২০০৮ সালে আসামে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী অবৈধ মুসলিমরা আদিবাসী হিন্দুদের উপর হামলা করে। তারা হিন্দুদের হত্যা করে আসামে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করে। আসাম থেকে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী সকল অবৈধ মুসলিমদের বের করে দেওয়াই আসাম সমস্যা সমাধানের এক্মাত্র উপায়। এই মুসলিমদের জন্য আসামের প্রকৃত আদিবাসী মুসলিমরাও বিপদের মুখে পড়ছেন।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় ভারতের মুসলিমরা তাদের অবৈধ বাংলাদেশী ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে গাদ্দারি করছে দেশের সাথে। ২০১২ সালেও এই অবৈধ মুসলিমরা আসামে দাঙ্গা বাঁধায়। আর সারা ভারতের মুসলিমরা এই বাংলাদেশীদের সমর্থনে ভারতের বিভিন্ন জায়গাতে তাণ্ডব চালায়।
http://en.wikipedia.org/wiki/2012_Assam_violence#Repercussions_in_other_parts_of_India
বাংলাদেশী মুসলিমরা এক ফেলানি ইস্যুতে হইচই করে।
ফেলানি কে ছিল?
উঃ বাংলাদেশী
সে ভারতে কি করতে ঢুকেছিল?
উঃ নুর ইসলাম নুরু’র কিশোরী কন্যা ফেলানি (১৫) ভারতের একটি ইটভাটায় বাবার সঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিল।
তার মানে ফেলানি অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী মুসলিম?
উঃ হ্যাঁ
তাহলে সে বাংলাদেশে ফিরেছিল কেন?
উঃ বিয়ে করতে
জানাতে হবে ফেলানী হত্যাকান্ডে আসলেই কে দায়ী।
দুনিয়ার প্রতিটি দেশের সীমান্ত পাহারা দেয়ার জন্য সীমান্ত রক্ষী বাহিনী থাকে। তাই বাংলাদেশের আছে বিজিবি ও ভারতের বি এস এফ। এদের মূল দায়িত্ব নিজ দেশে কেউ যেন অবৈধ ভাবে প্রবেশ না করতে পারে , বা অবৈধভাবে কোন মালামাল ঢুকাতে না পারে। কেউ অবৈধভাবে কোন দেশে ঢুকলে বা ঢুকতে চাইলে বা দেশ থেকে অবৈধভাবে অন্য দেশে ঢুকতে চাইলে তাদেরকে গুলি করার নির্দেশ দেয়া আছে। গুলি করার ফলে একজন অনুপ্রবেশকারী আহত বা নিহত হতে পারে।
এখন আসা যাক প্রকৃত ঘটনা কি। প্রতি দিন বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ নানা কারনে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। সেই তুলনায় ভারতীয়রা বাংলাদেশে বলতে গেলে অনুপ্রবেশ করেই না। পৃথিবীতে অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত হিসাবে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বিখ্যাত। ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাওয়া হিন্দুরা ছাড়াও প্রচুর মুসলমানরা ভারতের দিল্লী , বোম্বাই ইত্যাদি শহরে কাজ করতে বা কালোবাজারী ব্যবসা পরিচালনা করতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এমতাবস্থায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বি এস এফ এর দায়ীত্ব কি ? নিত্য নৈমিত্তিক এরকম অনুপ্রবেশের ঘটনায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দারুনভাবে বিরক্ত। কোন ভাবেই তারা এসব বন্দ করতে পারছে না। অর্থাৎ তারা এত যে গুলি করে মানুষ মারছে তারপরও বাংলাদেশের মানুষ বেপরোয়াভাবে সেদেশে অনুপ্রবেশ করে। এখন কাহাতক ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এসব সহ্য করবে ? এখানে দোষটা কার ? ভারতীয় রক্ষী বাহিনীর নাকি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ কারীর ?
বাংলাদেশের মানুষ অন্য কোন বিষয়ে উন্নতি করতে না পারলেও অবৈধভাবে অন্য দেশে বেপরোয়াভাবে অনুপ্রবেশ করার জন্য বিখ্যাত। বেশ কয় বছর আগে খবরে জানা গেছিল কিছু বাংলাদেশী মানুষ আফ্রিকা থেকে জিব্রাল্টার প্রনালী পার হয়ে স্পেনে যাওয়ার সময় সাগরে পথ হারিয়ে মারা যায়। তারা বাংলাদেশ থেকে আফ্রিকায় গেছিল। অত:পর কঠিন মরুভূমি পার হয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে যাচ্ছিল। এভাবে অনেক বাংলাদেশী আগে ইউরোপ গেছিল নিশ্চিত , কিন্তু সেবারই তারা বিপদে পড়ে। প্রতিদিন খবরে দেখা যায় , টেকনাফ থেকে ট্রলারে করে মানুষ সাগর পথে মালয়শিয়ায় যাওয়ার পথে তারা বিপদে পড়েছে , মায়ানমার নৌবাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে বা নৌকা ডুবে মারা গেছে।
বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে বেশ কিছু বাংলাদেশী বাস করে তার সিংহভাগই সেখানে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর , রাশিয়াতে গিয়ে অত:পর স্থলপথে নানা বিপদ সংকুল পথ পাড়ি দিয়ে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ ইটালি , জার্মানী ইত্যাদি দেশে গেছে। অনেক মানুষ এখনও ভারত , পাকিস্তান , ইরান , তুরস্ক হয়ে এখনও গ্রীসে যায়।
একটা দেশ থেকি ভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশ করা কোন নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু সেটা সাধারনত ঘটে কোন দেশে যদি যুদ্ধ বিগ্রহ চলে তখন এবং নিতান্তই মানবিক কারনে। এ কারনে ইরাক , আফগানিস্তান থেকে বহু মানুষ পশ্চিমা দেশে অনুপ্রবেশ করেছে নানা কায়দায়। বর্তমানে সিরিয়ার অনেক মানুষ পাশ্ববর্তী তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অনেকেই পশ্চিমা ইউরোপের নানা দেশে আশ্রয় নিতে চেষ্টা করছে। তাদের এই অনুপ্রবেশের একটা যথাযথ কারন আছে। কিন্তু বাংলাদেশে কোন যুদ্ধ চলছে না , তারা কেন এভাবে মরিয়া হয়ে ভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশ করছে ? এ কারনটা কি কেউ কখনও ভেবেছে ?
