মিথুন দাশ
বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে একটা জনশ্রুতি আছে। তাদের এক পা নাকি বাংলাদেশে , আরেক পা নাকি ভারতে । সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়াতে এই অভিযোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে ,অনেক বার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও নাকি একবার বলেছেন হিন্দুদের দেহ বাংলাদেশে কিন্তু মন নাকি ভারতে । বি.এন.পি ও জামায়েতের অভিযোগ আরও বেশি । তাদের দেশমাতৃকার সম্পত্তি হিন্দুরা নাকি ভারতে পাচার করে দিচ্ছে । হিন্দুরা চাকরি করে এখানে , কিন্তু টাকা পাঠাই কলকাতায়। এই জন্য নির্বাচনে বিজয়ের পরে তারা প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে হিন্দু-খেদাও অভিযানে নামে। ১৯৪৭ এর আগে এই দেশে হিন্দুদের সবকিছু ছিল। দেশভাগ হয়েছে তো কি হয়েছে ? এই দেশ আমার , আমি বাঙ্গাল । কিছু মানুষ গোঁ ধরে থেকে গেল। ভুলটা তারাই করেছিল। ঈশ্বর তাদের দেশপ্রেমের শাস্তি দিলেন প্রচণ্ড নির্দয় ভাবে। ১৯৪৭ সালে The East Bengal (Emergency) Requisition of Property Act পাশ হল । খুলে গেল অনেক মানুষের ভাগ্য। শুরু হোল হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করার উৎসব । কোন কোন জায়গাতে সম্পত্তি দখল নিয়ে মুসলমানদের মধ্যেই মারামারি লেগে গেল । কিছু হিন্দু এবার সত্যিই দেশ ছাড়ল । কারন এই দেশে জায়গা নেই , জমি নেই , চাকরি নেই, খাবে কি ? তারপরও কিছু মানুষ পেটে গামছা বেধে রয়ে গেল । ভাবত এই দেশ আমার , এই মাটি আমার , আমি বাঙ্গাল। কিন্তু আবার হিন্দুদের পেটে লাথি মারা হল । ১৯৪৯, ১৯৫১, ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে সরকার মহা উৎসাহ নিয়ে যথাক্রমে The East Bengal Evacuees (Administration of Property) Act (VIII of 1949) , The East Bengal Evacuees (Restoration of Possession) Act (XXII of 1951),The East Bengal Evacuees (Administration of Immovable Property) Act (XXIV of 1951), The East Bengal Prevention of Transfer of Property and Removal of Documents and Records Act of 1952, The Pakistan (Administration of Evacuees Property) Act (XII of 1957) আইন পাশ করলো। রাতারাতি অনেক হিন্দু পরিনত হল ভুমিহীনে । অনেক হিন্দু মামলা চালাল। কিন্তু যেখানে আইন গুলোই ছিলো সংখ্যালঘুদের শোষণের জন্য , সেখানে রাষ্ট্রযন্ত্র ও বিচারবিভাগ থেকে কোন ন্যায় বিচার পেত না হিন্দুরা । অনেক হিন্দু চিরবঞ্চিত হলো তার পিতৃপুরুষের সম্পত্তি থেকে, তার ন্যায্য জমি থেকে, যে জমিকে সে নিজের মায়ের মতই বেশি ভালোবাসতো । প্রচণ্ড রাগ হলো তার। ভাবল এবার বোধহয় দেশ ছাড়তে হবে। দেশ ছাড়ল তারা । কিন্তু বেকুব সব জায়গাতেই থাকে । এই বেকুবরা ভাবল আমি তো ঐপারে রিফুউজি। জমি নেই, চাকরি নেই তো কি হয়েছে এইপারে দরকার হলে আমি কামলা খেটে খাবো । এই দেশ আমার , আমি বাঙ্গাল। আমি এই দেশেই থাকব । ১৯৬৫ সালে ইন্ডিয়া পাকিস্তান যুদ্ধ বাজল । যুদ্ধে মার খেল পাকিস্তান । আবার পাকিস্তানের আইউব খান রাগটা ঝাড়লেন এই দেশের ভূমিহীন হিন্দুদের উপর । সংখ্যালঘু নিষ্পেষণের জন্য তিনি আরও আধুনিক আইন পাশ করলেন । এই আইনে কাওকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রের শত্রু ঘোষণা করেই তার সকল সম্পত্তি দখল নেওয়া যাই । আইনগুলো ছিল
East Pakistan Disturbed Persons (Rehabilitation)
Ordinance (No 1 of 1964)
The Defence of Pakistan Ordinance (No. XXIII of 6 September 1965)
The Defence ofPakistan Rules of 1965
The Enemy Property (Custody and Registration) Order of 1965
TheEast Pakistan Enemy Property (Lands and Buildings
Administration and Disposal Order of 1966).
The Enemy Property (Continuance of Emergency Provision) Ordinance No. 1 of 1969
আগেতো শুধু জমি গেছে । এখন বসতভিটা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেল । প্রচণ্ড অপমানিত হল হিন্দুরা । এত কষ্ট সহ্য করার পরেও যারা পেটে গামছা বেধে ছিল , রাষ্ট্র তাদের শত্রু ঘোষণা ভিটাবাড়ি দখল করে নিলো । বুঝতে পারল এই দেশ তার দেশ না । ৭৫ শতাংশ হিন্দুর সকল বাড়ি ঘর বিষয় সম্পত্তি দখল করতে পারল সরকার। যেসব হিন্দু আইনের আশ্রয় নিলো , তাদেরকে সরকার অপরাধী সাবস্ত্য করলে অনেকটা এইভাবে-------জিতিন বাবুর কাকাতো ভাই, কলকাতাই থাকেন । তিনি কাকাতো ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে শত্রু রাষ্ট্রের সাথে আঁতাত করার গোপন পরিকল্পনা করছেন । অতএব তার সম্পত্তি সিজ করা হোক । " শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার মরীয়া হয়ে উঠেছিল , কারো কোন আত্মীয় ভারতে থাকে কিনা তা খুজে বের করার জন্য। এতে সম্পত্তি দখল অনেক সুবিধা হয়ে যায় । এরপরে দেশ রাজনৈতিক অবস্থাতে পরিবর্তন এলো । বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনকে হিন্দুদের উষকে দেওয়া মনে করলো পাকিস্তানিরা। ১৯৭১ এর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম একটা লক্ষ্য ছিল হিন্দু জাতিসত্তাকে চিরতরে নির্মূল করা । প্রচণ্ড মার খেল হিন্দুরা ।এবার কিন্তু পালাতেই হয় । কিন্তু এবারও কিছু মহাবেকুব কে দেখা গেল । এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কুমিল্লার ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত , চট্টগ্রামের কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের দানবীর নূতন চন্দ্র সিংহ প্রমুখ । তেনারা দেশ ছেড়ে পালালেন না । বললেন আমি বাঙ্গাল , এই দেশ আমার । বললেন " জননী ও জন্মভুমি স্বর্গাদপী গরিয়সী -- অর্থাৎ জননী ও জন্মভুমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ ।" মহান দয়াবান ঈশ্বর তাদের দেশপ্রেমের শাস্তি দিলেন প্রচণ্ড নির্দয় ভাবে । তিনি তাদের প্রানসংহারের ব্যাবস্থা করলেন । এরপর দেশ স্বাধীন হোল । হিন্দুরা মনে করল "ডিরেক্ট একশান ডে" ঘোষণাকারি হিন্দুবিদ্বেষী হোসেন শহিদ সোহরয়ারদি ভক্ত শেখ মুজিব তার স্বভাব চরিত্র কিছু পালটাবেন । অন্তত যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আর কিছু না করেন , অন্তত চাষবাস করে বেচে থাকার জন্য তাদের পিতৃপুরুষের জমি গুলো ফিরিয়ে দেবেন । কিন্তু মুজিব ছিলেন ঝানু মানুষ । তিনি হিন্দুদের নাকে মুলো ঝুলিয়ে দিলেন। বাইরে যতটা তিনি হিন্দু মুসলিম মিলনের কথা বলতেন , কিন্তু মনে মনে ছিলেন তার চেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক। শুধু বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্যই তার হিন্দু বিরোধিতার রূপটি মুছে গিয়েছিল । তিনি পাশ করলেন নতুন আইন
Bangladesh (Vesting of Property and Assets) President's (Order No. 29 of 1972).
