(১)ভাবলে অবাক লাগে দেশ তো কোন নির্দিষ্ট ধর্মগোষ্ঠী মানুষের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। তাহলে এধরণের ঘটনার সম্মুখীন আমাদের প্রায়ই হতে হয় কেন? কিছুদিন আগেও দেখেছি 'নারায়ে তাকবির' ধ্বনি তুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অনুষ্ঠান পণ্ড করা হয় দেশে। এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে অথচ প্রশাসন নীরব। দিনাজপুরে যে ঘটনা ঘটলো তার বিবরণ পড়ে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা হয়। এক মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের
চিরিরবন্দর উপজেলা পল্লীতে শনিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, মারপিট, লুটপাট, বাসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, শ্লীলতাহানী মতো সহিংস ঘটনা ঘটে। এর শেষ কোথায়? শ্লীলতাহানীর শিকার গৃহবধূ শোভা রানী রায় শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে কেঁদে কেঁদে প্রশ্ন তোলেন, ‘খান নাই, পাঞ্জাবী নাই, এখনও ক্যানে আমাগোরের ওপর অত্যাচার-জুলুম হবে? তোমহারা কি এই দেশে আমাগোরক থাকিবা দিবেন নাই বাহে?’ এ লজ্জা কোথায় রাখবো আমরা? উন্নত বিশ্ব যেখানে মঙ্গলে রোবট যান পাঠায় আমরা সেখানে এখনো সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারি নি। ধিক্কার এ সমাজকে, ধিক্কার এ রাষ্ট্রযন্ত্রকে।
(২)আমার পরিচিত মহলেও অনেকেই আমাদের দেশপ্রেম নিয়ে কথা তোলেন। তাদের কে বলছি, যে দেশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, যে দেশে এখনো হিন্দু সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি বলে বিবেচনা করা হয়, জোর করে হিন্দু মেয়েদের মুসলিম বানানো হয়, পছন্দের লোককে ভোট দেবার অপরাধে ঘর-বাড়ি-সম্পত্তি হাড়াতে হয়, অন্য দেশের ঘটনার রেশ টেনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়, মন্দিরে আগুন লাগানো হয়, ধর্মীয় অনষ্ঠান পালনে বাঁধা দেয়া হয়, যোগ্যতা
নুযায়ী চাকুরী দেয়া হয় না, ব্যাংক লোন পেতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, কাফের নামে আখ্যায়িত করা হয় সেদেশ কে আমরাও ভালবাসি। এদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাঁচার করে আমেরিকা বা ইউরোপে আমোদি জীবনে হিন্দুরা অভ্যস্থ না। এদেশের স্বাধীনতায় আমরাও অবদান রেখেছি, ত্রিশ লক্ষ শহীদের মধ্যে আমরাই বেশী ছিলাম। তেরানব্বই হাজার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় আমাদের করো নাম খুঁজে পাবেন না, সাইদি, গোলাম আযম, বাচ্চু রাজাকারের নাম পাবেন না, কিংবা মিরজাফরের রক্ত আমাদের শরীরে নাই, আমদের সমাজে দেশ বিরোধী কোনো শক্তির উথ্থান হয়নি, হিযবুত তাহরীর, শাইখ জন্ম নেয়নি। আমদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জঙ্গি বানানোর কাজে ব্যবহারের নজির নাই। আমদের মন্দিরে শুধুই পূঁজো হয়, রাজনীতি চর্চা হয় না।
প্রতিদিনই সভা, সেমিনার বা রাজনৈতিক বক্তৃতায় বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে আখ্যায়িত করা হয়। আমরা উপলদ্ধি করছি সাম্প্রদায়িকতার নুমনা। এমন দিন পাওয়া যাবে না যেদিন দেশের কোথাও না কোথাও হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাধীনতার চল্লিশ বছরেও অর্পিত সম্পত্তি আইন ঠিক করা হয় নাই। শুধু ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্ব পেয়ে আসছি। ভোট চলে গেলে সবাই ভুলে যান। সামনে ভোট আসছে, আবার সেই এক বুলি চলবে। কিন্ত এভাবে আর কতদিন চলবে? মাত্র ৩-৪% ভোট পেয়ে স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের দল জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব খাটিয়ে আসছে, অথচ প্রায় ১০% ভোট নিয়ে আমরা নীরব দর্শক, কেউ আমাদের নিয়ে ভাবে না।
মনি পাল
প্রতিদিনই সভা, সেমিনার বা রাজনৈতিক বক্তৃতায় বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে আখ্যায়িত করা হয়। আমরা উপলদ্ধি করছি সাম্প্রদায়িকতার নুমনা। এমন দিন পাওয়া যাবে না যেদিন দেশের কোথাও না কোথাও হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাধীনতার চল্লিশ বছরেও অর্পিত সম্পত্তি আইন ঠিক করা হয় নাই। শুধু ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্ব পেয়ে আসছি। ভোট চলে গেলে সবাই ভুলে যান। সামনে ভোট আসছে, আবার সেই এক বুলি চলবে। কিন্ত এভাবে আর কতদিন চলবে? মাত্র ৩-৪% ভোট পেয়ে স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের দল জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব খাটিয়ে আসছে, অথচ প্রায় ১০% ভোট নিয়ে আমরা নীরব দর্শক, কেউ আমাদের নিয়ে ভাবে না।
মনি পাল
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে শত প্রণাম। তিনি নিজ উদ্যোগে ৯ জন পাকিস্তানী হিন্দু মেয়েকে ভারতে বিয়ে দিয়েছেন এবং আশ্রয় দিয়েছেন। আরও ১২১ জন হিন্দু মেয়েকে ভারতে বিয়ে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানী মুসলমানরা হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। ভারতের হিন্দু বিরোধী সরকার এর কোন প্রতিকার করে না।
ভারতের দরকার শ্রী নরেন্দ্র মোদীর মত এক নেতা। যিনি হিন্দুদের দুঃখ লাগব করবেন।
পাকিস্তানের সকল হিন্দুকে ভারতে আশ্রয় দিতে হবে। এককালে বৈদিক সভ্যতার পুণ্য ভুমি পাকিস্তান আজ অসুরদের বিচরণ ক্ষেত্র। তারা আজ নিজেরা নিজেরা মারামারি করে মারা যাচ্ছে। কিন্তু বলি হচ্ছে অসহায় পাকিস্তানী হিন্দুরা।
No comments:
Post a Comment