বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলায় ভুুয়া শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া হিন্দু শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের চেষ্টার ঘটনা ফাঁস হয়েছে।
এই দুই জেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ভুয়া হিন্দু শিক্ষার্থীর তালিকা এবং বরাদ্দ আদেশ জমা দিয়ে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা জেলা ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে উপবৃত্তির টাকা তুলে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে দুই জেলার প্রশাসকেরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিল ছাড় না করার জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান ভুয়া তালিকা দেখিয়ে বিল তুলে নিয়েছিল, সেই সব প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছ থেকে ছাড় করা অর্থ ফেরত নেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৭ জুন কলেজ পর্যায়ে অধ্যয়নরত হিন্দু শিক্ষার্থীদের গত অর্থবছরের হিন্দু তফসিলি উপবৃত্তি মঞ্জুর করে। একই সঙ্গে উপবৃত্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।
কিন্তু বগুড়া ও জয়পুরহাটে এই তালিকার বাইরে ভুয়া তালিকা দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালায় একটি চক্র। চক্রটি অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সারা দেশে এবার মোট এক হাজার ১৫০ জনকে এই উপবৃত্তি দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত অধ্যয়নরতদের এই উপবৃত্তি দেওয়া হয়।
বগুড়া ও জয়পুরহাটের এই ভুয়া তালিকা ও বরাদ্দপত্র গত মঙ্গলবার প্রথম আলোর পক্ষ থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নোমান উর রশীদ, পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) আতাউর রহমান এবং উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেনকে দেখালে তাঁরা জানান, এগুলো ভুয়া।
আতাউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dshe.gov.bd) দেওয়া আছে। এর বাইরে যে তালিকা, সেগুলো ভুয়া। বিষয়টি জানার পর তাঁরাও সেটি তদন্ত করছেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে জানান, জালিয়াতি ঠেকাতে মাউশির ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে সতর্কতা নোটিশ জারি করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য নিজ নিজ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালিকাসহ কুরিয়ারযোগে একাধিক বরাদ্দপত্র আদেশ আসে। ওই বরাদ্দ আদেশের ভিত্তিতে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বিলও ছাড় করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এবং বরাদ্দ আদেশে একই হাতে একাধিক স্বাক্ষরের বিষয়টি সন্দেহ হলে তা জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আনা হয়। তাঁরা মাউশিতে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন, এ ধরনের কোনো বরাদ্দ ছাড়া হয়নি। পরে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা এসব ভুয়া বিল আটকে দেন। বিষয়টি জানাজানির আগেই যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরাদ্দ তুলে নিয়েছিল, সেই সব প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত বিল জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছু বিল ছাড় দেওয়া হলেও অর্থ প্রদান না করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বগুড়া সদরের সরকারি আজিজুল হক কলেজ, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ, নামুজা ডিগ্রি কলেজ, নুনগোলা ডিগ্রি কলেজ, বগুড়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নামে এসব ভুয়া বরাদ্দপত্র এসেছে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওই বিল ছাড় না করার জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তড়িঘড়ি বিল নেওয়ার চেষ্টা জয়পুরহাটে: জয়পুরহাটের কালাই ও পাঁচবিবি (অতিরিক্ত) উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হাসান বলেন, ভুয়া আদেশ আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা তড়িঘড়ি করে বিল তুলে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। কালাই উপজেলার মাত্রাই মডেল কলেজ এবং পাঁচবিবির উচাই কলেজের অধ্যক্ষ প্রায় দেড় লাখ টাকার বিলও তুলে নেন। কালাই মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ১৮৩ জন ভুয়া ছাত্রীর নামে তড়িঘড়ি করে প্রায় চার লাখ টাকার বিল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কালাই মহিলা ডিগ্রি কলেজের বিল আটকে দেওয়া হয়েছে এবং মাত্রাই মডেল কলেজ ও উচাই কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে ছাড় করা বিলের অর্থ ফেরত নেওয়া হয়েছে।
এই দুই জেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ভুয়া হিন্দু শিক্ষার্থীর তালিকা এবং বরাদ্দ আদেশ জমা দিয়ে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা জেলা ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে উপবৃত্তির টাকা তুলে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে দুই জেলার প্রশাসকেরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিল ছাড় না করার জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান ভুয়া তালিকা দেখিয়ে বিল তুলে নিয়েছিল, সেই সব প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছ থেকে ছাড় করা অর্থ ফেরত নেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৭ জুন কলেজ পর্যায়ে অধ্যয়নরত হিন্দু শিক্ষার্থীদের গত অর্থবছরের হিন্দু তফসিলি উপবৃত্তি মঞ্জুর করে। একই সঙ্গে উপবৃত্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।
কিন্তু বগুড়া ও জয়পুরহাটে এই তালিকার বাইরে ভুয়া তালিকা দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালায় একটি চক্র। চক্রটি অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সারা দেশে এবার মোট এক হাজার ১৫০ জনকে এই উপবৃত্তি দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত অধ্যয়নরতদের এই উপবৃত্তি দেওয়া হয়।
বগুড়া ও জয়পুরহাটের এই ভুয়া তালিকা ও বরাদ্দপত্র গত মঙ্গলবার প্রথম আলোর পক্ষ থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নোমান উর রশীদ, পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) আতাউর রহমান এবং উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেনকে দেখালে তাঁরা জানান, এগুলো ভুয়া।
আতাউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dshe.gov.bd) দেওয়া আছে। এর বাইরে যে তালিকা, সেগুলো ভুয়া। বিষয়টি জানার পর তাঁরাও সেটি তদন্ত করছেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে জানান, জালিয়াতি ঠেকাতে মাউশির ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে সতর্কতা নোটিশ জারি করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য নিজ নিজ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালিকাসহ কুরিয়ারযোগে একাধিক বরাদ্দপত্র আদেশ আসে। ওই বরাদ্দ আদেশের ভিত্তিতে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বিলও ছাড় করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এবং বরাদ্দ আদেশে একই হাতে একাধিক স্বাক্ষরের বিষয়টি সন্দেহ হলে তা জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আনা হয়। তাঁরা মাউশিতে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন, এ ধরনের কোনো বরাদ্দ ছাড়া হয়নি। পরে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা এসব ভুয়া বিল আটকে দেন। বিষয়টি জানাজানির আগেই যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরাদ্দ তুলে নিয়েছিল, সেই সব প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত বিল জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছু বিল ছাড় দেওয়া হলেও অর্থ প্রদান না করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বগুড়া সদরের সরকারি আজিজুল হক কলেজ, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ, নামুজা ডিগ্রি কলেজ, নুনগোলা ডিগ্রি কলেজ, বগুড়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নামে এসব ভুয়া বরাদ্দপত্র এসেছে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওই বিল ছাড় না করার জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তড়িঘড়ি বিল নেওয়ার চেষ্টা জয়পুরহাটে: জয়পুরহাটের কালাই ও পাঁচবিবি (অতিরিক্ত) উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হাসান বলেন, ভুয়া আদেশ আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা তড়িঘড়ি করে বিল তুলে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। কালাই উপজেলার মাত্রাই মডেল কলেজ এবং পাঁচবিবির উচাই কলেজের অধ্যক্ষ প্রায় দেড় লাখ টাকার বিলও তুলে নেন। কালাই মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ১৮৩ জন ভুয়া ছাত্রীর নামে তড়িঘড়ি করে প্রায় চার লাখ টাকার বিল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কালাই মহিলা ডিগ্রি কলেজের বিল আটকে দেওয়া হয়েছে এবং মাত্রাই মডেল কলেজ ও উচাই কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে ছাড় করা বিলের অর্থ ফেরত নেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment