সম্প্রতি ভারতের কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও ধর্মীয় নেতাদের মন্তব্যঃ
* "উত্তর প্রদেশে ৪২ শতাংশ মুসলমান (প্রকৃতপক্ষে ২১ শতাংশ) আর গুজরাটে ৪ শতাংশ। মোদী যদি উত্তর প্রদেশকে গুজরাট বানাতে চায় তবে তাকে কুচি কুচি করে কেটে ফেলব। আমি মুসলমান, মরতেও ভয় পায় না আবার কাউকে মারতেও ভয় পায় না।" - কংগ্রেস নেতা মোঃ ইমরান
* "কার্গিলের যুদ্ধ একাই মুসলিমরায় জিতিয়েছে। আমরা মুসলমানরায় সেরা। "
- আজম খান
* "আপনি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আরো সোচ্চার হোন। রাহুল গান্ধী মতো মোদীকে অপমান করুন, না হলে পশ্চিমবাংলার কোনো মুসলমান আপনাকে সমর্থন দিবে না।" - মমতাকে একপ্রকার হুমকিই দেন কলকাতা বড় মসজিদের ইমাম।
* "কংগ্রেস মুসলমানদের জন্য অনেক কিছু করেছে।এবার লোকসভা নির্বাচনে ভারতের সকল মুসলমানদের কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।"
- দিল্লী শাহী মসজিদের ইমাম বুখারী মুসলমানদেরকে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য ফতেয়া জারি করেন।
"পুলিশকে ১৫ মিনিটের জন্য তুলে নেয়া হোক আর এর মধ্যেই আমরা ২৫ কোটি মুসলিম (প্রকৃতপক্ষে ১৭ কোটি) ৮০ কোটি (প্রকৃতপক্ষে ১০৫ কোটি) হিন্দুকে হত্যা করব।" - আকবর উদ্দিন ওয়াইসি, রাজনৈতিক নেতা,ভারত।
*****************
উপরের চিত্র থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, ভারত যে সম্প্রদায়ের জন্য আজ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সেই সম্প্রদায়টি মোটেও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনায় বিশ্বাসী নয়। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস নেতা ইমরানের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়, ভারতের কোনো রাজ্যে যদি সত্যিই মুসলমানরা ৪০ শতাংশের উপর পৌঁছে যায় তবে সেখানকার অবস্থা কাশ্মীরের মতোই হবে এবং পুরো ভারতবর্ষে যদি মুসলমানেরা ৩০ শতাংশে পৌঁছে যায় তবে ভারত আরো একবার দিখন্ডিত হতে বাধ্য হবে। ভারতের এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে কেবল সহিষ্ণু হিন্দুরা।
এরপর, আজম খানের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে ভারতের মুসলমানের নিজেদেরকে ভারতীয় না মেনে একজন মুসলমান বলেই মনে করে যেখানে ভারতের প্রতিটি হিন্দু সবার আগে নিজেদেরকে ভারতবাসী বলে পরিচয় দেয়।
এরপর কলকাতা বড় মসজিদের ইমামের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় পশ্চিমবাংলায় মুসলমানের ঠিক কতোটা ক্ষমতাবান।এরা আজ মূখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত হুমকি দিচ্ছে তবে পরবর্তীতে পশ্চিমবাংলায় মুসলমানরায় রাজত্ব করবে তাতে কোনো সন্ধেহ নেই।
দিল্লী শাহী মসজিদের ইমাম বুখারি পরিষ্কার করে দিলেন কংগ্রেস একটি মুসলিম মৌলবাদী দল। অথচ এই মুসলিম মৌলবাদী দলটিই ভারতকে বেশি সময় ধরে শাসন করেছে। সর্বশেষ আকবর উদ্দীনের ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চায় না, এই দায়িক্ত আপনাদের উপরেই ছেড়ে দিলাম।
এখন, কোনো দেশের রাজনৈতিক নেতা ও ধর্মীয় নেতাদের ভাষা যদি এতোটা উগ্র সাম্প্রদায়িক হয় তবে সাধারণ মুসলমানের কতোটা অসাম্প্রদায়িক তা সহজেই অনুমাণ করা যায়। তবুও কিছু সেক্যু/নাস্তিক হিন্দু বলে বেড়ায়, ভারতের মুসলমানের খুব ভালু এক্কেবারে নরম সিদ্ধ এলু!!
এই বোকা হিন্দুরা আর কতকাল পরে বুঝবে যে মুসলমানরা ভাল মানুষের মুখোশ পরে হিন্দুদের পিঠের উপর চড়ে নিরবে দল ভারি করছে। আপনারা এতো বোকা হবেন না নয়লে পরে পালানোর পথও পাবেন না। মুসলমানের যদি নিজেদেরকে একত্রিত করতে পারে তবে হিন্দুরা কেন পারবে না? মুসলমানেরায় তো হিন্দু-মুসলিম বিভেদ গড়ে দিয়েছে তবে এবার হিন্দুদের দেখানোর পালা যে আমরাও একতাবদ্ধ হতে জানি।
বন্দে মাতরম, জয়হিন্দ ।
No comments:
Post a Comment