ছবিটি দেখুন। এই স্মৃতি স্তম্ভটি সিপাহী বিদ্রোহের সময় আত্মত্যাগকারী দুই বীর সাইদ হোসেন এবং মঙ্গল চাদিয়ার স্মৃতির উদ্দেশে ২০০৯ সালে স্থাপন করা হয়। এটি শনিবারের বিক্ষোভের সময় মুসলমানরা ভেঙ্গে ফেলে।
আসামে দাঙ্গার প্রতিবাদে মুম্বাইয়ে করা সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের মধ্য থেকে ২৩ মুসলিম নেতাকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে মুম্বাই আদালত। এর আগে শনিবারের বিক্ষোভ ও বাসে ভাংচুর ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি। ইতোমধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন।
মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানোর পাশাপাশি যারা গুজব ছড়িয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে।
প্রসঙ্গত আসাম ও মিয়ানমারের সহিংস পরিস্থিতির প্রতিবাদে শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশে মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে একটি সভায় জমায়েত হন প্রায় ৫০ হাজার মুসলমান। কালো ব্যাজ পরে শান্তিপূর্ণ সভা চলাকালীনই হঠাত্ সেই সমাবেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। সংবাদমাধ্যমের ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। জ্বালিয়ে দেয়া হয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত একটি হিন্দি চ্যানেলের ওবি ভ্যান।
প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের ওই জমায়েতে ব্যাপক গণ্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়ও। ভাংচুর করা হয় আশপাশের দোকান ও যাত্রীবাহী বাসে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাঁকা গুলিও চালায় তারা।
অন্যদিকে আসামে গতকাল কোনো সহিংসতার সরকারি খবর না থাকলেও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বেরিলিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। একটি ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে গুলি, অগ্নিসংযোগ, ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর বেরিলি শহরের বরাদারি, প্রেমনগর, কোতোয়ালি ও কইলা থানায় কারফিউ জারি করা হয় বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আধাসামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment