দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে হিন্দু সম্প্ররদায়ের বাড়িঘরে হামলার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
আওয়ামী লীগ দায়ী করেছে উপজেলা প্রশাসন এবং বিএনপি-জামায়াতকে।
অপরদিকে বিএনপির অভিযোগ, এ ঘটনার জন্য সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এবং নেতাদের দায়িত্বহীনতাই দায়ী।
হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে শনিবার চিরিরবন্দর উপজেলায় হিন্দুদের অন্তত ২০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় আরো কয়েকটি বাড়িতে।
দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ আলী রোববার বেলা ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বুধবার (১ অগাস্ট) তিনি চিরিরবন্দর থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।
“তার দায়িত্বহীনতার কারণেই এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের উস্কানিও ছিল,” বলেন সংসদ সদস্য।
মাহমুদ আলী বলেন, ইউএনও এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ঘটনার সময় হামিদা বানুকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদের ভিত্তি দিচ্ছিলেন।
এদিকে একই এলাকার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান মিঞা তার বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব ছিল। কিন্তু সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এবং অন্য নেতারা তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
“তারা নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করতে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বিএনপি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না,” বলেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/২০৫২ ঘ.
No comments:
Post a Comment