তাঁকে দক্ষিনের মীরাবাঈ বললে হয়ত বা একটু বাড়িয়েই স্তুতি করা হবে। সঙ্গীতের মাধুরী তাঁর ছিল না। তিনিও মীরার মতই কৃষ্ণের সাধিকা ও ভক্ত। তাঁকে নিয়ে দক্ষিনের মানুষদের ভক্তি সন্মানের অভাব নেই। তবে প্রচারের আলো থেকে বঞ্ছিত বলে দক্ষিন ভারতের বাইরের জগতের অনেকেই তাঁর নাম জানেন না। তিনি সুরৎনী। তাঁর পরিচয়, তিনি দিল্লীর খিলজী বা খলজী বংশের কুখ্যাত সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজীর কন্যা।
তাঁকে নিয়ে অনেক লোককথা, অনেক কাহিনী কিংবদন্তী ছড়িয়ে আছে দক্ষিনের গ্রামে গ্রামে। কেউ বলেন তিনি কৃষ্ণের স্ত্রী আবার কেউ বলেন ভক্ত। তবে একটা কথা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে তিনি দক্ষিন ভারতের হিন্দু মুসলমানের মধ্যে এক মেলবন্ধনের সূত্র।
দক্ষিন ভারতের কাবেরী নদী এখানের ইতিহাস ও সমাজ জীবনে এক প্রগাঢ় ছাপ ফেলেছে। নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী চলমান কাবেরীর স্রোত। এই নদী চলতে চলতে অনেক ব-দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। এই রকম তিনটি দ্বীপেই নির্মিত হয়েছে দক্ষিনের বিখ্যাত রঙ্গনাথ স্বামীর তিনটি মন্দির। রঙ্গনাথ হলেন নারায়ণ বা কৃষ্ণ। কর্ণাটক প্রদেশের মহীশুরের কাছে টিপু সুলতানের নামধন্য শ্রীরঙ্গপত্তনম গ্রামের মন্দিরটি আদি রঙ্গ, শিবসমুদ্রমের কাছের মন্দিরটি মধ্য রঙ্গ ও তামিলনাড়ু প্রদেশের তিরুচিরাপল্লীর কাছে শ্রীরঙ্গমের মন্দিরটি অন্ত রঙ্গ নামে পরিচিত। এই শেষ মন্দিরটির সাথেই সুরৎনীর জীবন জড়িয়ে গেছিল।
আলাউদ্দীন তার জীবনদশায় অনেক হিন্দু স্হাপত্যকলার নিদর্শন ধ্বংশ করেছেন। দক্ষিনেও তার কুনজর পড়েছিল। তিনি ১৩১১ সালে তার সেনাপতি মালিক কাফুরকে পাঠান শ্রীরঙ্গম শহরের রঙ্গনাথ স্বামীর মন্দিরটি ধ্বংশ করার জন্য। এক রক্তাক্ত যুদ্ধের পর মালিক কাফুর এই মন্দিরটি জয় করে ধ্বংশ করেন ও রঙ্গনাথ স্বামীর মূল মূর্ত্তিটি তিনি বিজয়ের স্মারক হিসাবে সুলতানকে দেবার জন্য দিল্লী নিয়ে যান।
মুর্ত্তিটি আমি শুধু এক ঝলক দেখেছিলাম ২০০৬ সালে। রঙ্গনাথ স্বামী দুহাত ভাঁজ করে মাথার তলায় দিয়েএকপাশ ফিরে চোখ বুজিয়ে শুয়ে আছেন। তাঁর প্রসন্ন শান্ত মুখে এক অমলিন মৃদু হাসি। দেখলেই কেমন যেন মনটা শান্ত হয়ে যায়। নিঃসন্দেহে একটা ওয়ার্ক অফ আর্ট।
দিল্লীতেই আলাউদ্দীনের মেয়ে সুরৎনী মূর্ত্তিটিকে দেখে এর প্রেমে পড়ে যান। পরে একদল দক্ষিনী ভক্ত মুর্ত্তিটিকে দিল্লী থেকে চুরি করে দক্ষিনের দিকে যাত্রা করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুর্ত্তিটিকে যথাস্হানে পুনর্প্রতিষ্ঠা করা। মূর্ত্তিটিকে না দেখে সুরৎনীরও মনভঙ্গ হয়েছিল। তিনিও দিল্লী থেকে দক্ষিনের পথে যাত্রা করেন।
বহু বাঁধা বিঘ্ন কাটিয়ে তিনি যখন শ্রীরঙ্গম শহরে আসেন তখন তাঁর শরীরের অবস্হা কাহিল। এবং মন্দিরের প্রবেশদ্বারেই তিনি প্রাণত্যাগ করেন। পরে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ক্রুদ্ধ হয়ে আলাউদ্দীন আবার মালিক কাফুরকে পাঠান শ্রীরঙ্গমের মন্দির ও শহর ধ্বংশ করতে। কথিত আছে সেই যুদ্ধে ১৩০০০ সেবাইত প্রাণ বিশর্জন দিয়েও শহর রক্ষা করতে পারেননি। কিন্তু সেটা অন্য ইতিহাস।
আজও ভক্ত সুরৎনীকে স্মরণ করেন স্হানীয় মানুষজন।এখানে তাঁর পরিচয় বিবি নাচিয়ার নামে। তামিল ভাষায় নাচিয়ার বা নাচিয়াম্মা শব্দটির অর্থ দেবী। মন্দিরেও তাঁর একটা বিগ্রহ স্হাপিত হয়েছে। এখনো তাঁর নামে উত্তর ভারতের খাদ্য রুটি ও সব্জী প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয় মন্দিরে।
তাঁকে নিয়ে অনেক লোককথা, অনেক কাহিনী কিংবদন্তী ছড়িয়ে আছে দক্ষিনের গ্রামে গ্রামে। কেউ বলেন তিনি কৃষ্ণের স্ত্রী আবার কেউ বলেন ভক্ত। তবে একটা কথা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে তিনি দক্ষিন ভারতের হিন্দু মুসলমানের মধ্যে এক মেলবন্ধনের সূত্র।
দক্ষিন ভারতের কাবেরী নদী এখানের ইতিহাস ও সমাজ জীবনে এক প্রগাঢ় ছাপ ফেলেছে। নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী চলমান কাবেরীর স্রোত। এই নদী চলতে চলতে অনেক ব-দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। এই রকম তিনটি দ্বীপেই নির্মিত হয়েছে দক্ষিনের বিখ্যাত রঙ্গনাথ স্বামীর তিনটি মন্দির। রঙ্গনাথ হলেন নারায়ণ বা কৃষ্ণ। কর্ণাটক প্রদেশের মহীশুরের কাছে টিপু সুলতানের নামধন্য শ্রীরঙ্গপত্তনম গ্রামের মন্দিরটি আদি রঙ্গ, শিবসমুদ্রমের কাছের মন্দিরটি মধ্য রঙ্গ ও তামিলনাড়ু প্রদেশের তিরুচিরাপল্লীর কাছে শ্রীরঙ্গমের মন্দিরটি অন্ত রঙ্গ নামে পরিচিত। এই শেষ মন্দিরটির সাথেই সুরৎনীর জীবন জড়িয়ে গেছিল।
আলাউদ্দীন তার জীবনদশায় অনেক হিন্দু স্হাপত্যকলার নিদর্শন ধ্বংশ করেছেন। দক্ষিনেও তার কুনজর পড়েছিল। তিনি ১৩১১ সালে তার সেনাপতি মালিক কাফুরকে পাঠান শ্রীরঙ্গম শহরের রঙ্গনাথ স্বামীর মন্দিরটি ধ্বংশ করার জন্য। এক রক্তাক্ত যুদ্ধের পর মালিক কাফুর এই মন্দিরটি জয় করে ধ্বংশ করেন ও রঙ্গনাথ স্বামীর মূল মূর্ত্তিটি তিনি বিজয়ের স্মারক হিসাবে সুলতানকে দেবার জন্য দিল্লী নিয়ে যান।
মুর্ত্তিটি আমি শুধু এক ঝলক দেখেছিলাম ২০০৬ সালে। রঙ্গনাথ স্বামী দুহাত ভাঁজ করে মাথার তলায় দিয়েএকপাশ ফিরে চোখ বুজিয়ে শুয়ে আছেন। তাঁর প্রসন্ন শান্ত মুখে এক অমলিন মৃদু হাসি। দেখলেই কেমন যেন মনটা শান্ত হয়ে যায়। নিঃসন্দেহে একটা ওয়ার্ক অফ আর্ট।
দিল্লীতেই আলাউদ্দীনের মেয়ে সুরৎনী মূর্ত্তিটিকে দেখে এর প্রেমে পড়ে যান। পরে একদল দক্ষিনী ভক্ত মুর্ত্তিটিকে দিল্লী থেকে চুরি করে দক্ষিনের দিকে যাত্রা করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুর্ত্তিটিকে যথাস্হানে পুনর্প্রতিষ্ঠা করা। মূর্ত্তিটিকে না দেখে সুরৎনীরও মনভঙ্গ হয়েছিল। তিনিও দিল্লী থেকে দক্ষিনের পথে যাত্রা করেন।
বহু বাঁধা বিঘ্ন কাটিয়ে তিনি যখন শ্রীরঙ্গম শহরে আসেন তখন তাঁর শরীরের অবস্হা কাহিল। এবং মন্দিরের প্রবেশদ্বারেই তিনি প্রাণত্যাগ করেন। পরে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ক্রুদ্ধ হয়ে আলাউদ্দীন আবার মালিক কাফুরকে পাঠান শ্রীরঙ্গমের মন্দির ও শহর ধ্বংশ করতে। কথিত আছে সেই যুদ্ধে ১৩০০০ সেবাইত প্রাণ বিশর্জন দিয়েও শহর রক্ষা করতে পারেননি। কিন্তু সেটা অন্য ইতিহাস।
আজও ভক্ত সুরৎনীকে স্মরণ করেন স্হানীয় মানুষজন।এখানে তাঁর পরিচয় বিবি নাচিয়ার নামে। তামিল ভাষায় নাচিয়ার বা নাচিয়াম্মা শব্দটির অর্থ দেবী। মন্দিরেও তাঁর একটা বিগ্রহ স্হাপিত হয়েছে। এখনো তাঁর নামে উত্তর ভারতের খাদ্য রুটি ও সব্জী প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয় মন্দিরে।
এর রেফারেন্স কি? রেফারেন্স দেন, আমি তো এমন কথা জিন্দেগীতেও শুনিনি
ReplyDelete