The Enemy Property (Continuance of Emergency Provisions) (Repeal) Act (XLV of 1974)
The Vested and Non-Resident Property (Administration) Act (XLVI of 1974)
পাকিস্তান আমলের আইনের সাথে এই আইনগুলোর তেমন কোন পার্থক্য নেই । শুধু পাকিস্তানের জায়গাতে বাংলাদেশ কথাটা এসেছে । আর শত্রু সম্পত্তি ওয়ার্ডটা কেটে ওখানে বসানো হয়েছে পরিত্যাক্ত সম্পত্তি আইন । এই আইনের একটি ধারাতে এখনো যেকোনো কাউকে রাষ্ট্রের শত্রু ঘোষণা করে তার সম্পত্তি দখল করার বিধান রয়েছে , যেটা মুজিব অপরিবর্তিত রেখেছিলেন । হিন্দুদের আর বুঝতে কোন সমস্যা হোল না যে আইনের এই অংশটি মুজিব আবার হিন্দু-খেদানোর কাজে ব্যবহার করবেন । এই বিষয়টি আরও পরিস্কার হয়ে গেল হিন্দুদের কাছে যখন মুজিব শাসনামলেই ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বিষয় সম্পত্তি দখল করা হয়েছিলো । আইউব খান ও মুজিবের ঐ আইনের কারনে ৯২৫,০৫০ টি হিন্দু পরিবার প্রত্যক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো , ৭৪৮৮৫০ টি পরিবার তাদের কৃষি জমি হারিয়েছিল যার পরিমান ১.৬৪ মিলিয়ন একর । বর্তমানে জমিগুলো যাদের দখলে আছে তাদের মধ্যে আওয়ামিলিগ ৪৫%, বি,এন,পি ৩২%, জামায়েত ৬% , জাতীয় পার্টি ৫% ও অন্যন্যরা ১২% । মুজিবের উপর হিন্দুরা আর বিশ্বাস রাখতে পারে নি । তারপরও প্রশ্ন উঠতে পারে কেন হিন্দুরা এখনো আওয়ামীলীগকে ভোট দেই । কারন আওয়ামিলিগ মন্দের ভালো । কিন্তু বিষয় সম্পত্তির ব্যাপারে হিন্দুরা কারো উপর আর বিশ্বাস রাখতে পারলো না । কারন কে চাই এত কষ্টে গড়া তার সম্পত্তি মুহূর্তের মধ্যে শুধুমাত্র রাষ্ট্র শত্রু ঘোষণা করে সব সম্পত্তি দখল করে নেবে। বিশেষত হিন্দুরা এখন আর তাদের পূর্বপুরুষের মত পেটে গামছা বেধে বোকামি করতে আগ্রহী নয় । কেন ন্যাড়া একবারই বেল তলাতে যাই , যেখানে তাদের পূর্বপুরুষ গিয়েছে কয়েকবার । আমাদের মত গনতান্ত্রিক দেশে এই বৈষম্যমুলক আইন সত্যিই লজ্জাজনক ।তারপরও প্রশাসনের কিছু লোক এই আইন বিলোপ করতে রাজী নন । কারন এই আইন আছে বলে এখনো যে কোন সময় হিন্দুদের দেশদ্রোহী ঘোষণা করে তাদের জায়গা জমি দখল করা যাবে । আর তারা যখন নিতান্তই বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়বে তখন তাদের ভারতের দালাল বলে মহাসুখে গালি দেওয়া যাবে ।
The Defence of Pakistan Ordinance (No. XXIII of 6 September 1965)
The Defence of
The Enemy Property (Custody and Registration) Order of 1965
The
The Enemy Property (Continuance of Emergency Provision) Ordinance No. 1 of 1969
আগেতো শুধু জমি গেছে । এখন বসতভিটা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেল । প্রচণ্ড অপমানিত হল হিন্দুরা । এত কষ্ট সহ্য করার পরেও যারা পেটে গামছা বেধে ছিল , রাষ্ট্র তাদের শত্রু ঘোষণা ভিটাবাড়ি দখল করে নিলো । বুঝতে পারল এই দেশ তার দেশ না । ৭৫ শতাংশ হিন্দুর সকল বাড়ি ঘর বিষয় সম্পত্তি দখল করতে পারল সরকার। যেসব হিন্দু আইনের আশ্রয় নিলো , তাদেরকে সরকার অপরাধী সাবস্ত্য করলে অনেকটা এইভাবে-------জিতিন বাবুর কাকাতো ভাই, কলকাতাই থাকেন । তিনি কাকাতো ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে শত্রু রাষ্ট্রের সাথে আঁতাত করার গোপন পরিকল্পনা করছেন । অতএব তার সম্পত্তি সিজ করা হোক । " শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার মরীয়া হয়ে উঠেছিল , কারো কোন আত্মীয় ভারতে থাকে কিনা তা খুজে বের করার জন্য। এতে সম্পত্তি দখল অনেক সুবিধা হয়ে যায় । এরপরে দেশ রাজনৈতিক অবস্থাতে পরিবর্তন এলো । বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনকে হিন্দুদের উষকে দেওয়া মনে করলো পাকিস্তানিরা। ১৯৭১ এর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম একটা লক্ষ্য ছিল হিন্দু জাতিসত্তাকে চিরতরে নির্মূল করা । প্রচণ্ড মার খেল হিন্দুরা ।এবার কিন্তু পালাতেই হয় । কিন্তু এবারও কিছু মহাবেকুব কে দেখা গেল । এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কুমিল্লার ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত , চট্টগ্রামের কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের দানবীর নূতন চন্দ্র সিংহ প্রমুখ । তেনারা দেশ ছেড়ে পালালেন না । বললেন আমি বাঙ্গাল , এই দেশ আমার । বললেন " জননী ও জন্মভুমি স্বর্গাদপী গরিয়সী -- অর্থাৎ জননী ও জন্মভুমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ ।" মহান দয়াবান ঈশ্বর তাদের দেশপ্রেমের শাস্তি দিলেন প্রচণ্ড নির্দয় ভাবে । তিনি তাদের প্রানসংহারের ব্যাবস্থা করলেন । এরপর দেশ স্বাধীন হোল । হিন্দুরা মনে করল "ডিরেক্ট একশান ডে" ঘোষণাকারি হিন্দুবিদ্বেষী হোসেন শহিদ সোহরয়ারদি ভক্ত শেখ মুজিব তার স্বভাব চরিত্র কিছু পালটাবেন । অন্তত যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আর কিছু না করেন , অন্তত চাষবাস করে বেচে থাকার জন্য তাদের পিতৃপুরুষের জমি গুলো ফিরিয়ে দেবেন । কিন্তু মুজিব ছিলেন ঝানু মানুষ । তিনি হিন্দুদের নাকে মুলো ঝুলিয়ে দিলেন। বাইরে যতটা তিনি হিন্দু মুসলিম মিলনের কথা বলতেন , কিন্তু মনে মনে ছিলেন তার চেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক। শুধু বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্যই তার হিন্দু বিরোধিতার রূপটি মুছে গিয়েছিল । তিনি পাশ করলেন নতুন আইন
Bangladesh (Vesting of Property and Assets) President's (Order No. 29 of 1972).
