জয় রায়
পৃথিবীর সব থেকে প্রাচীন ও উৎকৃষ্টতম দর্শন হল হিন্দু দর্শন। ভগবানের অশেষ কৃপায় আজ আমরা সনাতনের সন্তান হিসেবে এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছি। অতি সংক্ষেপে হিন্দু দর্শনের কিছু কথা তুলে ধরছি। হিন্দু ধর্ম মূলত ছয়টি অস্তিকা বা দর্শন-এ বিভক্ত যেগুলোর মূল হল বেদের থেকে । এই ছয়টি তত্ত্ব হল :
১)সাংখ্য
২)যোগ
৩)ন্যায় বা যুক্তি
৪)বৈশেষিকা
৫)মিমাংসা
৬)বেদান্ত
আমরা সবাই জানি যে, বৈদিক বা হিন্দু দর্শনের মূল উৎস হল বেদ| দর্শন শব্দটি ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল দেখা বা অভিজ্ঞতা| সত্যকে জানাই হল এর মূল উদ্দেশ্য | ছয়টি তত্ত্বে বৈদিক দর্শন বিভক্ত| যে তত্ত্বগুলি বেদের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে আলোচিত হয়েছে সেগুলিকে আস্তিক বলা হয় এবং সেগুলি হল –
১) ঋষি গোতমের ন্যায়
২) ঋষি কণাদের বৈশেষিক
৩)ঋষি জৈমিনির পূর্ব মিমাংসা
৪) ঋষি কপিলের সাংখ্য
৫) ঋষি পাতঞ্জলির যোগ এবং
৬) ঋষি ব্যাসের বেদান্ত |
এদের মধ্যে সাংখ্য ও পূর্ব মিমাংসা ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে না | পন্ডিতগণের মতে এই তত্ত্বগুলি খৃষ্টপূর্ব ৬০০ থেকে ২০০ বছর পূর্বে প্রচলিত হয়েছিল |যদিও বৈদিক দর্শনে ছয়টি তত্ত্ব আছে কিন্তু তারা পরস্পর বিরোধী নয় | পন্ডিতগণ মনে করেন যে এই ছয়টি তত্ত্বের মধ্যে একটি সমন্বয়ভাব আছে| এক একটি তত্ত্ব ধাপে ধাপে সত্য থেকে উচ্চতর সত্যে, উচ্চতর সত্য থেকে উচ্চতম সত্যে পৌঁছতে সাহায্য করে | ন্যায় ও বৈশেষিক তত্ত্ব মানুষের মনকে প্রস্তুত করে দর্শন তত্ত্ব বুঝতে, মিমাংসা, সাংখ্য এবং যোগ এই তিনটি তত্ত্ব মানুষের মনকে আরও উচ্চমানের দর্শন তত্ত্ব শিক্ষা দেয়, সর্বশেষে আসে বেদান্ত, যা আরও উচ্চস্তরের দর্শন | বর্তমানে বৈশেষিকীর প্রাধান্য খুবই কম, ন্যায় যুক্তিতত্ত্বের বিশেষ অঙ্গ হিসাবে আলোচিত হয়, মিমাংসা সমাজের আইনগত নীতি সহায়ক, সাংখ্য আলোচিত হয় বেদান্ত দর্শনের অঙ্গ হিসাবে | যোগ এবং বেদান্ত এই দুটিকেই বর্তমানে প্রাধান্য দেওয়া হয় | যোগ মোক্ষলাভের পথ ও উপায় প্রসঙ্গে আলোচিত হয় | তাই বলা হয়ে থাকে যে, বেদান্ত দর্শনই হিন্দু ধর্মের মুখ্য দর্শন।
পৃথিবীর সব থেকে প্রাচীন ও উৎকৃষ্টতম দর্শন হল হিন্দু দর্শন। ভগবানের অশেষ কৃপায় আজ আমরা সনাতনের সন্তান হিসেবে এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছি। অতি সংক্ষেপে হিন্দু দর্শনের কিছু কথা তুলে ধরছি। হিন্দু ধর্ম মূলত ছয়টি অস্তিকা বা দর্শন-এ বিভক্ত যেগুলোর মূল হল বেদের থেকে । এই ছয়টি তত্ত্ব হল :
১)সাংখ্য
২)যোগ
৩)ন্যায় বা যুক্তি
৪)বৈশেষিকা
৫)মিমাংসা
৬)বেদান্ত
আমরা সবাই জানি যে, বৈদিক বা হিন্দু দর্শনের মূল উৎস হল বেদ| দর্শন শব্দটি ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল দেখা বা অভিজ্ঞতা| সত্যকে জানাই হল এর মূল উদ্দেশ্য | ছয়টি তত্ত্বে বৈদিক দর্শন বিভক্ত| যে তত্ত্বগুলি বেদের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে আলোচিত হয়েছে সেগুলিকে আস্তিক বলা হয় এবং সেগুলি হল –
১) ঋষি গোতমের ন্যায়
২) ঋষি কণাদের বৈশেষিক
৩)ঋষি জৈমিনির পূর্ব মিমাংসা
৪) ঋষি কপিলের সাংখ্য
৫) ঋষি পাতঞ্জলির যোগ এবং
৬) ঋষি ব্যাসের বেদান্ত |
এদের মধ্যে সাংখ্য ও পূর্ব মিমাংসা ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে না | পন্ডিতগণের মতে এই তত্ত্বগুলি খৃষ্টপূর্ব ৬০০ থেকে ২০০ বছর পূর্বে প্রচলিত হয়েছিল |যদিও বৈদিক দর্শনে ছয়টি তত্ত্ব আছে কিন্তু তারা পরস্পর বিরোধী নয় | পন্ডিতগণ মনে করেন যে এই ছয়টি তত্ত্বের মধ্যে একটি সমন্বয়ভাব আছে| এক একটি তত্ত্ব ধাপে ধাপে সত্য থেকে উচ্চতর সত্যে, উচ্চতর সত্য থেকে উচ্চতম সত্যে পৌঁছতে সাহায্য করে | ন্যায় ও বৈশেষিক তত্ত্ব মানুষের মনকে প্রস্তুত করে দর্শন তত্ত্ব বুঝতে, মিমাংসা, সাংখ্য এবং যোগ এই তিনটি তত্ত্ব মানুষের মনকে আরও উচ্চমানের দর্শন তত্ত্ব শিক্ষা দেয়, সর্বশেষে আসে বেদান্ত, যা আরও উচ্চস্তরের দর্শন | বর্তমানে বৈশেষিকীর প্রাধান্য খুবই কম, ন্যায় যুক্তিতত্ত্বের বিশেষ অঙ্গ হিসাবে আলোচিত হয়, মিমাংসা সমাজের আইনগত নীতি সহায়ক, সাংখ্য আলোচিত হয় বেদান্ত দর্শনের অঙ্গ হিসাবে | যোগ এবং বেদান্ত এই দুটিকেই বর্তমানে প্রাধান্য দেওয়া হয় | যোগ মোক্ষলাভের পথ ও উপায় প্রসঙ্গে আলোচিত হয় | তাই বলা হয়ে থাকে যে, বেদান্ত দর্শনই হিন্দু ধর্মের মুখ্য দর্শন।
No comments:
Post a Comment