের দিনগুলি’ (১৯৪৬এর কলকাতা গণহত্যা)।
• নোয়াখালিতে গেলাম ১৯৪৬ খৃঃ এ স্বেচ্ছাসেবকের কাজে, সেখানে অনেক হিন্দু মহিলাদের মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে মুসলিম লীগের গুণ্ডারা পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়ে হাতের শাঁখা ভেঙ্গে তাদের স্বামী ও পুত্র-কন্যাদের হত্যা করে ওই হিন্দু মহিলাদের জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে লীগ গুণ্ডারা বিয়ে করত। - রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘দ্বিখণ্ডিত মাতা, ধর্ষিতা ভগিনী’, পৃঃ ৫।
• ভোরের সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া পোল পার হয়ে হাওড়া থেকে দলে দলে আস্তে শুরু করল মারাত্মক অস্ত্র সজ্জিত অবাঙ্গালী মুসলমান গুণ্ডা এবং স্থানীয় মুসলমান গুণ্ডা মিশে গেলে চৌরঙ্গী-চিৎপুরে অপেক্ষমাণ সৈনিকদের সঙ্গে শুরু হল প্রলয়কাণ্ড ...... আগুনে জ্বলতে লাগল হিন্দুর স্থাবর অস্থাবর সবকিছু। - ‘দি লাস্ট ডেস অব বৃটিশ রাজ’, লিওনার্ড মোসলে।
• দাঙ্গায় পাকিস্তানে ৫০ হাজার হিন্দু-শিখ মহিলার গর্ভপাত করা হয় ও ৭৫ হাজার শিশুকে গোপনে হত্যা করা হয়। - উর্বশী বুটালিয়া, দ্যা আদার সাইদ অব সাইলেন্ট ভয়েস ফ্রম দ্যা পার্টিশন অব ইন্ডিয়া।
• নোয়াখালি হিন্দু নিধনের পরে সরকার এডওয়ার্ড স্কিপার সিম্পশন নামক প্রাক্তন বিচারপতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে এক এলাকার তিনশোর বেশী এবং অপর এক এলাকায় চারশোর বেশি হিন্দু রমণীকে ধর্ষণ করা হয়।
• কংগ্রেস সভাপতি আচার্য্য কৃপালনির স্ত্রী সুচেতা কৃপালনি নোয়াখালিতে নারী উদ্ধার করতে যায়। দাঙ্গার খলনায়ক গোলাম সরোয়ার ফতোয়া দিল, যে সুচেতাকে ধর্ষণ করতে পারবে তাকে বহু টাকা দেওয়া হবে এবং গাজী উপাধিতে ভূষিত করা হবে। সুচেতা সবসময় পটাসিয়াম সাইনাইড ক্যাপসুল গলায় ঝুলিয়ে রাখত। - রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘দ্বিখণ্ডিত মাতা, ধর্ষিতা ভগিনী’, পৃঃ ৬।
• নোয়াখালিতে গেলাম ১৯৪৬ খৃঃ এ স্বেচ্ছাসেবকের কাজে, সেখানে অনেক হিন্দু মহিলাদের মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে মুসলিম লীগের গুণ্ডারা পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়ে হাতের শাঁখা ভেঙ্গে তাদের স্বামী ও পুত্র-কন্যাদের হত্যা করে ওই হিন্দু মহিলাদের জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে লীগ গুণ্ডারা বিয়ে করত। - রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘দ্বিখণ্ডিত মাতা, ধর্ষিতা ভগিনী’, পৃঃ ৫।
• ভোরের সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া পোল পার হয়ে হাওড়া থেকে দলে দলে আস্তে শুরু করল মারাত্মক অস্ত্র সজ্জিত অবাঙ্গালী মুসলমান গুণ্ডা এবং স্থানীয় মুসলমান গুণ্ডা মিশে গেলে চৌরঙ্গী-চিৎপুরে অপেক্ষমাণ সৈনিকদের সঙ্গে শুরু হল প্রলয়কাণ্ড ...... আগুনে জ্বলতে লাগল হিন্দুর স্থাবর অস্থাবর সবকিছু। - ‘দি লাস্ট ডেস অব বৃটিশ রাজ’, লিওনার্ড মোসলে।
• দাঙ্গায় পাকিস্তানে ৫০ হাজার হিন্দু-শিখ মহিলার গর্ভপাত করা হয় ও ৭৫ হাজার শিশুকে গোপনে হত্যা করা হয়। - উর্বশী বুটালিয়া, দ্যা আদার সাইদ অব সাইলেন্ট ভয়েস ফ্রম দ্যা পার্টিশন অব ইন্ডিয়া।
• নোয়াখালি হিন্দু নিধনের পরে সরকার এডওয়ার্ড স্কিপার সিম্পশন নামক প্রাক্তন বিচারপতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে এক এলাকার তিনশোর বেশী এবং অপর এক এলাকায় চারশোর বেশি হিন্দু রমণীকে ধর্ষণ করা হয়।
• কংগ্রেস সভাপতি আচার্য্য কৃপালনির স্ত্রী সুচেতা কৃপালনি নোয়াখালিতে নারী উদ্ধার করতে যায়। দাঙ্গার খলনায়ক গোলাম সরোয়ার ফতোয়া দিল, যে সুচেতাকে ধর্ষণ করতে পারবে তাকে বহু টাকা দেওয়া হবে এবং গাজী উপাধিতে ভূষিত করা হবে। সুচেতা সবসময় পটাসিয়াম সাইনাইড ক্যাপসুল গলায় ঝুলিয়ে রাখত। - রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘দ্বিখণ্ডিত মাতা, ধর্ষিতা ভগিনী’, পৃঃ ৬।
১৬৫)তৎকালীন মুসলমান পাকিস্তানী সেনাবাহিনী
কর্তৃক ১৯৭১ সালে ৯ মাসব্যাপী পরিচালিত গণহত্যায় ৩০ লাখ বাংলাদেশীকে হত্যা করা
হয়,
এক কোটি হিন্দু শরণার্থী হয়ে ভারতে
পালিয়ে যান (কেনেডী,
১৯৭১, পৃঃ ৬-৭) এবং ২ লাখ নারী ধর্ষিতা হন (
রায়,
২০০৭, পৃঃ ২৯৮) ইহুদীদের বিরুদ্ধে হিটলার
পরিচালিত গণহত্যার সময় যেমনটি ঘটেছিল তেমনভাবে হিন্দু পরিবারসমূহের প্রতিবেশী
মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়ীর গায়ে হিন্দু বুঝাতে হলুদ রঙে ইংরাজী ’এইচ’ চিহ্ন লিখে রাখত, যাতে ঘাতক পাকিস্তানী সৈন্যরা সহজে তাদের
টার্গেট চিনতে পারে। (শ্যানবার্গ, ১৯৯৪)। ১৯৭১
সালে তৎকালের পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যার গরিষ্ঠ সংখ্যক শিকার হচ্ছে হিন্দু, প্রায় ৮০%, এর পর রয়েছে মুসলমান (১৫%) এবং খ্রীষ্টান
(৫%) রায়,
২০০৭, পৃঃ ৩১২)।
বাংলাদেশে ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়। ইসলামপন্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তস্করেরা এবং তাদের ইসলামী মিত্র জামাআতে ইসলামী হিন্দু, খ্রীষ্টান ও বৌদ্ধদের পিটুনি দিয়ে চলেছে। জাতীয়তাবাদী ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনীতিতে জড়িত হওয়া ঘোরতরভাবে অপছন্দ করে। হিন্দুদেরকে ভয় দেখিয়ে অথবা ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয় ( দি ডেইলী স্টার, ৪ জানুয়ারী, ২০০৬) প্রায়ই হিন্দুদেরকে ভয় দেখানো হয় যে তারা ভোট দিলে তাদের মহিলাদের সমভ্রমহানি ঘটবে, তাদেরকে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করা হবে। হিন্দুদেরকে ভোট প্রদানে বিরত রাখার তৃতীয় পদ্ধতি হচ্ছে শারীরিকভাবে বাধা দেওয়া। জাতীয়তাবাদী-ইসলামপন্থী দুর্বৃত্তরা পাহারা দেয় যাতে হিন্দুরা ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে। প্রধানত গ্রামীণ এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে। (রায়, ২০০৭, পৃঃ ৩৫৯, ১৫২ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সরকার কিছুই করে না।
নারী ও শিশুদের অপহরণ ও ধর্ষণ, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদেরকে জোর করে বিয়ে করা, জিজিয়া করের নামে টাকা আদায়, জোর করে ধর্মান্তর করা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদেরকে হত্যা করা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই হিন্দু বিধবাদেরকে নিজ হাতে তাদের গরু হত্যা করে এবং তার মাংস রান্না করে সবার সামনে খেয়ে মুসলমান হতে বাধ্য করা হয় (রায়, ২০০৭, পৃঃ ১২০, ১২৫)শারীরিক নিরাপত্তার জন্য অনেক পরিবার বহু আগে থেকে তাদের ’স্বদেশভূমি’ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কারণ এই ’হিন্দু গণহত্যা’ পুরোপুরি ইচ্ছাকৃত এবং প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভাবে সরকার কর্তৃক সমর্থিত। এর লক্ষ্য হচ্ছে সকল সংখ্যালঘুকে নিশ্চিহ্ন করে বাংলাদেশকে খাঁটি ইসলামী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলা। পরিস্থিতি এতটা উদ্বেগজনক যে, বাংলাদেশে সংখ্যলঘুদের দুর্দশা বর্ণনা করে প্রকাশিত এক নিবন্ধের (২৯ নভেম্বর, ২০০৩) শিরোনাম ছিলঃ ’বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যলঘু ঃ কেবলমাত্র বহির্গমন লাউঞ্জই নিরাপদ।’ (উদ্ধৃতি, দত্ত, ২০০৫) বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর একটা তালিকা নীচে দেয়া হলঃ
হিন্দু মহিলারা (৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী) প্রায়ই গণধর্ষণের শিকার হন। প্রায় ২০০ হিন্দু মহিলা একই স্থানে এক রাতে ভোলার চরফ্যাশনে মুসলমানদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন (দি ডেইলী স্টার, ১৬ নভেম্বর, ২০০১ইসলামী সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘু খ্রীষ্টানদের উপর জিজিয়া কর আরোপ করে বলেছে, কর দিতে না পারলে তাদের স্ত্রী, বোন ও কন্যাদেরকে মুসলমানদের হাতে তুলে দিতে হবে। (সূত্র ঃ ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড, ১৩ ডিসেম্বর, ২০০১)মুসলমান সন্ত্রাসীরা মা ও মেয়েকে একত্রে একই বিছানায় ধর্ষণ করেছে, বাবা-মা এবং সন্তানদেরকে এ দৃশ্য দেখতে বাধ্য করেছে, তারা সন্তানদের সামনে মা’দেরকে ধর্ষণ করেছে। (দৈনিক জনকণ্ঠ, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২, ২২ এপ্রিল, ২০০২)।১৯৮৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী প্রতিবেশী গ্রামগুলোর প্রায় ৪০০ মুসলমান কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সোবাহান গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালায়। মুসলমানরা তাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ’সরকার ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষণা করেছে। সুতরাং তোমাদের হয় মুসলমান হয়ে যেতে হবে নতুবা দেশত্যাগ করতে হবে।’ তারা লুটপাটের পর প্রতিটি হিন্দু বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। মন্দিরগুলো ধ্বংস করে এবং মহিলাদের উপর গণধর্ষণ চালায়। (সূত্র, বৈষম্যের শিকার বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়, মতিউর রহমান ও আজিজুল হক সম্পাদিত, ১৯৯০, উদ্ধৃতি দত্ত, ২০০৫)প্রায়ই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালান। যেমন, গোপালপুরে থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন ’মাঝরাতে একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি ২টি আশ্রম, ১টি কালী মন্দির ও ৩টি বাড়ী ভাংচুর করে। এ সময় তাদের প্রহারে ৭/৮ জন আহত হয়’ (দি ডেইলী স্টার, ৩ জুন, ২০০৩।
