হেমন্ত কুমার মজুমদার
সামান্য একটা সহজ মৌলিক ও প্রধান গুরুত্বপুর্ন বিষয় অনেকে যদি না জানে তাহলে মনে করতে হবে ডাল ম্যা কুচ কালা নেহি কিউকে ও পুরাই কালা হ্যায় উস ম্যা কই ডালই নেহি। কথাগুলো বললাম মূর্তি পূজা প্রসঙ্গে। এখনও অনেক হিন্দু মনে করে হিন্দুরা মূর্তি পুজা করে এবং মানুষের বানানো মূর্তিকে প্রনাম করে। প্রথমে বলি, আরে বাবা ওটা মূর্তি নয় ওটা হবে বিগ্রহ। নিন্দুকেরা ওটাকে মূর্তি বলে। মেনে নিলাম শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার অপ্রতুলতার কারনেই এটা হয়েছে কিন্তু যা আছে তাও যদি ঠিক ঠাক মতো না পড়ি তাহলেতো আসলেই বিপদ আর সেই বিপদই বর্তমানে মানবধর্ম, অসুস্থ ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা নিজেকে সনাতনী হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতে বিব্রতবোধ করা ইত্যাদি ইত্যাদির জন্ম হয়েছে। আরে বাবু সোনা ক্লাস সেভেনের বইতে ছিল হিন্দুরা মূর্ত পুজা করে কিনা সেখানে স্বামী বিবেকানন্দের একটি কবিতা ও ছিল "পুতুল পূজা করে নাকো রাজা..............." কিন্তু পরীক্ষা এটা আসবে না বলে পড়া হয়নি। এই ফাঁকি ঝুঁকি শিক্ষার কারনে ধর্মীয় বোধই হারিয়ে যাচ্ছে ।আমি যদি প্রশ্নপত্র তৈরী করতাম তাহলে প্রতি বছর কিছু কমন প্রশ্ন করতাম। যাকগে তাতো আর কখনো হবার নয় তাই ক্ষোভের অংশ আপাতত আলুর দমের মত পেটে টুস করে চালিয়ে দিলাম। এবার আসি শাস্ত্র কি বলে। দেব দেবী কি তা এখন আমরা সবাই জানি কিন্তু এর পুজা করা কেন তাও জানিয়েছি তবুও সংক্ষেপে বলি , শ্রীমাদ্ভাগবত গীতায় আছে ত্রিগুনের প্রভাবে মোহগ্রস্থ হয়ে কামনা বাসনায় মশগুল মূর্খরাই দেব দেবীর পুজা করে এবং এই নির্দেশ আমিই(স্রষ্টা) দিয়েছে আর তা করেই একজন সাধক মুক্তি লাভ করবে ধাপে ধাপে। গীতা ও উপনিষদ এই শিক্ষাই দেয় শুধু মাত্র নিরাকার ঈশ্বরের পুজা করো কিন্তু আমাদের মন কেবল চায় আর চায়। এটা চাই ওটা চাই, সুন্দরী বউ চাই আবার উপঢৌকন হিসেবে আবার কয়েক জোড়া শ্যালিকা হলে মন্দ হয় না। গাড়ি চাই, বাড়ি চাই, টাকা চাই, গহনা চাই আর এই আবদারগুলো করি ভগবানের কাছে কিন্তু নিরাকার ইশ্বরকে নিজের আত্মায় আত্মস্থ করতে চাই না তাহলে কিভাবে নিরাকার ব্রক্ষের পূজা করবো। শ্রীমাদ্ভাগবত শিক্ষাতো এটাই নিষ্কাম কর্ম কর। কিন্তু আমরা এমনই কর্ম করি যার ফলে মন আকামে গাঁজন নষ্ট করে ধুতি ভিজিয়ে ফেলি। তাই সাধনার পারম্ভে এই বিগ্রহ পুজা ছাড়া কোন গতি নেই। বিগ্রহ চোখের সামনে রেখে ভক্তরা পূজা করি তখন ঈশ্বরের এই রুপের ছায়া ভক্ত মনের মাঝে নিয়ে প্রার্থনা করে আর মনে মনে তার আকুতি জানায় সে আকুতি মিনতি কিন্তু কাঠ, মাটি দিয়ে গড়া ঐ মূর্তি