The Enemy Property (Continuance of Emergency Provisions) (Repeal) Act (XLV of 1974)
The Vested and Non-Resident Property (Administration) Act (XLVI of 1974)
পাকিস্তান আমলের আইনের সাথে এই আইনগুলোর তেমন কোন পার্থক্য নেই । শুধু পাকিস্তানের জায়গাতে বাংলাদেশ কথাটা এসেছে । আর শত্রু সম্পত্তি ওয়ার্ডটা কেটে ওখানে বসানো হয়েছে পরিত্যাক্ত সম্পত্তি আইন । এই আইনের একটি ধারাতে এখনো যেকোনো কাউকে রাষ্ট্রের শত্রু ঘোষণা করে তার সম্পত্তি দখল করার বিধান রয়েছে , যেটা মুজিব অপরিবর্তিত রেখেছিলেন । হিন্দুদের আর বুঝতে কোন সমস্যা হোল না যে আইনের এই অংশটি মুজিব আবার হিন্দু-খেদানোর কাজে ব্যবহার করবেন । এই বিষয়টি আরও পরিস্কার হয়ে গেল হিন্দুদের কাছে যখন মুজিব শাসনামলেই ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বিষয় সম্পত্তি দখল করা হয়েছিলো । আইউব খান ও মুজিবের ঐ আইনের কারনে ৯২৫,০৫০ টি হিন্দু পরিবার প্রত্যক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো , ৭৪৮৮৫০ টি পরিবার তাদের কৃষি জমি হারিয়েছিল যার পরিমান ১.৬৪ মিলিয়ন একর । বর্তমানে জমিগুলো যাদের দখলে আছে তাদের মধ্যে আওয়ামিলিগ ৪৫%, বি,এন,পি ৩২%, জামায়েত ৬% , জাতীয় পার্টি ৫% ও অন্যন্যরা ১২% । মুজিবের উপর হিন্দুরা আর বিশ্বাস রাখতে পারে নি । তারপরও প্রশ্ন উঠতে পারে কেন হিন্দুরা এখনো আওয়ামীলীগকে ভোট দেই । কারন আওয়ামিলিগ মন্দের ভালো । কিন্তু বিষয় সম্পত্তির ব্যাপারে হিন্দুরা কারো উপর আর বিশ্বাস রাখতে পারলো না । কারন কে চাই এত কষ্টে গড়া তার সম্পত্তি মুহূর্তের মধ্যে শুধুমাত্র রাষ্ট্র শত্রু ঘোষণা করে সব সম্পত্তি দখল করে নেবে। বিশেষত হিন্দুরা এখন আর তাদের পূর্বপুরুষের মত পেটে গামছা বেধে বোকামি করতে আগ্রহী নয় । কেন ন্যাড়া একবারই বেল তলাতে যাই , যেখানে তাদের পূর্বপুরুষ গিয়েছে কয়েকবার । আমাদের মত গনতান্ত্রিক দেশে এই বৈষম্যমুলক আইন সত্যিই লজ্জাজনক ।তারপরও প্রশাসনের কিছু লোক এই আইন বিলোপ করতে রাজী নন । কারন এই আইন আছে বলে এখনো যে কোন সময় হিন্দুদের দেশদ্রোহী ঘোষণা করে তাদের জায়গা জমি দখল করা যাবে । আর তারা যখন নিতান্তই বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়বে তখন তাদের ভারতের দালাল বলে মহাসুখে গালি দেওয়া যাবে ।
No comments:
Post a Comment