পুলিশ সাধারণত সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের ধর্ষণের শিকার হওয়া কাউকে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে দেয় না। যদি ধর্ষণের শিকার কেউ থানায় গিয়ে অভিযোগ করে তাহলে পুলিশ নড়াচড়া করতে কয়েকদিন দেরী করে যাতে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। তারপর পুলিশ কর্মকর্তারা নিজেরা ধর্ষিতাকে সাজা দেয়। মামলার চেষ্টা করলে ধর্ষিতাকে হত্যা অথবা অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়। (দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০০২)।
২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ সাধনপুর গ্রামের একই পরিবারের ১১ জন সদস্যকে (৪ দিনের এক শিশুসহ) জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় (বন্দো, ২০০৪, পৃঃ ১৩)কয়েক হাজার হিন্দু মন্দির ইতিমধ্যে পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করা হয়েছে। (১৯৯২ সালেই ৩৫২) জামায়াতে ইসলামী নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদী ঘোষণা করেছেন যে, মুসলমান সাধকদের ছাড়া বাকি সব মূর্তি ধ্বংস করে ফেলতে হবে। (বলডুইন, ২০০২) ঢাকার সংস্কৃত ও হিন্দু ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয় (সারস্বত সমাজ) দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বন্ধ। ১৯৭১-এর আগে পর্যন্ত এটা চালু ছিল। হিন্দু শিক্ষা ব্যবস্থা নির্মূল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এর জমি ও অন্যান্য সম্পদ বাজেয়াফত করে। পক্ষান্তরে মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়নের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। ( রায়, ২০০৮)
• ১৫ মার্চ, ২০০৫ বৃটিশ পার্লামেন্টের বৈদেশিক বিষয়ক সিলেক্ট কমিটি তার রিপোর্টে জানাচ্ছে
যে বাংলাদেশে ধর্ষিতা রমণীদের মধ্যে ৯৮.৭% হিন্দু যদিও সেদেশের শতকরা ১০এরও কম মানুষ
আজ হিন্দু ধর্মাবলম্বী যা প্রছন্নভাবে প্রমাণ দেয় যে সেখানে হিন্দুদের অবস্থা
হিটলারের নাজী জার্মানির থেকেও খারাপ। শুধু ২০০১ সালেই ২ কোটির মধ্যে ৪০ লক্ষ
হিন্দু আক্রান্ত, ১৪৩০ এর উপর হিন্দু মহিলা গণধর্ষিতা, ৩৮০০০ পরিবার বাস্ত্যুচূত, ১৫৫ মন্দির ধ্বংস ও
৪৫৮১ হিন্দু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত করা হয়।
• দুহাজার আট সালে বাংলাদেশের সেকুলার সরকার ক্ষমতায় এলেও বাংলাদেশের অবস্থায়
বাস্তবিক কোন পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ষোল হাজার হিন্দু মহিলা
অপহৃত হন এবং বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। দুহাজার এগারো সালে এখনো এই সংখ্যা
কমেনি বটে। বাংলাদেশের সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও চিত্র পরিচালক এবং উইক ব্লিজ পত্রিকার সম্পাদক সালাউদ্দিন শোয়েব
চৌধুরীর সাক্ষাৎকার, আমার দেশ পত্রিকা, ১৯/০৩/২০১১,ঢাকা।
No comments:
Post a Comment