Niloy Arya
বেদ-সনাতন সমাজের মুল ভিত্তি, সর্ব্বোচ্চ এবং অলঙ্ঘনীয় ধর্মগ্রন্থ। হিন্দু আইনশাস্ত্র মতে নিত্য এবং অবশ্যপাঠ্য।কয়েক শতক আগেও বেদ শব্দটি ছিল প্রতিটি হিন্দুর প্রাত্যাহিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত।কিন্তু সময়ের বিবর্তনে,অজ্ঞান তার করালগ্রাসে, ঔপনিবেশিকদের চক্রান্তে,তথাকথ িত ধর্মপ্রচারক তথা ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে আমরা আজ মহান বেদ এর পথ থেকে বিভ্রান্ত।ফলস্ব রুপ আমরা আজ জাতি হিসেবে এক ক্রান্তিকা
বেদ-সনাতন সমাজের মুল ভিত্তি, সর্ব্বোচ্চ এবং অলঙ্ঘনীয় ধর্মগ্রন্থ। হিন্দু আইনশাস্ত্র মতে নিত্য এবং অবশ্যপাঠ্য।কয়েক শতক আগেও বেদ শব্দটি ছিল প্রতিটি হিন্দুর প্রাত্যাহিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত।কিন্তু সময়ের বিবর্তনে,অজ্ঞান তার করালগ্রাসে, ঔপনিবেশিকদের চক্রান্তে,তথাকথ িত ধর্মপ্রচারক তথা ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে আমরা আজ মহান বেদ এর পথ থেকে বিভ্রান্ত।ফলস্ব রুপ আমরা আজ জাতি হিসেবে এক ক্রান্তিকা
লে দাড়িয়ে।জ্ঞানের অভাবে নিত্যনৈমিত্তিক হিসাবে
অন্যধর্মালম্বীদ ের কাছে অপমানের স্বীকার তো বটেই,নিজেদের
প্রতিদিনকার জীবনযাপনেও অজ্ঞতার গ্লানিবয়ে নিয়ে চলেছি নিরন্তর।তাই আজকে কয়েকটি অপপ্রচার ও ভুল
ধারনা নিয়ে কথা বলব।
১/এই কলিযুগে বেদ সাধারন মানুষের পক্ষে বেদ পরা সম্ভব নয় অথবা বেদ পরার পবিত্রতা মানুষের নেই এরকম একটা কথা অনেকেই প্রচার করেথাকেন।তারা আরও বলেন যে বেদবিহিত কর্মসমুহ কলিযুগের মানুষের পক্ষে মানা সম্ভব নয়।আসলেই কি তাই?
প্রথমেই দেখি বেদ কি বলেছে-
" পুরো মহাবিশ্ব পাল্টে যেতে পারে,কিন্তু মহাবিশ্বের সংবিধান বেদ সকল কালের জন্য প্রযোজ্য যাসর্বদা অপরিবর্তিত থাকবে"
ঋগবেদ ১/৯০/২
মনিষীরা কি বলেছেন একটু শুনি-
"বেদ হচ্ছে সকল সত্য জ্ঞানের উত্স।মহাকর্ষ শক্তি যেমন তা আবিস্কারের আগেও বিদ্যমান ছিল তেমনি মানবজাতি যদি এটা ভুলেও যায়তারপরও এটা অপরিবর্তিতভাবেব িদ্যমান থাকবে।ঠিক তেমনি বেদ"
(স্বামী বিবেকানন্দ,Comp lete work,vol 1,paper on Hinduism)
Swami Dayanand Saraswati যিনি কিনা প্রথম বেদের সম্পূর্ন সঠিক আধ্যাত্মিক অনুবাদ এর জন্য খ্যত এবং অপরাজেয় বিতার্কিক তিনি বলেছিলেন-"বেদ হল একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা সকল যুগের জন্য একেবারে সুবিধাজনকভাবে প্রযোজ্য।"
যেখানে বেদ বলছে এটা সব যুগের জন্য প্রযোজ্য সেখানে কতিপয় জ্ঞানপাপীর এহেন আচরন সন্দেহজনক।
এবার আমরা আসি বাস্তবিক যুক্তি প্রয়োগে।ঈশ্বর হলেনত্রিকালজ্ঞ অর্থাত্ যিনি অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যত্ সব জানেন।তাহলে তার পক্ষে কেন সম্ভব হবেনা এমন কোন গ্রন্থ প্রেরন করা যা সর্বযুগের মানুষের জন্য প্রযোজ্য?তাছাড়া এসব অবান্তর যুক্তি যারা পেশ করেন তারা নিজেরা কি কখনও বেদ পড়েছেন তাদের কথার সত্যতা যাচাই এর জন্য?তাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি,পারলে বেদের এমন কোন নিয়ম দেখান যা বর্তমান যুগের জন্য প্রযোজ্য নয়।বরং এটা কলি যুগে আরও বেশি প্রয়োজন কারন বেদের কর্মকান্ড প্রতিদিনের নিত্যকর্মাদি,বি জ্ঞান,আইন,অর্থন ীতি, রাজনীতি ব্যখ্যা করেছে যা সত্য যুগের তুলনায় কলি যুগেই বেশী দরকার।আরেকটি প্রশ্ন করেন তারা বেদের বৃহত্ কলেবর নিয়ে যেটা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন।কারন বৈদিক যুগেও এমন খুব কম লোকই ছিলেন যারা সব কটা বেদজানতেন।কেউ বা একটা,কেউ বা দুটা,কেউ তিনটা,কেউবা চারটাই জানতেন যাদের যথাক্রমে একবেদী,দ্বিবেদী ,ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী বলা হত।তবে ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী ছিল হাতে গোনা।একবেদী রা ই ছিল সর্ব্বোচ্চ।আর তাছাড়া কেউ ই আপনাকে বেদ মুখস্ত করতে বলছেনা।আর এ ধরনের প্রচারকারীদের মধ্যে অনেকেই বলেন শ্রীমদভাগবত পড়ার কথা!!!এখন আপনারা ই বলুন,যেখানে যজুর্বেদ এর মন্ত্রসংখ্যা ২০০০ সেখানে এর বদলে এর কয়েকগুন বড় একটাপুরান কলেবরের দোহাই দিয়ে পরতে বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?ঈশ্বর ই জানেন
২//
এখন আসি পবিত্রতার বিষয়ে।অনেকেই বলেন বেদপাঠ করার মত পবিত্রতা কলিযুগের মানুষের নেই।কথাটা যে কি পরিমান ভিত্তিহীন তা একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়।প্রথমেই আসি হিন্দু আইনশাস্ত্র মনুসংহিতা তে।
মনুসংহিতা ১/৮৫
"চারযুগে(সত্য,ত ্রেতা, দ্বাপর,কলি)দায়ি ত্বের রকমভেদ রয়েছে কারন প্রতি যুগে মানুষের আয়ু হ্রাস পাচ্ছে"
১/৮৬
"সত্য যুগে ধ্যন ত্রেতায় জ্ঞান দ্বাপর এ যজ্ঞাদি ও কলিতে মোক্ষ(হরিনাম এর একমাত্র উপায় এ কথা কোথাও ইবলা হয়নি।হরিনাম খুব ই পবিত্র সন্দেহ নেই কিন্তু শুধু হরিনাম করলেই মোক্ষ লাভ হয়না)
১/৮৭
"কিন্তু মহাবিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার্থে সবসময় ই চার ধরনের পেশা ভাগ করা হয়েছে"
১/৮৮
"ব্রাক্ষ্মনরা নিজ স্বার্থত্যগ করে কাজ করবে,বেদ পরবেএবং তা অপরকে শেখাবে"
১/৮৯
"ক্ষত্রিয়রা বেদ পরবে,লোকরক্ষা ও রাজ্যপরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে"
১/৯০
"বৈশ্যরা বেদ পরবে,ব্যবসা ওকৃষিকর্মে নিজেদের নিযুক্তকরবে"
১/৯১
"শুদ্ররা বেদ পাঠ করবে এবং সেবামুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে"
তাহলে কি স্পষ্ট হল?প্রতিযুগে কর্তব্য পালটাবে ঠিক তবে বেদ সর্বযুগেই পরা আবশ্যক।আর যার বেদপাঠ এর ই পবিত্রতা নেই তার হরিনাম যা সবচেয়ে পবিত্র তা নেয়ার পবিত্রতা থাকবে কি করে?সবচেয়ে খারাপ,অপবিত্র লোকটিও নিজেকে বেদপাঠ এর মাধ্যমে জ্ঞানালোকে পরিপুর্ন করতে পারে।তাই তো পবিত্র বেদ এ ঘোষনা করা হয়েছে
"আমি মানবকল্যানে যে বাণী তোমাদের দিয়েছি তা প্রচার কর ব্রাক্ষ্মন ক্ষত্রিয় বৈশ্য শুদ্র নারী পুরুষ পাপী পুন্যাত্মা নির্বিশেষে সকলকে"
যজুর্বেদ ২৬/২(চলবে)
১/এই কলিযুগে বেদ সাধারন মানুষের পক্ষে বেদ পরা সম্ভব নয় অথবা বেদ পরার পবিত্রতা মানুষের নেই এরকম একটা কথা অনেকেই প্রচার করেথাকেন।তারা আরও বলেন যে বেদবিহিত কর্মসমুহ কলিযুগের মানুষের পক্ষে মানা সম্ভব নয়।আসলেই কি তাই?
প্রথমেই দেখি বেদ কি বলেছে-
" পুরো মহাবিশ্ব পাল্টে যেতে পারে,কিন্তু মহাবিশ্বের সংবিধান বেদ সকল কালের জন্য প্রযোজ্য যাসর্বদা অপরিবর্তিত থাকবে"
ঋগবেদ ১/৯০/২
মনিষীরা কি বলেছেন একটু শুনি-
"বেদ হচ্ছে সকল সত্য জ্ঞানের উত্স।মহাকর্ষ শক্তি যেমন তা আবিস্কারের আগেও বিদ্যমান ছিল তেমনি মানবজাতি যদি এটা ভুলেও যায়তারপরও এটা অপরিবর্তিতভাবেব িদ্যমান থাকবে।ঠিক তেমনি বেদ"
(স্বামী বিবেকানন্দ,Comp lete work,vol 1,paper on Hinduism)
Swami Dayanand Saraswati যিনি কিনা প্রথম বেদের সম্পূর্ন সঠিক আধ্যাত্মিক অনুবাদ এর জন্য খ্যত এবং অপরাজেয় বিতার্কিক তিনি বলেছিলেন-"বেদ হল একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা সকল যুগের জন্য একেবারে সুবিধাজনকভাবে প্রযোজ্য।"
যেখানে বেদ বলছে এটা সব যুগের জন্য প্রযোজ্য সেখানে কতিপয় জ্ঞানপাপীর এহেন আচরন সন্দেহজনক।
এবার আমরা আসি বাস্তবিক যুক্তি প্রয়োগে।ঈশ্বর হলেনত্রিকালজ্ঞ অর্থাত্ যিনি অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যত্ সব জানেন।তাহলে তার পক্ষে কেন সম্ভব হবেনা এমন কোন গ্রন্থ প্রেরন করা যা সর্বযুগের মানুষের জন্য প্রযোজ্য?তাছাড়া এসব অবান্তর যুক্তি যারা পেশ করেন তারা নিজেরা কি কখনও বেদ পড়েছেন তাদের কথার সত্যতা যাচাই এর জন্য?তাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি,পারলে বেদের এমন কোন নিয়ম দেখান যা বর্তমান যুগের জন্য প্রযোজ্য নয়।বরং এটা কলি যুগে আরও বেশি প্রয়োজন কারন বেদের কর্মকান্ড প্রতিদিনের নিত্যকর্মাদি,বি জ্ঞান,আইন,অর্থন ীতি, রাজনীতি ব্যখ্যা করেছে যা সত্য যুগের তুলনায় কলি যুগেই বেশী দরকার।আরেকটি প্রশ্ন করেন তারা বেদের বৃহত্ কলেবর নিয়ে যেটা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন।কারন বৈদিক যুগেও এমন খুব কম লোকই ছিলেন যারা সব কটা বেদজানতেন।কেউ বা একটা,কেউ বা দুটা,কেউ তিনটা,কেউবা চারটাই জানতেন যাদের যথাক্রমে একবেদী,দ্বিবেদী ,ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী বলা হত।তবে ত্রিবেদী ও চতুর্বেদী ছিল হাতে গোনা।একবেদী রা ই ছিল সর্ব্বোচ্চ।আর তাছাড়া কেউ ই আপনাকে বেদ মুখস্ত করতে বলছেনা।আর এ ধরনের প্রচারকারীদের মধ্যে অনেকেই বলেন শ্রীমদভাগবত পড়ার কথা!!!এখন আপনারা ই বলুন,যেখানে যজুর্বেদ এর মন্ত্রসংখ্যা ২০০০ সেখানে এর বদলে এর কয়েকগুন বড় একটাপুরান কলেবরের দোহাই দিয়ে পরতে বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?ঈশ্বর ই জানেন
২//
এখন আসি পবিত্রতার বিষয়ে।অনেকেই বলেন বেদপাঠ করার মত পবিত্রতা কলিযুগের মানুষের নেই।কথাটা যে কি পরিমান ভিত্তিহীন তা একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়।প্রথমেই আসি হিন্দু আইনশাস্ত্র মনুসংহিতা তে।
মনুসংহিতা ১/৮৫
"চারযুগে(সত্য,ত ্রেতা, দ্বাপর,কলি)দায়ি ত্বের রকমভেদ রয়েছে কারন প্রতি যুগে মানুষের আয়ু হ্রাস পাচ্ছে"
১/৮৬
"সত্য যুগে ধ্যন ত্রেতায় জ্ঞান দ্বাপর এ যজ্ঞাদি ও কলিতে মোক্ষ(হরিনাম এর একমাত্র উপায় এ কথা কোথাও ইবলা হয়নি।হরিনাম খুব ই পবিত্র সন্দেহ নেই কিন্তু শুধু হরিনাম করলেই মোক্ষ লাভ হয়না)
১/৮৭
"কিন্তু মহাবিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার্থে সবসময় ই চার ধরনের পেশা ভাগ করা হয়েছে"
১/৮৮
"ব্রাক্ষ্মনরা নিজ স্বার্থত্যগ করে কাজ করবে,বেদ পরবেএবং তা অপরকে শেখাবে"
১/৮৯
"ক্ষত্রিয়রা বেদ পরবে,লোকরক্ষা ও রাজ্যপরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে"
১/৯০
"বৈশ্যরা বেদ পরবে,ব্যবসা ওকৃষিকর্মে নিজেদের নিযুক্তকরবে"
১/৯১
"শুদ্ররা বেদ পাঠ করবে এবং সেবামুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে"
তাহলে কি স্পষ্ট হল?প্রতিযুগে কর্তব্য পালটাবে ঠিক তবে বেদ সর্বযুগেই পরা আবশ্যক।আর যার বেদপাঠ এর ই পবিত্রতা নেই তার হরিনাম যা সবচেয়ে পবিত্র তা নেয়ার পবিত্রতা থাকবে কি করে?সবচেয়ে খারাপ,অপবিত্র লোকটিও নিজেকে বেদপাঠ এর মাধ্যমে জ্ঞানালোকে পরিপুর্ন করতে পারে।তাই তো পবিত্র বেদ এ ঘোষনা করা হয়েছে
"আমি মানবকল্যানে যে বাণী তোমাদের দিয়েছি তা প্রচার কর ব্রাক্ষ্মন ক্ষত্রিয় বৈশ্য শুদ্র নারী পুরুষ পাপী পুন্যাত্মা নির্বিশেষে সকলকে"
যজুর্বেদ ২৬/২(চলবে)
Earth is one, Truth is one, We are one
ReplyDeleteThe time is narrowing down to much exciting and much awaited event 1st World Parliament on Spirituality slated on 17-21 Dec 2012@Hyderabad, INDIA. Many Magnificent people like you have involved themse
lves to make all these confluences of awakened human consciousness most enlightening.
Many Thanks to the great support that is given to all the earlier conferences, Enlightenment Summits, Workshops etc., some of the very wise people are the speakers gracing this occasion.
This December Conference is going to be a great blend of Head & Heart, Intuition & Intellect, Thoughts & Feelings. Come participate and celebrate this fabulous and historical congregation where hundreds of spiritual leaders and thousands of seekers are coming from more than 100 nations of the world.
This event is going to herald a new beginning for the mother earth to have a lasting peace and harmony. For the 7 billion population of the world, we need several conscious people to change the frequency of the mother earth. It is not possible to go to each individual of the world and spread the vibration of peace and harmony. We only need 10 million people to meditate for 1 hour from 5 pm to 6 pm IST on 21 Dec 2012 to create a long lasting peace in the world. So, wherever you are please join for the group meditation on 21 Dec 2012 to build the collective energy and consciousness.
"You are wholeheartedly invited to participate in the
phenomenon of global proportions;
a linking of consciousness that will make a difference
to all humanity on a galactic scale."
What is Spirituality ?
Spirituality is the Art and Science of Going Within. Spirituality is awakening of the energy of understanding thru meditation and various methods of Sadhana advocated by many schools of spiritual thought. Spirituality differs from Religion. While Religion is mainly dominated by prayers, rituals and devotion, Spirituality is dominated by Meditation, Contemplation and Discipline. While Religion is practicing certain faith and belief system, Spirituality aims one to be one’s natural self keeping aside rigid barriers of belief and soar high in the spirit consciousness.
In the 1st World Parliament on Spirituality, the speakers do not represent any religion but spirituality but as the origin and root of each religion is spirituality there will be an exclusive theme on Spirituality and Inter-faith unity.