কাছে ভক্ত করে না। মুর্তির কাছে ভক্ত তার আকূল আবেদন জানায় না। এটাতো আরও কমন ব্যাপার যে পুজা ও প্রার্থনা মনের ভেতরে হয় এটা কোন বাহ্যিক বিষয় না। ঈশ্বর ভক্তের ভক্তিকে দেখেন কেবল সেখানে মন্ত্র সঠিক ভাবে উচ্চারন করতে না পারলে তিনি মাইন্ড করবেন না। তাই কাঠ, মাটি দিয়ে গড়া ঐ বিগ্রহ নিন্দুকের কাছে মূর্তি আর তারা সেটাকে মূর্তি মনে করেই তারা ভাংগে কিন্তু আমাদের মনের ভেতের সেতো ঈশ্বরের রুপ তা কি করে ভাঙ্গবে। ভক্তি বিষয়টা কি সেটা সহজে বোঝানোর চেষ্টা করি। অন্য কেউ নয় , বাবা মা, ভাই বোন কেউ না ধরুন আপনার হাতে আপনার প্রানপ্রিয় প্রেমিকার ছবির আছে। আপনি কি করেন ঐ ছবিটাতে? আমি কিন্তু চুমু খাই(বিদ্যা বাল্যন, শ্রী দেবী, কাজল আরও মেলা লম্বা লিস্ট) এবং আপনি অবশ্যই রোমাঞ্চিত হন কারন তার প্রতি আপনার যে নিখাদ ভালবাসা এটাই তারই নমূনা মাত্র। এখন ভাবুন আপনার প্রেমিকার ছবিতে আপনার সামনে আপনার বন্ধু চুমু খেলো এমনকি অশ্লীল কিছু করে বসল। আপনি কি নিজেকে সংযত রাখতে পারবেন?? কিন্তু আসলেতো রাগ করার মত কিছুই হয়নি কারন ওটা একটা কাগজের টুকরো মাত্র আর ঐ কাগজের যার ছবি সেতো আপনার প্রেমিকার মত কথা বলে না, চলে না , হাঁটে না আবার মিষ্টি করে হাসেও না আপনার দিল কি ধাড়কন বৃদ্ধি করার জন্য তাহলে কেন চটবেন। চটবেন কারন আপনার প্রবিত্র প্রেমিক মনে সেটা কেবলই ছবি নয় তাই এর অপমান আপনি আপনার প্রেমের অপমানই মনে করেন যা কোন সত্যিকারের প্রেমিক সহ্য করতে পারে না। ঠিক যারা নিন্দুক তাদের বলবেন পারলে তোমার বাবা মায়ের ছবির উপর থু থু দাও বা বাজে কিছু করো। দেখবেন এই কথা কেন বললেন তাই আপনাকে শাকিব খান ঘুষা দেবার জন্য হাতের দলা পাকাবে। আরও কঠিন করলে বলতে পারেন পারলে কাব্বা শরীফের উপর থুথু ফেল। দেখবেন আসমান জমিন এক করে ফেলবে। অথচ এই মানুষই সারাদিন হিন্দুরা মূর্তি পুজা করে, এটা হারাম, এটা মুশরীক এই কথা বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে কিন্তু এই বেলায় ঐ সব কিছু ভূলে যায় যখন নিজের ঘাড়ে আসে। যদি বলেন কেন ক্ষেপছো এটাতো শুধু মাত্র একটা কাগজে টুকরো আর এর চারিদিকে মানুষগুলোর কোন প্রান নেই, হাড় নেই , মাংস নেই, এরা কথাও বলতে পারে না তাহলে এত ক্রোধ কিসের? কারন তার মনে কখনোই এটা কাগজের টুকরা নয় বা কোন ছবিও নয়। তার ভক্তির কাছে এটাই প্রকৃত কাবা শরীফ তাই এর অপমান সে ঐ আসল কাবা শরীফের অপমানই মনে করেন ঠিক যেমন আমাদের মনের মানস পটে তা ঈশ্বরের ছায়া বা রুপ এবং প্রার্থনায় আমরা ঈশ্বরের এই রুপেই ভক্তিতে নিমগ্ন হই। তাই আমরা কখনোই মূর্তি পুজা করি না আর এটা কেবলই ভক্তই জানে অজ্ঞানী, মূর্খ ঐ নিন্দুকেরা জানে না।
সামান্য একটা সহজ মৌলিক ও প্রধান গুরুত্বপুর্ন বিষয় অনেকে যদি না জানে তাহলে মনে করতে হবে ডাল ম্যা কুচ কালা নেহি কিউকে ও পুরাই কালা হ্যায় উস ম্যা কই ডালই নেহি। কথাগুলো বললাম মূর্তি পূজা প্রসঙ্গে। এখনও অনেক হিন্দু মনে করে হিন্দুরা মূর্তি পুজা করে এবং মানুষের বানানো মূর্তিকে প্রনাম করে। প্রথমে বলি, আরে বাবা ওটা মূর্তি নয় ওটা হবে বিগ্রহ। নিন্দুকেরা ওটাকে মূর্তি বলে। মেনে নিলাম শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার অপ্রতুলতার কারনেই এটা হয়েছে কিন্তু যা আছে তাও যদি ঠিক ঠাক মতো না পড়ি তাহলেতো আসলেই বিপদ আর সেই বিপদই বর্তমানে মানবধর্ম, অসুস্থ ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা নিজেকে সনাতনী হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতে বিব্রতবোধ করা ইত্যাদি ইত্যাদির জন্ম হয়েছে। আরে বাবু সোনা ক্লাস সেভেনের বইতে ছিল হিন্দুরা মূর্ত পুজা করে কিনা সেখানে স্বামী বিবেকানন্দের একটি কবিতা ও ছিল "পুতুল পূজা করে নাকো রাজা..............." কিন্তু পরীক্ষা এটা আসবে না বলে পড়া হয়নি। এই ফাঁকি ঝুঁকি শিক্ষার কারনে ধর্মীয় বোধই হারিয়ে যাচ্ছে ।আমি যদি প্রশ্নপত্র তৈরী করতাম তাহলে প্রতি বছর কিছু কমন প্রশ্ন করতাম। যাকগে তাতো আর কখনো হবার নয় তাই ক্ষোভের অংশ আপাতত আলুর দমের মত পেটে টুস করে চালিয়ে দিলাম। এবার আসি শাস্ত্র কি বলে। দেব দেবী কি তা এখন আমরা সবাই জানি কিন্তু এর পুজা করা কেন তাও জানিয়েছি তবুও সংক্ষেপে বলি , শ্রীমাদ্ভাগবত গীতায় আছে ত্রিগুনের প্রভাবে মোহগ্রস্থ হয়ে কামনা বাসনায় মশগুল মূর্খরাই দেব দেবীর পুজা করে এবং এই নির্দেশ আমিই(স্রষ্টা) দিয়েছে আর তা করেই একজন সাধক মুক্তি লাভ করবে ধাপে ধাপে। গীতা ও উপনিষদ এই শিক্ষাই দেয় শুধু মাত্র নিরাকার ঈশ্বরের পুজা করো কিন্তু আমাদের মন কেবল চায় আর চায়। এটা চাই ওটা চাই, সুন্দরী বউ চাই আবার উপঢৌকন হিসেবে আবার কয়েক জোড়া শ্যালিকা হলে মন্দ হয় না। গাড়ি চাই, বাড়ি চাই, টাকা চাই, গহনা চাই আর এই আবদারগুলো করি ভগবানের কাছে কিন্তু নিরাকার ইশ্বরকে নিজের আত্মায় আত্মস্থ করতে চাই না তাহলে কিভাবে নিরাকার ব্রক্ষের পূজা করবো। শ্রীমাদ্ভাগবত শিক্ষাতো এটাই নিষ্কাম কর্ম কর। কিন্তু আমরা এমনই কর্ম করি যার ফলে মন আকামে গাঁজন নষ্ট করে ধুতি ভিজিয়ে ফেলি। তাই সাধনার পারম্ভে এই বিগ্রহ পুজা ছাড়া কোন গতি নেই। বিগ্রহ চোখের সামনে রেখে ভক্তরা পূজা করি তখন ঈশ্বরের এই রুপের ছায়া ভক্ত মনের মাঝে নিয়ে প্রার্থনা করে আর মনে মনে তার আকুতি জানায় সে আকুতি মিনতি কিন্তু কাঠ, মাটি দিয়ে গড়া ঐ মূর্তি কাছে ভক্ত করে না। মুর্তির কাছে ভক্ত তার আকূল আবেদন জানায় না। এটাতো আরও কমন ব্যাপার যে পুজা ও প্রার্থনা মনের ভেতরে হয় এটা কোন বাহ্যিক বিষয় না। ঈশ্বর ভক্তের ভক্তিকে দেখেন কেবল সেখানে মন্ত্র সঠিক ভাবে উচ্চারন করতে না পারলে তিনি মাইন্ড করবেন না। তাই কাঠ, মাটি দিয়ে গড়া ঐ বিগ্রহ নিন্দুকের কাছে মূর্তি আর তারা সেটাকে মূর্তি মনে করেই তারা ভাংগে কিন্তু আমাদের মনের ভেতের সেতো ঈশ্বরের রুপ তা কি করে ভাঙ্গবে। ভক্তি বিষয়টা কি সেটা সহজে বোঝানোর চেষ্টা করি। অন্য কেউ নয় , বাবা মা, ভাই বোন কেউ না ধরুন আপনার হাতে আপনার প্রানপ্রিয় প্রেমিকার ছবির আছে। আপনি কি করেন ঐ ছবিটাতে? আমি কিন্তু চুমু খাই(বিদ্যা বাল্যন, শ্রী দেবী, কাজল আরও মেলা লম্বা লিস্ট) এবং আপনি অবশ্যই রোমাঞ্চিত হন কারন তার প্রতি আপনার যে নিখাদ ভালবাসা এটাই তারই নমূনা মাত্র। এখন ভাবুন আপনার প্রেমিকার ছবিতে আপনার সামনে আপনার বন্ধু চুমু খেলো এমনকি অশ্লীল কিছু করে বসল। আপনি কি নিজেকে সংযত রাখতে পারবেন?? কিন্তু আসলেতো রাগ করার মত কিছুই হয়নি কারন ওটা একটা কাগজের টুকরো মাত্র আর ঐ কাগজের যার ছবি সেতো আপনার প্রেমিকার মত কথা বলে না, চলে না , হাঁটে না আবার মিষ্টি করে হাসেও না আপনার দিল কি ধাড়কন বৃদ্ধি করার জন্য তাহলে কেন চটবেন। চটবেন কারন আপনার প্রবিত্র প্রেমিক মনে সেটা কেবলই ছবি নয় তাই এর অপমান আপনি আপনার প্রেমের অপমানই মনে করেন যা কোন সত্যিকারের প্রেমিক সহ্য করতে পারে না। ঠিক যারা নিন্দুক তাদের বলবেন পারলে তোমার বাবা মায়ের ছবির উপর থু থু দাও বা বাজে কিছু করো। দেখবেন এই কথা কেন বললেন তাই আপনাকে শাকিব খান ঘুষা দেবার জন্য হাতের দলা পাকাবে। আরও কঠিন করলে বলতে পারেন পারলে কাব্বা শরীফের উপর থুথু ফেল। দেখবেন আসমান জমিন এক করে ফেলবে। অথচ এই মানুষই সারাদিন হিন্দুরা মূর্তি পুজা করে, এটা হারাম, এটা মুশরীক এই কথা বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে কিন্তু এই বেলায় ঐ সব কিছু ভূলে যায় যখন নিজের ঘাড়ে আসে। যদি বলেন কেন ক্ষেপছো এটাতো শুধু মাত্র একটা কাগজে টুকরো আর এর চারিদিকে মানুষগুলোর কোন প্রান নেই, হাড় নেই , মাংস নেই, এরা কথাও বলতে পারে না তাহলে এত ক্রোধ কিসের? কারন তার মনে কখনোই এটা কাগজের টুকরা নয় বা কোন ছবিও নয়। তার ভক্তির কাছে এটাই প্রকৃত কাবা শরীফ তাই এর অপমান সে ঐ আসল কাবা শরীফের অপমানই মনে করেন ঠিক যেমন আমাদের মনের মানস পটে তা ঈশ্বরের ছায়া বা রুপ এবং প্রার্থনায় আমরা ঈশ্বরের এই রুপেই ভক্তিতে নিমগ্ন হই। তাই আমরা কখনোই মূর্তি পুজা করি না আর এটা কেবলই ভক্তই জানে অজ্ঞানী, মূর্খ ঐ নিন্দুকেরা জানে না।
No comments:
Post a Comment