মহাত্মা গৌতম বুদ্ধ,এক চিরস্মরনীয় বৈদিক পথদ্রষ্টা।
মহাভারত এর শান্তিপর্বের ১৯৩/ ৬ এ বলা হয়েছে "বুদ্ধ" শব্দের অর্থ হল জ্ঞানী।জীবদ্দশায় তত্কালীন তথাকথিত ব্রাক্ষ্মনদের বেদবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার জন্য 'তথাগত' নামক সঙ্ঘের প্রবর্তন করেন যা তার মৃত্যুর অনেক পরে একটি আলাদা ধর্মের রুপ লাভ করে(বৌদ্ধ ধর্ম)।
চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক,গৌতম বুদ্ধ বেদ সম্পর্কে কি বলে গিয়েছেন-
Sutta Nipat 192
"বিদ্যা চ বেদেহী সমীচ ধামাম ন উচ্চবাচম গচ্ছতি"
-"সাধারন লোকেরা ইন্দ্রিয়ার্থে নিবদ্ধ থাকেকিন্তু যারা বেদজ্ঞানী তারা ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞাত তারা এর শিকার হয়না"
Sutta Nipat 503
"য় বেদেজ্ঞ জ্ঞানারাত সতিম..."
"একজন লোকের জ্ঞান,স্থিরতা প্রভৃতি অর্জনের জন্য একভন বেদজ্ঞ এর সহচর্য লাভ করা উচিত"
Sutta Nipat 1509
"য়ম ব্রক্ষনাম বেদজ্ঞম অভিজন্য অকিন্চনম..."
-"একজন বেদজ্ঞানী জাগতিক সকল কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করেন"
Sutta Nipat 1060
"বিদ্যা চ স বেদজ্ঞ চারো ইধা ভবভে সংযম ইমাম বিশ্বমা"
-"একজন বেদজ্ঞানী জাগতিক সুখ ও সম্পত্তির প্রতি আসক্তি ত্যগ করতে সক্ষম হন"
Sutta Nipat 846
"ন বেদেজ্ঞ সিথিয়া ন মুত্ত স মানমতি নাহি তনমায়োসো"
-"বেদজ্ঞ এর অহংকারমোহ দুর হয়,তিনি কোন প্রকার লোকপ্রিয়তায় আসক্ত হননা এবং কোন প্রকার বিভ্রান্তির স্বীকার হননা"
Sutta Nipat 458
"য়দন্তজ বেদজ্ঞ য়ন্জকলে য়শবতি লভে তরস ইজেতি ব্রম"
-"একজন বেদজ্ঞের অনুগ্রহ পেলে সফলতা নিশ্চিত"
Brahmana Dhamika suta 11/7
"বেদ স্বর্গীয় এবং প্রকৃত ব্রাক্ষনরা বেদ অনুসরন করত,তারা লোভ ও কাম এর উর্দ্ধে ছিল,তারা বিশুদ্ধ জীবনযাপন করত,বেদপাঠ ও তা প্রচারে নিয়োজিত থাকত,সকল প্রকার প্রানীহত্যা থেকে বিরত থাকত।পরবর্তীতে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ প্রচার করে যে বেদ প্রানীহত্যার অনুমোদন দেয়"
ধন্যবাদ সবাইকে।নমস্কার।
No comments:
Post a Comment