বাংলাদেশের মানুষ যদি প্রতি নিয়ত এভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে থাকে , তাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবে ? ভারত থেকে তো কোন অনুপ্রবেশ বাংলাদেশে ঘটছে না , তাহলে ? কেন বাংলাদেশীরা প্রতি নিয়ত অন্য দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করবে ? আর অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মারা গেলে তখন চিল্লাচিল্লি শুরু করে সারা দুনিয়া মাত করার তালে থাকব। এটা কেন ? বাংলাদেশে মাত্রা ছাড়া জনসংখ্যা বেড়েছে , তাদের কাজের সুযোগ নেই , তাই এরকম বেপরোয়াভাবে তারা ভারত সহ বিভিন্ন দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছে , সুতরাং দোষটা কার ? দোষ করব আমরা , আর অন্য দেশ তাদের সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্দ করতে পদক্ষেপ গ্রহন করলে সেটা হবে মানবতা বিরোধী কাজ? মামাবাড়ীর আব্দার নাকি ?
শেষ করছি এক বাংলাদেশী অসহায় হিন্দুর কথা বলে। তার নাম গোপন রাখা হল। তার মুখের ভাষা তুলে ধরলাম।
১ম ঘটনাঃ আসামে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী কিছু মুসলিম কতৃক এক হিন্দু যুবতী ধর্ষিত ও নিহত ।
২য় ঘটনাঃ আমাদের এলাকায়(বাংলাদেশে)এক মুসলিম রিক্সাওয়ালা আছে।স্থানীয় হিন্দুদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক,সে একজন আওয়ামি লিগ কর্মীও বটে। তার ২মেয়ে ৪ ছেলে।মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে ।তাদের ৪ সন্তান।বড় ছেলে ৬বছর ধরে ভারতে আছে।তার সন্তান সংখ্যা জানি না।মেজ ছেলে ৪ বছর পূর্বে ভারত যায়।২ বছর পূর্বে সে ভারত থেকে একটা হিন্দু মেয়েকে নিয়ে এসে বিয়ে করে।মেয়েটি এখন পুরোদস্তুর মুসলিম গৃহিনী ।তাদের একটি সন্তান আছে।বর্তমানে সে আবার সন্তানসম্ভবা।মেজ ছেলে ভারত থেকে চলে আসার পর সেজ ছেলে ভারত যায়।বর্তমানে বড় ও সেজ ছেলে ভারতের নাগরিকত্বও লাভ করেছে।ছোট ছেলে(বাংলাদেশে)স্থানীয় প্রভাবশালী ও ধনী হিন্দু লোকটির একমাত্র মেয়ের সাথে প্রেম করে।
৩য় ঘটনাঃ ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আমার দুই কাকা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।তাদের সব সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে।ভারতে তারা ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।অথচ দেশে তাদের অনেক সম্পত্তি ছিল।এটিই তাদের কাল হল।আর কাকার মেয়েটিও ছিল বেশ সুন্দর।তাই তার উপর স্থানীয় মুসলিম ছেলেদের কুদৃষ্টি পড়ে।তাই দ্রুত দেশ ত্যাগ।১৩ বছরে আজও নাগরিকত্ব মেলে নি।
তাৎপর্যঃ
১।হিন্দুরা বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে ভারতে পাড়ি জমায়।তাদের রাজনৈতিক সাপোর্ট না থাকায় অবৈধ নাগরিক হিসেবেই রয়ে যায়।মুসলিমদের অত্যাধিক জনসংখ্যার কারনে তাদের অনেকেই জীবিকার জন্য ভারত যায়।তারা ভোটব্যাংক নীতির কারনে স্থানীয় প্রভাবশালি মুসলমানের সহায়তায় সহজেই নাগরিকত্ব পায়।এরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডেও যুক্ত হয়; এমনকি ভারতবিরোধী জিহাদেও।ফলে দোষ হয় অনুপ্রবেশকারি বাংলাদেশিদের(যার মধ্যে হিন্দুরাও পড়ে)।যেহেতু ভারতের সেক্যুলার মিডিয়া ধর্মের উল্লেখ করে না তাই ভারত সরকার ও জনগনের ক্ষোভ অনুপ্রবেশকারি বাংলাদেশি হিন্দুদের উপর পড়ে।
২।মুসলিমদের কুনজর থেকে হিন্দু নারীদের রক্ষার জন্য অনেক পরিবার দেশ ত্যাগ করেছে।কিন্তু ভারতে গিয়েও হিন্দু নারীরা নিরাপদ কোথায়???তারা মুসলিমদের ধর্ষন কিংবা লাভ জিহাদের শিকার হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment