হিন্দু যতদিন ভগবানকে বংশীধারী কৃষ্ণমুরারী বলে আহ্বান করবে ততদিন হিন্দু শুধু লাঞ্ছিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত হবে। আর যেদিন হিন্দু ভগবানকে চক্রধারী শ্রীহরি রূপে আহ্বান করবে, কংশ প্রভৃতি অত্যাচারী রাজাদের নিধনকর্তা শ্রীকৃষ্ণের আরাধণা করবে সেদিনই জেগে উঠবে হিন্দু সুপ্ত তেজো-বীর্য্য, সেদিন হিন্দু হবে সু-সংগঠিত, হয়ে উঠবে অজেয়।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যদি শুধু তাৎর বাৎশিই পছন্দ করতো তবে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যখন অর্জুন যুদ্ধ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিল তখন শ্রীকৃষ্ণ তাকে বলতো "হে অর্জুন, যা হচ্ছে হতে থাক, তুমি একটা বাৎশি নিয়ে আমার কাছে এসো আমি তোমায় বাৎশি বাজানো শিখেয়ে দিচ্ছি।"
কিন্তু ভগবান তা বলেনি। সে অর্জুনকে যুদ্ধ করতে বলেছিল। তাই আজ যখন হিন্দু নিপীড়িত, নির্যাতিত হচ্ছে তখন বংশীধারী কৃষ্ণকে ভুলে চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণকে আহ্বান করতে হবে। স্বরণ করতে হবে কুরুক্ষেত্রে কৃষ্ণের সেই সকল তেজো-দ্বিপ্তপূর্ণ বাণী। তবেই হিন্দু হবে সু-সংগঠিত, হবে শক্তিশালী, তখন হিন্দু পাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা।
তাই আসুন, আজ হিন্দু এই অসহায় মুহুর্তে সকলে একত্রিত হয়ে চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণ আহ্বান করি, জাগিয়ে তুলি আমাদের সুপ্ত তেজো-বীর্য্য।
"হিন্দুর বিদ্যা আছে, বুদ্ধি আছে, ব্যক্তিগত শক্তি-সামর্থও যথেষ্ট আছে, কিন্তু নেই কেবল তার সঙ্ঘশক্তি। এই সঙ্ঘশক্তি জাগিয়ে দিলে হিন্দু অজেয় হয়ে দাঁড়াবে।" - যুগাচার্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ
No comments:
Post a Comment