কচুয়া উপজেলায় অবস্থিত দোয়াটী গ্রামবাসী চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়। তাদের দাবি, সন্ত্রাসীদের হাতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা। এলাকার সন্ত্রাসী জাকির বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিমল সরকারের পরিবার। নিরাপত্তাহীনতায় রয়ে গেছে আরও অনেক পরিবার। জাকির বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্তির দাবিতে গতকাল সকাল ১১টায় চাঁদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ননী গোপাল দাস। বক্তব্য রাখেন যগদীশ মণ্ডল, সুনীল সরকার, সুরেশ সরকার, দুলাল দাস, স্বপন মেম্বার প্রমুখ।
জাকির বাহিনীর সন্ত্রাসীরা হচ্ছে মনির হোসেন, আবদুল মান্নান, আবদুল কুদ্দুস, হোসেন আলী, আলাউদ্দিন প্রমুখ। জাকির পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সেক্রেটারি। বাকিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। তাদের ধারাবাহিক অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে কচুয়া থানা ও আদালতে ৭-৮টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে জাকিরসহ দুজন জেলহাজতে রয়েছে। জেলে বসে অন্যান্য সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দিচ্ছে ও প্রতিনিয়ত বলছে, ছাড়া পেলে এবার এলাকার সব সংখ্যালঘুকে গ্রামছাড়া করবে। সে আতঙ্ক নিয়েই তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ননী গোপাল বলেন, দোয়াটী গ্রামে প্রায় আড়াই হাজার হিন্দু পরিবার বসবাস করে। ওই গ্রামের প্রায় প্রতিটি হিন্দু পরিবার সন্ত্রাসীর কাছে জিম্মি হয়ে আছে। বিমল সরকারের পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসীদের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। যেদিন তারা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছিল, সেদিন জাকির বাহিনীর সদস্যরা ওই বাড়িতে ঢুকে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। একই সঙ্গে তারা ওই পরিবারের এক নারীর সম্ভ্রমহানি করে। তারা কেআইডপি’র গাছ কেটে নেয়। তাদের গ্রামের প্রদীপ দাসকে গুম করে চাঁদা দাবি করে। বানিয়া বাড়ির অনিলের কাছ থেকে বেশ ক’বার চাঁদা নেয়। গ্রামের হিন্দুদের পূজা-পার্বণ ও নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে নারী-পুরুষের মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে। গ্রামের কেউ নতুন ঘরবাড়ি বানাতে গেলে চাঁদা দিতে হয়। কৃষকের ঘরে ফসল তোলার সময় হলে বাইরের বেপারি আসতে দেয় না। কম দামে তাদের কাছে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করে। কচুয়া-গৌরিপুর মেইন রোডে দোয়াটি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে প্রায়ই তারা যানবাহনে ছিনতাই করে।
কিছুদিন আগে স্বপন মেম্বারের বাড়িতে সপ্তম নামে এক যুবককে মারধর করে দাঁত ফেলে দেয়। সে ঘটনায় বর্তমানে মামলা চলছে। এছাড়া সন্ত্রাসী জাকির বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ায় এবং সুযোগ খুঁজে মহিলাদের গায়ে হাত দেয়, তাদের নির্যাতন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সুরেশ চন্দ্র আক্ষেপ করে বলেন, আমরা সরকারের কাছে দরখাস্ত করে নাগরিক হইনি। জন্মগতভাবে এদেশের নাগরিক। কিন্তু আজ আমাদের নাগরিক অধিকারটুকুও নেই। প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছি।
দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, আমরা সংখ্যালঘু সন্ত্রাসী জাকির গংয়ের হাতে এত নির্যাতনের পরও কোথাও বিচার পাইনি। আমাদের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। সুতরাং সাধারণ মানুষের মতো বাঁচার অধিকার চাই। সরকারের কাছে ন্যূনতম নিরাপত্তা চাই।
সাবেক ইউপি মেম্বার স্বপন হাওলাদার বলেন, সন্ত্রাসীদের লাঞ্ছনা-বঞ্চনা সইতে না পেরে আপনাদের কাছে এসেছি। মিডিয়ায় আমাদের কথা তুলে ধরুন, আমাদের বাঁচান। স্থানীয় প্রশাসনকে বলুন আমাদের নিরাপত্তা দিতে।
জাকির বাহিনীর সন্ত্রাসীরা হচ্ছে মনির হোসেন, আবদুল মান্নান, আবদুল কুদ্দুস, হোসেন আলী, আলাউদ্দিন প্রমুখ। জাকির পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সেক্রেটারি। বাকিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। তাদের ধারাবাহিক অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে কচুয়া থানা ও আদালতে ৭-৮টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে জাকিরসহ দুজন জেলহাজতে রয়েছে। জেলে বসে অন্যান্য সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দিচ্ছে ও প্রতিনিয়ত বলছে, ছাড়া পেলে এবার এলাকার সব সংখ্যালঘুকে গ্রামছাড়া করবে। সে আতঙ্ক নিয়েই তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ননী গোপাল বলেন, দোয়াটী গ্রামে প্রায় আড়াই হাজার হিন্দু পরিবার বসবাস করে। ওই গ্রামের প্রায় প্রতিটি হিন্দু পরিবার সন্ত্রাসীর কাছে জিম্মি হয়ে আছে। বিমল সরকারের পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসীদের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। যেদিন তারা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছিল, সেদিন জাকির বাহিনীর সদস্যরা ওই বাড়িতে ঢুকে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। একই সঙ্গে তারা ওই পরিবারের এক নারীর সম্ভ্রমহানি করে। তারা কেআইডপি’র গাছ কেটে নেয়। তাদের গ্রামের প্রদীপ দাসকে গুম করে চাঁদা দাবি করে। বানিয়া বাড়ির অনিলের কাছ থেকে বেশ ক’বার চাঁদা নেয়। গ্রামের হিন্দুদের পূজা-পার্বণ ও নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে নারী-পুরুষের মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে। গ্রামের কেউ নতুন ঘরবাড়ি বানাতে গেলে চাঁদা দিতে হয়। কৃষকের ঘরে ফসল তোলার সময় হলে বাইরের বেপারি আসতে দেয় না। কম দামে তাদের কাছে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করে। কচুয়া-গৌরিপুর মেইন রোডে দোয়াটি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে প্রায়ই তারা যানবাহনে ছিনতাই করে।
কিছুদিন আগে স্বপন মেম্বারের বাড়িতে সপ্তম নামে এক যুবককে মারধর করে দাঁত ফেলে দেয়। সে ঘটনায় বর্তমানে মামলা চলছে। এছাড়া সন্ত্রাসী জাকির বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ায় এবং সুযোগ খুঁজে মহিলাদের গায়ে হাত দেয়, তাদের নির্যাতন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সুরেশ চন্দ্র আক্ষেপ করে বলেন, আমরা সরকারের কাছে দরখাস্ত করে নাগরিক হইনি। জন্মগতভাবে এদেশের নাগরিক। কিন্তু আজ আমাদের নাগরিক অধিকারটুকুও নেই। প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছি।
দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, আমরা সংখ্যালঘু সন্ত্রাসী জাকির গংয়ের হাতে এত নির্যাতনের পরও কোথাও বিচার পাইনি। আমাদের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। সুতরাং সাধারণ মানুষের মতো বাঁচার অধিকার চাই। সরকারের কাছে ন্যূনতম নিরাপত্তা চাই।
সাবেক ইউপি মেম্বার স্বপন হাওলাদার বলেন, সন্ত্রাসীদের লাঞ্ছনা-বঞ্চনা সইতে না পেরে আপনাদের কাছে এসেছি। মিডিয়ায় আমাদের কথা তুলে ধরুন, আমাদের বাঁচান। স্থানীয় প্রশাসনকে বলুন আমাদের নিরাপত্তা দিতে।
No comments:
Post a Comment